আল্লাহ কিভাবে পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন

আল্লাহ কিভাবে পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন  কোরআনে বলা হয়েছে এই পৃথিবীটা একটা বিন্দু ছিল, চাঁদ সূর্য গ্রহ নক্ষত্র আরও যে সমস্ত গ্রহ ইত্যাদি রয়েছে সবকিছুই একটা বিন্দু আকারে ছিল, তারপর বিশাল এক বিস্ফোরণের ফলে এই পৃথিবীর সৃষ্টি হয়েছে অর্থাৎ আল্লাহ পাক এভাবে পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছেন। বিজ্ঞান এটাকে বিশ্বাস করত না কিন্তু এখন বিজ্ঞানে এটাকে মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে অর্থাৎ বিজ্ঞানও কুরআনের বিধানের নিয়ম অনুযায়ী একমত প্রকাশ করেছে। অতঃপর আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেকটা গ্রহকে প্রসারিত করেছেন।   আল্লাহ কত দিনে পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন?  আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনে অনেক জায়গায় বলেছেন পৃথিবী আসমান এবং জমিনকে সৃষ্টি করেছি আমি ছয় দিনে, ছয় দিনের কথা কুরআনের অনেক জায়গায় উল্লেখ আছে, আবার কোন কোন জায়গায় বলেছেন আল্লাহ পাক যে আমি পৃথিবীর সৃষ্টি করেছি দুই দিনে। তো অনেকেই এই কথাটা নিয়ে অনেক প্যাচাল পারে, তারা বলে আল্লাহ এক জায়গায় বলেছে আসমান এবং জমিন সৃষ্টি করছে ছয় দিনে, আবার আরেক জায়গায় বলে পৃথিবী সৃষ্টি করছে দুই দিনে এর উত্তরটা কি?? তো আল্লাহ পাকের উভয় জাগার উভয়টা কথাই সঠিক আল্লাহ পাক এক জায়গায় বলেছেন পৃথিবী সৃষ্টি করেছে দুই দিনে, অর্থাৎ পৃথিবী সৃষ্টি করতে আল্লাহপাকের দুইদিন সময় লেগেছে কিন্তু এই পৃথিবীতে পাহাড় পর্বত নদী-নালা ইত্যাদি আরো সবকিছু পরিবর্তন করতে আরো চার দিন সময় লাগে এই হল মোট ছয় দিন।  আমি যদি আপনাদের সামনে একটা উদাহরণ দেই তাহলে অবশ্য আপনাদের বুঝার আরো একটু সহজ হয়ে যাবে, মনে করেন আপনি একটা মোটরসাইকেল ও একটা ল্যাপটপ কিনেছেন দুই লাখ টাকা দিয়ে এর মধ্যে ল্যাপটপ কিনেছেন ৪০ হাজার টাকা দিয়ে। আপনি বই এবং কলম কিনেছেন ১০০ টাকা দিয়ে এর মধ্যে কলম কিনেছেন বিশ টাকা দিয়ে, আশা করি উদাহরণটি বুঝতে পেরেছেন। আরো একটি প্রশ্ন হচ্ছে আল্লাহ কেন ছয় দিন সময়ে আসমান এবং জমিন সৃষ্টি করেছেন? আল্লাহ চাইলে তো শুধু একটি শব্দ বলার সাথে সাথেই সবকিছু সৃষ্টি হয়ে যেত বা আল্লাহ যেমনটি ইচ্ছা করতেন তেমনটি হয়ে যেত, কিন্তু আল্লাহপাক তেমনটি করলেন না কেন? এই বিষয়ে আপনার আমার বলার কিছু নেই এটা সম্পূর্ণ আল্লাহ পাকের ইচ্ছা তবে কিছু কিছু ওলামায়ে কেরাম বলেছেন যে, আল্লাহ চাইলে এই মুহূর্তের মধ্যে এই সমস্ত সবকিছু সৃষ্টি করতে পারতেন কিন্তু 6 দিন সময় লাগিয়ে তিনি বুঝালেন যে ষ মানুষেরা সমস্ত কাজ ধীরে ধীরে করা উচিত।  অনেকে আবার প্রশ্ন করে আল্লাহ যে বলেছেন ৬ দিনে আসমান এবং জমিন সৃষ্টি করেছেন, এখানে দিন আল্লাহ তায়ালা কোন দিন কে উদ্দেশ্যে নিয়েছেন? আমাদের যে স্বাভাবিক দিন অর্থাৎ সময় আছে সেই সময়কে উদ্দেশ্য নিয়েছেন নাকি অন্য কোন সময়কে উদ্দেশ্য নিয়েছেন? যদিও আল্লাহ পাক মুহূর্তের মধ্যে আসমান এবং জমিন সৃষ্টি করতে পারতেন তবুও ছয় দিনের সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু এখানে দিন বলতে কোন দিনকে উদ্দেশ্য নেয়া হয়েছে এটা আল্লাহ পাকই ভালো জানেন। তাছাড়া পবিত্র কোরআনে উল্লেখিত আছে যে তোমাদের একদিন আল্লাহ পাকের কাছে এক হাজার বছরের সমান, সেই হিসেবে ইমাম হাম্বল বলেন ছয়দিন বলতে আল্লাহপাকের কাছে ওই একদিনই এক হাজার বছরের সমান।  আল্লাহ কোন কোন দিনে কি কি সৃষ্টি করেছেন  হযরত আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত তিনি বলেন নিশ্চয়ই রাসুল সাঃ আমাকে বলেছেন যে, আল্লাহ পাক মাটি সৃষ্টি করেছেন শনিবার দিন, পর্বত সমূহ সৃষ্টি করেছেন রবিবার দিনে, গাছ গাছালি ও সবুজ শ্যামল এই সমস্ত সবকিছু সৃষ্টি করেছেন সোমবার দিনে, বালা মুসিবত তোতা দুঃখ কষ্ট সৃষ্টি করেন মঙ্গলবার দিনে, নূর তোতা আলু কে সৃষ্টি করেছেন আল্লাহপাক বুধবার দিনে, আর বৃহস্পতিবার দিনে আল্লাহ পাক পশুপাখি যা কিছু আছে ওই সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছেন। সবশেষে শুক্রবার দিন শেষ অংশে অর্থাৎ শুক্রবারে শেষ অংশ বলতে আসরের নামাজের পর থেকে যতক্ষণ সময় থাকে সেই সময়ের শেষ অংশে আল্লাহপাক হযরত আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করেছেন।  আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছে  আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআনের মধ্যে বলে দিয়েছেন তোমরা আমার সৃষ্টিকে নিয়ে তোমরা গবেষণা কর। কোন ব্যক্তি যদি আল্লাহকে নিয়ে গবেষণা করে অর্থাৎ আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছে আল্লাহ সৃষ্টির পূর্বে কি ছিল ইত্যাদি বিষয়ে, তাহলে এক সময় দেখা যাবে আল্লাহকে নিয়ে গবেষণা করতে করতে ওই ব্যক্তি নাস্তিক হয়ে যাবে। আর যদি আল্লাহর সৃষ্টিকে নিয়ে কেউ গবেষণা করে, যেমন আল্লাহপাক আমাদের দুনিয়াতে যে সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছেন এ সমস্ত কিছু নিয়ে যদি কেউ চিন্তা করে গবেষণা করে, তাহলে ওই ব্যক্তি আল্লাহকে খুব ভালোভাবে চিনতে পারবে, এবং আল্লাহর নৈকট্য হাসিল করতে পারবে। কাজেই আমাদের সকলের এই উচিত আল্লাহকে নিয়ে গবেষণা না করে আল্লাহকে নিয়ে চিন্তা না করে আল্লাহর সৃষ্টিকে নিয়ে চিন্তা করা, কেননা আল্লাহর সৃষ্টিকে নিয়ে চিন্তা করলে এলেমের গভীরতা বৃদ্ধি পায় এবং আল্লাহকেও খুব ভালোভাবে চেনা যায়।

আল্লাহ কিভাবে পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন

কোরআনে বলা হয়েছে এই পৃথিবীটা একটা বিন্দু ছিল, চাঁদ সূর্য গ্রহ নক্ষত্র আরও যে সমস্ত গ্রহ ইত্যাদি রয়েছে সবকিছুই একটা বিন্দু আকারে ছিল, তারপর বিশাল এক বিস্ফোরণের ফলে এই পৃথিবীর সৃষ্টি হয়েছে অর্থাৎ আল্লাহ পাক এভাবে পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছেন। বিজ্ঞান এটাকে বিশ্বাস করত না কিন্তু এখন বিজ্ঞানে এটাকে মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে অর্থাৎ বিজ্ঞানও কুরআনের বিধানের নিয়ম অনুযায়ী একমত প্রকাশ করেছে। অতঃপর আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেকটা গ্রহকে প্রসারিত করেছেন।

আল্লাহ কত দিনে পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন?

আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনে অনেক জায়গায় বলেছেন পৃথিবী আসমান এবং জমিনকে সৃষ্টি করেছি আমি ছয় দিনে, ছয় দিনের কথা কুরআনের অনেক জায়গায় উল্লেখ আছে, আবার কোন কোন জায়গায় বলেছেন আল্লাহ পাক যে আমি পৃথিবীর সৃষ্টি করেছি দুই দিনে। তো অনেকেই এই কথাটা নিয়ে অনেক প্যাচাল পারে, তারা বলে আল্লাহ এক জায়গায় বলেছে আসমান এবং জমিন সৃষ্টি করছে ছয় দিনে, আবার আরেক জায়গায় বলে পৃথিবী সৃষ্টি করছে দুই দিনে এর উত্তরটা কি??

তো আল্লাহ পাকের উভয় জাগার উভয়টা কথাই সঠিক আল্লাহ পাক এক জায়গায় বলেছেন পৃথিবী সৃষ্টি করেছে দুই দিনে, অর্থাৎ পৃথিবী সৃষ্টি করতে আল্লাহপাকের দুইদিন সময় লেগেছে কিন্তু এই পৃথিবীতে পাহাড় পর্বত নদী-নালা ইত্যাদি আরো সবকিছু পরিবর্তন করতে আরো চার দিন সময় লাগে এই হল মোট ছয় দিন।

আমি যদি আপনাদের সামনে একটা উদাহরণ দেই তাহলে অবশ্য আপনাদের বুঝার আরো একটু সহজ হয়ে যাবে, মনে করেন আপনি একটা মোটরসাইকেল ও একটা ল্যাপটপ কিনেছেন দুই লাখ টাকা দিয়ে এর মধ্যে ল্যাপটপ কিনেছেন ৪০ হাজার টাকা দিয়ে। আপনি বই এবং কলম কিনেছেন ১০০ টাকা দিয়ে এর মধ্যে কলম কিনেছেন বিশ টাকা দিয়ে, আশা করি উদাহরণটি বুঝতে পেরেছেন। আরো একটি প্রশ্ন হচ্ছে আল্লাহ কেন ছয় দিন সময়ে আসমান এবং জমিন সৃষ্টি করেছেন?

আল্লাহ চাইলে তো শুধু একটি শব্দ বলার সাথে সাথেই সবকিছু সৃষ্টি হয়ে যেত বা আল্লাহ যেমনটি ইচ্ছা করতেন তেমনটি হয়ে যেত, কিন্তু আল্লাহপাক তেমনটি করলেন না কেন? এই বিষয়ে আপনার আমার বলার কিছু নেই এটা সম্পূর্ণ আল্লাহ পাকের ইচ্ছা তবে কিছু কিছু ওলামায়ে কেরাম বলেছেন যে, আল্লাহ চাইলে এই মুহূর্তের মধ্যে এই সমস্ত সবকিছু সৃষ্টি করতে পারতেন কিন্তু 6 দিন সময় লাগিয়ে তিনি বুঝালেন যে ষ মানুষেরা সমস্ত কাজ ধীরে ধীরে করা উচিত।

অনেকে আবার প্রশ্ন করে আল্লাহ যে বলেছেন ৬ দিনে আসমান এবং জমিন সৃষ্টি করেছেন, এখানে দিন আল্লাহ তায়ালা কোন দিন কে উদ্দেশ্যে নিয়েছেন? আমাদের যে স্বাভাবিক দিন অর্থাৎ সময় আছে সেই সময়কে উদ্দেশ্য নিয়েছেন নাকি অন্য কোন সময়কে উদ্দেশ্য নিয়েছেন? যদিও আল্লাহ পাক মুহূর্তের মধ্যে আসমান এবং জমিন সৃষ্টি করতে পারতেন তবুও ছয় দিনের সৃষ্টি করেছেন,

কিন্তু এখানে দিন বলতে কোন দিনকে উদ্দেশ্য নেয়া হয়েছে এটা আল্লাহ পাকই ভালো জানেন। তাছাড়া পবিত্র কোরআনে উল্লেখিত আছে যে তোমাদের একদিন আল্লাহ পাকের কাছে এক হাজার বছরের সমান, সেই হিসেবে ইমাম হাম্বল বলেন ছয়দিন বলতে আল্লাহপাকের কাছে ওই একদিনই এক হাজার বছরের সমান।

আল্লাহ কোন কোন দিনে কি কি সৃষ্টি করেছেন

হযরত আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত তিনি বলেন নিশ্চয়ই রাসুল সাঃ আমাকে বলেছেন যে, আল্লাহ পাক মাটি সৃষ্টি করেছেন শনিবার দিন, পর্বত সমূহ সৃষ্টি করেছেন রবিবার দিনে, গাছ গাছালি ও সবুজ শ্যামল এই সমস্ত সবকিছু সৃষ্টি করেছেন সোমবার দিনে, বালা মুসিবত তোতা দুঃখ কষ্ট সৃষ্টি করেন মঙ্গলবার দিনে, নূর তোতা আলু কে সৃষ্টি করেছেন আল্লাহপাক বুধবার দিনে,

আর বৃহস্পতিবার দিনে আল্লাহ পাক পশুপাখি যা কিছু আছে ওই সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছেন। সবশেষে শুক্রবার দিন শেষ অংশে অর্থাৎ শুক্রবারে শেষ অংশ বলতে আসরের নামাজের পর থেকে যতক্ষণ সময় থাকে সেই সময়ের শেষ অংশে আল্লাহপাক হযরত আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করেছেন।

আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছে

আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআনের মধ্যে বলে দিয়েছেন তোমরা আমার সৃষ্টিকে নিয়ে তোমরা গবেষণা কর। কোন ব্যক্তি যদি আল্লাহকে নিয়ে গবেষণা করে অর্থাৎ আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছে আল্লাহ সৃষ্টির পূর্বে কি ছিল ইত্যাদি বিষয়ে, তাহলে এক সময় দেখা যাবে আল্লাহকে নিয়ে গবেষণা করতে করতে ওই ব্যক্তি নাস্তিক হয়ে যাবে।

আর যদি আল্লাহর সৃষ্টিকে নিয়ে কেউ গবেষণা করে, যেমন আল্লাহপাক আমাদের দুনিয়াতে যে সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছেন এ সমস্ত কিছু নিয়ে যদি কেউ চিন্তা করে গবেষণা করে, তাহলে ওই ব্যক্তি আল্লাহকে খুব ভালোভাবে চিনতে পারবে, এবং আল্লাহর নৈকট্য হাসিল করতে পারবে। কাজেই আমাদের সকলের এই উচিত আল্লাহকে নিয়ে গবেষণা না করে আল্লাহকে নিয়ে চিন্তা না করে আল্লাহর সৃষ্টিকে নিয়ে চিন্তা করা, কেননা আল্লাহর সৃষ্টিকে নিয়ে চিন্তা করলে এলেমের গভীরতা বৃদ্ধি পায় এবং আল্লাহকেও খুব ভালোভাবে চেনা যায়।

Previous Post Next Post

نموذج الاتصال