ওযু ভঙ্গের কারণ দলিল সহ জেনে নিন: নামাজ সুন্দর ও শুদ্ধ হওয়ার জন্য ওযু করা শর্ত, আর এই ওযু ভঙ্গের কারণ সমূহ অনেকেই জানতে চায়। তো বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলে আমি ওযু ভঙ্গের কারণ সমূহ দলিল সহকারে বর্ণনা করবো, আজকের আমার এই পোস্টটি পড়ার পর ওযু ভঙ্গের কারণ সমূহ নিয়ে অন্য কোথাও আর আপনাকে সার্চ করতে হবে না।
অন্য পোস্ট মাদ্রাসা শিক্ষার গুরুত্ব
বাদ মাগরিব তাবলীগের বয়ান
সম্মানিত পাঠক আপনি যদি ওযু ভঙ্গের কারণ দলিল সহ এই পোস্টটি পড়েন আপনি ওযু ভঙ্গের কারণের দলিল গুলো জানতে পারবেন, তাহলে চলুন এবার দলিল সহ জেনে নেয়া যাক।
ওযু ভঙ্গের কারণ দলিল সহ
1. পেশাব বা পায়খানার রাস্তা দিয়ে যদি কোন কিছু বাহির হওয়া। কেননা আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিন বলেছেন, অথবা তোমাদের মধ্যে কেউ যদি শৌচাগার থেকে আসে তাহলে সে যেন ওযু করে নেয়। রাসুল সাঃ কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে ওযু ভঙ্গের কারণসমূহ কি কি তখন আল্লাহর হাবিব উত্তর দিয়েছিলেন পায়খানা প্রসাবে রাস্তা দিয়ে যাহা কিছু বাইর হয়, অর্থাৎ প্রকৃতিগতভাবে অথবা ও প্রকৃতিগতভাবে যা কিছু বাহির হয় এর সবকিছুই অন্তর্ভুক্ত হবে।
2. যদি শরীরের কোন একটা অংশ থেকে রক্ত অথবা পুরুষ বাহির হয় এবং এটা পাক করার বিধান প্রযোজ্য হয় এমন স্থান অতিক্রম করে, অর্থাৎ যদি বাহির হয়ে গড়িয়ে পড়ে যায়।
3. যদি মুখ ভর্তি বমি হয়, কিন্তু ইমাম শাফি রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন পায়খানা প্রস্রাবের রাস্তা ছাড়া যদি দেহের অন্য কোন স্থান দিয়ে কোন কিছু বাহির হয় তাহলে এর দ্বারা ওযু নষ্ট হবে না
4. যদি কাত হয়ে কিংবা কোন কিছুর সাথে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে যাওয়া, এবং যদি সেই হেলানকৃত বস্তু সরিয়ে নেওয়া হয় তাহলে সে পড়ে যাবে। কেননা কাত হয়ে ঘুমিয়ে যাবা শরীরে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো শিথিলতার কারণ। এতে শরীরের ভিতর থেকে যদি কোন কিছু বাহির হয় তাহলে বুঝার ক্ষমতা থাকে না। তাছাড়া রাসুল সাঃ বলেছেন যদি কোন ব্যক্তি বসে কিংবা দাঁড়িয়ে রুকুতে অথবা সিজদায় গিয়ে যদি ঘুমিয়ে যায় তাহলে তার উপর ওযু করা আবশ্যক নয়।
5. যদি কেউ অজ্ঞান হয়ে যায় অর্থাৎ যদি কেউ এমন ভাবে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে যে তার মাথার মধ্যে বোধশক্তি হারিয়ে ফেলে আপন পর কাউকে চিনতে পারেনা ইত্যাদি।
6. এবং জুনুবী কেননা এগুলো শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ শিথিলের ক্ষেত্রে কাত হয়ে ঘুমানোর চেয়েও আরো বেশি ক্রিয়াশীল। আর অজ্ঞানতা সর্বাবস্থায় ওযু ভঙ্গের কারণ, আর যদিও ঘুমের ক্ষেত্রে হয় তবুও আর এটাই হচ্ছে কিয়াসের দাবি। কিন্তু ঘুমানোর ক্ষেত্রে এই উক্ত পার্থক্যটা আমরা হাদিস হইতে পেয়েছি, আর অজ্ঞানতাকে আমরা ঘুমানোর উপর কিয়াস করার কোন সুযোগ নেই, কেননা অজ্ঞানতার ঘুমানোর চেয়েও বেশি প্রবল।
7. রুকু এবং সিজদা বিশিষ্ট নামাজের মধ্যে যদি কেউ জোরে হাসি দেয়। তবে কি আছো ইমাম শাফি রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর দলিল হল এতে ওযু ভঙ্গ হবে না কেননা এখানে অজু ভঙ্গকারী কোন বস্তু নেই। আর এই কারণেই জানাজার নামাজে যদি কেউ অট্টহাসি দেয় তাহলে তার ওযু ভঙ্গ হবে না। আর নামাজে অট্টহাসি দেওয়ার দ্বারা যে ওযু নষ্ট হয়ে যায় এর পক্ষে আমাদের দলিল হল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী তিনি বলেছেন তোমরা শোনো তোমাদের মধ্যে কেউ যদি অট্টহাসি হাসে তাহলে সে যেন অজু এবং নামাজ পুনরাই আদায় করে। জেনে রাখা দরকার যে হাসির ক্ষেত্রে এখানে জুড়ে হাসি টাই উদ্দেশ্য, তবে কেউ যদি মুচকি হাসে তাহলে তার নামাজ কিংবা অজু নষ্ট হবে না।
8. যদি পিছনের রাস্তা দিয়ে কোন পোকা বাহির হয় তাহলে ওযু নষ্ট হয়ে যাবে। তবে যদি কোন শরীরের ক্ষতস্থান থেকে পোকা বাইর হয় অথবা শরীর থেকে গোশতের টুকরো খসে পড়ে তাহলে ওযু নষ্ট হবে না, কেননা পুকা নাজাসাত নয়।
2. যদি শরীরের কোন একটা অংশ থেকে রক্ত অথবা পুরুষ বাহির হয় এবং এটা পাক করার বিধান প্রযোজ্য হয় এমন স্থান অতিক্রম করে, অর্থাৎ যদি বাহির হয়ে গড়িয়ে পড়ে যায়।
3. যদি মুখ ভর্তি বমি হয়, কিন্তু ইমাম শাফি রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন পায়খানা প্রস্রাবের রাস্তা ছাড়া যদি দেহের অন্য কোন স্থান দিয়ে কোন কিছু বাহির হয় তাহলে এর দ্বারা ওযু নষ্ট হবে না
4. যদি কাত হয়ে কিংবা কোন কিছুর সাথে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে যাওয়া, এবং যদি সেই হেলানকৃত বস্তু সরিয়ে নেওয়া হয় তাহলে সে পড়ে যাবে। কেননা কাত হয়ে ঘুমিয়ে যাবা শরীরে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো শিথিলতার কারণ। এতে শরীরের ভিতর থেকে যদি কোন কিছু বাহির হয় তাহলে বুঝার ক্ষমতা থাকে না। তাছাড়া রাসুল সাঃ বলেছেন যদি কোন ব্যক্তি বসে কিংবা দাঁড়িয়ে রুকুতে অথবা সিজদায় গিয়ে যদি ঘুমিয়ে যায় তাহলে তার উপর ওযু করা আবশ্যক নয়।
5. যদি কেউ অজ্ঞান হয়ে যায় অর্থাৎ যদি কেউ এমন ভাবে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে যে তার মাথার মধ্যে বোধশক্তি হারিয়ে ফেলে আপন পর কাউকে চিনতে পারেনা ইত্যাদি।
6. এবং জুনুবী কেননা এগুলো শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ শিথিলের ক্ষেত্রে কাত হয়ে ঘুমানোর চেয়েও আরো বেশি ক্রিয়াশীল। আর অজ্ঞানতা সর্বাবস্থায় ওযু ভঙ্গের কারণ, আর যদিও ঘুমের ক্ষেত্রে হয় তবুও আর এটাই হচ্ছে কিয়াসের দাবি। কিন্তু ঘুমানোর ক্ষেত্রে এই উক্ত পার্থক্যটা আমরা হাদিস হইতে পেয়েছি, আর অজ্ঞানতাকে আমরা ঘুমানোর উপর কিয়াস করার কোন সুযোগ নেই, কেননা অজ্ঞানতার ঘুমানোর চেয়েও বেশি প্রবল।
7. রুকু এবং সিজদা বিশিষ্ট নামাজের মধ্যে যদি কেউ জোরে হাসি দেয়। তবে কি আছো ইমাম শাফি রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর দলিল হল এতে ওযু ভঙ্গ হবে না কেননা এখানে অজু ভঙ্গকারী কোন বস্তু নেই। আর এই কারণেই জানাজার নামাজে যদি কেউ অট্টহাসি দেয় তাহলে তার ওযু ভঙ্গ হবে না। আর নামাজে অট্টহাসি দেওয়ার দ্বারা যে ওযু নষ্ট হয়ে যায় এর পক্ষে আমাদের দলিল হল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী তিনি বলেছেন তোমরা শোনো তোমাদের মধ্যে কেউ যদি অট্টহাসি হাসে তাহলে সে যেন অজু এবং নামাজ পুনরাই আদায় করে। জেনে রাখা দরকার যে হাসির ক্ষেত্রে এখানে জুড়ে হাসি টাই উদ্দেশ্য, তবে কেউ যদি মুচকি হাসে তাহলে তার নামাজ কিংবা অজু নষ্ট হবে না।
8. যদি পিছনের রাস্তা দিয়ে কোন পোকা বাহির হয় তাহলে ওযু নষ্ট হয়ে যাবে। তবে যদি কোন শরীরের ক্ষতস্থান থেকে পোকা বাইর হয় অথবা শরীর থেকে গোশতের টুকরো খসে পড়ে তাহলে ওযু নষ্ট হবে না, কেননা পুকা নাজাসাত নয়।
অন্য পোস্ট গোসলের ফরজ কয়টি ও কি কি
ওযু ভঙ্গের কারণ নিয়ে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন: মুসলিমরা কেন ওযু করে
উত্তর: নামাজ পড়ার জন্য ওযু করা আবশ্য ক আর ওযু করার দ্বারা পবিত্রতা হাসিল হয়, আর নামাজ পড়ার জন্য সেই পবিত্রতা হচ্ছে আবশ্যক, আর এই জন্যেই মুসলিমরা ওযু করে।
প্রশ্ন: কি কি কাজ করলে ওযু নষ্ট হয়
উত্তর: যে সমস্ত কাজ করলে ওযু নষ্ট হয় সেই সমস্ত কারণগুলো আমি উপরে দলিল সহ উল্লেখ করেছি।
প্রশ্ন: মেয়েদের ওযু ভঙ্গের কারণ গুলো কি কি
উত্তর: উপরে যে সমস্ত কারণগুলো আমি উল্লেখ করেছি এই কারণগুলো ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের জন্যই প্রযোজ্য, অর্থাৎ যে কারো মধ্যে উক্ত কারণগুলো পাওয়া যাবে তার ওযু নষ্ট হয়ে যাবে।
প্রশ্ন: বায়ু বের হলে কি ওযু ভাঙ্গে
উত্তর: হ্যাঁ অবশ্যই বায়ু বের হলে ওযু ভেঙ্গে যাবে, তবে সামনের রাস্তা অর্থাৎ মূত্রনালী দিয়ে যদি বাতাস বাহির হয় তাহলে ওযু ভঙ্গ হবে না।
প্রশ্ন: মাথায় কাপড় না দিলে কি ওযু ভেঙে যায়
উত্তর: না, এমন কোন হাদিস পাওয়া যায়নি যে মাথায় কাপড় না দিলে ওযু ভেঙ্গে যায়, সুতরাং মাথায় কাপড় না দেওয়ার দ্বারা ওযু ভঙ্গ হবে না।
প্রশ্ন: লজ্জাস্থান দেখলে কি অযু ভেঙে যায়
উত্তর: না যদি কেউ তার নিজের লজ্জাস্থান থেকে সেক্ষেত্রে তার ওযু ভঙ্গ হবে না।
প্রশ্ন: লজ্জাস্থানের স্পর্শ করলে কি ওযু ভেঙ্গে যায়
উত্তর: লজ্জাস্থানে স্পর্শ করার দ্বারা ওযু ভাঙবে না।
প্রশ্ন: সতর খুলে গেলে কি ওযু ভেঙে যায়
উত্তর: যদি কারো সতর ভুলে যাই সে ক্ষেত্রে তার ওযু ভঙ্গ হবে না, কেননা সতর খুলে যাওয়া ওযু ভঙ্গের কারণের অন্তর্ভুক্ত নয়।
প্রশ্ন: কাপড় পরিবর্তন করলে কি ওযু ভেঙে যায়
উত্তর: কেউ যদি তার কাপড় পরিবর্তন করে সেক্ষেত্রে কাপড় পরিবর্তন করার দ্বারা তার ওযু নষ্ট হবে না, তবে কেউ কেউ বলে কাপড় পরিবর্তন করার দ্বারা ওযু নষ্ট হয়ে যায় তবে তাদের এই মতটি ভুল।
তো সম্মানিত বন্ধুগণ আজকে আমি আপনাদের সামনে ওযু ভঙ্গের কারণ দলিল সহ বর্ণনা করেছি। পাশাপাশি ওযু ভঙ্গের কারণের কিছু প্রশ্ন উত্তর আপনাদের কাছে উল্লেখ করেছি আশা করি এই প্রশ্ন উত্তর গুলো পড়ে আপনাদের অনেকটুকু ফায়দা হয়েছে, এবং আশা করি ওযু ভঙ্গের কারণ দলিল সহ এবং প্রশ্ন উত্তর গুলো পড়ে আপনি নতুন কিছু শিখতে পেরেছেন।
অন্য পোস্ট ব্যাটারি চালিত সাইকেল দাম বাংলাদেশ
Tags
Namaj