জেনে নিন ওযুর ফরজ ও সুন্নত কয়টি ও কি কি

হ্যালো বন্ধুরা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ আমাদের উপর ফরজ করা হয়েছে। সেই পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি হচ্ছে নামাজ কেউ যদি নামাজ কেউ স্বীকার করে তাহলে ঐ ব্যক্তি কাফের হয়ে যাবে। আর এই নামাজ পড়ার জন্য ওযু করা আবশ্যক, আর ওজুর কিছু নিয়ম-নীতিও রয়েছে। তাই আজকের এই আর্টিকেল আমি ওযুর নিয়ম নীতি অর্থাৎ ওযুর ফরজ কয়টি ও কি কি পাশাপাশি ওযউর সুন্নত কয়টি ও কি কি এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। প্রথমে আমরা আলোচনা করব ওযুর ফরজ কয়টি ও কি কি এই বিষয় নিয়ে, পরবর্তীতে আমরা আলোচনা করব ওযুর সুন্নত কয়টি ও কি কি এই বিষয়টি নিয়ে।
হ্যালো বন্ধুরা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ আমাদের উপর ফরজ করা হয়েছে। সেই পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি হচ্ছে নামাজ কেউ যদি নামাজ কেউ স্বীকার করে তাহলে ঐ ব্যক্তি কাফের হয়ে যাবে। আর এই নামাজ পড়ার জন্য ওযু করা আবশ্যক, আর ওজুর কিছু নিয়ম-নীতিও রয়েছে। তাই আজকের এই আর্টিকেল আমি ওযুর নিয়ম নীতি অর্থাৎ ওযুর ফরজ কয়টি ও কি কি পাশাপাশি ওযউর সুন্নত কয়টি ও কি কি এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। প্রথমে আমরা আলোচনা করব ওযুর ফরজ কয়টি ও কি কি এই বিষয় নিয়ে, পরবর্তীতে আমরা আলোচনা করব ওযুর সুন্নত কয়টি ও কি কি এই বিষয়টি নিয়ে।  অন্য পোস্ট মাদ্রাসা শিক্ষার গুরুত্ব ওযুর মুস্তাহাব কয়টি ও কি কি   ওযুর ফরজ কয়টি ও কি কি  ওযুর ফরজ হচ্ছে চারটি  ১/ সমস্ত মুখ মন্ডল ভালোভাবে ধৌত করা যাতে করে মুখের কোন জায়গা ধৌত করার বাকি না থাকে।   ২/ দুনো হাতের কনুই ভালোভাবে ধৌত করা।  ৩/ সমস্ত মাথার চার ভাগের একভাগ ভালোভাবে মাছেহ করা।  ৪/ উভয় পায়ের টাকনোসহ ভালোভাবে ধৌত করা।   ওযুর সুন্নত কয়টি ও কি কি ওযুর সুন্নত হচ্ছে ১৮ টি  ১/ ওযুর নিয়ত করা অর্থাৎ ওযু কারী ব্যক্তি মনে মনে এই নিয়ত করবে যে আমি নামাজ আদায়ের জন্য পবিত্রতা অর্জনের উদ্দেশ্যে ওযু করছি।  ২/ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বলে বা পরে ওযু শুরু করা। কারণ হাদীস শরীফে এসেছে যে ব্যক্তি বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পরে ওযু শুরু করবে যতক্ষণ পর্যন্ত ওই ব্যক্তির ওযু থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত ফেরেশতারা তার আমলনামায় নেকি লিখতে থাকবে।  ৩/ দুনো হাতকেই কব্জি সহ তিনবার করে ধৌত করা।  ৪/ ওযুর শুরুতে মিসওয়াক করা, যদি মেসওয়াক না থাকে সেক্ষেত্রে হাতের আঙ্গুল ধরা দাঁত মেজে নেওয়া, তবে মেসওয়াকটা যদি গাছের ডাল হয় সে ক্ষেত্রে অনেক ভালো হয়।  ৫/ তিনবার কুলি করা  ৬/ তিনবার নাকে পানি দেওয়া এবং নাক পরিষ্কার করা।  ৭/ এবং সেই সাথে প্রত্যেক সময় অর্থাৎ নাকে পানি দেওয়ার সময় না ভালোভাবে যারা।  ৮/ প্রত্যেকটা অঙ্গকে পরিপূর্ণভাবে তিনবার করে ধৌত করবে যদিও তিনবার করে ধৌত করার জন্য তিনবারের বেশি পানি নিতে হয়।  ৯/ উভয় হাত দ্বারা মুখমন্ডল ধৌত করা, এবং মুখ মন্ডল ধৌত করার সময় দাড়ি খিলাল করা।  ১০/ হাত এবং পা ধৌত করার সময় হাত পায়ের আঙ্গুল সমূহ খিলাল করা।  ১১/ সম্পূর্ণ মাথা একবার মাসেহ করা।  ১২/ উভয় কানকে মাসেহ করা, এবং কানের ভিতরে আঙ্গুল ঢুকিয়ে কানের ভিতরের ছিদ্রগুলোকেও মাসেহ করা।  ১৩/ ওজুর অঙ্গসমূহ ভালোভাবে হাত দ্বারা ঘষে মেজে ধৌত করা।  ১৪/ এক অঙ্গ দুয়ার পর অন্য অঙ্গ ধৌত করতে দেরি না করা।  ১৫/ তারতিব অনুযায়ী ওযু করা, অর্থাৎ ওযু করার ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা।  ১৬/ ডান দিকের অঙ্গসমূহ বামদিকের অঙ্গের আগে ধৌত করা।  ১৭/ যদি ঠান্ডা কিংবা অন্য কোন কারণে ওযু করতে ইচ্ছা না হয় তখনও খুব ভালোভাবে ওযু করা।  ১৮/ অতঃপর সর্বশেষে ওযু শেষ করার পর কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করা।  তো বন্ধুরা আশা করি ওযুর সুন্নত ও ফরজ জানতে পেরে আপনার উপকৃত হয়েছেন এবং সেই অনুযায়ী ওযু করার চেষ্টা করবেন। ওজুর ফরজ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে নিচের ভিডিওটি দেখুন  FAQ  প্রশ্ন: ওযুর ফরজ কয়টি  উত্তর: ওযুর ফরজ চারটি  প্রশ্ন: ওযুর সুন্নত কয়টি  উত্তর: ওযুর সুন্নাত আঠারটি  প্রশ্ন: ওজুর মুস্তাহাব কয়টি  উত্তর ওজুর মুস্তাহাব সতের টি

ওযুর ফরজ কয়টি ও কি কি

ওযুর ফরজ হচ্ছে চারটি

১/ সমস্ত মুখ মন্ডল ভালোভাবে ধৌত করা যাতে করে মুখের কোন জায়গা ধৌত করার বাকি না থাকে।

২/ দুনো হাতের কনুই ভালোভাবে ধৌত করা।

৩/ সমস্ত মাথার চার ভাগের একভাগ ভালোভাবে মাছেহ করা।

৪/ উভয় পায়ের টাকনোসহ ভালোভাবে ধৌত করা।

ওযুর সুন্নত কয়টি ও কি কি

যুর সুন্নত হচ্ছে ১৮ টি

১/ ওযুর নিয়ত করা অর্থাৎ ওযু কারী ব্যক্তি মনে মনে এই নিয়ত করবে যে আমি নামাজ আদায়ের জন্য পবিত্রতা অর্জনের উদ্দেশ্যে ওযু করছি।

২/ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বলে বা পরে ওযু শুরু করা। কারণ হাদীস শরীফে এসেছে যে ব্যক্তি বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পরে ওযু শুরু করবে যতক্ষণ পর্যন্ত ওই ব্যক্তির ওযু থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত ফেরেশতারা তার আমলনামায় নেকি লিখতে থাকবে।

৩/ দুনো হাতকেই কব্জি সহ তিনবার করে ধৌত করা।

৪/ ওযুর শুরুতে মিসওয়াক করা, যদি মেসওয়াক না থাকে সেক্ষেত্রে হাতের আঙ্গুল ধরা দাঁত মেজে নেওয়া, তবে মেসওয়াকটা যদি গাছের ডাল হয় সে ক্ষেত্রে অনেক ভালো হয়।

৫/ তিনবার কুলি করা

৬/ তিনবার নাকে পানি দেওয়া এবং নাক পরিষ্কার করা।

৭/ এবং সেই সাথে প্রত্যেক সময় অর্থাৎ নাকে পানি দেওয়ার সময় না ভালোভাবে যারা।

৮/ প্রত্যেকটা অঙ্গকে পরিপূর্ণভাবে তিনবার করে ধৌত করবে যদিও তিনবার করে ধৌত করার জন্য তিনবারের বেশি পানি নিতে হয়।

৯/ উভয় হাত দ্বারা মুখমন্ডল ধৌত করা, এবং মুখ মন্ডল ধৌত করার সময় দাড়ি খিলাল করা।

১০/ হাত এবং পা ধৌত করার সময় হাত পায়ের আঙ্গুল সমূহ খিলাল করা।

১১/ সম্পূর্ণ মাথা একবার মাসেহ করা।

১২/ উভয় কানকে মাসেহ করা, এবং কানের ভিতরে আঙ্গুল ঢুকিয়ে কানের ভিতরের ছিদ্রগুলোকেও মাসেহ করা।

১৩/ ওজুর অঙ্গসমূহ ভালোভাবে হাত দ্বারা ঘষে মেজে ধৌত করা।

১৪/ এক অঙ্গ দুয়ার পর অন্য অঙ্গ ধৌত করতে দেরি না করা।

১৫/ তারতিব অনুযায়ী ওযু করা, অর্থাৎ ওযু করার ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা।

১৬/ ডান দিকের অঙ্গসমূহ বামদিকের অঙ্গের আগে ধৌত করা।

১৭/ যদি ঠান্ডা কিংবা অন্য কোন কারণে ওযু করতে ইচ্ছা না হয় তখনও খুব ভালোভাবে ওযু করা।

১৮/ অতঃপর সর্বশেষে ওযু শেষ করার পর কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করা।

তো বন্ধুরা আশা করি ওযুর সুন্নত ও ফরজ জানতে পেরে আপনার উপকৃত হয়েছেন এবং সেই অনুযায়ী ওযু করার চেষ্টা করবেন। ওজুর ফরজ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে নিচের ভিডিওটি দেখুন

 
 FAQ

প্রশ্ন: ওযুর ফরজ কয়টি

উত্তর: ওযুর ফরজ চারটি

প্রশ্ন: ওযুর সুন্নত কয়টি

উত্তর: ওযুর সুন্নাত আঠারটি 

প্রশ্ন: ওজুর মুস্তাহাব কয়টি

উত্তর ওজুর মুস্তাহাব সতের টি



Previous Post Next Post

نموذج الاتصال