বাইক কিভাবে চালাতে হয় | বাইক চালানোর নিয়ম

বাইক চালানোর নিয়ম

বাইক কিভাবে চালাতে হয়: যদিও বিষয়টি অনেকের কাছে হাস্যকর মনে হবে কিন্তু মূলত যারা বাইক চালাতে পারে না তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যারা সাধারণত বাইক চালাতে চায়, বাইক চালানোর খুব ইচ্ছা রয়েছে মূলত তাদের মনেই এরকম প্রশ্ন জাগে যে, কিভাবে বাইক চালাতে হয়? এবং বাইক চালানোর নিয়মটাই বা কি? এই সমস্ত প্রশ্ন যাদের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে মূলত তাদের জন্যই আজকের এই লেখাটি, আজকের এই লেখাটির মাধ্যমে আমি এমন কিছু টিপস শেয়ার করব যে টিপস গুলো ফলো করলে খুব সহজেই একজন ব্যক্তি বাইক চালাতে পারবে।

বাইক চালানোর নিয়ম

বাইক চালানোর জন্য প্রথমেই আপনি একটি বাইক নিন, তবে একটা কথা অবশ্যই মাথায় রাখবেন আপনি প্রথম অবস্থায় বাইক চালানো শিখার জন্য খুব ভালো একটা বাইক নিবেন না, কেননা যে কোন সময় যেকোন ভাবে পড়ে যাওয়ার কারণে হয়তো বা বাইকটির বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে, সেজন্য আপনি বাইক চালানো শিখার জন্য প্রথমে ই একটি নিম্নমানের বাইক চয়েজ করতে পারেন, যাতে করে আপনি পড়ে যাওয়া কিংবা বাইকটি পড়ে যাওয়ার ফলেও বেশি বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হয়।

বাইক চালানোর নিয়ম

আপনি যদি সাইকেল চালাতে পারেন সেই ক্ষেত্রে বাইক চালানোটাও আপনার জন্য সহজ হবে, অর্থাৎ বাইকের আগা ঠিক রাখতে হলে অবশ্যই সাইকেল চালানো জানা থাকা আপনার প্রয়োজন হবে। যাইহোক চলেন এবার মূল কথাই চলা যাক, প্রথমেই আপনি বাইকে চাবি দিয়ে বাইকটি নিউটেল অর্থাৎ ওয়ান করে নিন, অতঃপর হাতের সেলফ অথবা পায়ে কিক মারার মাধ্যমে বাইকটি স্টার্ট করুন, বাইকটি স্টার্ট করার পর আপনার ডান হাতের excelor টা মাঝামাঝি অর্থাৎ সাউন্ডটা মধ্যম পন্থায় রাখুন। আপনার হাতের এক্সেলেটর এর সাউন্ড টা যখন মাঝামাঝি থাকবে তখন আপনি বাম হাতের প্লাসটাকে টান দেন অতঃপর একটা গিয়ার দেন।

বাইক কিভাবে চালাতে হয়

অতঃপর আপনি যখন একটা গিয়ার দিবেন গিয়ার দেওয়ার পরপরই কিন্তু আপনি প্লাসটা ছেড়ে দিবেন না, আপনি ডান হাতের ক্সেলেটর থেকে মাঝে মাঝে পরিমাণে সাউন্ডটা বাড়াবেন এবং একটু একটু করে বাম হাত থেকে প্লাসটা ছাড়বেন, কেননা আপনি যদি একসাথে প্লাসটা কে ছেড়ে দেন, সেই ক্ষেত্রে কিন্তু গাড়ি এক্সিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

তাই আপনি খুব সতর্ক সহকারে হালকা ডান হাতের সাউন্ডটা বাড়াবেন এবং একসাথেই বাম হাত থেকে অল্প অল্প করে প্লাসটা ছাড়বেন। এভাবে গাড়িটা একটু আগানোর পরপরই আপনি আরও একটি গিয়ার দিবেন, আরেকটি গিয়ার দেওয়ার জন্য আপনি প্রথমেই ক্লাসটাকে টান দিবেন এবং ডান হাতের এক্সেলেরটা একটু কমাবেন এরপর পরে আরেকটা গিয়ার ফেলে দিবেন।

এভাবে আস্তে আস্তে আপনি যখন একটু একটু বাইক চালাতে থাকবেন দেখবেন আস্তে আস্তে আপনার আয়ত্তে চলে আসবে, যাইহোক আমি যেভাবে বলেছি সেভাবে আশা করি আপনি চেষ্টা করলে বাইক চালাতে পারবেন কিন্তু এখন আসেন বাইক থামানোর ফালা, এবার আপনি যখন আপনার বাইকটি কোথাও থামাবেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি ক্লাসে টান দিয়ে তারপর বাম পায়ে ব্রেক করবেন,

এবং ব্রেক করার সাথে সাথে আপনার গাড়িতে যদি তিনটা বা চারটা গিয়ার দেওয়া থাকে সেক্ষেত্রে আপনি দুইটা গিয়ার কমিয়ে ফেলবেন না হলে কিন্তু আপনার গাড়ির স্টার্ট বন্ধ হয়ে যাবে। তো অবশ্যই এ বিষয়টি লক্ষ্য রাখবেন যখনই আপনি কোথাও গাড়ি থামাবেন ক্লাসের টান দিয়ে তারপর বাম পায়ে ব্রেক করবেন নয়তোবা আপনার গাড়ির স্টার্ট বন্ধ হয়ে যাবে।

প্রথম অবস্থায় আপনি যখন বাইক চালানো শুরু করবেন বা একটু একটু চালাতে পারবেন, এই অবস্থায় আপনি কখনোই আপনার বাইকের গতি ৪০ এর উপরে তুলবেন না, এমনকি আপনি নতুন বাইক শিখা অবস্থায়ও মেনরোড তথা রাস্তায় উঠবেন না, প্রথম অবস্থায় আপনি গ্রামের ভিতরে অথবা খোলা মাঠে ভালোভাবে বাইক চালানো শিখুন তারপর আপনি মেইন রোডের মধ্যে উঠবেন।

আর আপনি যদি বাইক না শিখেই মেইন রোডের মধ্যে উঠে পড়েন এমনকি চল্লিশের উপরে গতি দেন সেই ক্ষেত্রে দেখা যাবে আপনার সামনে যখন আরেকটা গাড়ি চলে আসবে তখন আপনি আপনার বাইকটি কন্ট্রোল করতে পারবেন না তারপর দেখা যাবে আপনি এক্সিডেন্ট এর সম্মুখীন হবেন, তো এই ক্ষেত্রে অবশ্যই অবশ্যই আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

উপসংহার: বাইক চালানো এটা প্রত্যেক ছেলেদের ওই একটা শখ থাকে, কিন্তু সেই শকটা যেন আপনার আবার দুর্ঘটনার কারণ না হয়, সেই ক্ষেত্রে খুবই শান্ত সৃষ্টভাবে বাইক চালানো শিখুন এবং খুব ভালোভাবে দক্ষ না হয়ে মেন রোড বা রাস্তায় বাইক চালাবেন না।

Previous Post Next Post

نموذج الاتصال