মাদ্রাসা শিক্ষা বনাম জেনারেল শিক্ষা | মহিলা মাদ্রাসার গুরুত্ব ও বৈশিষ্ট্য

মাদ্রাসা শিক্ষা বনাম জেনারেল শিক্ষা | মহিলা মাদ্রাসার গুরুত্ব ও বৈশিষ্ট্য


মাদ্রাসা শিক্ষা বনাম জেনারেল শিক্ষা | মহিলা মাদ্রাসার গুরুত্ব ও বৈশিষ্ট্য মাদ্রাসার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য  টাইটেল দেখে অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন, আজকে আমি কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। জেনারেল পড়ুয়ারা আবার রাগ কইরেন না, আজকের লেখাটা আপনাদের জন্য আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা মাদ্রাসার শিক্ষা অর্জন করতে পারেন নাই তো কি হয়েছে, আপনার সন্তানকে মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত করবেন। পরিপূর্ণ লেখাটা না পড়ে কেউ বাজে মন্তব্য করবেন না।   মাদরাসার শিক্ষা বনাম জেনারেল শিক্ষা  আমার কথা গুলো ঠান্ডা মাথায় বুঝার চেষ্টা করবেন। পৃথিবীতে সর্বপ্রথম যে নাকি মাষ্টার্স পাশ করেছে, অর্থাৎ যার আগে কেউ মাস্টার্স পাশ করেনি, তার শিক্ষক কে ছিলো??? অবশ্যই বলবেন তার শিক্ষক ছিলো ডিগ্রি পাশ করা। ডিগ্রি পাশ করা ব্যক্তির শিক্ষক ছিলো ইন্টার পাশ করা। ইন্টার পাশ করা ব্যক্তির শিক্ষক ছিলো মেট্রিক পাশ করা। এভাবে যদি আপনি নিচের দিকে আসতে থাকেন তাহলে এক পর্যায়ে দেখবেন প্রথম শ্রেণী এমনকি শিশু শ্রেনী পর্যন্ত চলে আসবেন। অর্থাৎ জেনারেল শিক্ষা, যেটা দুনিয়ায় আবিষ্কার করা হয়েছে, তাই গভীরে গেলে শুধু নিচের দিকেই চলে আসবে।  দেখেন মাদ্রাসা শিক্ষা অর্থাৎ দ্বীনি শিক্ষা, যেটার সম্মান বা মর্যাদা কখনো নিচের দিকে আসবে না। হযরত হাসান জামিল সাহেব হুজুরকে দিয়েই উদাহরণ টা দেই। হাসান জামিল সাহেব হুজুর দেওবন্দে যে উস্তাদের কাছে ইলম শিখেছেন, ওনি শিখেছেন ওনার উস্তাদের কাছ থেকে। ওনি শিখেছেন হুসাইন আহমাদ মাদানী রহঃ থেকে, ওনি শিখেছেন দেওবন্দি রহঃ এর কাছ থেকে, এভাবে উপরের দিকে যেতে যেতে হাসান জামিল সাহেব একদম রাসূলে করীম সাঃ পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ   মাদ্রাসার শিক্ষাটা জাগতিক কোনো শিক্ষা নয়, বরং এটা আমাদের পূর্ব উস্তাদ রাসূলে করীম সাঃ এর শিক্ষা।  আর মুহাম্মদ সাঃ কোন কিছু নিজের দিকে বানিয়ে বলেননি, তিনি হলেন সেই নবী যিনি ৬৩ বছরের জিন্দিগিতে একটা মিথ্যা কথাও বলেনি, সুবহানাল্লাহ। আল্লাহ পাক যাকিছু ওহির মাধ্যমে রাসূলের কাছে নাযিল করেছেন, তাই তিনি উম্মতের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন।  সুতরাং এই দ্বীনি শিক্ষা মিথ্যা বা বানোয়াট এটা কোনো বিবেকবান ব্যক্তি কল্পনাও করতে পারে না।    মাদ্রাসার শিক্ষা ও জেনারেল শিক্ষার মধ্যে পার্থক্য  রাসূলে আকরাম সাঃ এর হাদিস হচ্ছে দ্বীনি ইলেম অর্থাৎ জ্ঞান শিক্ষা করা প্রত্যেক পুরুষ ও মহিলার জন্য ফরজ। রাসূলে হাদিস অনুযায়ী মাদ্রাসার ছাত্ররা দ্বীনি ইলেম শিক্ষা করতেছে। রাসূল সাঃ আরো বলেন যে, যদি কোনো ব্যক্তি ইলেম অন্বেষন করার জন্য তার ঘর থেকে বাহির হয়, তাহলে এ ব্যক্তির পায়ের নিচে ফেরেস্তারা নূরের ডানা বিছিয়ে দেয়, গর্তের পিপিলিকা গাছগাছালি এমনকি সমুদ্রের মাছও তার জন্য দুয়া করতে থাকে। এটা কিন্তু জেনারেল পড়ুয়াদের ব্যাপারে বলে নাই।  হযরত মোহাম্মদ সাঃ আরো বলেন, তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি উত্তম যে নিজে দ্বীনি এলেম শিক্ষা করে এবং অপরকে শিক্ষা দেয়। সুতরাং যারা মাদ্রাসায় পড়ে তারা দ্বীনি এলেম শিক্ষা করতেছে এবং অন্যকে শিক্ষা দিতেছে। মাদ্রাসা অর্থাৎ দ্বীনি এলেম শিক্ষা করার পাশাপাশি মাদ্রাসার ছাত্ররা দুনিয়াবী এলেম শিক্ষা করতেছে যতটুকু প্রয়োজন দুনিয়ায় চলার জন্য। কিন্তু আফসোস স্কুল-কলেজে শুধু দুনিয়ার এলেম শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে, পরকালের কোন জ্ঞান তাদেরকে শিক্ষা দেওয়া হয় না। জেনারেল শিক্ষায় কিভাবে অযু করতে হয়, কিভাবে নামাজ পড়তে হয়, অর্থাৎ ইসলামের উপর চলতে গেলে যতটুকু জ্ঞান শিক্ষা করা প্রয়োজন, এতটুকুও তাদেরকে শিক্ষা দেওয়া হয় না।  একটু চিন্তা করে দেখেন যারা মাদ্রাসায় পড়ে তারা কিসের জন্য পড়ালেখা করে, তারা একমাত্র আল্লাহকে রাজি-খুশি করার জন্যই পড়ালেখা করে, আর দুনিয়ায় চলতে গেলে যতটুকু প্রয়োজন তারা তা শিক্ষা করে। আর যারা জেনারেল পড়ুয়া তাদের বিষয়টা চিন্তা করে, তাদেরকে তিনি কোন বিষয়াদি শিখানো হচ্ছে না, বরং তারা প্রকাশ্য ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে রয়েছ। তো আশা করি বুঝতে পেরেছেন মাদ্রাসা শিক্ষা ও জেনারেল শিক্ষার মধ্যে পার্থক্যটা।    মহিলা মাদ্রাসার গুরুত্ব ও বৈশিষ্ট্য  বর্তমান সময়ে দেখবেন ধর্ষণ খুব বেশি পরিমাণে বাড়তেছে,  ধর্ষণের শিকার এমন অধিকাংশ মেয়েই দেখবেন স্কুল কলেজে পড়ুয়া, এবং বেপরোয়া ভাবে চলা ফেরা করার কারনে। একটা মেয়ে যখন বোরকা পরে মাদ্রাসায় যায়, তখন সে মোটামুটি গুনাহ থেকে মুক্ত থাকে৷ আর একটা মেয়ে যখন বেপর্দাভাবে স্কুল অথবা কলেজে যায় তখন সে বিভিন্ন প্রকারের গুনাহের মধ্যে লিপ্ত হয়, মহিলা মাদ্রাসার মেয়েরা অন্তত এই গুনাহটা থেকে বেচে আছে।  বিয়ের পর দেখা যায় অনেক মেয়েরাই সংসার করতে পারে না তাদের সংসার ভেঙ্গে যায়, এর কারণ একটাই তারা স্বামীর কথা মানেনা। স্বামী যেভাবে চলতে বলে ওরা সেইভাবে চলে না, যার কারনেই তাদের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি হয়। অথচ আপনি মহিলা মাদরাসার দিকে লক্ষ্য করেন, মহিলা মাদ্রাসায় কিভাবে স্বামীর খেদমত করতে হবে, কিভাবে চলাফেরা করতে হবে এর সবকিছুই শিক্ষা দেওয়া হয়, ফলে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক হয় মধুর, ও তাদের দাম্পত্যময় জীবনও হয় সুখময়।  আরেকটা কথা, জেনারেল পড়ুয়া অনেক মেয়ে আছে যারা নাকি মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়েদের থেকেও ভালো হয়, সুতরাং কেউ ভুল বুঝবেন না। এবং আমি জেনারেল পড়ুয়া এমন অনেক ছেলেও দেখেছি যারা নাকি খুব শান্ত ও ভালো স্বভাবের লোক। তাই আবারও বলছি কেউ ভুল বুঝবেন না, সঠিকটা বুঝার চেষ্টা করুন।   মাদ্রাসায় পড়ানোর লাভ কি?  আপনার সন্তানকে যদি মাদ্রাসায় পড়ান, সেই ক্ষেত্রে আপনার অনেক লাভ রয়েছে। এর মধ্যে একটি লাভ হচ্ছে, আপনি যখন মৃত্যুবরণ করবেন তখন যদি আপনার জানাযা পড়ায় আপনার কোন হাফেজ অথবা আলেম ছেলে, এবং আপনার জন্য দোয়া করে। তাহলে আল্লাহর রাসূল বলে ঐ ছেলের চোখের পানি নাক পর্যন্ত আসার আগেই, আল্লাহ পাক মৃত ব্যক্তির সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেন। সুতরাং আপনি যদি এমন ভাগ্যবান হতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনার সন্তানকে দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত করুন।   কওমি মাদ্রাসার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কি?  কওমি মাদ্রাসার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে, আল্লাহর হুকুম আহকাম ও রাসূলের দেখানো পথের অনুসরণ করে দুনিয়া ও আখেরাতের সফলতা অর্জন করা।

টাইটেল দেখে অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন, আজকে আমি কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। জেনারেল পড়ুয়ারা আবার রাগ কইরেন না, আজকের লেখাটা আপনাদের জন্য আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা মাদ্রাসার শিক্ষা অর্জন করতে পারেন নাই তো কি হয়েছে, আপনার সন্তানকে মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত করবেন। পরিপূর্ণ লেখাটা না পড়ে কেউ বাজে মন্তব্য করবেন না।



মাদ্রাসা শিক্ষা বনাম জেনারেল শিক্ষা


আমার কথা গুলো ঠান্ডা মাথায় বুঝার চেষ্টা করবেন। পৃথিবীতে সর্বপ্রথম যে নাকি মাষ্টার্স পাশ করেছে, অর্থাৎ যার আগে কেউ মাস্টার্স পাশ করেনি, তার শিক্ষক কে ছিলো??? অবশ্যই বলবেন তার শিক্ষক ছিলো ডিগ্রি পাশ করা। ডিগ্রি পাশ করা ব্যক্তির শিক্ষক ছিলো ইন্টার পাশ করা। ইন্টার পাশ করা ব্যক্তির শিক্ষক ছিলো মেট্রিক পাশ করা। এভাবে যদি আপনি নিচের দিকে আসতে থাকেন তাহলে এক পর্যায়ে দেখবেন প্রথম শ্রেণী এমনকি শিশু শ্রেনী পর্যন্ত চলে আসবেন। অর্থাৎ জেনারেল শিক্ষা, যেটা দুনিয়ায় আবিষ্কার করা হয়েছে, তাই গভীরে গেলে শুধু নিচের দিকেই চলে আসবে।


দেখেন মাদ্রাসা শিক্ষা অর্থাৎ দ্বীনি শিক্ষা, যেটার সম্মান বা মর্যাদা কখনো নিচের দিকে আসবে না। হযরত হাসান জামিল সাহেব হুজুরকে দিয়েই উদাহরণ টা দেই। হাসান জামিল সাহেব হুজুর দেওবন্দে যে উস্তাদের কাছে ইলম শিখেছেন, ওনি শিখেছেন ওনার উস্তাদের কাছ থেকে। ওনি শিখেছেন হুসাইন আহমাদ মাদানী রহঃ থেকে, ওনি শিখেছেন দেওবন্দি রহঃ এর কাছ থেকে, এভাবে উপরের দিকে যেতে যেতে হাসান জামিল সাহেব একদম রাসূলে করীম সাঃ পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ 


মাদ্রাসার শিক্ষাটা জাগতিক কোনো শিক্ষা নয়, বরং এটা আমাদের পূর্ব উস্তাদ রাসূলে করীম সাঃ এর শিক্ষা। আর মুহাম্মদ সাঃ কোন কিছু নিজের দিকে বানিয়ে বলেননি, তিনি হলেন সেই নবী যিনি ৬৩ বছরের জিন্দিগিতে একটা মিথ্যা কথাও বলেনি, সুবহানাল্লাহ। আল্লাহ পাক যাকিছু ওহির মাধ্যমে রাসূলের কাছে নাযিল করেছেন, তাই তিনি উম্মতের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। সুতরাং এই দ্বীনি শিক্ষা মিথ্যা বা বানোয়াট এটা কোনো বিবেকবান ব্যক্তি কল্পনাও করতে পারে না। 



মাদ্রাসার শিক্ষা ও জেনারেল শিক্ষার মধ্যে পার্থক্য


রাসূলে আকরাম সাঃ এর হাদিস হচ্ছে দ্বীনি ইলেম অর্থাৎ জ্ঞান শিক্ষা করা প্রত্যেক পুরুষ ও মহিলার জন্য ফরজ। রাসূলে হাদিস অনুযায়ী মাদ্রাসার ছাত্ররা দ্বীনি ইলেম শিক্ষা করতেছে। রাসূল সাঃ আরো বলেন যে, যদি কোনো ব্যক্তি ইলেম অন্বেষন করার জন্য তার ঘর থেকে বাহির হয়, তাহলে এ ব্যক্তির পায়ের নিচে ফেরেস্তারা নূরের ডানা বিছিয়ে দেয়, গর্তের পিপিলিকা গাছগাছালি এমনকি সমুদ্রের মাছও তার জন্য দুয়া করতে থাকে। এটা কিন্তু জেনারেল পড়ুয়াদের ব্যাপারে বলে নাই।


হযরত মোহাম্মদ সাঃ আরো বলেন, তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি উত্তম যে নিজে দ্বীনি এলেম শিক্ষা করে এবং অপরকে শিক্ষা দেয়। সুতরাং যারা মাদ্রাসায় পড়ে তারা দ্বীনি এলেম শিক্ষা করতেছে এবং অন্যকে শিক্ষা দিতেছে। মাদ্রাসা অর্থাৎ দ্বীনি এলেম শিক্ষা করার পাশাপাশি মাদ্রাসার ছাত্ররা দুনিয়াবী এলেম শিক্ষা করতেছে যতটুকু প্রয়োজন দুনিয়ায় চলার জন্য। কিন্তু আফসোস স্কুল-কলেজে শুধু দুনিয়ার এলেম শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে, পরকালের কোন জ্ঞান তাদেরকে শিক্ষা দেওয়া হয় না। জেনারেল শিক্ষায় কিভাবে অযু করতে হয়, কিভাবে নামাজ পড়তে হয়, অর্থাৎ ইসলামের উপর চলতে গেলে যতটুকু জ্ঞান শিক্ষা করা প্রয়োজন, এতটুকুও তাদেরকে শিক্ষা দেওয়া হয় না।


একটু চিন্তা করে দেখেন যারা মাদ্রাসায় পড়ে তারা কিসের জন্য পড়ালেখা করে, তারা একমাত্র আল্লাহকে রাজি-খুশি করার জন্যই পড়ালেখা করে, আর দুনিয়ায় চলতে গেলে যতটুকু প্রয়োজন তারা তা শিক্ষা করে। আর যারা জেনারেল পড়ুয়া তাদের বিষয়টা চিন্তা করে, তাদেরকে তিনি কোন বিষয়াদি শিখানো হচ্ছে না, বরং তারা প্রকাশ্য ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে রয়েছ। তো আশা করি বুঝতে পেরেছেন মাদ্রাসা শিক্ষা ও জেনারেল শিক্ষার মধ্যে পার্থক্যটা। 



মহিলা মাদ্রাসার গুরুত্ব ও বৈশিষ্ট্য


বর্তমান সময়ে দেখবেন ধর্ষণ খুব বেশি পরিমাণে বাড়তেছে, ধর্ষণের শিকার এমন অধিকাংশ মেয়েই দেখবেন স্কুল কলেজে পড়ুয়া, এবং বেপরোয়া ভাবে চলা ফেরা করার কারনে। একটা মেয়ে যখন বোরকা পরে মাদ্রাসায় যায়, তখন সে মোটামুটি গুনাহ থেকে মুক্ত থাকে৷ আর একটা মেয়ে যখন বেপর্দাভাবে স্কুল অথবা কলেজে যায় তখন সে বিভিন্ন প্রকারের গুনাহের মধ্যে লিপ্ত হয়, মহিলা মাদ্রাসার মেয়েরা অন্তত এই গুনাহটা থেকে বেচে আছে।


বিয়ের পর দেখা যায় অনেক মেয়েরাই সংসার করতে পারে না তাদের সংসার ভেঙ্গে যায়, এর কারণ একটাই তারা স্বামীর কথা মানেনা। স্বামী যেভাবে চলতে বলে ওরা সেইভাবে চলে না, যার কারনেই তাদের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি হয়। অথচ আপনি মহিলা মাদরাসার দিকে লক্ষ্য করেন, মহিলা মাদ্রাসায় কিভাবে স্বামীর খেদমত করতে হবে, কিভাবে চলাফেরা করতে হবে এর সবকিছুই শিক্ষা দেওয়া হয়, ফলে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক হয় মধুর, ও তাদের দাম্পত্যময় জীবনও হয় সুখময়।


আরেকটা কথা, জেনারেল পড়ুয়া অনেক মেয়ে আছে যারা নাকি মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়েদের থেকেও ভালো হয়, সুতরাং কেউ ভুল বুঝবেন না। এবং আমি জেনারেল পড়ুয়া এমন অনেক ছেলেও দেখেছি যারা নাকি খুব শান্ত ও ভালো স্বভাবের লোক। তাই আবারও বলছি কেউ ভুল বুঝবেন না, সঠিকটা বুঝার চেষ্টা করুন।



মাদ্রাসায় পড়ানোর লাভ কি?


আপনার সন্তানকে যদি মাদ্রাসায় পড়ান, সেই ক্ষেত্রে আপনার অনেক লাভ রয়েছে। এর মধ্যে একটি লাভ হচ্ছে, আপনি যখন মৃত্যুবরণ করবেন তখন যদি আপনার জানাযা পড়ায় আপনার কোন হাফেজ অথবা আলেম ছেলে, এবং আপনার জন্য দোয়া করে। তাহলে আল্লাহর রাসূল বলে ঐ ছেলের চোখের পানি নাক পর্যন্ত আসার আগেই, আল্লাহ পাক মৃত ব্যক্তির সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেন। সুতরাং আপনি যদি এমন ভাগ্যবান হতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনার সন্তানকে দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত করুন।



কওমি মাদ্রাসার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কি?


কওমি মাদ্রাসার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে, আল্লাহর হুকুম আহকাম ও রাসূলের দেখানো পথের অনুসরণ করে দুনিয়া ও আখেরাতের সফলতা অর্জন করা।


Previous Post Next Post

نموذج الاتصال