ঈমান কাকে বলে? দুর্বল ঈমানের পরিচয়

ঈমান কাকে বলে? দুর্বল ঈমানের পরিচয়   ঈমান কাকে বলে?   ঈমান এটি মূলত আরবি শব্দ, ঈমান শব্দটি আমনুন থেকে বের হয়েছে যার অর্থ হচ্ছে নিরাপদ। পারিবেশিক অর্থে ঈমান বলা হয় সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ মহান আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে যে সমস্ত বিষয়ে আমাদের জন্য নিয়ে এসেছেন, সেই সমস্ত বিষয়গুলো মেনে নেওয়ার নামই হচ্ছে ঈমান। সংক্ষিপ্তভাবে ঈমানের সংজ্ঞা এভাবেও দেওয়া যায় যে, শরীয়তের সমস্ত হুকুম আহকাম ও বিধি-বিধান একনিষ্ঠভাবে মেনে নেওয়ার নাম হচ্ছে ঈমান।  ঈমান সম্পর্কিত আমি আপনাদের সামনে একটি হাদিস তুলে ধরব যে হাদিসের মাধ্যমে ঈমানের সংজ্ঞা চলে আসবে, ও ঈমান সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে যাবেন।  হাদিস- হযরত ইবনে ওমর বর্ণনা করেন আমরা একদিন রাসূল ইসলামের কাছে বসে ছিলাম, এমন সময় হঠাৎ এক লোক আসলো, তার শরীরের পোশাক ছিল সাদা রঙ্গের ও তার চুলগুলো ছিল কাঁচা, এবং সে যে সফর অবস্থায় আছে এটাও তার শরীরের ভাব ভঙ্গি দেখে চেনা যায় না। এক পর্যায়ে লোকটি রাসুল সাঃ এর কাছাকাছি বসলো, এমনকি মোহাম্মদ সাঃ সম্মানিত হাটুর সাথে হাঁটু মিশিয়ে বসলেন, এবং সেই অজ্ঞাত লোকটি রাসুল সাঃ কে বলতে লাগলো, ওগো আল্লাহর রাসুল, আপনি আমাকে ইসলাম সম্পর্কে বলেন অর্থাৎ ঈমান কাকে বলে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা দেন?  তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন ১/ তুমি এই কথার সাক্ষী দিবে আল্লাহ ছাড়া আর কোন পালনকর্তা নেই, এবং মুহাম্মদ আসলাম আল্লাহ পাকের বান্দা ও রাসূল, ২/ সঠিকভাবে নামাজ কায়েম করবে, ৩/ মাল অনুযায়ী যাকাত প্রদান করবে, ৪/ রমজান মাসের রোজা সম্পাদন করবে, ৫/ এবং যদি সামর্থ্য থাকে তাহলে হজ করবে, অর্থাৎ মক্কা মদিনা যাওয়ার তৌফিক যদি হয় আপনার, তৌফিক বলতে টাকা পয়সা যদি থাকে তাহলে অবশ্যই হজ করবে। রাসুল সাঃ যখন এই কথাগুলো বলে শেষ করলেন তখন ওই জৈনক ব্যক্তি বললেন হা আপনি সঠিক বলেছেন, হযরত ওমর বলেন আমি এবং আমরা যারা উপস্থিত ছিলাম আমরা সকলেই আশ্চর্য হলাম যে, এই লোকটি প্রশ্ন করতেছে আবার উত্তরটাকে সত্যায়ন করতেছে, অর্থাৎ সত্য বলে সাক্ষ্য দিচ্ছে।  আগত ব্যক্তিটি পুনরায় আবার রাসুল সাঃ কে বললেন ওগো আল্লাহর রাসূল আপনি আমাকে ঈমান সম্পর্কে ধারণা দেন। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন ঈমান হল, আল্লাহ তাআলা ও তার সমস্ত ফেরেশতাগণ, ও নাজিলকৃত আসমানী সমস্ত কিতাব সমূহ, আল্লাহ তায়ালার প্রেরিত সমস্ত রাসূল, পরকালে জীবিত হওয়ার প্রতি, এবং ভাগ্য অর্থাৎ ভালো মন্দের উপর কোন সংশয় সন্দেহ ছাড়াই বিশ্বাস স্থাপন করা, অর্থাৎ এই কথার সাক্ষী দেওয়া যে সমস্ত কিছুই একমাত্র আল্লাহ তাআলার হুকুমে হয়। তখন লোকটি পুনরায় বলল হাঁ আপনি সঠিক বলেছেন! এমনিভাবে লোকটি আল্লাহর রাসূল সাঃ কে এহসান ও কিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন, রাসুল সাঃ এর সমস্ত কিছুর বিবরণ দেওয়ার পর লোকটি পূর্বের ন্যায় রাসূল সাঃ এর কথা কে সত্যায়ন করলো এবং বলল আপনি সঠিক বলেছেন।  তারপর ওই ব্যক্তি যখন চলে গেল তখন সকলেই রাসূল সাঃ কে জিজ্ঞাসা করলেন ওগো আল্লাহ রাসুল ওই ব্যক্তিটি কে? যে আমরা আপনার সাথে হাটু মিলিয়ে বসার সাহস পাই না কিন্তু ঐ ব্যক্তিটি আপনার সাথে হাটু মিলিয়ে বসছে কে ঐ ব্যক্তি? তখন আল্লাহর রাসূল বললেন ওই ব্যক্তিটি কোন সাধারণ মানুষ নয়, উনি হচ্ছেন জিব্রাইল আঃ, তোমাদেরকে দ্বীন সম্পর্কে সঠিক শিক্ষা দেওয়ার জন্যই মূলত তিনি আগমন করেছিলেন যাতে করে তোমরা এই বিষয়গুলো উপলব্ধ করতে পারো। উপরোক্ত হাদিসের মাধ্যমে অবশ্যই আপনারা বুঝতে পেরেছেন ঈমান কাকে বলে। আপনার ঈমান দুর্বল নাকি সবল সেটা আপনি কিভাবে পরীক্ষা করবেন? আপনার ঈমানটা কোন পর্যায়ে আছে সেটা আপনি নিজেই পরীক্ষা করতে পারবেন।   দুর্বল ঈমানের পরিচয়  কোন মানুষ যখন গুনাহ করে ফেলে অর্থাৎ শয়তানের ধোঁকায় পরে মানুষ বিভিন্নভাবে বিভিন্ন রকমের গুনাহ করে, আর গুনাহ তো মানুষ করবেই কেননা মানুষ মাত্রই ভুল আর ভুল করার পর ওই মানুষটাই আল্লাহর কাছে উত্তম যে তওবা করে। আপনি যখন শয়তানের ধোঁকায় পড়ে গুনা করে ফেলবেন তখন লক্ষ্য করবেন, আপনার মনে কোন অনুশোচনা আসে কিনা, যদি আপনার মন থেকে অনুশোচনা আসে অর্থাৎ আপনার মনে মনে নিজেকে অপরাধী মনে হয় যে, আমি তো কাজটা খারাপ করে ফেলেছি ভালো করি নাই, তাহলে মনে করবেন আপনার ভিতরে এখনো ঈমান আছে।  আর গুনাহ করার পর যদি আপনার মনে কোন অনুশোচনা না আসে অর্থাৎ গুনাহ করেও আপনি পূর্বের নেই থাকেন চলাফেরা করতে থাকেন, গুনাহ করেও নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে না তাহলে বুঝে নিবেন আপনার ঈমান দুর্বল, আর আপনার দুর্বল ঈমান কে শক্তিশালী করার জন্য অবশ্যই আপনাকে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে হবে আল্লাহর ভয় অন্তরে সঠিকভাবে লালন করতে হবে।  আরো একটি উপায়ে আপনি আপনার ঈমানকে পরীক্ষা করতে পারবেন, সেটা হচ্ছে আপনি সজোরে আল্লাহু আকবার ধ্বনি দেওয়ার পর যদি শরীরের মধ্যে অন্যরকম একটা অনুভব করেন, তাহলে বুঝে নিবেন আপনি একজন পাক্কা ঈমানদার। আর যদি আল্লাহু আকবার ধ্বনি দেওয়ার পর আপনার শরীরের মধ্যে কোনরকম কিছু সৃষ্টি না হয়, তাহলে বুঝে নিবেন আপনার দুর্বল ইমান, আপনার ঈমানের চিকিৎসা করতে হবে।

ঈমান কাকে বলে? 

ঈমান এটি মূলত আরবি শব্দ, ঈমান শব্দটি আমনুন থেকে বের হয়েছে যার অর্থ হচ্ছে নিরাপদ। পারিবেশিক অর্থে ঈমান বলা হয় সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ মহান আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে যে সমস্ত বিষয় আমাদের জন্য নিয়ে এসেছেন, সেই সমস্ত বিষয়গুলো মেনে নেওয়ার নামই হচ্ছে ঈমান। সংক্ষিপ্তভাবে ঈমানের সংজ্ঞা এভাবেও দেওয়া যায় যে, শরীয়তের সমস্ত হুকুম আহকাম ও বিধি-বিধান একনিষ্ঠভাবে মেনে নেওয়ার নাম হচ্ছে ঈমান।

ঈমান সম্পর্কিত আমি আপনাদের সামনে একটি হাদিস তুলে ধরব যে হাদিসের মাধ্যমে ঈমানের সংজ্ঞা চলে আসবে, ও ঈমান সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে যাবেন।

হাদিস- হযরত ইবনে ওমর বর্ণনা করেন আমরা একদিন রাসূল ইসলামের কাছে বসে ছিলাম, এমন সময় হঠাৎ এক লোক আসলো, তার শরীরের পোশাক ছিল সাদা রঙ্গের ও তার চুলগুলো ছিল কাঁচা, এবং সে যে সফর অবস্থায় আছে এটাও তার শরীরের ভাব ভঙ্গি দেখে চেনা যায় না। এক পর্যায়ে লোকটি রাসুল সাঃ এর কাছাকাছি বসলো, এমনকি মোহাম্মদ সাঃ সম্মানিত হাটুর সাথে হাঁটু মিশিয়ে বসলেন, এবং সেই অজ্ঞাত লোকটি রাসুল সাঃ কে বলতে লাগলো, ওগো আল্লাহর রাসুল, আপনি আমাকে ইসলাম সম্পর্কে বলেন অর্থাৎ ঈমান কাকে বলে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা দেন?

তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন ১/ তুমি এই কথার সাক্ষী দিবে আল্লাহ ছাড়া আর কোন পালনকর্তা নেই, এবং মুহাম্মদ আসলাম আল্লাহ পাকের বান্দা ও রাসূল, ২/ সঠিকভাবে নামাজ কায়েম করবে, ৩/ মাল অনুযায়ী যাকাত প্রদান করবে, ৪/ রমজান মাসের রোজা সম্পাদন করবে, ৫/ এবং যদি সামর্থ্য থাকে তাহলে হজ করবে, অর্থাৎ মক্কা মদিনা যাওয়ার তৌফিক যদি হয় আপনার, তৌফিক বলতে টাকা পয়সা যদি থাকে তাহলে অবশ্যই হজ করবে। রাসুল সাঃ যখন এই কথাগুলো বলে শেষ করলেন তখন ওই জৈনক ব্যক্তি বললেন হা আপনি সঠিক বলেছেন, হযরত ওমর বলেন আমি এবং আমরা যারা উপস্থিত ছিলাম আমরা সকলেই আশ্চর্য হলাম যে, এই লোকটি প্রশ্ন করতেছে আবার উত্তরটাকে সত্যায়ন করতেছে, অর্থাৎ সত্য বলে সাক্ষ্য দিচ্ছে।

আগত ব্যক্তিটি পুনরায় আবার রাসুল সাঃ কে বললেন ওগো আল্লাহর রাসূল আপনি আমাকে ঈমান সম্পর্কে ধারণা দেন। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন ঈমান হল, আল্লাহ তাআলা ও তার সমস্ত ফেরেশতাগণ, ও নাজিলকৃত আসমানী সমস্ত কিতাব সমূহ, আল্লাহ তায়ালার প্রেরিত সমস্ত রাসূল, পরকালে জীবিত হওয়ার প্রতি, এবং ভাগ্য অর্থাৎ ভালো মন্দের উপর কোন সংশয় সন্দেহ ছাড়াই বিশ্বাস স্থাপন করা, অর্থাৎ এই কথার সাক্ষী দেওয়া যে সমস্ত কিছুই একমাত্র আল্লাহ তাআলার হুকুমে হয়। তখন লোকটি পুনরায় বলল হাঁ আপনি সঠিক বলেছেন! এমনিভাবে লোকটি আল্লাহর রাসূল সাঃ কে এহসান ও কিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন, রাসুল সাঃ এর সমস্ত কিছুর বিবরণ দেওয়ার পর লোকটি পূর্বের ন্যায় রাসূল সাঃ এর কথা কে সত্যায়ন করলো এবং বলল আপনি সঠিক বলেছেন।

তারপর ওই ব্যক্তি যখন চলে গেল তখন সকলেই রাসূল সাঃ কে জিজ্ঞাসা করলেন ওগো আল্লাহ রাসুল ওই ব্যক্তিটি কে? যে আমরা আপনার সাথে হাটু মিলিয়ে বসার সাহস পাই না কিন্তু ঐ ব্যক্তিটি আপনার সাথে হাটু মিলিয়ে বসছে কে ঐ ব্যক্তি? তখন আল্লাহর রাসূল বললেন ওই ব্যক্তিটি কোন সাধারণ মানুষ নয়, উনি হচ্ছেন জিব্রাইল আঃ, তোমাদেরকে দ্বীন সম্পর্কে সঠিক শিক্ষা দেওয়ার জন্যই মূলত তিনি আগমন করেছিলেন যাতে করে তোমরা এই বিষয়গুলো উপলব্ধ করতে পারো। উপরোক্ত হাদিসের মাধ্যমে অবশ্যই আপনারা বুঝতে পেরেছেন ঈমান কাকে বলে। আপনার ঈমান দুর্বল নাকি সবল সেটা আপনি কিভাবে পরীক্ষা করবেন? আপনার ঈমানটা কোন পর্যায়ে আছে সেটা আপনি নিজেই পরীক্ষা করতে পারবেন।

দুর্বল ঈমানের পরিচয়

কোন মানুষ যখন গুনাহ করে ফেলে অর্থাৎ শয়তানের ধোঁকায় পরে মানুষ বিভিন্নভাবে বিভিন্ন রকমের গুনাহ করে, আর গুনাহ তো মানুষ করবেই কেননা মানুষ মাত্রই ভুল আর ভুল করার পর ওই মানুষটাই আল্লাহর কাছে উত্তম যে তওবা করে। আপনি যখন শয়তানের ধোঁকায় পড়ে গুনা করে ফেলবেন তখন লক্ষ্য করবেন, আপনার মনে কোন অনুশোচনা আসে কিনা, যদি আপনার মন থেকে অনুশোচনা আসে অর্থাৎ আপনার মনে মনে নিজেকে অপরাধী মনে হয় যে, আমি তো কাজটা খারাপ করে ফেলেছি ভালো করি নাই, তাহলে মনে করবেন আপনার ভিতরে এখনো ঈমান আছে।

আর গুনাহ করার পর যদি আপনার মনে কোন অনুশোচনা না আসে অর্থাৎ গুনাহ করেও আপনি পূর্বের নেই থাকেন চলাফেরা করতে থাকেন, গুনাহ করেও নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে না তাহলে বুঝে নিবেন আপনার ঈমান দুর্বল, আর আপনার দুর্বল ঈমান কে শক্তিশালী করার জন্য অবশ্যই আপনাকে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে হবে আল্লাহর ভয় অন্তরে সঠিকভাবে লালন করতে হবে।

আরো একটি উপায়ে আপনি আপনার ঈমানকে পরীক্ষা করতে পারবেন, সেটা হচ্ছে আপনি সজোরে আল্লাহু আকবার ধ্বনি দেওয়ার পর যদি শরীরের মধ্যে অন্যরকম একটা অনুভব করেন, তাহলে বুঝে নিবেন আপনি একজন পাক্কা ঈমানদার। আর যদি আল্লাহু আকবার ধ্বনি দেওয়ার পর আপনার শরীরের মধ্যে কোনরকম কিছু সৃষ্টি না হয়, তাহলে বুঝে নিবেন আপনার দুর্বল ঈমান, আপনার ঈমানের চিকিৎসা করতে হবে।

Previous Post Next Post

نموذج الاتصال