কি কি কাজ করলে ঈমান চলে যায়

কি কি কাজ করলে ঈমান চলে যায়  আমাদের সমাজে এমন অনেক কাজই আমরা করে থাকি, যেগুলো করার কারণে আমাদের ঈমান চলে যাচ্ছে অথচ আমরা ঐদিকে কোন খেয়ালই করতেছি না। অজুর ভঙ্গের কিছু কারণ রয়েছে যে, ঐ সমস্ত কাজ করলে ওযু নষ্ট হয়ে যাবে, এমনিভাবে নামাজ ভঙ্গেরও কারণ রয়েছে, যেগুলো নামাজের মধ্যে করলে নামাজ নষ্ট হয়ে যায়, ঠিক তেমনি ভাবে এমন কতগুলো কাজ বা এমন কতগুলো কথা রয়েছে যেগুলো বললে বা কাজে পরিণত করলে ঈমান পর্যন্ত চলে যায়।  প্রথমত আমরা তো সকলেই কালিমা পড়ে মুসলমান হয়েছি, এবং ঈমানে মুজমাল ইমানে মুফাসসাল এ সমস্ত কালিমা গুলো আমরা পাঠ করেছি, তো ওই সমস্ত কালীমার মধ্যে যা রয়েছে এর কিছু অস্বীকার করলে অবশ্যই সে বেইমান হয়ে যাবে, যেমন আল্লাহপাক নবী রাসূলগণকে দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন, আসমান কিতাব সমূহ নাযিল করেছেন, পরকালে পুনর্জীবিত হতে হবে, তকদিরের ভালো মন্দের উপর বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে, এ সমস্ত একটা যদি কেউ অস্বীকার করে তাহলে তার ঈমান চলে যাবে।  পবিত্র কুরআনুল কারীমের যদি একটা হরফকেও অবিশ্বাস করে কিংবা মেনে নিতে না পারে তাহলে সে ঈমান থেকে বাইর হয়ে যায়, তেমনি ভাবে রাসুল সাঃ কে আল্লাহ পাক আমাদের জন্য শেষ নবী হিসেবে ও পুরো দুনিয়াবাসীর জন্য রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছেন, এবং আমাদের জন্য যা কিছু নিয়ে এসেছেন অর্থাৎ রাসুল সাঃ কর্তৃক যা কিছু করেছেন আমাদের জন্য নিয়ে এসেছেন সবগুলোকে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতে হবে, কেউ যদি রাসূল সা: এর আগত কোন বিষয় কে অস্বীকার করে তাহলে সে ঈমান থেকে বাহির হয়ে যাবে।  আল্লাহপাকের সাথে কাউকে শরিক করলে, সে শিরকি গুনাহ করলো, আর যে ব্যক্তি শিরকী গোনা করল অর্থাৎ আল্লাহ পাকের সাথে অন্য কোন বান্দা অথবা কোন বস্তুকে শরিক করলো সে কাফের হয়ে যাবে অর্থাৎ তার ঈমান চলে যাবে। যেমনি ভাবে আল্লাহপাকের সাথে কাউকে শরিক করলে ঈমান চলে যায় তেমনি ভাবে আল্লাহপাকের গুণের সাথে কাউকে শরিক করলেও তার ঈমান চলে যায়। আল্লাহ ব্যতীত কোন বুজুর্গ অথবা মৃত ব্যক্তি অথবা জীবিত ব্যক্তি কারো কাছে কোন কিছু চাওয়া, অর্থাৎ যেটা আল্লাহ পাকের কাছে চাওয়া উচিত সেই জিনিসটা কোন বান্দার কাছে চাওয়া আর এমনটি যদি কেউ করে তাহলে তার ঈমান চলে যায়।  আল্লাহর নাম ব্যতীত অন্য কোন নাম নিয়ে অর্থাৎ বিসমিল্লার পরিবর্তে অন্য কোন কিছু পরে জবাই করা, তাহলেও কিন্তু সেই ব্যক্তি ঈমান থেকে বাহির হয়ে যাবে, আল্লাহ তাআলার জন্য গুণাবলী অর্থাৎ সিফাত রয়েছে সেই সমস্ত সিফাত গুলোকে মনে প্রাণে একদম একনিষ্ঠভাবে বিশ্বাস করতে হবে, কেউ যদি আল্লাহ পাকের অসংখ্য-অগণিত সিফাত থেকে কোন একটা সিফাতকে অস্বীকার করে তাহলে তার ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে। আরেকটি হচ্ছে বিচার করার সময় কুফরি করা এটা করলেও ঈমান চলে যাবে, আল্লাহ পাক যে সমস্ত বস্তু বান্দাদের উপর হালাল করেছেন কোন ব্যক্তি যদি ওই সমস্ত হালাল বস্তুকে নিজে নিজেই হারাম মনে করে তাহলে তার ঈমান চলে যাবে।  চুরি বেবিচার জিনাহ ইত্যাদির মত অপকর্ম করলে ঈমান নষ্ট হয়ে যায়, তো অনেকেই বলতে পারেন যে চুরি করলে ঈমান নষ্ট হয়ে যায়? আবার কোন অপকর্ম করলেও ঈমান নষ্ট হয়ে যায়? এবং সে কি পুনরায় কালেমা পড়ে তার মুসলমান হতে হবে? তো এই কথার উত্তর হচ্ছে মুহাদ্দিসিনে কেরাম বলেন, কোন ব্যক্তি যখন চুরি করে তখন তার অন্তরে আল্লাহর ভয় থাকে না, আর তার অন্তরা আল্লাহর ভয় না থাকার কারণে তার ঈমান চলে যায়, কেন আসে যদি ঈমান অবস্থায় থাকতো তাহলে সে চুরির মত কাজ করতে পারত না, বিদায় ঐ ব্যক্তি যতক্ষণ চুরি করবে ততক্ষণ পর্যন্ত তার ঈমান চলে যাবে, আবার যখন ওই ব্যক্তি চুরি করা থেকে ফারেগ হয়ে যাবে অর্থাৎ চুরি করবে না, এই বলে প্রতিজ্ঞা করে তখন পুনরায় তার উপর ঈমানটা চলে আসে।  ঠিক একই ভাবে কোন ব্যক্তি যখন জিনাহ এর মত জঘন্যতম অপকর্মে লিপ্ত হয় তাহলে তার ঈমান চলে যায়, কারণ কোন ব্যক্তি ঈমান থাকা অবস্থায় গুনাহ করতে পারেনা এবং কোন ধরনের অপকর্ম করতে পারে না, তাই অপকর্ম ও জিনা করা অবস্থায় ওই ব্যক্তির উপর ঈমান থাকে না অর্থাৎ ঈমানটা চলে যায়, কিন্তু ওই ব্যক্তি যখন জিনাহ করার পর তার মনের মধ্যে অনুশোচনা সৃষ্টি হয়, এবং আল্লাহ পাকের কাছে ক্ষমা চাই তখন ঐ ব্যক্তির ঈমানটা পুনরায় চলে আসে।  আরো একটি বিষয়ের প্রতি অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে, বিশেষ করে আমরা যারা গ্রামের মধ্যে আছি তারা অনেক সময় অনেক ভাবেই শিরকের মত জঘন্যতম গুনাহ করে ফেলতেছে। যেমন কারো যদি ফসলের জমি নষ্ট হয়ে যায় কিংবা কোন ধরনের বিপদে পড়তেছে ব্যবসায় লস হচ্ছে, তখন ঐ ব্যক্তি দেখা যায় আল্লাহকে বলে যে আল্লাহ কি আমাকে ছাড়া অন্য কাউকে দেখেনা? আল্লাহ আমাকে বিপদ দেয় কেন? আরো আরো অনেক কথা বলে আল্লাহ পাকের উপর তুহমত দেয়, তো এই সমস্ত কাজ করার ফলে ঈমান চলে যায়।  অনেকে আবার খেতে চাষ করে অর্থাৎ কৃষি করে, যেমন কদু ক্ষেত বেগুন ক্ষেত পেয়ারা বাগান ইত্যাদি ধরনের কৃষিকাজ করে, তখন ওই খেতে যখন ভালো ফলন হয় তখন কৃষক খেতের মাঝখানে এক ধরনের ছিরা জুতা ও হাঁড়ি পাতিল ঝাড়ু ইত্যাদি কিছু টানিয়ে রাখে, ওই সমস্ত ছিরা জুতা হাড়ি পাতিল টাঙিয়ে রাখার উদ্দেশ্য হচ্ছে যাতে করে তার ফসলের মধ্যে নজর না লাগে, এবং তার ফসলের জমি নষ্ট না হয়। তো এই কাজটি করা আপনার জন্য উচিত হচ্ছে কিনা এটা কি একবার ভেবে দেখেছেন? আপনি হাড়ি পাতিল চিড়া জুতা এগুলোর টা নিয়ে আপনি ভাবতেছেন আপনার খেত কে আপনার ফসল কে এই ছেঁড়া জুতা আর ঝাড়ু রক্ষা করবে, কিন্তু আপনি যে আল্লাহপাকের সাথে শরিক করতেছেন শিরকের মত জঘন্যতম গুনাহ করতেছেন সে ব্যাপারে কি আপনার খেয়াল আছে?


কি কি কাজ করলে ঈমান চলে যায়

আমাদের সমাজে এমন অনেক কাজই আমরা করে থাকি, যেগুলো করার কারণে আমাদের ঈমান চলে যাচ্ছে অথচ আমরা ঐদিকে কোন খেয়ালই করতেছি না। অজুর ভঙ্গের কিছু কারণ রয়েছে যে, ঐ সমস্ত কাজ করলে ওযু নষ্ট হয়ে যাবে, এমনিভাবে নামাজ ভঙ্গেরও কারণ রয়েছে, যেগুলো নামাজের মধ্যে করলে নামাজ নষ্ট হয়ে যায়, ঠিক তেমনি ভাবে এমন কতগুলো কাজ বা এমন কতগুলো কথা রয়েছে যেগুলো বললে বা কাজে পরিণত করলে ঈমান পর্যন্ত চলে যায়।

কি কি কাজ করলে ঈমান চলে যায়

প্রথমত আমরা তো সকলেই কালিমা পড়ে মুসলমান হয়েছি, এবং ঈমানে মুজমাল ইমানে মুফাসসাল এ সমস্ত কালিমা গুলো আমরা পাঠ করেছি, তো ওই সমস্ত কালীমার মধ্যে যা রয়েছে এর কিছু অস্বীকার করলে অবশ্যই সে বেইমান হয়ে যাবে, যেমন আল্লাহপাক নবী রাসূলগণকে দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন, আসমান কিতাব সমূহ নাযিল করেছেন, পরকালে পুনর্জীবিত হতে হবে, তকদিরের ভালো মন্দের উপর বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে, এ সমস্ত একটা যদি কেউ অস্বীকার করে তাহলে তার ঈমান চলে যাবে।

পবিত্র কুরআনুল কারীমের যদি একটা হরফকেও অবিশ্বাস করে কিংবা মেনে নিতে না পারে তাহলে সে ঈমান থেকে বাইর হয়ে যায়, তেমনি ভাবে রাসুল সাঃ কে আল্লাহ পাক আমাদের জন্য শেষ নবী হিসেবে ও পুরো দুনিয়াবাসীর জন্য রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছেন, এবং আমাদের জন্য যা কিছু নিয়ে এসেছেন অর্থাৎ রাসুল সাঃ কর্তৃক যা কিছু করেছেন আমাদের জন্য নিয়ে এসেছেন সবগুলোকে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতে হবে, কেউ যদি রাসূল সা: এর আগত কোন বিষয় কে অস্বীকার করে তাহলে সে ঈমান থেকে বাহির হয়ে যাবে।

আল্লাহপাকের সাথে কাউকে শরিক করলে, সে শিরকি গুনাহ করলো, আর যে ব্যক্তি শিরকী গোনা করল অর্থাৎ আল্লাহ পাকের সাথে অন্য কোন বান্দা অথবা কোন বস্তুকে শরিক করলো সে কাফের হয়ে যাবে অর্থাৎ তার ঈমান চলে যাবে। যেমনি ভাবে আল্লাহপাকের সাথে কাউকে শরিক করলে ঈমান চলে যায় তেমনি ভাবে আল্লাহপাকের গুণের সাথে কাউকে শরিক করলেও তার ঈমান চলে যায়। আল্লাহ ব্যতীত কোন বুজুর্গ অথবা মৃত ব্যক্তি অথবা জীবিত ব্যক্তি কারো কাছে কোন কিছু চাওয়া, অর্থাৎ যেটা আল্লাহ পাকের কাছে চাওয়া উচিত সেই জিনিসটা কোন বান্দার কাছে চাওয়া আর এমনটি যদি কেউ করে তাহলে তার ঈমান চলে যায়।

আল্লাহর নাম ব্যতীত অন্য কোন নাম নিয়ে অর্থাৎ বিসমিল্লার পরিবর্তে অন্য কোন কিছু পরে জবাই করা, তাহলেও কিন্তু সেই ব্যক্তি ঈমান থেকে বাহির হয়ে যাবে, আল্লাহ তাআলার জন্য গুণাবলী অর্থাৎ সিফাত রয়েছে সেই সমস্ত সিফাত গুলোকে মনে প্রাণে একদম একনিষ্ঠভাবে বিশ্বাস করতে হবে, কেউ যদি আল্লাহ পাকের অসংখ্য-অগণিত সিফাত থেকে কোন একটা সিফাতকে অস্বীকার করে তাহলে তার ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে। আরেকটি হচ্ছে বিচার করার সময় কুফরি করা এটা করলেও ঈমান চলে যাবে, আল্লাহ পাক যে সমস্ত বস্তু বান্দাদের উপর হালাল করেছেন কোন ব্যক্তি যদি ওই সমস্ত হালাল বস্তুকে নিজে নিজেই হারাম মনে করে তাহলে তার ঈমান চলে যাবে।

চুরি বেবিচার জিনাহ ইত্যাদির মত অপকর্ম করলে ঈমান নষ্ট হয়ে যায়, তো অনেকেই বলতে পারেন যে চুরি করলে ঈমান নষ্ট হয়ে যায়? আবার কোন অপকর্ম করলেও ঈমান নষ্ট হয়ে যায়? এবং সে কি পুনরায় কালেমা পড়ে তার মুসলমান হতে হবে? তো এই কথার উত্তর হচ্ছে মুহাদ্দিসিনে কেরাম বলেন, কোন ব্যক্তি যখন চুরি করে তখন তার অন্তরে আল্লাহর ভয় থাকে না, আর তার অন্তরা আল্লাহর ভয় না থাকার কারণে তার ঈমান চলে যায়, কেন আসে যদি ঈমান অবস্থায় থাকতো তাহলে সে চুরির মত কাজ করতে পারত না, বিদায় ঐ ব্যক্তি যতক্ষণ চুরি করবে ততক্ষণ পর্যন্ত তার ঈমান চলে যাবে, আবার যখন ওই ব্যক্তি চুরি করা থেকে ফারেগ হয়ে যাবে অর্থাৎ চুরি করবে না, এই বলে প্রতিজ্ঞা করে তখন পুনরায় তার উপর ঈমানটা চলে আসে।

ঠিক একই ভাবে কোন ব্যক্তি যখন জিনাহ এর মত জঘন্যতম অপকর্মে লিপ্ত হয় তাহলে তার ঈমান চলে যায়, কারণ কোন ব্যক্তি ঈমান থাকা অবস্থায় গুনাহ করতে পারেনা এবং কোন ধরনের অপকর্ম করতে পারে না, তাই অপকর্ম ও জিনা করা অবস্থায় ওই ব্যক্তির উপর ঈমান থাকে না অর্থাৎ ঈমানটা চলে যায়, কিন্তু ওই ব্যক্তি যখন জিনাহ করার পর তার মনের মধ্যে অনুশোচনা সৃষ্টি হয়, এবং আল্লাহ পাকের কাছে ক্ষমা চাই তখন ঐ ব্যক্তির ঈমানটা পুনরায় চলে আসে।

আরো একটি বিষয়ের প্রতি অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে, বিশেষ করে আমরা যারা গ্রামের মধ্যে আছি তারা অনেক সময় অনেক ভাবেই শিরকের মত জঘন্যতম গুনাহ করে ফেলতেছে। যেমন কারো যদি ফসলের জমি নষ্ট হয়ে যায় কিংবা কোন ধরনের বিপদে পড়তেছে ব্যবসায় লস হচ্ছে, তখন ঐ ব্যক্তি দেখা যায় আল্লাহকে বলে যে আল্লাহ কি আমাকে ছাড়া অন্য কাউকে দেখেনা? আল্লাহ আমাকে বিপদ দেয় কেন? আরো আরো অনেক কথা বলে আল্লাহ পাকের উপর তুহমত দেয়, তো এই সমস্ত কাজ করার ফলে ঈমান চলে যায়।

অনেকে আবার খেতে চাষ করে অর্থাৎ কৃষি করে, যেমন কদু ক্ষেত বেগুন ক্ষেত পেয়ারা বাগান ইত্যাদি ধরনের কৃষিকাজ করে, তখন ওই খেতে যখন ভালো ফলন হয় তখন কৃষক খেতের মাঝখানে এক ধরনের ছিরা জুতা ও হাঁড়ি পাতিল ঝাড়ু ইত্যাদি কিছু টানিয়ে রাখে, ওই সমস্ত ছিরা জুতা হাড়ি পাতিল টাঙিয়ে রাখার উদ্দেশ্য হচ্ছে যাতে করে তার ফসলের মধ্যে নজর না লাগে, এবং তার ফসলের জমি নষ্ট না হয়। তো এই কাজটি করা আপনার জন্য উচিত হচ্ছে কিনা এটা কি একবার ভেবে দেখেছেন? আপনি হাড়ি পাতিল চিড়া জুতা এগুলোর টা নিয়ে আপনি ভাবতেছেন আপনার খেত কে আপনার ফসল কে এই ছেঁড়া জুতা আর ঝাড়ু রক্ষা করবে, কিন্তু আপনি যে আল্লাহপাকের সাথে শরিক করতেছেন শিরকের মত জঘন্যতম গুনাহ করতেছেন সে ব্যাপারে কি আপনার খেয়াল আছে?

অন্য পোস্ট

ঈমান কাকে বলে

গাস্তের আদব বলার পদ্ধতি


Previous Post Next Post

نموذج الاتصال