ইসলামের অনেক বড় একটি হুকুম হচ্ছে নামাজ আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন আমাদের উপর ফরজ করেছেন। আর এই নামাজকে সঠিকভাবে আদায় করার জন্য নিয়ম-নীতি ও রয়েছে এরমধ্যে একটি হচ্ছে নামাজ পড়ার জন্য পবিত্রতা অর্জন করতে হবে অর্থাৎ ওযু করতে হবে। কেউ যদি ভালোভাবে ওযু করতে না জানে তাহলে তার নামাজেই হবে না তাহলে বুঝতেই পারছেন ওজুর গুরুত্ব কতটুকু।
অন্য পোস্ট মাদ্রাসা শিক্ষার গুরুত্ব
আমাদের মধ্যে অনেকেই যদিও ওযুর ফরজ সুন্নত কিংবা ওয়াজিব সম্পর্কে অবগত আছি, কিন্তু ওযুর মুস্তাহাব সম্পর্কে অনেকেই আমরা জানি না বা অবগত নই, তাই আপনি যদি ওযুর মুস্তাহাব সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমি বলব আপনি একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন কেননা আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি হুজুর মুস্তাহাব কয়টি ও কি কি এগুলো বর্ণনা করবো যাতে করে আপনারা ভালো কিছু শিখতে পারেন তাহলে চলুন এবার জেনে নেয়া যাক ওযুর মুস্তাহাব কয়টি ও কি কি।
ওযুর মুস্তাহাব কয়টি ও কি কি
ওযুর মুস্তাহাব হচ্ছে ১৭ টি
ওযুর মুস্তাহাব গুলো নিচে সারিবদ্ধ ভাবে উল্লেখ করা হলো যথা:-
১/ উঁচু জায়গায় বসে ওজু করা।
২/ ওযু করার সময় পানির পাত্র বাম দিকে রাখা।
৩/ ওজু করার সময় কেবলার দিকে মুখ করে বসা।
৪/ সুস্থ ব্যাক্তির জন্য নিয়ম হচ্ছে নামাজের ওয়াক্ত হওয়ার আগেই ওজু করে ফেলা।
৫/ ওজু করার সময় বাম হাতের দ্বারা নাক পরিষ্কার করা।
৬/ ডান দিক হইতে ওযু আরম্ভ করা।
৭/ সমস্ত অঙ্গ ধৌত করার আগে একবার করে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম পড়া।
৮/ রাসূল সা: এর উপর দুরুদ পাঠ করা।
৯/ প্রত্যেকটি অঙ ধৌত করার পূর্বে হাদিছে বর্ণিত দুয়া সমূহ পাঠ করা।
১০/ প্রত্যেকটি অঙ্গ ভালোভাবে ধোয়া।
১১/ ওজুতে ঘাড় মাসেহ করা, কিন্তু গলা মাসেহ করা যাবেনা কেননা গলা মাসেহ করা বিদআত।
১২/ প্রতিটি অঙ্গ তার নির্ধারনকৃত সীমা হইতে একটু বাড়িয়ে ধোঁয়া।
১৩/ ওযুর সময় কথাবার্তা না বলা।
১৪/ দুটো পা বাম হাত দিয়ে ধোঁয়া।
১৫/ ওজু করার সময় অন্য কারো সাহায্য না নেওয়া, তবে হ্যা যদি কোনো ওজর থাকে তাহলে কোনো সমস্যা নেই।
১৬/ ওযু করার পর যেই পানিটুকু বাকি থাকবে সেটা পশ্চিম দিক হয়ে দাড়িয়ে পান করা।
১৭/ ওজুর শেষে কালিমা শাহাদাত পাঠ করা
তো বন্ধুরা অনেকেই ওযুর মুস্তাহাব পাঁচটি আবার অনেকেই ওযুর মুস্তাহাব ৭টি বলে উল্লেখ করেছেন। তো আমি এখানে অজুর মোস্তাক ১৭ টি উল্লেখ করেছি, তো এই ক্ষেত্রে বিষয় হচ্ছে আপনি যদি ১৭ টি মুস্তাহাব মানতে পারেন তাহলে আপনার সওয়াব হবে আর আপনি যদি এগুলো না মানেন সে ক্ষেত্রে আপনার কোনো গুনাহ হবে না, তো আশা করি বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন।
Tags
Namaj