নবীজির জন্মের অলৌকিক ঘটনা ও ইতিহাস সমূহ

নবীজির জন্মের অলৌকিক ঘটনা ও ইতিহাস সমূহ

আমরা সকলেই জানি, আমাদের নবীজি আমাদের মতো সাধারণ মানুষ নয়, উনি একজন শ্রেষ্ঠ মানুষ যাকে সৃষ্টি না করা হলে সাত আসমান এবং সাত জমিন সৃষ্টি করা হতো না। এবং আমাদের নবীজির উসিলায় হযরত আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করা হয়েছে, অর্থাৎ  মুহাম্মদ সা: এর জন্যই এই পৃথিবীর যা কিছু আছে সমস্ত কিছুই সৃষ্টি করা হয়েছে। আর সে কারণেই নবীজির জন্মের সময় কিছু অলৌকিক ঘটনা ঘটেছিল যা আমাদের নবীজির বৈশিষ্ট্য।

নবীজির জন্মের অলৌকিক ঘটনা ও ইতিহাস সমূহ  আমরা সকলেই জানি, আমাদের নবীজি আমাদের মতো সাধারণ মানুষ নয়, উনি একজন শ্রেষ্ঠ মানুষ যাকে সৃষ্টি না করা হলে সাত আসমান এবং সাত জমিন সৃষ্টি করা হতো না। এবং আমাদের নবীজির উসিলায় হযরত আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করা হয়েছে, অর্থাৎ  মুহাম্মদ সা: এর জন্যই এই পৃথিবীর যা কিছু আছে সমস্ত কিছুই সৃষ্টি করা হয়েছে। আর সে কারণেই নবীজির জন্মের সময় কিছু অলৌকিক ঘটনা ঘটেছিল যা আমাদের নবীজির বৈশিষ্ট্য।  নবীজির আম্মা হযরত আমেনা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা বলেন আমি যখন আমার সন্তানকে গর্ভে ধারণ করি, আমার কোনরূপ কষ্ট হয়নি অর্থাৎ সাধারণ মহিলারা যখন গর্ভধারণ করে তখন তাদের মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, শরীর খারাপ ইত্যাদি সহ আরো বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা হয়ে থাকে। আমেনা বলেন আমি মুহাম্মদ সা: কে গর্ভে ধারণ করেছি আমার কোনরূপ শারীরিক সমস্যা হয়নি এমনকি গর্ভধারণ করলে যে মহিলাদের পেটের অবস্থা সাধারণত বৃদ্ধি পায় আমার শরীর তেমন কোন আকার আকৃতি বৃদ্ধি পায়নি, অর্থাৎ আমার শরীর আগের অবস্থায় ছিল স্বাভাবিক পর্যায়ে।  আমেনা বলেন রাতের বেলায় আমি ঘরে শুয়ে আছি, এমত অবস্থায় আমার ঘরের উপর দিয়ে চারজন মহিলা আমার ঘরে প্রবেশ করে, আমি যখন তাদেরকে জিজ্ঞাসা করি কে তোমরা? আমার ঘরে প্রবেশ করলে? তখন তারা উত্তর দিল আমরা দুনিয়ার কোন সাধারণ মানুষ নয় আমরা আল্লাহর প্রদত্ত ফেরেশতা। হিজরির ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে ১২ই রবিউল আউয়াল মতান্তরে ১১ই রবিউল আউয়াল সুবেহ সাদিকের সময় আমেনা ঘুম থেকে উঠে দেখে তার দুই পায়ের মাঝে একজন ফুটফুটে একটি সন্তান, আমেনা তখন বুঝতে পারে যে এটা আমার সন্তান। আমার নবীজির জন্মের পরেই আমেনা শুনতে পান আমার নবীজি গুনগুন করে কি যেন বলতেছে, আমেনা কাছে গিয়ে লক্ষ্য করেন আমার নবীর মুখ দিয়ে উচ্চারিত হচ্ছে, ইয়া হাবলি উম্মাতি ইয়া হাবিলি উম্মাতি, এবং আমার নবী এক হাত মাটির উপর ভর করে অপর হাতের শাহাদাত আঙ্গুল আকাশের দিকে ইশারা করে কালিমা পাঠ করতেছে সুবহানাল্লাহ।  নবীজির চাচা আবু তালেব যখন নবীজিকে কোলে নিয়ে বাহিরে বের হলেন, তখন আমার নবী হাত নাড়াচাড়া করতেছেন কিন্তু আল্লাহ তাআলার কুদরত যে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানব কোন সাধারণ মানুষের সাথে খেলা করতে পারে না। তাই নবীজি যখন হাত নাড়াচাড়া করতেছে তখন আকাশের চাঁদ নবীজির কাছে চলে আসে এবং নবীজির সাথে খেলা করতে থাকে। নবীজির খেলার সাথী দুনিয়ার কোন সাধারণ ছেলেরা নয় নবীজির খেলার সাথী হচ্ছে আসমানের চন্দ্র নক্ষত্র তারকা সূর্য ইত্যাদি।  নবীজির জন্মের অলৌকিক ঘটনা  নবীজির দুধ মা হচ্ছে হালিমাতুস সাদিয়া, সাদিয়া বলেন আমি এবং আমার স্বামী যখন মক্কা থেকে দুগ্ধপোষ্য শিশুকে দুধ পান করানোর জন্য  নিতে আসি তখন মক্কার কোন লোক আমাদেরকে বাচ্চা দিতে চায় না তারা বলে যে আমরা গরীব আমাদেরকে বাচ্চা দিলে তাদের বাচ্চার অবস্থা ভালো থাকবে না এইভাবে তারা কেউ আমাদেরকে বাচ্চা দেয় না। আর অপরদিকে নবীজিকে কেউ নিতে চাচ্ছে না, কারণ নবীজি ছিল এতিম তাই পরবর্তীতে ভালো কোন হাদিয়া পাওয়ার সম্ভাবনাও নেই সেই হিসেবে নবীজিকে কেউ নেয় না, আর হালিমা সাদিয়াকে কেউ বাচ্চা দেয় না তখন সাদিয়া যখন নবীজিকে দেখলো তখন তাকে নবীজিকে কোলে তুলে নিল। হালিমা তার স্বামীকে বলল আমরা মনে হয় এমন একটা শিশু নিয়েছি যেটা আমাদের জন্য কল্যাণকর এবং এই শিশুটিও অনেক কল্যাণকর মনে হচ্ছে, তখন তারা নবীজিকে নিয়ে একটা তাবু গারে এবং সেখানে রাত কাটানোর জন্য আশ্রয় নেই।  হালিমা বলেন আমর স্তনে এতটুকু দুধ ছিল না যে, আমার নিজ বাচ্চা আব্দুল্লাহ খাবে, অথচ ঐদিন আমার স্তন দুধে ভরপুর হয়ে গেল, নবীজি পেট ভরে দুধ খেলো এবং সাথে আমার বাচ্চা আব্দুল্লাহও পেট ভরে দুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ল। তখনও আমি আশ্চর্য হলাম এবং মনে মনে ভাবতেছি এই বাচ্চা অনেক কল্যাণকর একটা বাচ্চা। তখন আমি আমার স্বামীকে এর সমস্ত কিছু বুঝিয়ে বললাম তখন আমার স্বামী বলল হালিমা তুমি একটা কল্যাণকর বাচ্চা নিয়ে এসেছো। তারপর তারা রাত কাটানোর পর সকালবেলা তাদের বাড়ির দিকে রওনা দেওয়ার ইচ্ছা করলো।  গাধা সতেজ হয়ে গেল, নবীজির জন্মের অলৌকিক ঘটনা  হালিমা এবং তার স্বামী নবীজিকে নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় আরো একটি আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটে গেল। তারা মক্কায় আসার সময় এমন একটা গাধার পিঠে সওয়ার হয়ে আসছিল যে গাধাটা ছিল অতি দুর্বল, সকলের পিছনে পিছনে ছিল আর অন্যরা সবাই তাদেরকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য  করতেছিল। কিন্তু সবাই আশ্চর্য হয়ে গেল যে, আমরা আসার সময় হালিমা ছিল সবার পিছনে তার গাধা ছিল অত্যন্ত দুর্বল, কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে হালিমার সেই দুর্বল গাধাটা আমাদের সকলের সামনে চলে গেছে। আল্লাহ তায়ালা নবীজির বরকতে সেই দুর্বল গাধাটার মধ্যেই এমন শক্তি দান করেছে যে, অন্য সমস্ত সওয়ারিকে পিছনে ফেলে সামনের দিকে চলতেছে, তখন আর হালিমাতুস সাদিয়া ও তার স্বামীর বোঝার বাকি রইল না যে এটা একটা কল্যাণকর সন্তান।  হালিমা তার বাড়িতে গিয়ে পৌঁছেছে এবং বাড়িতে গিয়ে লক্ষ্য করে তার যে ছাগলগুলো ছিল সবগুলো দুধে ভরপুর হয়ে রইল, অথচ এই ছাগলগুলো দিনে এক ফোঁটা দুধ ও দিতো না, এরপর থেকে প্রচুর পরিমাণে ছাগলগুলোর দুধ দেয় এবং সেই দুধ হালিমা নিজে ওপেন করে নবীজি ও তার দুধ ভাই আব্দুল্লাহ কেউ পান করায় এরপরেও আরো অবশিষ্ট দুধ রয়ে যায়। কিন্তু অন্যান্য মানুষের ছাগল গুলো দুধ দেয় না তখন তারা তাদের রাখালকে গালিগালাজ করে, এবং বলতে থাকে হালিমার ছাগলগুলো দুধ দেয় আমাদের ছাগলগুলোর দুধ দেয় না কেন? হালিমার ছাগলগুলোকে যেখানে চড়ানো হয় অর্থাৎ ঘাস খাওয়ানো হয় আমাদের ছাগলগুলো কেউ সেখানে ঘাস খাওয়াবে।   তাদের ছাগল গুলোকেও সেই জায়গায় ঘাস খাওয়ানোর পরেও তাদের ছাগলগুলো দুধ দিচ্ছে না, অথচ হালিমিয়া তু সাদিয়ার ছাগলগুলো পূর্বের তুলনায় পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ দিয়ে যাচ্ছে যা তারা সবাই মিলে খেয়েও আরো বাড়তি হচ্ছে। আর হালিমার ছাগলগুলো দুধ দিবেই বা না কেন? যার ঘরে আল্লাহর বন্ধু আল্লাহর হাবিব মোহাম্মদ সা: লালিত পালিত হচ্ছে তার ঘরে বরকত হবেনা এটা তো হতে পারে না। নবীজির আরো কিছু অলৌকিক ঘটনা দেখে হালিমা ভয় পেয়ে যান এবং নবীজিকে ফেরত দেওয়ার জন্য মক্কায় যান, কিন্তু মক্কা গিয়ে দেখে সেখানে মহামারী চলতেছে সেই সুবাদে হালিমা আবার নবীজিকে নিয়ে আসে।   নবীজির আরো অনেক অলৌকিক ঘটনা ঘটেছে, যা বলে শেষ করার মত নয়। বলা হয় কোন ব্যক্তি যদি নবীজির প্রশংসা করতে থাকে আর এভাবে দিনের পর দিন চলে যাবে মাসের পর মাস চলে যাবে বছরের পর বছর চলে যাবে কিন্তু আমার নবীর প্রশংসা গুনাগুন ও অলৌকিক ঘটনাগুলো বলে শেষ করা সম্ভব না।

নবীজির আম্মা হযরত আমেনা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা বলেন আমি যখন আমার সন্তানকে গর্ভে ধারণ করি, আমার কোনরূপ কষ্ট হয়নি অর্থাৎ সাধারণ মহিলারা যখন গর্ভধারণ করে তখন তাদের মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, শরীর খারাপ ইত্যাদি সহ আরো বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা হয়ে থাকে। আমেনা বলেন আমি মুহাম্মদ সা: কে গর্ভে ধারণ করেছি আমার কোনরূপ শারীরিক সমস্যা হয়নি এমনকি গর্ভধারণ করলে যে মহিলাদের পেটের অবস্থা সাধারণত বৃদ্ধি পায় আমার শরীর তেমন কোন আকার আকৃতি বৃদ্ধি পায়নি, অর্থাৎ আমার শরীর আগের অবস্থায় ছিল স্বাভাবিক পর্যায়ে।

আমেনা বলেন রাতের বেলায় আমি ঘরে শুয়ে আছি, এমত অবস্থায় আমার ঘরের উপর দিয়ে চারজন মহিলা আমার ঘরে প্রবেশ করে, আমি যখন তাদেরকে জিজ্ঞাসা করি কে তোমরা? আমার ঘরে প্রবেশ করলে? তখন তারা উত্তর দিল আমরা দুনিয়ার কোন সাধারণ মানুষ নয় আমরা আল্লাহর প্রদত্ত ফেরেশতা। হিজরির ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে ১২ই রবিউল আউয়াল মতান্তরে ১১ই রবিউল আউয়াল সুবেহ সাদিকের সময় আমেনা ঘুম থেকে উঠে দেখে তার দুই পায়ের মাঝে একজন ফুটফুটে একটি সন্তান, আমেনা তখন বুঝতে পারে যে এটা আমার সন্তান।

আমার নবীজির জন্মের পরেই আমেনা শুনতে পান আমার নবীজি গুনগুন করে কি যেন বলতেছে, আমেনা কাছে গিয়ে লক্ষ্য করেন আমার নবীর মুখ দিয়ে উচ্চারিত হচ্ছে, ইয়া হাবলি উম্মাতি ইয়া হাবিলি উম্মাতি, এবং আমার নবী এক হাত মাটির উপর ভর করে অপর হাতের শাহাদাত আঙ্গুল আকাশের দিকে ইশারা করে কালিমা পাঠ করতেছে সুবহানাল্লাহ।

নবীজির চাচা আবু তালেব যখন নবীজিকে কোলে নিয়ে বাহিরে বের হলেন, তখন আমার নবী হাত নাড়াচাড়া করতেছেন কিন্তু আল্লাহ তাআলার কুদরত যে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানব কোন সাধারণ মানুষের সাথে খেলা করতে পারে না। তাই নবীজি যখন হাত নাড়াচাড়া করতেছে তখন আকাশের চাঁদ নবীজির কাছে চলে আসে এবং নবীজির সাথে খেলা করতে থাকে। নবীজির খেলার সাথী দুনিয়ার কোন সাধারণ ছেলেরা নয় নবীজির খেলার সাথী হচ্ছে আসমানের চন্দ্র নক্ষত্র তারকা সূর্য ইত্যাদি।

নবীজির জন্মের অলৌকিক ঘটনা

নবীজির দুধ মা হচ্ছে হালিমাতুস সাদিয়া, সাদিয়া বলেন আমি এবং আমার স্বামী যখন মক্কা থেকে দুগ্ধপোষ্য শিশুকে দুধ পান করানোর জন্য  নিতে আসি তখন মক্কার কোন লোক আমাদেরকে বাচ্চা দিতে চায় না তারা বলে যে আমরা গরীব আমাদেরকে বাচ্চা দিলে তাদের বাচ্চার অবস্থা ভালো থাকবে না এইভাবে তারা কেউ আমাদেরকে বাচ্চা দেয় না।

আর অপরদিকে নবীজিকে কেউ নিতে চাচ্ছে না, কারণ নবীজি ছিল এতিম তাই পরবর্তীতে ভালো কোন হাদিয়া পাওয়ার সম্ভাবনাও নেই সেই হিসেবে নবীজিকে কেউ নেয় না, আর হালিমা সাদিয়াকে কেউ বাচ্চা দেয় না তখন সাদিয়া যখন নবীজিকে দেখলো তখন তাকে নবীজিকে কোলে তুলে নিল। হালিমা তার স্বামীকে বলল আমরা মনে হয় এমন একটা শিশু নিয়েছি যেটা আমাদের জন্য কল্যাণকর এবং এই শিশুটিও অনেক কল্যাণকর মনে হচ্ছে, তখন তারা নবীজিকে নিয়ে একটা তাবু গারে এবং সেখানে রাত কাটানোর জন্য আশ্রয় নেই।

হালিমা বলেন আমর স্তনে এতটুকু দুধ ছিল না যে, আমার নিজ বাচ্চা আব্দুল্লাহ খাবে, অথচ ঐদিন আমার স্তন দুধে ভরপুর হয়ে গেল, নবীজি পেট ভরে দুধ খেলো এবং সাথে আমার বাচ্চা আব্দুল্লাহও পেট ভরে দুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ল। তখনও আমি আশ্চর্য হলাম এবং মনে মনে ভাবতেছি এই বাচ্চা অনেক কল্যাণকর একটা বাচ্চা। তখন আমি আমার স্বামীকে এর সমস্ত কিছু বুঝিয়ে বললাম তখন আমার স্বামী বলল হালিমা তুমি একটা কল্যাণকর বাচ্চা নিয়ে এসেছো। তারপর তারা রাত কাটানোর পর সকালবেলা তাদের বাড়ির দিকে রওনা দেওয়ার ইচ্ছা করলো।

গাধা সতেজ হয়ে গেল, নবীজির জন্মের অলৌকিক ঘটনা

হালিমা এবং তার স্বামী নবীজিকে নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় আরো একটি আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটে গেল। তারা মক্কায় আসার সময় এমন একটা গাধার পিঠে সওয়ার হয়ে আসছিল যে গাধাটা ছিল অতি দুর্বল, সকলের পিছনে পিছনে ছিল আর অন্যরা সবাই তাদেরকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য  করতেছিল।

কিন্তু সবাই আশ্চর্য হয়ে গেল যে, আমরা আসার সময় হালিমা ছিল সবার পিছনে তার গাধা ছিল অত্যন্ত দুর্বল, কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে হালিমার সেই দুর্বল গাধাটা আমাদের সকলের সামনে চলে গেছে। আল্লাহ তায়ালা নবীজির বরকতে সেই দুর্বল গাধাটার মধ্যেই এমন শক্তি দান করেছে যে, অন্য সমস্ত সওয়ারিকে পিছনে ফেলে সামনের দিকে চলতেছে, তখন আর হালিমাতুস সাদিয়া ও তার স্বামীর বোঝার বাকি রইল না যে এটা একটা কল্যাণকর সন্তান।

হালিমা তার বাড়িতে গিয়ে পৌঁছেছে এবং বাড়িতে গিয়ে লক্ষ্য করে তার যে ছাগলগুলো ছিল সবগুলো দুধে ভরপুর হয়ে রইল, অথচ এই ছাগলগুলো দিনে এক ফোঁটা দুধ ও দিতো না, এরপর থেকে প্রচুর পরিমাণে ছাগলগুলোর দুধ দেয় এবং সেই দুধ হালিমা নিজে ওপেন করে নবীজি ও তার দুধ ভাই আব্দুল্লাহ কেউ পান করায় এরপরেও আরো অবশিষ্ট দুধ রয়ে যায়।

কিন্তু অন্যান্য মানুষের ছাগল গুলো দুধ দেয় না তখন তারা তাদের রাখালকে গালিগালাজ করে, এবং বলতে থাকে হালিমার ছাগলগুলো দুধ দেয় আমাদের ছাগলগুলোর দুধ দেয় না কেন? হালিমার ছাগলগুলোকে যেখানে চড়ানো হয় অর্থাৎ ঘাস খাওয়ানো হয় আমাদের ছাগলগুলো কেউ সেখানে ঘাস খাওয়াবে। 

তাদের ছাগল গুলোকেও সেই জায়গায় ঘাস খাওয়ানোর পরেও তাদের ছাগলগুলো দুধ দিচ্ছে না, অথচ হালিমিয়া তু সাদিয়ার ছাগলগুলো পূর্বের তুলনায় পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ দিয়ে যাচ্ছে যা তারা সবাই মিলে খেয়েও আরো বাড়তি হচ্ছে। আর হালিমার ছাগলগুলো দুধ দিবেই বা না কেন? যার ঘরে আল্লাহর বন্ধু আল্লাহর হাবিব মোহাম্মদ সা: লালিত পালিত হচ্ছে তার ঘরে বরকত হবেনা এটা তো হতে পারে না। নবীজির আরো কিছু অলৌকিক ঘটনা দেখে হালিমা ভয় পেয়ে যান এবং নবীজিকে ফেরত দেওয়ার জন্য মক্কায় যান, কিন্তু মক্কা গিয়ে দেখে সেখানে মহামারী চলতেছে সেই সুবাদে হালিমা আবার নবীজিকে নিয়ে আসে। 

নবীজির আরো অনেক অলৌকিক ঘটনা ঘটেছে, যা বলে শেষ করার মত নয়। বলা হয় কোন ব্যক্তি যদি নবীজির প্রশংসা করতে থাকে আর এভাবে দিনের পর দিন চলে যাবে মাসের পর মাস চলে যাবে বছরের পর বছর চলে যাবে কিন্তু আমার নবীর প্রশংসা গুনাগুন ও অলৌকিক ঘটনাগুলো বলে শেষ করা সম্ভব না।

Previous Post Next Post

نموذج الاتصال