আদ জাতি কারা? আদ জাতির ধ্বংসের ইতিহাস

আদ জাতি কারা? আদ জাতির ধ্বংসের ইতিহাস   আদ জাতি কারা? আদ জাতি হচ্ছে হযরত নূহ আ: এর বংশেরই, নূহ আ: এর ছেলে শামের বংশধর, যাদের কাছে আল্লাহ পাক নবী হিসেবে হযরত হুদ আলাইহিস সাল্লাম কে পাঠিয়েছিলেন।  হাজার হাজার বছর আগে আদ নামক একটা জাতি ছিল, এই জাতি খুব সুখ শান্তি তাদের দিন কাটছিল, অর্থাৎ সুখ শান্তি বলতে তারা ধন দৌলত দালানকোটা প্রাচুর্যের মধ্যে ছিল। তাদের কোন কিছুর অভাব ছিল না তারা ভালো ভালো দালান কোটা তৈরি করছিল, তাদের শস্য ক্ষেতগুলো সজীবতা ছিল ক্ষেত থেকে তারা বিভিন্ন প্রকার সবজি উৎপন্ন করতো, আর সেই সময়কার মাটিও ছিল খুব উর্বর, অর্থাৎ ফসল পর্যাপ্ত পরিমাণে দিত, তাদের কোন কিছুর অভাব ছিল না, তবে তাদের একটাই অভাব ছিল তাদের ঈমানের! তারা এত সুখ শান্তিতে থাকার পরেও তারা ঈমান নামক দৌলত তাদের ভাগ্যে জোটে নাই। শক্তি এবং ক্ষমতার দিক দিয়ে আদ জাতি ছিল একটা অন্যতম জাতি, তারা কাউকে ভয় করত না, তারা খুব অহংকার করত তাদের প্রাচুর্য নিয়ে।   আদ জাতির ধ্বংসের ইতিহাস  যেহেতু আদ জাতির টাকা পয়সা ধন দৌলত দালান কোটা শক্তি ক্ষমতা কোন কিছুরই অভাব ছিল না, তারা তাদের এই সমস্ত সবকিছু নিয়েই অহংকার করতে লাগলো, যখনই তাদের সামনে নুহ আলাইহিস সালাম এর কওমের সেই মর্মান্ত ঘটনা পেশ করা হয় তখন তারা সেটাকে এড়িয়ে চলে। যখনই তাদের কাছে কোন সতর্কবাণী পাঠানো হয়, তখন তারা সেটাকে ঠাট্টার উপরে নেয়, হাসি মজা করে তারা সেই সতর্কবাণীকে বাতাসের সাথে উড়িয়ে দেয়, অর্থাৎ তাদের অহংকার ছিল একটাই তাদের প্রাচুর্য, যা ইতিপূর্বে অন্য কোন সম্প্রদায়ের ছিল না। আদ জাতি মদ জুয়া হাউজি রাহাজানি ব্যভিচার রক্তপাত হানাহানি ও আরো যত রকমের অন্যায় কাজ আছে সবকিছুর মধ্যে তারা লিপ্ত ছিল, তারা প্রতিনিয়ত জিনাহের মত জঘন্য কাজের সাথে জড়িত ছিল, এমনকি তারা মেয়েদেরকে নাচানাচি করাতো যেখানে আরবের সমস্ত লোকেরা গিয়ে জড়ু হত নর্তকীদের নাচ দেখার জন্য।  ঠিক সেই সময় আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন আদ জাতির মধ্যে একজন নবী প্রেরণ করেন, তার নাম হচ্ছে হযরতে হুদ আ:কে। তখন হযরত হুদ আ: তাদের কাছে গিয়ে বললেন, হে মানুষ সকল তোমরা মূর্তি পূজা করো না, কেননা মূর্তি তোমাদের কোন কাজে আসবে না মূর্তি পূজা তোমাদের কোন উপকার করতে পারবে না, বরং তোমরা মূর্তি পূজা থেকে ফিরে আসো এক আল্লাহর ইবাদত করো যে আল্লাহ তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছে, তোমরা বলো লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহ একমাত্র একজনই তিনি ছাড়া আর কোন প্রতিপালক নাই, তাহলেই তোমরা সফল হবে, আর তোমরা যার ইবাদত করছো যাকে উপাসনা করতেছো এই সমস্ত সব কিছুই ভুয়া আল্লাহর আযাব বড় ভয়ংকর।  হূদ নবী যখন তাদেরকে আল্লাহ পাকের বাণী পৌঁছে দিল, তখন তারা বলতে লাগলো হে হুদ তুমি যে নবী তার কি প্রমাণ আছে তোমার কাছে?? আর তুমি আমাদেরকে বলতেছো আমাদের বাপ-দাদার ধর্ম থেকে ফিরে আসতে এবং তোমার ধর্মের অনুসরণ করতে, এটা কখনোই হবে না আমরা আমাদের ধর্ম থেকে ফিরে আসতে পারবো না, পারলে তুমি তোমার রবের কাছ থেকে আজাব নিয়ে আসো আমাদের কোন সমস্যা নাই। হুদ নবী যখন তাদেরকে অনেকভাবে বুঝানোর পরেও তারা ঈমান আনলো না অর্থাৎ তারা আরও হূদ নবীকে ধিক্কার জানাতে লাগলো, এবং বলতে লাগলো পারলে তুমি তোমার রবের পক্ষ হতে আজাব নিয়ে আসো।  তখন একাধারে প্রায় তিন বছর সময় দুর্ভিক্ষ দেখা দিল, তাদের যে সতেজ ফসলের জমিগুলো ছিল সবগুলো শুকিয়ে গেল জমিন ফেটে চৌচির হয়ে গেল, কারণ তিন বছর পর্যন্ত কোন বৃষ্টি নাই, যার ফলে গৃহপালিত পশু সহ তারা অনেক অভাব অনটনের মধ্যে পড়েছিল। আল্লাহ পাক তিন বছর বৃষ্টি দেয় নাই খুব অভাবের মধ্যে ছিল তারা তিন বছর, এরপরেও তারা আল্লাহর পথে ফিরে আসে নাই, তারা তাদের মধ্যেই আবদ্ধ ছিল অর্থাৎ ভ্রান্ত ধর্মের অনুসরণই করতেছিল। তখন আল্লাহ পাক আবার তাদের মধ্যে ঝড় তুফান পাঠালেন, যেটা প্রায় সাত দিন সাত রাত পর্যন্ত ছিল, তখনো তারা মাটির মধ্যে গর্ত করে গর্তের মধ্যে আশ্রয় নেয়, এবং বলে আমাদেরকে ঝড় তুফানে ধরতে পারবে না। কিন্তু আল্লাহ পাকের আজাব থেকে তারা কখনোই ছুটতে পারবে না আল্লাহ পাক তখন এমন বৃষ্টি দান করেন আর ঝড় তুফান দান করেন, যেই জ্বর তুফান আর বৃষ্টির কারণে তাদের সমস্ত দালান কোঠা বাড়ি ঘর সন্তান-সন্ততি গৃহপালিত পশু সব চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায়।  কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল এত ঝড় তুফান আর বৃষ্টির মধ্যেও আল্লাহপাকের প্রেরিত নবী হযরত হুদ ও যারা ঈমান আনছিল তাদের কোন ক্ষতি হয় নাই, হযরতে হুদ ও তার সহচররা ছোট্ট একটি কুঁড়েঘর সাধারণ একটি ঘর আশ্রয় নিয়েছিল তাদের দালানকোটা সমস্ত কিছু ধ্বংস হলেও হুদ আলাই সাল্লাম যেখানে আশ্রয় নিয়েছিল সেই কুড়ের ঘরটির কিছুই হয়নি। বরং সেই ছোট্ট ঘরটি স্বাভাবিক অবস্থায়ই ছিল তাদের চুল পরিমাণ ও ক্ষতি হয়নি আর কাফের সম্প্রদায় আদ জাতি যারা কুফরি করেছিল আল্লাহ কেউ বিশ্বাস করেছিল মূর্তি পূজায় আবদ্ধ ছিল তারা কেউ বাঁচতে পারেনি আল্লাহর আজাব থেকে। সকলেই ধ্বংস হয়ে গেছে তাদের শক্তি সামর্থ্য আর ক্ষমতা তাদেরকে আল্লাহর আজাব থেকে রক্ষা করতে পারে নাই।  আদ জাতির ধ্বংস থেকে আমরা কি শিখতে পারলাম?  আদ জাতির এই ধ্বংস থেকে আমরা শিখতে পারলাম, ধন দৌলত আর টাকা-পয়সা দালান কোটা প্রাচুর্য হলেই আল্লাহ পাকের আজাব থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে না। বরং আল্লাহ তায়ালার হুকুম আহকাম গুলো আমাদেরকে মানতে হবে। আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সা: যেভাবে আমাদেরকে চলতে বলেছেন সেভাবে আমাদেরকে চলতে হবে, যদিও আমাদের কাছে আজাব আসে না কারণ আমাদের নবীজি আল্লাহর কাছে দোয়া করে গেছেন আমাদের কাছে অন্যান্য কওমের মত আযাব না দেওয়ার জন্য, আল্লাহ পাক আমাদের নবীর দোয়া কবুল করেছেন। সুতরাং আমরা আজকে থেকেই আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রাসূলকে সন্তুষ্ট করার জন্য, ও হূদ আঃ এর ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা ইসলাম অনুযায়ী জীবনযাপন করব ইনশাআল্লাহ, অন্যথায় আল্লাহর আযাব অতি নিকটে।

আদ জাতি কারা?

আদ জাতি হচ্ছে হযরত নূহ আ: এর বংশেরই, নূহ আ: এর ছেলে শামের বংশধর, যাদের কাছে আল্লাহ পাক নবী হিসেবে হযরত হুদ আলাইহিস সাল্লাম কে পাঠিয়েছিলেন।

হাজার হাজার বছর আগে আদ নামক একটা জাতি ছিল, এই জাতি খুব সুখ শান্তি তাদের দিন কাটছিল, অর্থাৎ সুখ শান্তি বলতে তারা ধন দৌলত দালানকোটা প্রাচুর্যের মধ্যে ছিল। তাদের কোন কিছুর অভাব ছিল না তারা ভালো ভালো দালান কোটা তৈরি করছিল, তাদের শস্য ক্ষেতগুলো সজীবতা ছিল ক্ষেত থেকে তারা বিভিন্ন প্রকার সবজি উৎপন্ন করতো,

আর সেই সময়কার মাটিও ছিল খুব উর্বর, অর্থাৎ ফসল পর্যাপ্ত পরিমাণে দিত, তাদের কোন কিছুর অভাব ছিল না, তবে তাদের একটাই অভাব ছিল তাদের ঈমানের! তারা এত সুখ শান্তিতে থাকার পরেও তারা ঈমান নামক দৌলত তাদের ভাগ্যে জোটে নাই। শক্তি এবং ক্ষমতার দিক দিয়ে আদ জাতি ছিল একটা অন্যতম জাতি, তারা কাউকে ভয় করত না, তারা খুব অহংকার করত তাদের প্রাচুর্য নিয়ে।

আদ জাতি কারা? আদ জাতির ধ্বংসের ইতিহাস   আদ জাতি কারা? আদ জাতি হচ্ছে হযরত নূহ আ: এর বংশেরই, নূহ আ: এর ছেলে শামের বংশধর, যাদের কাছে আল্লাহ পাক নবী হিসেবে হযরত হুদ আলাইহিস সাল্লাম কে পাঠিয়েছিলেন।  হাজার হাজার বছর আগে আদ নামক একটা জাতি ছিল, এই জাতি খুব সুখ শান্তি তাদের দিন কাটছিল, অর্থাৎ সুখ শান্তি বলতে তারা ধন দৌলত দালানকোটা প্রাচুর্যের মধ্যে ছিল। তাদের কোন কিছুর অভাব ছিল না তারা ভালো ভালো দালান কোটা তৈরি করছিল, তাদের শস্য ক্ষেতগুলো সজীবতা ছিল ক্ষেত থেকে তারা বিভিন্ন প্রকার সবজি উৎপন্ন করতো, আর সেই সময়কার মাটিও ছিল খুব উর্বর, অর্থাৎ ফসল পর্যাপ্ত পরিমাণে দিত, তাদের কোন কিছুর অভাব ছিল না, তবে তাদের একটাই অভাব ছিল তাদের ঈমানের! তারা এত সুখ শান্তিতে থাকার পরেও তারা ঈমান নামক দৌলত তাদের ভাগ্যে জোটে নাই। শক্তি এবং ক্ষমতার দিক দিয়ে আদ জাতি ছিল একটা অন্যতম জাতি, তারা কাউকে ভয় করত না, তারা খুব অহংকার করত তাদের প্রাচুর্য নিয়ে।   আদ জাতির ধ্বংসের ইতিহাস  যেহেতু আদ জাতির টাকা পয়সা ধন দৌলত দালান কোটা শক্তি ক্ষমতা কোন কিছুরই অভাব ছিল না, তারা তাদের এই সমস্ত সবকিছু নিয়েই অহংকার করতে লাগলো, যখনই তাদের সামনে নুহ আলাইহিস সালাম এর কওমের সেই মর্মান্ত ঘটনা পেশ করা হয় তখন তারা সেটাকে এড়িয়ে চলে। যখনই তাদের কাছে কোন সতর্কবাণী পাঠানো হয়, তখন তারা সেটাকে ঠাট্টার উপরে নেয়, হাসি মজা করে তারা সেই সতর্কবাণীকে বাতাসের সাথে উড়িয়ে দেয়, অর্থাৎ তাদের অহংকার ছিল একটাই তাদের প্রাচুর্য, যা ইতিপূর্বে অন্য কোন সম্প্রদায়ের ছিল না। আদ জাতি মদ জুয়া হাউজি রাহাজানি ব্যভিচার রক্তপাত হানাহানি ও আরো যত রকমের অন্যায় কাজ আছে সবকিছুর মধ্যে তারা লিপ্ত ছিল, তারা প্রতিনিয়ত জিনাহের মত জঘন্য কাজের সাথে জড়িত ছিল, এমনকি তারা মেয়েদেরকে নাচানাচি করাতো যেখানে আরবের সমস্ত লোকেরা গিয়ে জড়ু হত নর্তকীদের নাচ দেখার জন্য।  ঠিক সেই সময় আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন আদ জাতির মধ্যে একজন নবী প্রেরণ করেন, তার নাম হচ্ছে হযরতে হুদ আ:কে। তখন হযরত হুদ আ: তাদের কাছে গিয়ে বললেন, হে মানুষ সকল তোমরা মূর্তি পূজা করো না, কেননা মূর্তি তোমাদের কোন কাজে আসবে না মূর্তি পূজা তোমাদের কোন উপকার করতে পারবে না, বরং তোমরা মূর্তি পূজা থেকে ফিরে আসো এক আল্লাহর ইবাদত করো যে আল্লাহ তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছে, তোমরা বলো লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহ একমাত্র একজনই তিনি ছাড়া আর কোন প্রতিপালক নাই, তাহলেই তোমরা সফল হবে, আর তোমরা যার ইবাদত করছো যাকে উপাসনা করতেছো এই সমস্ত সব কিছুই ভুয়া আল্লাহর আযাব বড় ভয়ংকর।  হূদ নবী যখন তাদেরকে আল্লাহ পাকের বাণী পৌঁছে দিল, তখন তারা বলতে লাগলো হে হুদ তুমি যে নবী তার কি প্রমাণ আছে তোমার কাছে?? আর তুমি আমাদেরকে বলতেছো আমাদের বাপ-দাদার ধর্ম থেকে ফিরে আসতে এবং তোমার ধর্মের অনুসরণ করতে, এটা কখনোই হবে না আমরা আমাদের ধর্ম থেকে ফিরে আসতে পারবো না, পারলে তুমি তোমার রবের কাছ থেকে আজাব নিয়ে আসো আমাদের কোন সমস্যা নাই। হুদ নবী যখন তাদেরকে অনেকভাবে বুঝানোর পরেও তারা ঈমান আনলো না অর্থাৎ তারা আরও হূদ নবীকে ধিক্কার জানাতে লাগলো, এবং বলতে লাগলো পারলে তুমি তোমার রবের পক্ষ হতে আজাব নিয়ে আসো।  তখন একাধারে প্রায় তিন বছর সময় দুর্ভিক্ষ দেখা দিল, তাদের যে সতেজ ফসলের জমিগুলো ছিল সবগুলো শুকিয়ে গেল জমিন ফেটে চৌচির হয়ে গেল, কারণ তিন বছর পর্যন্ত কোন বৃষ্টি নাই, যার ফলে গৃহপালিত পশু সহ তারা অনেক অভাব অনটনের মধ্যে পড়েছিল। আল্লাহ পাক তিন বছর বৃষ্টি দেয় নাই খুব অভাবের মধ্যে ছিল তারা তিন বছর, এরপরেও তারা আল্লাহর পথে ফিরে আসে নাই, তারা তাদের মধ্যেই আবদ্ধ ছিল অর্থাৎ ভ্রান্ত ধর্মের অনুসরণই করতেছিল। তখন আল্লাহ পাক আবার তাদের মধ্যে ঝড় তুফান পাঠালেন, যেটা প্রায় সাত দিন সাত রাত পর্যন্ত ছিল, তখনো তারা মাটির মধ্যে গর্ত করে গর্তের মধ্যে আশ্রয় নেয়, এবং বলে আমাদেরকে ঝড় তুফানে ধরতে পারবে না। কিন্তু আল্লাহ পাকের আজাব থেকে তারা কখনোই ছুটতে পারবে না আল্লাহ পাক তখন এমন বৃষ্টি দান করেন আর ঝড় তুফান দান করেন, যেই জ্বর তুফান আর বৃষ্টির কারণে তাদের সমস্ত দালান কোঠা বাড়ি ঘর সন্তান-সন্ততি গৃহপালিত পশু সব চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায়।  কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল এত ঝড় তুফান আর বৃষ্টির মধ্যেও আল্লাহপাকের প্রেরিত নবী হযরত হুদ ও যারা ঈমান আনছিল তাদের কোন ক্ষতি হয় নাই, হযরতে হুদ ও তার সহচররা ছোট্ট একটি কুঁড়েঘর সাধারণ একটি ঘর আশ্রয় নিয়েছিল তাদের দালানকোটা সমস্ত কিছু ধ্বংস হলেও হুদ আলাই সাল্লাম যেখানে আশ্রয় নিয়েছিল সেই কুড়ের ঘরটির কিছুই হয়নি। বরং সেই ছোট্ট ঘরটি স্বাভাবিক অবস্থায়ই ছিল তাদের চুল পরিমাণ ও ক্ষতি হয়নি আর কাফের সম্প্রদায় আদ জাতি যারা কুফরি করেছিল আল্লাহ কেউ বিশ্বাস করেছিল মূর্তি পূজায় আবদ্ধ ছিল তারা কেউ বাঁচতে পারেনি আল্লাহর আজাব থেকে। সকলেই ধ্বংস হয়ে গেছে তাদের শক্তি সামর্থ্য আর ক্ষমতা তাদেরকে আল্লাহর আজাব থেকে রক্ষা করতে পারে নাই।  আদ জাতির ধ্বংস থেকে আমরা কি শিখতে পারলাম?  আদ জাতির এই ধ্বংস থেকে আমরা শিখতে পারলাম, ধন দৌলত আর টাকা-পয়সা দালান কোটা প্রাচুর্য হলেই আল্লাহ পাকের আজাব থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে না। বরং আল্লাহ তায়ালার হুকুম আহকাম গুলো আমাদেরকে মানতে হবে। আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সা: যেভাবে আমাদেরকে চলতে বলেছেন সেভাবে আমাদেরকে চলতে হবে, যদিও আমাদের কাছে আজাব আসে না কারণ আমাদের নবীজি আল্লাহর কাছে দোয়া করে গেছেন আমাদের কাছে অন্যান্য কওমের মত আযাব না দেওয়ার জন্য, আল্লাহ পাক আমাদের নবীর দোয়া কবুল করেছেন। সুতরাং আমরা আজকে থেকেই আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রাসূলকে সন্তুষ্ট করার জন্য, ও হূদ আঃ এর ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা ইসলাম অনুযায়ী জীবনযাপন করব ইনশাআল্লাহ, অন্যথায় আল্লাহর আযাব অতি নিকটে।

আদ জাতির ধ্বংসের ইতিহাস

যেহেতু আদ জাতির টাকা পয়সা ধন দৌলত দালান কোটা শক্তি ক্ষমতা কোন কিছুরই অভাব ছিল না, তারা তাদের এই সমস্ত সবকিছু নিয়েই অহংকার করতে লাগলো, যখনই তাদের সামনে নুহ আলাইহিস সালাম এর কওমের সেই মর্মান্ত ঘটনা পেশ করা হয় তখন তারা সেটাকে এড়িয়ে চলে। যখনই তাদের কাছে কোন সতর্কবাণী পাঠানো হয়, তখন তারা সেটাকে ঠাট্টার উপরে নেয়, হাসি মজা করে তারা সেই সতর্কবাণীকে বাতাসের সাথে উড়িয়ে দেয়, অর্থাৎ তাদের অহংকার ছিল একটাই তাদের প্রাচুর্য, যা ইতিপূর্বে অন্য কোন সম্প্রদায়ের ছিল না।

আদ জাতি মদ জুয়া হাউজি রাহাজানি ব্যভিচার রক্তপাত হানাহানি ও আরো যত রকমের অন্যায় কাজ আছে সবকিছুর মধ্যে তারা লিপ্ত ছিল, তারা প্রতিনিয়ত জিনাহের মত জঘন্য কাজের সাথে জড়িত ছিল, এমনকি তারা মেয়েদেরকে নাচানাচি করাতো যেখানে আরবের সমস্ত লোকেরা গিয়ে জড়ু হত নর্তকীদের নাচ দেখার জন্য।

ঠিক সেই সময় আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন আদ জাতির মধ্যে একজন নবী প্রেরণ করেন, তার নাম হচ্ছে হযরতে হুদ আ:কে। তখন হযরত হুদ আ: তাদের কাছে গিয়ে বললেন, হে মানুষ সকল তোমরা মূর্তি পূজা করো না, কেননা মূর্তি তোমাদের কোন কাজে আসবে না মূর্তি পূজা তোমাদের কোন উপকার করতে পারবে না, বরং তোমরা মূর্তি পূজা থেকে ফিরে আসো এক আল্লাহর ইবাদত করো যে আল্লাহ তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছে, তোমরা বলো লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহ একমাত্র একজনই তিনি ছাড়া আর কোন প্রতিপালক নাই, তাহলেই তোমরা সফল হবে, আর তোমরা যার ইবাদত করছো যাকে উপাসনা করতেছো এই সমস্ত সব কিছুই ভুয়া আল্লাহর আযাব বড় ভয়ংকর।

হূদ নবী যখন তাদেরকে আল্লাহ পাকের বাণী পৌঁছে দিল, তখন তারা বলতে লাগলো হে হুদ তুমি যে নবী তার কি প্রমাণ আছে তোমার কাছে?? আর তুমি আমাদেরকে বলতেছো আমাদের বাপ-দাদার ধর্ম থেকে ফিরে আসতে এবং তোমার ধর্মের অনুসরণ করতে, এটা কখনোই হবে না আমরা আমাদের ধর্ম থেকে ফিরে আসতে পারবো না, পারলে তুমি তোমার রবের কাছ থেকে আজাব নিয়ে আসো আমাদের কোন সমস্যা নাই। হুদ নবী যখন তাদেরকে অনেকভাবে বুঝানোর পরেও তারা ঈমান আনলো না অর্থাৎ তারা আরও হূদ নবীকে ধিক্কার জানাতে লাগলো, এবং বলতে লাগলো পারলে তুমি তোমার রবের পক্ষ হতে আজাব নিয়ে আসো।

তখন একাধারে প্রায় তিন বছর সময় দুর্ভিক্ষ দেখা দিল, তাদের যে সতেজ ফসলের জমিগুলো ছিল সবগুলো শুকিয়ে গেল জমিন ফেটে চৌচির হয়ে গেল, কারণ তিন বছর পর্যন্ত কোন বৃষ্টি নাই, যার ফলে গৃহপালিত পশু সহ তারা অনেক অভাব অনটনের মধ্যে পড়েছিল। আল্লাহ পাক তিন বছর বৃষ্টি দেয় নাই খুব অভাবের মধ্যে ছিল তারা তিন বছর, এরপরেও তারা আল্লাহর পথে ফিরে আসে নাই, তারা তাদের মধ্যেই আবদ্ধ ছিল অর্থাৎ ভ্রান্ত ধর্মের অনুসরণই করতেছিল।

তখন আল্লাহ পাক আবার তাদের মধ্যে ঝড় তুফান পাঠালেন, যেটা প্রায় সাত দিন সাত রাত পর্যন্ত ছিল, তখনো তারা মাটির মধ্যে গর্ত করে গর্তের মধ্যে আশ্রয় নেয়, এবং বলে আমাদেরকে ঝড় তুফানে ধরতে পারবে না। কিন্তু আল্লাহ পাকের আজাব থেকে তারা কখনোই ছুটতে পারবে না আল্লাহ পাক তখন এমন বৃষ্টি দান করেন আর ঝড় তুফান দান করেন, যেই জ্বর তুফান আর বৃষ্টির কারণে তাদের সমস্ত দালান কোঠা বাড়ি ঘর সন্তান-সন্ততি গৃহপালিত পশু সব চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায়।

কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল এত ঝড় তুফান আর বৃষ্টির মধ্যেও আল্লাহপাকের প্রেরিত নবী হযরত হুদ ও যারা ঈমান আনছিল তাদের কোন ক্ষতি হয় নাই, হযরতে হুদ ও তার সহচররা ছোট্ট একটি কুঁড়েঘর সাধারণ একটি ঘর আশ্রয় নিয়েছিল তাদের দালানকোটা সমস্ত কিছু ধ্বংস হলেও হুদ আলাই সাল্লাম যেখানে আশ্রয় নিয়েছিল সেই কুড়ের ঘরটির কিছুই হয়নি।

বরং সেই ছোট্ট ঘরটি স্বাভাবিক অবস্থায়ই ছিল তাদের চুল পরিমাণ ও ক্ষতি হয়নি আর কাফের সম্প্রদায় আদ জাতি যারা কুফরি করেছিল আল্লাহ কেউ বিশ্বাস করেছিল মূর্তি পূজায় আবদ্ধ ছিল তারা কেউ বাঁচতে পারেনি আল্লাহর আজাব থেকে। সকলেই ধ্বংস হয়ে গেছে তাদের শক্তি সামর্থ্য আর ক্ষমতা তাদেরকে আল্লাহর আজাব থেকে রক্ষা করতে পারে নাই।

আদ জাতির ধ্বংস থেকে আমরা কি শিখতে পারলাম?

আদ জাতির এই ধ্বংস থেকে আমরা শিখতে পারলাম, ধন দৌলত আর টাকা-পয়সা দালান কোটা প্রাচুর্য হলেই আল্লাহ পাকের আজাব থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে না। বরং আল্লাহ তায়ালার হুকুম আহকাম গুলো আমাদেরকে মানতে হবে। আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সা: যেভাবে আমাদেরকে চলতে বলেছেন সেভাবে আমাদেরকে চলতে হবে, যদিও আমাদের কাছে আজাব আসে না কারণ আমাদের নবীজি আল্লাহর কাছে দোয়া করে গেছেন আমাদের কাছে অন্যান্য কওমের মত আযাব না দেওয়ার জন্য, আল্লাহ পাক আমাদের নবীর দোয়া কবুল করেছেন।

সুতরাং আমরা আজকে থেকেই আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রাসূলকে সন্তুষ্ট করার জন্য, ও হূদ আঃ এর ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা ইসলাম অনুযায়ী জীবনযাপন করব ইনশাআল্লাহ, অন্যথায় আল্লাহর আযাব অতি নিকটে।

Previous Post Next Post

نموذج الاتصال