প্রতিদিনের ফজিলতপূর্ন আমল ও দোয়া সমূহ | পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর আমল

প্রতিদিনের ফজিলতপূর্ন আমল ও দোয়া সমূহ | পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর আমল

প্রতিদিনের ফজিলতপূর্ন আমল ও দোয়া সমূহ | পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর আমল  আজকে আমি বর্ননা করবো, প্রতিদিনের আমল ও দোয়া সমূহ, এবং প্রত্যেকটির ফজিলত। সুতরাং উক্ত আমলগুলো আপনার দৈনন্দিন জীবনে বাস্তবায়ন করে অশেষ সওয়াবের অংশীদার হন। প্রথমেই আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর আমল অর্থাৎ যেই সূরা গুলো পড়া হয়, সেগুলোর ফজিলত বর্ননা করবো। তারপরে দৈনিক ছোট ছোট আমল ও দোয়া সমূহ বর্ননা করবো।   ফজরের পর সূরা ইয়াসিন পড়ার ফজিলত  রাসূল সাঃ বলেন, প্রত্যেক মানুষেরই একটা অন্তর অর্থাৎ রিদয় থাকে, তেমনি ভাবে কুরআন শরীফেরও একটা রিদয় আছে সেটা হচ্ছে সূরা ইয়াসিন। যদি কোনো ব্যক্তি তার মনের ইচ্ছা নিয়ে সূরা ইয়াসিন তিলাওয়াত করে, তাহলে আল্লাহ পাক তার মনের ইচ্ছা পূরন করে দেয়। রাসূল সাঃ বলেন, কেউ যদি একবার সূরা ইয়াসিন তিলাওয়াত করে তাহলে তার আমল নামায় দশ খতম কুরআন খতমের সওয়ার লিখা হয়, সুবহানাল্লাহ।  হযরত আলী রাযিঃ বর্ননা করেন, রাসূল সাঃ বলেছেন তুমরা নিয়মিত সূরা ইয়াসিনের তিলায়াত করো, এতে দশটি ফজিলত রয়েছে।  এই সূরা পাঠ করলে পেটের খোদা দূর হয়, কাপরের ব্যবস্থা হয়, যার নাকি বিবাহ হচ্ছে না, সে যদি নিয়মিত এই সূরা পাঠ করে তাহলে অতি তারাতাড়ি তার বিবাহের ব্যবস্থা হয়ে যাবে। ভয় এবং বিপদগ্রস্ত লোক যদি এই সূরা পাঠ করে তাহলে তার ভয় এবং বিপদ আল্লাহ তায়ালা দূর করে দিবে। এই সূরা পাঠ করলে হারিয়ে ফেলা জিনিস ফিরত পাবে, তাছাড়া মুমূর্ষু ব্যক্তির কাছে বসে এই সূরা পাঠ করলে আল্লাহ পাক অতি শীগ্রই থাকে সুস্থতার নিয়ামত দান করবেন ইত্যাদি।    জুমার দিন সূরা কাহাফ পড়ার ফজিলত  শুক্রবার মুসলমানদের জন্য সাপ্তাহিক ঈদের দিন, অন্যান্য দিনের তুলনায় এই দিনের গুরুত্ব একটু বেশি। কেননা এই দিনেই আল্লাহপাক হযরত আদম আলাইহিস সালাম কে সৃষ্টি করেছিলেন, এই দিনেই হযরত আদম আলাইহিস সালাম কে জান্নাতে প্রবেশ করিয়েছিলেন, আবার এই দিনেই হযরত আদম আলাইহিস সালাম কে জান্নাত থেকে বাহির করেছিলেন, সুতরাং এই দিনটি অন্যান্য দিনের মত নয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যেই দিন গুলোর মধ্যে সূর্য উদিত হয় এরমধ্যে জুমার দিনই উত্তম। জুমার দিনের অনেক ফজিলত রয়েছে, এরমধ্যে হতে জুমআ'র দিন সুরা কাহাফ পাঠ করার বিশেষ কিছু ফজিলত রয়েছে, এর মধ্য হতে কিছু আপনাদের সামনে বর্ণনা করতেছি।  রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম বলেন, তোমাদের মধ্যে কেউ যদি জুমআ'র দিন সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করে তাহলে তার পিছনের জুমা থেকে এই পর্যন্ত নূর হয়ে যায়, এবং পিছনের জুমআ থেকে এই জুমআ পর্যন্ত তার সমস্ত ছগীরা গুনাহ গুলো মাফ হয়ে যায়। আরো বর্ণিত আছে, রাসূল সাঃ বলেছেন তোমাদের কেউ যদি জুমআ'র দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করে, তাহলে আসমান এবং জমিনের মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থানকে নেকি দ্বারা ভরপুর করে দেওয়া হয়। তাছাড়া কেউ যদি নিয়মিত জুমার দিন সূরা কাহাফ পাঠ করে তাহলে সে দাজ্জালের ফেতনা হতে মুক্তি পাবে। হযরত আবু দারদা রাযীঃ থেকে বর্ণিত নিশ্চয়ই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন কেউ যদি সূরা কাহাফের প্রথম 10 আয়াত মুখস্ত করে তাহলে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে মুক্তি পাবে। তোমাদের কেউ যদি দাজ্জালের সামনে পড়ে তাহলে সে যেন এই 10 টি আয়াত তেলাওয়াত করে।   আসরের পর সূরা নাবা পড়ার ফজিলত  হযরত আবী বিন কা,আব রাযীঃ হতে বর্ণিত, রাসূল সাঃ বলেছেন, যে ব্যক্তি নিয়মিত সূরা নাবা তিলাওয়াত করবে কাল হাসরের ময়দানে অর্থাৎ যেই সময় মানুষ অসহায় হয়ে পরবে, এক গ্লাস পানির জন্য তাঁর জীবনের সমস্ত নেক আমল পর্যন্ত দিয়ে দিতে চাইবে, ঠিক সেই সময় আল্লাহ পাক থাকে হাউজে কাউসারের পানি পান করাবে, সুবহানাল্লাহ। কেউ যদি নিয়মিত সূরা নাবা তিলাওয়াত করে, তাহলে আল্লাহ তায়ালা থাকে সমস্ত রুগ ব্যধী হতে হেফাজত করবে। তাছাড়া যাদের চোখে সমস্যা, তারা যদি সূরা নাবা তিলাওয়াত করে চোখে ফুক দেয়, তাহলে সে তার রুগ থেকে আরোগ্য পাবে ইনশাআল্লাহ।   মাগরিবের পর সূরা ওয়াকিয়াহ পড়ার ফজিলত  হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযীঃ বর্ণনা করেন, অবশ্যই রাসূল সাঃ বলেছেন যেই ব্যক্তি নিয়মিত মাগরিবের পর সূরা ওয়াকিয়াহ তিলাওয়াত করবে, থাকে কখনো দরিদ্রতা ধরতে পারবেনা। অর্থাৎ তার কখনো রিজিকের অভাব অনটন হবে না, হযরত আব্বাস রাযীঃ সবসময়ই তার মেয়েদেরকে সূরা ওয়াকিয়াহ পাঠ করার জন্য আদেশ করতেন। সূরা ওয়াকিয়াহ পাঠ কারী ব্যক্তিকে কেয়ামতের দিন জান্নাতের অধিবাসী হিসেবে ডাকা হবে, সুবহানাল্লাহি ওয়াবি হামদিহি। সূরা ওয়াকিয়াহ হচ্ছে ধনাট্যতার সূরা, তাছাড়া তুমরা নারীদেরকে এই সূরা পড়তে আদেশ করো, কেননা হযরত আম্মাজান আয়শা রাযীঃ কে এই সূরা পড়ার জন্য আদেশ করা হয়ে ছিলো।   মাসউদ রাযীঃ যখন তার সন্তানদের জন্য কোনো সম্পদ রাখে নাই, তখন মানুষ থাকে তিরস্কার দিলে, হযরত মাসউদ রাযীঃ বলেন কেন? আমি কি তাদেরকে সূরা ওয়াকিয়ার আমল শিক্ষা দেইনি??? সুবহানাল্লাহ। আব্বাস রাযীঃ এটাই বুঝাতে চেয়েছেন যে, আমার সন্তানেরা যদি সূরা ওয়াকিয়াহ এর আমল করে তাহলে তাদের রিজিকের অভাব হবেনা। তাই আসুন আমরা সকলেই বেশি বেশি সূরা ওয়াকিয়াহ তিলাওয়াত করি।   এশারের পর সূরা মূলক পড়ার ফজিলত  হযরত উসমান রাযীঃ যখনই কোনো কবরের পাশ দিয়ে যেতেন, তখনই হাউমাউ করে কেঁদে ফেলতেন, তখন লোকজনেরা থাকে বলত, আপনি কবরের পাশ দিয়ে গেলে এত কান্নাকাটি করেন কেন? তখন তিনি বলতেন রাসূল সাঃ বলেছেন, দোযখের প্রথম ঘাটি হচ্ছে কবর, কবরের মধ্যে যার হিসাব সহজ হয়ে যাবে সব কিছুর ক্ষেত্রেই তার হিসাব সহজ হয়ে যাবে। যে ব্যক্তি নিয়মিত ঘুমানোর পূর্বেই সূরা মূলক এর তিলাওত করবে, আল্লাহ পাক থাকে কবরের আজাব থেকে মুক্তি দান করবেন। আবার অন্য আরেকটি হাদিসে বর্ননা করা হয়েছে, এই সূরা পাঠকারী ব্যক্তির আমল নামায়, অন্যান্য সূরা থেকে সত্তরটি নেকি বেশি দেওয়া হবে, সত্তরটি গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। তিরমিজি ২৮৯২  বর্ণিত আছে, মুহাম্মদ সাঃ কখনো রাতে সূরা মূলক না পড়ে ঘুমাইতেন না। মাসউদ রাযীঃ বলেন কবরে থাকা ব্যক্তিকে শাস্তি দেওয়ার জন্য দুইজন ফেরেস্তা আসবে, তারা পা দিয়ে প্রবেশ করতে চাইলে তারা ফেরেস্তাদেরকে বাধা দিবে, এবং বলবে আমার কাছ দিয়ে প্রবেশ করা যাবেনা, কেননা এই ব্যক্তি নিয়মিত সূরা মূলকের আমল করতো, এমনি ভাবে আজাবের ফেরেস্তারা প্রত্যেক অংগ দিয়ে শরীরে ডুকার চেষ্টা করবে। কিন্তু কোনো অংগ দিয়েই শরীরে প্রবেশ করতে পারবেনা, প্রত্যেক অংগ একি কথা বলবে, আমার কাছ দিয়ে প্রবেশ করা যাবেনা, কেননা এই ব্যক্তি সূরা মূলকের আমল করতে। এভাবেই সূরা মূলক আপনাকে কবরের আজাব হতে রক্ষা করবে, এই জন্য এই সূরাকে মানেয়া তথা বাধা প্রদানকারী সূরা বলা হয়, কেননা এই সূরা আজাবের ফেরেস্তাদেরকে বাধা দিবে।   পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর আমল ও ফজিলতপূর্ন দোয়া সমূহ   পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পরেই আমরা তাসবীহে ফাতেমি পড়ার চেষ্টা করবো, যেই আমলটা রাসূল সাঃ হযরত ফাতেমা কে দিয়েছিলেন। এবং আস্তাগফিরুল্লাহ তথা তওবা করবো, কেননা রাসূল সাঃ প্রতিদিন একশবার তওবা করতেন। মাগরিবের নামাজের পর আল্লাহুম্মা আজিরনা মিনান্নার এই দূয়াটি সাতবার পড়বেন, এই দূয়া পড়ে যদি কেউ রাত্রে মৃত্যুবরন করে তাহলে থাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দেওয়া হবে, সুবহানাল্লাহি ওয়াবি হামদিহি।  কেউ যদি সুবহানাল্লাহি ওয়াবি হামদিহি এই দুয়াটা সকালে একশবার ও বিকালে একশ বার পড়ে, আল্লাহর রাসূল বলে কেয়ামতের ময়দানে এই ব্যক্তির চেয়ে বেশি আমল আর কারো হতে পারে না। তাছাড়া একবার সুবহানাল্লাহ বল্লে ঐ ব্যক্তির আমল নামায় এতো বেশি নেকি দেওয়া যা আসমান ও জমিনের ফাঁকা স্থানকে পূরন করে দেয়। যে ব্যক্তি তিনবার সূরা ইখলাস পাঠ করবে, তার আমল নামায় এক খতম কুরআনুল কারীমের সওয়াব দেওয়া হবে। আমরা সকলেই প্রতিদিন সকাল বিকাল তাসবীহ গুলো পাঠ করার চেষ্টা করবো, কেননা এতে অনে

আজকে আমি বর্ননা করবো, প্রতিদিনের আমল ও দোয়া সমূহ, এবং প্রত্যেকটির ফজিলত। সুতরাং উক্ত আমলগুলো আপনার দৈনন্দিন জীবনে বাস্তবায়ন করে অশেষ সওয়াবের অংশীদার হন। প্রথমেই আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর আমল অর্থাৎ যেই সূরা গুলো পড়া হয়, সেগুলোর ফজিলত বর্ননা করবো। তারপরে দৈনিক ছোট ছোট আমল ও দোয়া সমূহ বর্ননা করবো।


ফজরের পর সূরা ইয়াসিন পড়ার ফজিলত

রাসূল সাঃ বলেন, প্রত্যেক মানুষেরই একটা অন্তর অর্থাৎ রিদয় থাকে, তেমনি ভাবে কুরআন শরীফেরও একটা রিদয় আছে সেটা হচ্ছে সূরা ইয়াসিন। যদি কোনো ব্যক্তি তার মনের ইচ্ছা নিয়ে সূরা ইয়াসিন তিলাওয়াত করে, তাহলে আল্লাহ পাক তার মনের ইচ্ছা পূরন করে দেয়। রাসূল সাঃ বলেন, কেউ যদি একবার সূরা ইয়াসিন তিলাওয়াত করে তাহলে তার আমল নামায় দশ খতম কুরআন খতমের সওয়ার লিখা হয়, সুবহানাল্লাহ।

হযরত আলী রাযিঃ বর্ননা করেন, রাসূল সাঃ বলেছেন তুমরা নিয়মিত সূরা ইয়াসিনের তিলায়াত করো, এতে দশটি ফজিলত রয়েছে।  এই সূরা পাঠ করলে পেটের খোদা দূর হয়, কাপরের ব্যবস্থা হয়, যার নাকি বিবাহ হচ্ছে না, সে যদি নিয়মিত এই সূরা পাঠ করে তাহলে অতি তারাতাড়ি তার বিবাহের ব্যবস্থা হয়ে যাবে। ভয় এবং বিপদগ্রস্ত লোক যদি এই সূরা পাঠ করে তাহলে তার ভয় এবং বিপদ আল্লাহ তায়ালা দূর করে দিবে। এই সূরা পাঠ করলে হারিয়ে ফেলা জিনিস ফিরত পাবে, তাছাড়া মুমূর্ষু ব্যক্তির কাছে বসে এই সূরা পাঠ করলে আল্লাহ পাক অতি শীগ্রই থাকে সুস্থতার নিয়ামত দান করবেন ইত্যাদি।

প্রতিদিনের ফজিলতপূর্ন আমল ও দোয়া সমূহ | পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর আমল  আজকে আমি বর্ননা করবো, প্রতিদিনের আমল ও দোয়া সমূহ, এবং প্রত্যেকটির ফজিলত। সুতরাং উক্ত আমলগুলো আপনার দৈনন্দিন জীবনে বাস্তবায়ন করে অশেষ সওয়াবের অংশীদার হন। প্রথমেই আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর আমল অর্থাৎ যেই সূরা গুলো পড়া হয়, সেগুলোর ফজিলত বর্ননা করবো। তারপরে দৈনিক ছোট ছোট আমল ও দোয়া সমূহ বর্ননা করবো।   ফজরের পর সূরা ইয়াসিন পড়ার ফজিলত  রাসূল সাঃ বলেন, প্রত্যেক মানুষেরই একটা অন্তর অর্থাৎ রিদয় থাকে, তেমনি ভাবে কুরআন শরীফেরও একটা রিদয় আছে সেটা হচ্ছে সূরা ইয়াসিন। যদি কোনো ব্যক্তি তার মনের ইচ্ছা নিয়ে সূরা ইয়াসিন তিলাওয়াত করে, তাহলে আল্লাহ পাক তার মনের ইচ্ছা পূরন করে দেয়। রাসূল সাঃ বলেন, কেউ যদি একবার সূরা ইয়াসিন তিলাওয়াত করে তাহলে তার আমল নামায় দশ খতম কুরআন খতমের সওয়ার লিখা হয়, সুবহানাল্লাহ।  হযরত আলী রাযিঃ বর্ননা করেন, রাসূল সাঃ বলেছেন তুমরা নিয়মিত সূরা ইয়াসিনের তিলায়াত করো, এতে দশটি ফজিলত রয়েছে।  এই সূরা পাঠ করলে পেটের খোদা দূর হয়, কাপরের ব্যবস্থা হয়, যার নাকি বিবাহ হচ্ছে না, সে যদি নিয়মিত এই সূরা পাঠ করে তাহলে অতি তারাতাড়ি তার বিবাহের ব্যবস্থা হয়ে যাবে। ভয় এবং বিপদগ্রস্ত লোক যদি এই সূরা পাঠ করে তাহলে তার ভয় এবং বিপদ আল্লাহ তায়ালা দূর করে দিবে। এই সূরা পাঠ করলে হারিয়ে ফেলা জিনিস ফিরত পাবে, তাছাড়া মুমূর্ষু ব্যক্তির কাছে বসে এই সূরা পাঠ করলে আল্লাহ পাক অতি শীগ্রই থাকে সুস্থতার নিয়ামত দান করবেন ইত্যাদি।    জুমার দিন সূরা কাহাফ পড়ার ফজিলত  শুক্রবার মুসলমানদের জন্য সাপ্তাহিক ঈদের দিন, অন্যান্য দিনের তুলনায় এই দিনের গুরুত্ব একটু বেশি। কেননা এই দিনেই আল্লাহপাক হযরত আদম আলাইহিস সালাম কে সৃষ্টি করেছিলেন, এই দিনেই হযরত আদম আলাইহিস সালাম কে জান্নাতে প্রবেশ করিয়েছিলেন, আবার এই দিনেই হযরত আদম আলাইহিস সালাম কে জান্নাত থেকে বাহির করেছিলেন, সুতরাং এই দিনটি অন্যান্য দিনের মত নয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যেই দিন গুলোর মধ্যে সূর্য উদিত হয় এরমধ্যে জুমার দিনই উত্তম। জুমার দিনের অনেক ফজিলত রয়েছে, এরমধ্যে হতে জুমআ'র দিন সুরা কাহাফ পাঠ করার বিশেষ কিছু ফজিলত রয়েছে, এর মধ্য হতে কিছু আপনাদের সামনে বর্ণনা করতেছি।  রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম বলেন, তোমাদের মধ্যে কেউ যদি জুমআ'র দিন সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করে তাহলে তার পিছনের জুমা থেকে এই পর্যন্ত নূর হয়ে যায়, এবং পিছনের জুমআ থেকে এই জুমআ পর্যন্ত তার সমস্ত ছগীরা গুনাহ গুলো মাফ হয়ে যায়। আরো বর্ণিত আছে, রাসূল সাঃ বলেছেন তোমাদের কেউ যদি জুমআ'র দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করে, তাহলে আসমান এবং জমিনের মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থানকে নেকি দ্বারা ভরপুর করে দেওয়া হয়। তাছাড়া কেউ যদি নিয়মিত জুমার দিন সূরা কাহাফ পাঠ করে তাহলে সে দাজ্জালের ফেতনা হতে মুক্তি পাবে। হযরত আবু দারদা রাযীঃ থেকে বর্ণিত নিশ্চয়ই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন কেউ যদি সূরা কাহাফের প্রথম 10 আয়াত মুখস্ত করে তাহলে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে মুক্তি পাবে। তোমাদের কেউ যদি দাজ্জালের সামনে পড়ে তাহলে সে যেন এই 10 টি আয়াত তেলাওয়াত করে।   আসরের পর সূরা নাবা পড়ার ফজিলত  হযরত আবী বিন কা,আব রাযীঃ হতে বর্ণিত, রাসূল সাঃ বলেছেন, যে ব্যক্তি নিয়মিত সূরা নাবা তিলাওয়াত করবে কাল হাসরের ময়দানে অর্থাৎ যেই সময় মানুষ অসহায় হয়ে পরবে, এক গ্লাস পানির জন্য তাঁর জীবনের সমস্ত নেক আমল পর্যন্ত দিয়ে দিতে চাইবে, ঠিক সেই সময় আল্লাহ পাক থাকে হাউজে কাউসারের পানি পান করাবে, সুবহানাল্লাহ। কেউ যদি নিয়মিত সূরা নাবা তিলাওয়াত করে, তাহলে আল্লাহ তায়ালা থাকে সমস্ত রুগ ব্যধী হতে হেফাজত করবে। তাছাড়া যাদের চোখে সমস্যা, তারা যদি সূরা নাবা তিলাওয়াত করে চোখে ফুক দেয়, তাহলে সে তার রুগ থেকে আরোগ্য পাবে ইনশাআল্লাহ।   মাগরিবের পর সূরা ওয়াকিয়াহ পড়ার ফজিলত  হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযীঃ বর্ণনা করেন, অবশ্যই রাসূল সাঃ বলেছেন যেই ব্যক্তি নিয়মিত মাগরিবের পর সূরা ওয়াকিয়াহ তিলাওয়াত করবে, থাকে কখনো দরিদ্রতা ধরতে পারবেনা। অর্থাৎ তার কখনো রিজিকের অভাব অনটন হবে না, হযরত আব্বাস রাযীঃ সবসময়ই তার মেয়েদেরকে সূরা ওয়াকিয়াহ পাঠ করার জন্য আদেশ করতেন। সূরা ওয়াকিয়াহ পাঠ কারী ব্যক্তিকে কেয়ামতের দিন জান্নাতের অধিবাসী হিসেবে ডাকা হবে, সুবহানাল্লাহি ওয়াবি হামদিহি। সূরা ওয়াকিয়াহ হচ্ছে ধনাট্যতার সূরা, তাছাড়া তুমরা নারীদেরকে এই সূরা পড়তে আদেশ করো, কেননা হযরত আম্মাজান আয়শা রাযীঃ কে এই সূরা পড়ার জন্য আদেশ করা হয়ে ছিলো।   মাসউদ রাযীঃ যখন তার সন্তানদের জন্য কোনো সম্পদ রাখে নাই, তখন মানুষ থাকে তিরস্কার দিলে, হযরত মাসউদ রাযীঃ বলেন কেন? আমি কি তাদেরকে সূরা ওয়াকিয়ার আমল শিক্ষা দেইনি??? সুবহানাল্লাহ। আব্বাস রাযীঃ এটাই বুঝাতে চেয়েছেন যে, আমার সন্তানেরা যদি সূরা ওয়াকিয়াহ এর আমল করে তাহলে তাদের রিজিকের অভাব হবেনা। তাই আসুন আমরা সকলেই বেশি বেশি সূরা ওয়াকিয়াহ তিলাওয়াত করি।   এশারের পর সূরা মূলক পড়ার ফজিলত  হযরত উসমান রাযীঃ যখনই কোনো কবরের পাশ দিয়ে যেতেন, তখনই হাউমাউ করে কেঁদে ফেলতেন, তখন লোকজনেরা থাকে বলত, আপনি কবরের পাশ দিয়ে গেলে এত কান্নাকাটি করেন কেন? তখন তিনি বলতেন রাসূল সাঃ বলেছেন, দোযখের প্রথম ঘাটি হচ্ছে কবর, কবরের মধ্যে যার হিসাব সহজ হয়ে যাবে সব কিছুর ক্ষেত্রেই তার হিসাব সহজ হয়ে যাবে। যে ব্যক্তি নিয়মিত ঘুমানোর পূর্বেই সূরা মূলক এর তিলাওত করবে, আল্লাহ পাক থাকে কবরের আজাব থেকে মুক্তি দান করবেন। আবার অন্য আরেকটি হাদিসে বর্ননা করা হয়েছে, এই সূরা পাঠকারী ব্যক্তির আমল নামায়, অন্যান্য সূরা থেকে সত্তরটি নেকি বেশি দেওয়া হবে, সত্তরটি গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। তিরমিজি ২৮৯২  বর্ণিত আছে, মুহাম্মদ সাঃ কখনো রাতে সূরা মূলক না পড়ে ঘুমাইতেন না। মাসউদ রাযীঃ বলেন কবরে থাকা ব্যক্তিকে শাস্তি দেওয়ার জন্য দুইজন ফেরেস্তা আসবে, তারা পা দিয়ে প্রবেশ করতে চাইলে তারা ফেরেস্তাদেরকে বাধা দিবে, এবং বলবে আমার কাছ দিয়ে প্রবেশ করা যাবেনা, কেননা এই ব্যক্তি নিয়মিত সূরা মূলকের আমল করতো, এমনি ভাবে আজাবের ফেরেস্তারা প্রত্যেক অংগ দিয়ে শরীরে ডুকার চেষ্টা করবে। কিন্তু কোনো অংগ দিয়েই শরীরে প্রবেশ করতে পারবেনা, প্রত্যেক অংগ একি কথা বলবে, আমার কাছ দিয়ে প্রবেশ করা যাবেনা, কেননা এই ব্যক্তি সূরা মূলকের আমল করতে। এভাবেই সূরা মূলক আপনাকে কবরের আজাব হতে রক্ষা করবে, এই জন্য এই সূরাকে মানেয়া তথা বাধা প্রদানকারী সূরা বলা হয়, কেননা এই সূরা আজাবের ফেরেস্তাদেরকে বাধা দিবে।   পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর আমল ও ফজিলতপূর্ন দোয়া সমূহ   পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পরেই আমরা তাসবীহে ফাতেমি পড়ার চেষ্টা করবো, যেই আমলটা রাসূল সাঃ হযরত ফাতেমা কে দিয়েছিলেন। এবং আস্তাগফিরুল্লাহ তথা তওবা করবো, কেননা রাসূল সাঃ প্রতিদিন একশবার তওবা করতেন। মাগরিবের নামাজের পর আল্লাহুম্মা আজিরনা মিনান্নার এই দূয়াটি সাতবার পড়বেন, এই দূয়া পড়ে যদি কেউ রাত্রে মৃত্যুবরন করে তাহলে থাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দেওয়া হবে, সুবহানাল্লাহি ওয়াবি হামদিহি।  কেউ যদি সুবহানাল্লাহি ওয়াবি হামদিহি এই দুয়াটা সকালে একশবার ও বিকালে একশ বার পড়ে, আল্লাহর রাসূল বলে কেয়ামতের ময়দানে এই ব্যক্তির চেয়ে বেশি আমল আর কারো হতে পারে না। তাছাড়া একবার সুবহানাল্লাহ বল্লে ঐ ব্যক্তির আমল নামায় এতো বেশি নেকি দেওয়া যা আসমান ও জমিনের ফাঁকা স্থানকে পূরন করে দেয়। যে ব্যক্তি তিনবার সূরা ইখলাস পাঠ করবে, তার আমল নামায় এক খতম কুরআনুল কারীমের সওয়াব দেওয়া হবে। আমরা সকলেই প্রতিদিন সকাল বিকাল তাসবীহ গুলো পাঠ করার চেষ্টা করবো, কেননা এতে অনে

জুমার দিন সূরা কাহাফ পড়ার ফজিলত

শুক্রবার মুসলমানদের জন্য সাপ্তাহিক ঈদের দিন, অন্যান্য দিনের তুলনায় এই দিনের গুরুত্ব একটু বেশি। কেননা এই দিনেই আল্লাহপাক হযরত আদম আলাইহিস সালাম কে সৃষ্টি করেছিলেন, এই দিনেই হযরত আদম আলাইহিস সালাম কে জান্নাতে প্রবেশ করিয়েছিলেন, আবার এই দিনেই হযরত আদম আলাইহিস সালাম কে জান্নাত থেকে বাহির করেছিলেন, সুতরাং এই দিনটি অন্যান্য দিনের মত নয়।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যেই দিন গুলোর মধ্যে সূর্য উদিত হয় এরমধ্যে জুমার দিনই উত্তম। জুমার দিনের অনেক ফজিলত রয়েছে, এরমধ্যে হতে জুমআ'র দিন সুরা কাহাফ পাঠ করার বিশেষ কিছু ফজিলত রয়েছে, এর মধ্য হতে কিছু আপনাদের সামনে বর্ণনা করতেছি।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম বলেন, তোমাদের মধ্যে কেউ যদি জুমআ'র দিন সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করে তাহলে তার পিছনের জুমা থেকে এই পর্যন্ত নূর হয়ে যায়, এবং পিছনের জুমআ থেকে এই জুমআ পর্যন্ত তার সমস্ত ছগীরা গুনাহ গুলো মাফ হয়ে যায়। আরো বর্ণিত আছে, রাসূল সাঃ বলেছেন তোমাদের কেউ যদি জুমআ'র দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করে, তাহলে আসমান এবং জমিনের মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থানকে নেকি দ্বারা ভরপুর করে দেওয়া হয়।

তাছাড়া কেউ যদি নিয়মিত জুমার দিন সূরা কাহাফ পাঠ করে তাহলে সে দাজ্জালের ফেতনা হতে মুক্তি পাবে। হযরত আবু দারদা রাযীঃ থেকে বর্ণিত নিশ্চয়ই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন কেউ যদি সূরা কাহাফের প্রথম 10 আয়াত মুখস্ত করে তাহলে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে মুক্তি পাবে। তোমাদের কেউ যদি দাজ্জালের সামনে পড়ে তাহলে সে যেন এই 10 টি আয়াত তেলাওয়াত করে।


আসরের পর সূরা নাবা পড়ার ফজিলত

হযরত আবী বিন কা,আব রাযীঃ হতে বর্ণিত, রাসূল সাঃ বলেছেন, যে ব্যক্তি নিয়মিত সূরা নাবা তিলাওয়াত করবে কাল হাসরের ময়দানে অর্থাৎ যেই সময় মানুষ অসহায় হয়ে পরবে, এক গ্লাস পানির জন্য তাঁর জীবনের সমস্ত নেক আমল পর্যন্ত দিয়ে দিতে চাইবে, ঠিক সেই সময় আল্লাহ পাক থাকে হাউজে কাউসারের পানি পান করাবে, সুবহানাল্লাহ। কেউ যদি নিয়মিত সূরা নাবা তিলাওয়াত করে, তাহলে আল্লাহ তায়ালা থাকে সমস্ত রুগ ব্যধী হতে হেফাজত করবে। তাছাড়া যাদের চোখে সমস্যা, তারা যদি সূরা নাবা তিলাওয়াত করে চোখে ফুক দেয়, তাহলে সে তার রুগ থেকে আরোগ্য পাবে ইনশাআল্লাহ।

প্রতিদিনের ফজিলতপূর্ন আমল ও দোয়া সমূহ | পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর আমল  আজকে আমি বর্ননা করবো, প্রতিদিনের আমল ও দোয়া সমূহ, এবং প্রত্যেকটির ফজিলত। সুতরাং উক্ত আমলগুলো আপনার দৈনন্দিন জীবনে বাস্তবায়ন করে অশেষ সওয়াবের অংশীদার হন। প্রথমেই আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর আমল অর্থাৎ যেই সূরা গুলো পড়া হয়, সেগুলোর ফজিলত বর্ননা করবো। তারপরে দৈনিক ছোট ছোট আমল ও দোয়া সমূহ বর্ননা করবো।   ফজরের পর সূরা ইয়াসিন পড়ার ফজিলত  রাসূল সাঃ বলেন, প্রত্যেক মানুষেরই একটা অন্তর অর্থাৎ রিদয় থাকে, তেমনি ভাবে কুরআন শরীফেরও একটা রিদয় আছে সেটা হচ্ছে সূরা ইয়াসিন। যদি কোনো ব্যক্তি তার মনের ইচ্ছা নিয়ে সূরা ইয়াসিন তিলাওয়াত করে, তাহলে আল্লাহ পাক তার মনের ইচ্ছা পূরন করে দেয়। রাসূল সাঃ বলেন, কেউ যদি একবার সূরা ইয়াসিন তিলাওয়াত করে তাহলে তার আমল নামায় দশ খতম কুরআন খতমের সওয়ার লিখা হয়, সুবহানাল্লাহ।  হযরত আলী রাযিঃ বর্ননা করেন, রাসূল সাঃ বলেছেন তুমরা নিয়মিত সূরা ইয়াসিনের তিলায়াত করো, এতে দশটি ফজিলত রয়েছে।  এই সূরা পাঠ করলে পেটের খোদা দূর হয়, কাপরের ব্যবস্থা হয়, যার নাকি বিবাহ হচ্ছে না, সে যদি নিয়মিত এই সূরা পাঠ করে তাহলে অতি তারাতাড়ি তার বিবাহের ব্যবস্থা হয়ে যাবে। ভয় এবং বিপদগ্রস্ত লোক যদি এই সূরা পাঠ করে তাহলে তার ভয় এবং বিপদ আল্লাহ তায়ালা দূর করে দিবে। এই সূরা পাঠ করলে হারিয়ে ফেলা জিনিস ফিরত পাবে, তাছাড়া মুমূর্ষু ব্যক্তির কাছে বসে এই সূরা পাঠ করলে আল্লাহ পাক অতি শীগ্রই থাকে সুস্থতার নিয়ামত দান করবেন ইত্যাদি।    জুমার দিন সূরা কাহাফ পড়ার ফজিলত  শুক্রবার মুসলমানদের জন্য সাপ্তাহিক ঈদের দিন, অন্যান্য দিনের তুলনায় এই দিনের গুরুত্ব একটু বেশি। কেননা এই দিনেই আল্লাহপাক হযরত আদম আলাইহিস সালাম কে সৃষ্টি করেছিলেন, এই দিনেই হযরত আদম আলাইহিস সালাম কে জান্নাতে প্রবেশ করিয়েছিলেন, আবার এই দিনেই হযরত আদম আলাইহিস সালাম কে জান্নাত থেকে বাহির করেছিলেন, সুতরাং এই দিনটি অন্যান্য দিনের মত নয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যেই দিন গুলোর মধ্যে সূর্য উদিত হয় এরমধ্যে জুমার দিনই উত্তম। জুমার দিনের অনেক ফজিলত রয়েছে, এরমধ্যে হতে জুমআ'র দিন সুরা কাহাফ পাঠ করার বিশেষ কিছু ফজিলত রয়েছে, এর মধ্য হতে কিছু আপনাদের সামনে বর্ণনা করতেছি।  রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম বলেন, তোমাদের মধ্যে কেউ যদি জুমআ'র দিন সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করে তাহলে তার পিছনের জুমা থেকে এই পর্যন্ত নূর হয়ে যায়, এবং পিছনের জুমআ থেকে এই জুমআ পর্যন্ত তার সমস্ত ছগীরা গুনাহ গুলো মাফ হয়ে যায়। আরো বর্ণিত আছে, রাসূল সাঃ বলেছেন তোমাদের কেউ যদি জুমআ'র দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করে, তাহলে আসমান এবং জমিনের মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থানকে নেকি দ্বারা ভরপুর করে দেওয়া হয়। তাছাড়া কেউ যদি নিয়মিত জুমার দিন সূরা কাহাফ পাঠ করে তাহলে সে দাজ্জালের ফেতনা হতে মুক্তি পাবে। হযরত আবু দারদা রাযীঃ থেকে বর্ণিত নিশ্চয়ই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন কেউ যদি সূরা কাহাফের প্রথম 10 আয়াত মুখস্ত করে তাহলে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে মুক্তি পাবে। তোমাদের কেউ যদি দাজ্জালের সামনে পড়ে তাহলে সে যেন এই 10 টি আয়াত তেলাওয়াত করে।   আসরের পর সূরা নাবা পড়ার ফজিলত  হযরত আবী বিন কা,আব রাযীঃ হতে বর্ণিত, রাসূল সাঃ বলেছেন, যে ব্যক্তি নিয়মিত সূরা নাবা তিলাওয়াত করবে কাল হাসরের ময়দানে অর্থাৎ যেই সময় মানুষ অসহায় হয়ে পরবে, এক গ্লাস পানির জন্য তাঁর জীবনের সমস্ত নেক আমল পর্যন্ত দিয়ে দিতে চাইবে, ঠিক সেই সময় আল্লাহ পাক থাকে হাউজে কাউসারের পানি পান করাবে, সুবহানাল্লাহ। কেউ যদি নিয়মিত সূরা নাবা তিলাওয়াত করে, তাহলে আল্লাহ তায়ালা থাকে সমস্ত রুগ ব্যধী হতে হেফাজত করবে। তাছাড়া যাদের চোখে সমস্যা, তারা যদি সূরা নাবা তিলাওয়াত করে চোখে ফুক দেয়, তাহলে সে তার রুগ থেকে আরোগ্য পাবে ইনশাআল্লাহ।   মাগরিবের পর সূরা ওয়াকিয়াহ পড়ার ফজিলত  হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযীঃ বর্ণনা করেন, অবশ্যই রাসূল সাঃ বলেছেন যেই ব্যক্তি নিয়মিত মাগরিবের পর সূরা ওয়াকিয়াহ তিলাওয়াত করবে, থাকে কখনো দরিদ্রতা ধরতে পারবেনা। অর্থাৎ তার কখনো রিজিকের অভাব অনটন হবে না, হযরত আব্বাস রাযীঃ সবসময়ই তার মেয়েদেরকে সূরা ওয়াকিয়াহ পাঠ করার জন্য আদেশ করতেন। সূরা ওয়াকিয়াহ পাঠ কারী ব্যক্তিকে কেয়ামতের দিন জান্নাতের অধিবাসী হিসেবে ডাকা হবে, সুবহানাল্লাহি ওয়াবি হামদিহি। সূরা ওয়াকিয়াহ হচ্ছে ধনাট্যতার সূরা, তাছাড়া তুমরা নারীদেরকে এই সূরা পড়তে আদেশ করো, কেননা হযরত আম্মাজান আয়শা রাযীঃ কে এই সূরা পড়ার জন্য আদেশ করা হয়ে ছিলো।   মাসউদ রাযীঃ যখন তার সন্তানদের জন্য কোনো সম্পদ রাখে নাই, তখন মানুষ থাকে তিরস্কার দিলে, হযরত মাসউদ রাযীঃ বলেন কেন? আমি কি তাদেরকে সূরা ওয়াকিয়ার আমল শিক্ষা দেইনি??? সুবহানাল্লাহ। আব্বাস রাযীঃ এটাই বুঝাতে চেয়েছেন যে, আমার সন্তানেরা যদি সূরা ওয়াকিয়াহ এর আমল করে তাহলে তাদের রিজিকের অভাব হবেনা। তাই আসুন আমরা সকলেই বেশি বেশি সূরা ওয়াকিয়াহ তিলাওয়াত করি।   এশারের পর সূরা মূলক পড়ার ফজিলত  হযরত উসমান রাযীঃ যখনই কোনো কবরের পাশ দিয়ে যেতেন, তখনই হাউমাউ করে কেঁদে ফেলতেন, তখন লোকজনেরা থাকে বলত, আপনি কবরের পাশ দিয়ে গেলে এত কান্নাকাটি করেন কেন? তখন তিনি বলতেন রাসূল সাঃ বলেছেন, দোযখের প্রথম ঘাটি হচ্ছে কবর, কবরের মধ্যে যার হিসাব সহজ হয়ে যাবে সব কিছুর ক্ষেত্রেই তার হিসাব সহজ হয়ে যাবে। যে ব্যক্তি নিয়মিত ঘুমানোর পূর্বেই সূরা মূলক এর তিলাওত করবে, আল্লাহ পাক থাকে কবরের আজাব থেকে মুক্তি দান করবেন। আবার অন্য আরেকটি হাদিসে বর্ননা করা হয়েছে, এই সূরা পাঠকারী ব্যক্তির আমল নামায়, অন্যান্য সূরা থেকে সত্তরটি নেকি বেশি দেওয়া হবে, সত্তরটি গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। তিরমিজি ২৮৯২  বর্ণিত আছে, মুহাম্মদ সাঃ কখনো রাতে সূরা মূলক না পড়ে ঘুমাইতেন না। মাসউদ রাযীঃ বলেন কবরে থাকা ব্যক্তিকে শাস্তি দেওয়ার জন্য দুইজন ফেরেস্তা আসবে, তারা পা দিয়ে প্রবেশ করতে চাইলে তারা ফেরেস্তাদেরকে বাধা দিবে, এবং বলবে আমার কাছ দিয়ে প্রবেশ করা যাবেনা, কেননা এই ব্যক্তি নিয়মিত সূরা মূলকের আমল করতো, এমনি ভাবে আজাবের ফেরেস্তারা প্রত্যেক অংগ দিয়ে শরীরে ডুকার চেষ্টা করবে। কিন্তু কোনো অংগ দিয়েই শরীরে প্রবেশ করতে পারবেনা, প্রত্যেক অংগ একি কথা বলবে, আমার কাছ দিয়ে প্রবেশ করা যাবেনা, কেননা এই ব্যক্তি সূরা মূলকের আমল করতে। এভাবেই সূরা মূলক আপনাকে কবরের আজাব হতে রক্ষা করবে, এই জন্য এই সূরাকে মানেয়া তথা বাধা প্রদানকারী সূরা বলা হয়, কেননা এই সূরা আজাবের ফেরেস্তাদেরকে বাধা দিবে।   পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর আমল ও ফজিলতপূর্ন দোয়া সমূহ   পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পরেই আমরা তাসবীহে ফাতেমি পড়ার চেষ্টা করবো, যেই আমলটা রাসূল সাঃ হযরত ফাতেমা কে দিয়েছিলেন। এবং আস্তাগফিরুল্লাহ তথা তওবা করবো, কেননা রাসূল সাঃ প্রতিদিন একশবার তওবা করতেন। মাগরিবের নামাজের পর আল্লাহুম্মা আজিরনা মিনান্নার এই দূয়াটি সাতবার পড়বেন, এই দূয়া পড়ে যদি কেউ রাত্রে মৃত্যুবরন করে তাহলে থাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দেওয়া হবে, সুবহানাল্লাহি ওয়াবি হামদিহি।  কেউ যদি সুবহানাল্লাহি ওয়াবি হামদিহি এই দুয়াটা সকালে একশবার ও বিকালে একশ বার পড়ে, আল্লাহর রাসূল বলে কেয়ামতের ময়দানে এই ব্যক্তির চেয়ে বেশি আমল আর কারো হতে পারে না। তাছাড়া একবার সুবহানাল্লাহ বল্লে ঐ ব্যক্তির আমল নামায় এতো বেশি নেকি দেওয়া যা আসমান ও জমিনের ফাঁকা স্থানকে পূরন করে দেয়। যে ব্যক্তি তিনবার সূরা ইখলাস পাঠ করবে, তার আমল নামায় এক খতম কুরআনুল কারীমের সওয়াব দেওয়া হবে। আমরা সকলেই প্রতিদিন সকাল বিকাল তাসবীহ গুলো পাঠ করার চেষ্টা করবো, কেননা এতে অনে


মাগরিবের পর সূরা ওয়াকিয়াহ পড়ার ফজিলত

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযীঃ বর্ণনা করেন, অবশ্যই রাসূল সাঃ বলেছেন যেই ব্যক্তি নিয়মিত মাগরিবের পর সূরা ওয়াকিয়াহ তিলাওয়াত করবে, থাকে কখনো দরিদ্রতা ধরতে পারবেনা। অর্থাৎ তার কখনো রিজিকের অভাব অনটন হবে না, হযরত আব্বাস রাযীঃ সবসময়ই তার মেয়েদেরকে সূরা ওয়াকিয়াহ পাঠ করার জন্য আদেশ করতেন।

সূরা ওয়াকিয়াহ পাঠ কারী ব্যক্তিকে কেয়ামতের দিন জান্নাতের অধিবাসী হিসেবে ডাকা হবে, সুবহানাল্লাহি ওয়াবি হামদিহি। সূরা ওয়াকিয়াহ হচ্ছে ধনাট্যতার সূরা, তাছাড়া তুমরা নারীদেরকে এই সূরা পড়তে আদেশ করো, কেননা হযরত আম্মাজান আয়শা রাযীঃ কে এই সূরা পড়ার জন্য আদেশ করা হয়ে ছিলো। 

মাসউদ রাযীঃ যখন তার সন্তানদের জন্য কোনো সম্পদ রাখে নাই, তখন মানুষ থাকে তিরস্কার দিলে, হযরত মাসউদ রাযীঃ বলেন কেন? আমি কি তাদেরকে সূরা ওয়াকিয়ার আমল শিক্ষা দেইনি??? সুবহানাল্লাহ। আব্বাস রাযীঃ এটাই বুঝাতে চেয়েছেন যে, আমার সন্তানেরা যদি সূরা ওয়াকিয়াহ এর আমল করে তাহলে তাদের রিজিকের অভাব হবেনা। তাই আসুন আমরা সকলেই বেশি বেশি সূরা ওয়াকিয়াহ তিলাওয়াত করি।


এশারের পর সূরা মূলক পড়ার ফজিলত

হযরত উসমান রাযীঃ যখনই কোনো কবরের পাশ দিয়ে যেতেন, তখনই হাউমাউ করে কেঁদে ফেলতেন, তখন লোকজনেরা থাকে বলত, আপনি কবরের পাশ দিয়ে গেলে এত কান্নাকাটি করেন কেন? তখন তিনি বলতেন রাসূল সাঃ বলেছেন, দোযখের প্রথম ঘাটি হচ্ছে কবর, কবরের মধ্যে যার হিসাব সহজ হয়ে যাবে সব কিছুর ক্ষেত্রেই তার হিসাব সহজ হয়ে যাবে।

যে ব্যক্তি নিয়মিত ঘুমানোর পূর্বেই সূরা মূলক এর তিলাওত করবে, আল্লাহ পাক থাকে কবরের আজাব থেকে মুক্তি দান করবেন। আবার অন্য আরেকটি হাদিসে বর্ননা করা হয়েছে, এই সূরা পাঠকারী ব্যক্তির আমল নামায়, অন্যান্য সূরা থেকে সত্তরটি নেকি বেশি দেওয়া হবে, সত্তরটি গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। তিরমিজি ২৮৯২

বর্ণিত আছে, মুহাম্মদ সাঃ কখনো রাতে সূরা মূলক না পড়ে ঘুমাইতেন না। মাসউদ রাযীঃ বলেন কবরে থাকা ব্যক্তিকে শাস্তি দেওয়ার জন্য দুইজন ফেরেস্তা আসবে, তারা পা দিয়ে প্রবেশ করতে চাইলে তারা ফেরেস্তাদেরকে বাধা দিবে, এবং বলবে আমার কাছ দিয়ে প্রবেশ করা যাবেনা, কেননা এই ব্যক্তি নিয়মিত সূরা মূলকের আমল করতো, এমনি ভাবে আজাবের ফেরেস্তারা প্রত্যেক অংগ দিয়ে শরীরে ডুকার চেষ্টা করবে।

কিন্তু কোনো অংগ দিয়েই শরীরে প্রবেশ করতে পারবেনা, প্রত্যেক অংগ একি কথা বলবে, আমার কাছ দিয়ে প্রবেশ করা যাবেনা, কেননা এই ব্যক্তি সূরা মূলকের আমল করতে। এভাবেই সূরা মূলক আপনাকে কবরের আজাব হতে রক্ষা করবে, এই জন্য এই সূরাকে মানেয়া তথা বাধা প্রদানকারী সূরা বলা হয়, কেননা এই সূরা আজাবের ফেরেস্তাদেরকে বাধা দিবে।


পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর আমল ও ফজিলতপূর্ন দোয়া সমূহ 

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পরেই আমরা তাসবীহে ফাতেমি পড়ার চেষ্টা করবো, যেই আমলটা রাসূল সাঃ হযরত ফাতেমা কে দিয়েছিলেন। এবং আস্তাগফিরুল্লাহ তথা তওবা করবো, কেননা রাসূল সাঃ প্রতিদিন একশবার তওবা করতেন। মাগরিবের নামাজের পর আল্লাহুম্মা আজিরনা মিনান্নার এই দূয়াটি সাতবার পড়বেন, এই দূয়া পড়ে যদি কেউ রাত্রে মৃত্যুবরন করে তাহলে থাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দেওয়া হবে, সুবহানাল্লাহি ওয়াবি হামদিহি।

কেউ যদি সুবহানাল্লাহি ওয়াবি হামদিহি এই দুয়াটা সকালে একশবার ও বিকালে একশ বার পড়ে, আল্লাহর রাসূল বলে কেয়ামতের ময়দানে এই ব্যক্তির চেয়ে বেশি আমল আর কারো হতে পারে না। তাছাড়া একবার সুবহানাল্লাহ বল্লে ঐ ব্যক্তির আমল নামায় এতো বেশি নেকি দেওয়া যা আসমান ও জমিনের ফাঁকা স্থানকে পূরন করে দেয়। যে ব্যক্তি তিনবার সূরা ইখলাস পাঠ করবে, তার আমল নামায় এক খতম কুরআনুল কারীমের সওয়াব দেওয়া হবে। আমরা সকলেই প্রতিদিন সকাল বিকাল তাসবীহ গুলো পাঠ করার চেষ্টা করবো, কেননা এতে অনেক নেকি রয়েছে।

Previous Post Next Post

نموذج الاتصال