তায়াম্মুম কি? তায়াম্মুম করার সঠিক নিয়ম

তায়াম্মুম কি? তায়াম্মুম করার সঠিক নিয়ম  তায়াম্মুম কি কোন ব্যক্তি যখন অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে পানি ব্যবহার করতে অক্ষম হয়, অর্থাৎ পানি ব্যবহারের ফলে তার অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়, তখন ওই ব্যক্তি পবিত্রতা অর্জনের জন্য পবিত্র মাটি দ্বারা মাসেহ করা কে তায়াম্মুম বলে।  তায়াম্মুমের ফরজ কয়টি  তায়াম্মুমের ফরজ হচ্ছে তিনটি, প্রথমত আপনার তায়াম্মুম সঠিক হওয়ার জন্য আপনাকে নিয়ত করতে হবে, আপনি যদি নিয়ত না করেন তাহলে আপনার তায়াম্মুম সহি হবে না। দ্বিতীয়ত আপনার সমস্ত মুখ একবার মাছেহ করতে হবে, তৃতীয়তঃ আপনার দুই হাত কনুই পর্যন্ত একবার মাসেহ করতে হবে।  কোন কোন বস্তু দ্বারা তায়াম্মুম করা যাবে  মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করা যাবে, সাধারণত আমরা মাটি দিয়েই তায়াম্মুম করে থাকি ইট দিয়েও তা এমন করা যায় চাই ইট কাঁচা হোক অথবা শুকনা হোক। বালু দিয়ে তায়াম্মুম করা যাবে চুন দিয়েও তাইমুম করা যাবে, এবং এমন বস্তু দিয়েও তেমন করা যাবে যার উপর শুকনা বালু উপরে আছে তবে অবশ্যই লক্ষ্য করবেন জিনিসগুলো যেন পবিত্র হয় অর্থাৎ পাক হয় তাতে কোন ধরনের নাপাকি লেগে না থাকে।  তায়াম্মুম করার জন্য শর্ত  তায়াম্মুম সঠিক হওয়ার জন্য কিছু শর্ত রয়েছে এই সমস্ত শর্তগুলো যদি কোন ব্যক্তির মধ্যে পাওয়া যায় তাহলে ওই ব্যক্তির জন্য তায়াম্মুম করা সঠিক হবে। প্রথমত কোন এক ব্যক্তি এমন স্থানে গিয়েছে যেখানে পানি নাই, অর্থাৎ সে এমন এক স্থানে গিয়ে পৌঁছেছে যার দুই কিলোমিটার ভিতরে পানি পাওয়া যাচ্ছে না, এমত অবস্থায় ওই ব্যক্তি তায়াম্মুম করতে পারবে। দ্বিতীয়ত কোন ব্যক্তি যদি অসুস্থ হয়, এবং বিশেষজ্ঞ কোনো ইসলামিক অভিজ্ঞ ডাক্তার যদি বলে যে, আপনাকে পানি ব্যবহার করা যাবে না, অর্থাৎ পানি ব্যবহার করার ফলে আপনি অসুস্থ হতে পারেন তাহলে ওই ব্যক্তি তায়াম্মুম করতে পারবে।  তৃতীয়ত কোন ব্যক্তি যদি এমন হয় যে অজু করতে গেলে তার জীবনের ঝুঁকি রয়েছে অর্থাৎ শত্রুর মোকাবেলায় পড়তে হবে প্রাণনাশের আশঙ্কা হয় তাহলে ঐ ব্যক্তিটাও তায়াম্মুম করতে পারবে।   চতুর্থ কোন ব্যক্তির কাছে এত অল্প পরিমাণে পানি রয়েছে যে, ওই ব্যক্তি যদি ওই পানি দ্বারা ওযু করতে চায় তাহলে তার প্রত্যেকটি অঙ্গ একবার করেও ধৌত করা সম্ভব হবে না, অর্থাৎ তার ওযু করা পরিপূর্ণ হবে না, তাহলে ওই ব্যক্তিও তায়াম্মুম করতে পারবে। আরেকটি মাসলা হলো, কোনো মুসাফির যদি সফর অবস্থায় থাকে, আর সে যদি অজু করে পবিত্রতা অর্জন করতে চায় তাহলে তার পানি শেষ হয়ে যাবে, অর্থাৎ পরবর্তীতে সে পানির কারণে বিপদে পড়বে তাহলে ওই মুসাফির বিপদ থেকে উদ্ধার হওয়ার জন্য সে পানির পরিবর্তে তায়াম্মুম করবে।  তায়াম্মুম করার সঠিক নিয়ম  তায়াম্মুম করার জন্য আপনি প্রথমে আপনার দুই হাতকে পবিত্র মাটি ইট বা ধুলাবালীর উপরে রাখুন, অতঃপর আপনি দুই হাত তুলে আপনার মুখ ভালোভাবে মাসেহ করুন, অর্থাৎ যাতে করে কোন স্থান খালি না থাকে মাসেহ করার। তারপর আবার দুই হাত মাটিতে রাখেন, এরপর আবার আপনার ডান হাত মাসেহ করুন, তারপর আবার আপনার দুই হাত মাটিতে রাখেন, এবং আপনার বাম হাত মাসেহ করুন। তবে মাসেহ করার সময় অবশ্যই খুব ভালোভাবে মাসেহ করবেন যাতে করে আপনার কোন অংশ মাসের করার বাকি না থাকে ।  তায়াম্মুমের সুন্নত সমূহ  তায়াম্মুমের কতগুলো সুন্নত রয়েছে এগুলো পালন করা অবশ্যই আমাদের কর্তব্য। ১/  তায়াম্মুম শুরু করার সময় আল্লাহ পাকের নাম নিয়ে শুরু করা অর্থাৎ বিসমিল্লাহ পড়া। ২/  তায়াম্মুম করার সময় আমরা হাতগুলো যখন মাটিতে রাখি তখন হাতের আঙ্গুলগুলো ফাঁকা রাখা। ৩/ হাতগুলো মাটিতে রাখার সময় উভয় হাত সামনে পিছনে নেওয়া অর্থাৎ হাতের মধ্যে মাটি যেন খুব ভালোভাবে লাগে এই জন্য মাটিতে ঢলা দেওয়া। ৪/ মাটি থেকে হাত উঠানোর সময় উভয় হাতকে ভালোভাবে জ্বারা দেওয়া যাতে করে আমাদের মুখে বেশি মাটি লেগে না যায় আর এটাও করা সুন্নত। ৫/ তায়াম্মুম করার সময় ধারাবাহিকতা বজায় রাখা, যেমন প্রথমে আপনি সমস্ত মুখ মাসেহ করবেন, তারপর ডান হাত ভালোভাবে মাসে করবেন, তারপর বাম হাত ভালোভাবে মাসেহ করবেন। ৬/ তায়াম্মুম করার সময় অতিরিক্ত সময় না লাগানো, অর্থাৎ স্বল্প সময়ের ভিতরে তায়াম্মুম শেষ করা।  তায়াম্মুম ভঙ্গের কারণ কয়টি  আসলে মূলত তায়াম্মুম ভঙ্গের নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই, যে সমস্ত কারণে ওযু ভঙ্গ হয়ে যায় সেই সমস্ত কারণেই তায়াম্মুম ভঙ্গ হয়ে যায়। আর সাধারণত ওযু ভঙ্গের কারণ সমূহ আমরা সকলেই জানি, এছাড়াও তায়াম্মুম ভঙ্গের কারণ হচ্ছে পানি পেয়ে যাওয়া, আর অসুস্থ ব্যক্তি পানি ব্যবহার করতে সক্ষম হওয়া ইত্যাদি।  দেয়ালে তায়াম্মুম করা যাবে কি?  অনেকেই জানতে চায় যে, দেয়ালের মাধ্যমে কি তায়াম্মুম করা যাবে?? আপনি যদি চান তাহলে দেয়ালের মাধ্যমে তায়াম্মুম করতে পারবেন। তবে দেয়ালটি এমন হতে হবে যে দেয়ালে শুধু প্লাস্টার করা আছে, অর্থাৎ দেয়ালে হাত দিলে হাতের মধ্যে বালো লেগে আসে, আর যদি হাতের মধ্যে বালো লেগে না আসে, তাহলে এই দেয়ালের মাধ্যমে তায়াম্মুম করা যাবে না, এই বিষয়টির প্রতি লক্ষ্য রাখবেন।  তায়াম্মুম নিয়ে একটি ঘটনা  একবার রাসূল সা: বাথরুম থেকে বের হলেন এমতাবস্থায় এক সাহাবী হুজুরকে সালাম দিলেন, কিন্তু রাসুল সাঃ ওই সাহাবীর সালামের উত্তর দিলেন না, পরবর্তীতে ওই সাহাবী চলে যায় তখন আল্লাহর রাসূল একটি দেয়ালের মধ্যে অর্থাৎ দেওয়ালের মাধ্যমে তায়াম্মুম করে এবং পরবর্তীতে সাহাবীকে সালামের উত্তর দেয়। তখন সাহাবী জিজ্ঞেস করলে আল্লাহর রাসুল বলে আমি তখন পবিত্র ছিলাম না তাই তোমার সালামের উত্তর দিতে পারি নাই।

তায়াম্মুম কি

কোন ব্যক্তি যখন অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে পানি ব্যবহার করতে অক্ষম হয়, অর্থাৎ পানি ব্যবহারের ফলে তার অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়, তখন ওই ব্যক্তি পবিত্রতা অর্জনের জন্য পবিত্র মাটি দ্বারা মাসেহ করা কে তায়াম্মুম বলে।

তায়াম্মুমের ফরজ কয়টি

তায়াম্মুমের ফরজ হচ্ছে তিনটি, প্রথমত আপনার তায়াম্মুম সঠিক হওয়ার জন্য আপনাকে নিয়ত করতে হবে, আপনি যদি নিয়ত না করেন তাহলে আপনার তায়াম্মুম সহি হবে না। দ্বিতীয়ত আপনার সমস্ত মুখ একবার মাছেহ করতে হবে, তৃতীয়তঃ আপনার দুই হাত কনুই পর্যন্ত একবার মাসেহ করতে হবে।

কোন কোন বস্তু দ্বারা তায়াম্মুম করা যাবে

মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করা যাবে, সাধারণত আমরা মাটি দিয়েই তায়াম্মুম করে থাকি ইট দিয়েও তা এমন করা যায় চাই ইট কাঁচা হোক অথবা শুকনা হোক। বালু দিয়ে তায়াম্মুম করা যাবে চুন দিয়েও তাইমুম করা যাবে, এবং এমন বস্তু দিয়েও তেমন করা যাবে যার উপর শুকনা বালু উপরে আছে তবে অবশ্যই লক্ষ্য করবেন জিনিসগুলো যেন পবিত্র হয় অর্থাৎ পাক হয় তাতে কোন ধরনের নাপাকি লেগে না থাকে।

তায়াম্মুম করার জন্য শর্ত

তায়াম্মুম সঠিক হওয়ার জন্য কিছু শর্ত রয়েছে এই সমস্ত শর্তগুলো যদি কোন ব্যক্তির মধ্যে পাওয়া যায় তাহলে ওই ব্যক্তির জন্য তায়াম্মুম করা সঠিক হবে। প্রথমত কোন এক ব্যক্তি এমন স্থানে গিয়েছে যেখানে পানি নাই, অর্থাৎ সে এমন এক স্থানে গিয়ে পৌঁছেছে যার দুই কিলোমিটার ভিতরে পানি পাওয়া যাচ্ছে না, এমত অবস্থায় ওই ব্যক্তি তায়াম্মুম করতে পারবে।

দ্বিতীয়ত কোন ব্যক্তি যদি অসুস্থ হয়, এবং বিশেষজ্ঞ কোনো ইসলামিক অভিজ্ঞ ডাক্তার যদি বলে যে, আপনাকে পানি ব্যবহার করা যাবে না, অর্থাৎ পানি ব্যবহার করার ফলে আপনি অসুস্থ হতে পারেন তাহলে ওই ব্যক্তি তায়াম্মুম করতে পারবে। তৃতীয়ত কোন ব্যক্তি যদি এমন হয় যে অজু করতে গেলে তার জীবনের ঝুঁকি রয়েছে অর্থাৎ শত্রুর মোকাবেলায় পড়তে হবে প্রাণনাশের আশঙ্কা হয় তাহলে ঐ ব্যক্তিটাও তায়াম্মুম করতে পারবে। 

চতুর্থ কোন ব্যক্তির কাছে এত অল্প পরিমাণে পানি রয়েছে যে, ওই ব্যক্তি যদি ওই পানি দ্বারা ওযু করতে চায় তাহলে তার প্রত্যেকটি অঙ্গ একবার করেও ধৌত করা সম্ভব হবে না, অর্থাৎ তার ওযু করা পরিপূর্ণ হবে না, তাহলে ওই ব্যক্তিও তায়াম্মুম করতে পারবে। আরেকটি মাসলা হলো, কোনো মুসাফির যদি সফর অবস্থায় থাকে, আর সে যদি অজু করে পবিত্রতা অর্জন করতে চায় তাহলে তার পানি শেষ হয়ে যাবে, অর্থাৎ পরবর্তীতে সে পানির কারণে বিপদে পড়বে তাহলে ওই মুসাফির বিপদ থেকে উদ্ধার হওয়ার জন্য সে পানির পরিবর্তে তায়াম্মুম করবে।

তায়াম্মুম করার সঠিক নিয়ম

তায়াম্মুম করার জন্য আপনি প্রথমে আপনার দুই হাতকে পবিত্র মাটি ইট বা ধুলাবালীর উপরে রাখুন, অতঃপর আপনি দুই হাত তুলে আপনার মুখ ভালোভাবে মাসেহ করুন, অর্থাৎ যাতে করে কোন স্থান খালি না থাকে মাসেহ করার। তারপর আবার দুই হাত মাটিতে রাখেন, এরপর আবার আপনার ডান হাত মাসেহ করুন, তারপর আবার আপনার দুই হাত মাটিতে রাখেন, এবং আপনার বাম হাত মাসেহ করুন। তবে মাসেহ করার সময় অবশ্যই খুব ভালোভাবে মাসেহ করবেন যাতে করে আপনার কোন অংশ মাসের করার বাকি না থাকে।

তায়াম্মুমের সুন্নত সমূহ

তায়াম্মুমের কতগুলো সুন্নত রয়েছে এগুলো পালন করা অবশ্যই আমাদের কর্তব্য।

১/ তায়াম্মুম শুরু করার সময় আল্লাহ পাকের নাম নিয়ে শুরু করা অর্থাৎ বিসমিল্লাহ পড়া।

২/ তায়াম্মুম করার সময় আমরা হাতগুলো যখন মাটিতে রাখি তখন হাতের আঙ্গুলগুলো ফাঁকা রাখা।

৩/ হাতগুলো মাটিতে রাখার সময় উভয় হাত সামনে পিছনে নেওয়া অর্থাৎ হাতের মধ্যে মাটি যেন খুব ভালোভাবে লাগে এই জন্য মাটিতে ঢলা দেওয়া।

৪/ মাটি থেকে হাত উঠানোর সময় উভয় হাতকে ভালোভাবে জ্বারা দেওয়া যাতে করে আমাদের মুখে বেশি মাটি লেগে না যায় আর এটাও করা সুন্নত।

৫/ তায়াম্মুম করার সময় ধারাবাহিকতা বজায় রাখা, যেমন প্রথমে আপনি সমস্ত মুখ মাসেহ করবেন, তারপর ডান হাত ভালোভাবে মাসে করবেন, তারপর বাম হাত ভালোভাবে মাসেহ করবেন।

৬/ তায়াম্মুম করার সময় অতিরিক্ত সময় না লাগানো, অর্থাৎ স্বল্প সময়ের ভিতরে তায়াম্মুম শেষ করা।

তায়াম্মুম ভঙ্গের কারণ কয়টি

আসলে মূলত তায়াম্মুম ভঙ্গের নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই, যে সমস্ত কারণে ওযু ভঙ্গ হয়ে যায় সেই সমস্ত কারণেই তায়াম্মুম ভঙ্গ হয়ে যায়। আর সাধারণত ওযু ভঙ্গের কারণ সমূহ আমরা সকলেই জানি, এছাড়াও তায়াম্মুম ভঙ্গের কারণ হচ্ছে পানি পেয়ে যাওয়া, আর অসুস্থ ব্যক্তি পানি ব্যবহার করতে সক্ষম হওয়া ইত্যাদি।

দেয়ালে তায়াম্মুম করা যাবে কি?

অনেকেই জানতে চায় যে, দেয়ালের মাধ্যমে কি তায়াম্মুম করা যাবে?? আপনি যদি চান তাহলে দেয়ালের মাধ্যমে তায়াম্মুম করতে পারবেন। তবে দেয়ালটি এমন হতে হবে যে দেয়ালে শুধু প্লাস্টার করা আছে, অর্থাৎ দেয়ালে হাত দিলে হাতের মধ্যে বালো লেগে আসে, আর যদি হাতের মধ্যে বালো লেগে না আসে, তাহলে এই দেয়ালের মাধ্যমে তায়াম্মুম করা যাবে না, এই বিষয়টির প্রতি লক্ষ্য রাখবেন।

তায়াম্মুম নিয়ে একটি ঘটনা

একবার রাসূল সা: বাথরুম থেকে বের হলেন এমতাবস্থায় এক সাহাবী হুজুরকে সালাম দিলেন, কিন্তু রাসুল সাঃ ওই সাহাবীর সালামের উত্তর দিলেন না, পরবর্তীতে ওই সাহাবী চলে যায় তখন আল্লাহর রাসূল একটি দেয়ালের মধ্যে অর্থাৎ দেওয়ালের মাধ্যমে তায়াম্মুম করে এবং পরবর্তীতে সাহাবীকে সালামের উত্তর দেয়। তখন সাহাবী জিজ্ঞেস করলে আল্লাহর রাসুল বলে আমি তখন পবিত্র ছিলাম না তাই তোমার সালামের উত্তর দিতে পারি নাই।

Previous Post Next Post

نموذج الاتصال