রমজান নিয়ে কিছু কথা

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য যিনি আমাদের কে রমজান পর্যন্ত পৌঁছিয়েছেন। রমজান মাসে রমজানের রোজা সম্পর্কে আমাদের অনেক বিষয় সম্পর্কে জানা দরকার, যেগুলো আমাদেরকে জানা অনেক জরুরী, তাই এখন আমি আপনাদের সামনে রমজানের বিভিন্ন বিষয়াদি তুলে ধরার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। আমি যে বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরব আপনার যদি সে আমল করতে পারেন আশা করি আপনাদেরও অনেক উপকার হবে।
রমজান নিয়ে কিছু কথা  সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য যিনি আমাদের কে রমজান পর্যন্ত পৌঁছিয়েছেন। রমজান মাসে রমজানের রোজা সম্পর্কে আমাদের অনেক বিষয় সম্পর্কে জানা দরকার, যেগুলো আমাদেরকে জানা অনেক জরুরী, তাই এখন আমি আপনাদের সামনে রমজানের বিভিন্ন বিষয়াদি তুলে ধরার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। আমি যে বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরব আপনার যদি সে আমল করতে পারেন আশা করি আপনাদেরও অনেক উপকার হবে।  প্রথমে আমাদের কে জানতে হবে রমজানের রোযা রাখা আমাদের উপর ফরজ নাকি সুন্নত নাকি নফল! রমজানের রোযা রাখা আমাদের উপর ফরজ করা হয়েছে।  দলিল হলো কোরআনের আয়াত।  যেমন আল্লাহ তায়ালা কোরআনে বলেন,, ياايهاالذين امنوا كتب عليكم الصيام كما كتب عل الذين من قبلكم لعلكم تتقون،،হে ঈমানদারগন তোমাদের উপর রোযাকে ফরজ করে দেওয়া হয়েছে,, যেমনিভাবে তোমাদের পুর্বস্বরীদের উপর ফরজ করা হয়েছিল,যেন তোমরা পরহেজগার হও। এখন জানতে হবে আমাদের মধ্যে কেউ যদি ইচ্ছায় একটা রোযা ভেঙে ফেলে তাহলে থাকে কাফফারা দিতে হবে।এখন কাফফারা কি! আমাদের জানতে হবে  যদি কেউ একটা রোযা ভেঙে ফেলে শুধু একটা তাহলে তার কাফফারা হলো,, থাকে লাগাতার দুই মাস রোযা রাখতে হবে (অর্থাৎ 60 টা রোযা    রাখতে হবে)দলিল হলো  কোরআনের আয়াত… فمن لم يجد فصيام شهرين متتابعين…..الي اخر……  আর এই 60টা রোযা রাখার মাঝখানে একটাও ভাঙ্গতে পারবেনা,,,,,,যদি ভেঙে ফেলে তাহলে আবার নতুন করে 60টা রোযা রাখতে হবে। আর যদি কেউ রোযা রাখতেও সক্ষম না হয় তাহলে থাকে ষাট জন মিসকিন কে খানা খাওয়াতে হবে।দলিল কোরআনের আয়াত…… فمن لم يستطع فاطعام ستين مسكينا…………. এই হলো একটা দলিল।  আর আল্লাহ তায়ালা আমাদের জন্য এই রোযা কে কয়েকদিনের জন্য নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন,,,,,, কোরআনের আয়াত,,ايامامعدودات……… আরেক টা মাসআলা হলো।যে দেখা যায় আমাদের মধ্যে অনেকেই  অসুস্থ হয়ে পরে অথবা সফর অবস্থায় থাকে তাহলে তাদের জন্য করনীয় কি!  যে ব্যক্তি সফর অবস্থায় থাকে বা কোন ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পরে তাহলে তার জন্য করনীয় হলো,,,যদি অসুস্থ থাকে বা সফর অবস্থায় থাকে  তাহলে সে গনে রাখবে তার কয়টি রোযা রাখতে পারিনি,,,, পরবর্তীতে সে ঐ রোযাগুলো পুরন করবে…আর থাকে কাফফারা দিতে হবেনা,,,দলিল কোরআনের আয়াত,,فمن كان منكم مريضا او علي سفرفعدمن ايامن اخ…….  আর যদি কোন ব্যক্তি গননা করে নাও রাখতে পারে তাহলে সে একজন মিসকিন কে আহার্য দান করবে দলিল হলো কোরআনের আয়াত,,,....... وعلي الذين يطقونه فدية طعام مسكين………. এই হলো রোযা রাখা বা না রাখার করনীয় সম্পর্কে গেলো।  এখন আমাদের কে জানতে হবে,, যে আমাদের সমাজে দেখা যায় অনেক লোক অতিরিক্ত বার্ধক্য বা অনেক বৃদ্ধ হয়ে পরেছে বা দীর্ঘ কাল রোগে আক্রান্ত হয়ে তাদের শরিরের অবস্তা একেবারই দুর্বল হয়ে পরেছে,, তাদের জন্য করনীয় কী!  তাদের জন্য করনীয় হলো যে,, তাদের প্রত্যেকটা রোযার জন্য ফিদিয়া দিতে হবে,,,আর যদি তাও রোযা রাখতে পারে তাহলে সেটা সর্বোত্তম হবে। রোযা রাখা উত্তম হবে দলিল হলো,, কোরআনের আয়াত,,,,وان تصومواخيرلكم ان كنتم تعلمون…… এখন ফিদিয়া কী! কত পরিমান দিতে হবে সেটা জানতে হবে!  (ফিদিয়ার পরিমান টা হলো,,,যদি কেউ গম,আটা,বা ছাতু,দিতে ছায় তাহলে একটা রোযার ফিদিয়ার পরিমান হলো,,,অর্ধ সা, অর্থাৎ এক সের সাড়ে বারো ছটাক দিবে বা এর মুল্য দিয়ে দিবে।আর যদি কেউ খেজুর বা যব বা খিচমিচ দিতে চায় তাহলে এর পরিমান হলো,,এক সা, অর্থাৎ তিন সের সাড়ে নয় ছটাক বা তার মুল্য একজন মিসকিন কে দিয়ে দিবে।) এই হলো রোযার মাসাআলা এবং সংক্ষিপ্ত আলোচনা।  রমজান সম্পর্কে আলোচনা করলে আলোচনা করা শেষ হবে না, রমজানের আরো বিভিন্ন বিষয়াদি সম্পর্কে আলোচনা করলে আজকে আর্টিকেলটা অনেক লম্বা হয়ে যাবে এবং বড় হয়ে যাবে, যা কি না আপনাদেরও পড়তে বিরক্ত লাগবে। তাই আজকের আর্টিকেলটি আর বড় করতে যাচ্ছে না আপাতত যতোটুকু লিখেছি ততটুকুই আমলে আনার চেষ্টা করব আমরা।  আল্লাহ তায়ালা রোযা রাখার ক্ষেত্রে আমাদের জন্য কত সহজ করেছেন,,,,,আমরা যেন সকলেই সঠিক নিয়মে আল্লাহ তায়ালার বিধিবিধান মেনে যেন আল্লাহর সন্তুষ্টিতে রাখতে পারি,, আল্লাহ তায়ালা যেন আমাকে সহ সবাই তাওফিক দান করেন আমিন আমিন।

রমজান নিয়ে কিছু কথা

প্রথমে আমাদের কে জানতে হবে রমজানের রোযা রাখা আমাদের উপর ফরজ নাকি সুন্নত নাকি নফল!
রমজানের রোযা রাখা আমাদের উপর ফরজ করা হয়েছে।

দলিল হলো কোরআনের আয়াত। 
যেমন আল্লাহ তায়ালা কোরআনে বলেন,, ياايهاالذين امنوا كتب عليكم الصيام كما كتب عل الذين من قبلكم لعلكم تتقون،،হে ঈমানদারগন তোমাদের উপর রোযাকে ফরজ করে দেওয়া হয়েছে,, যেমনিভাবে তোমাদের পুর্বস্বরীদের উপর ফরজ করা হয়েছিল,যেন তোমরা পরহেজগার হও।
এখন জানতে হবে আমাদের মধ্যে কেউ যদি ইচ্ছায় একটা রোযা ভেঙে ফেলে তাহলে থাকে কাফফারা দিতে হবে।এখন কাফফারা কি! আমাদের জানতে হবে

যদি কেউ একটা রোযা ভেঙে ফেলে শুধু একটা তাহলে তার কাফফারা হলো,, থাকে লাগাতার দুই মাস রোযা রাখতে হবে (অর্থাৎ 60 টা রোযা রাখতে হবে)দলিল হলো কোরআনের আয়াত…
فمن لم يجد فصيام شهرين متتابعين…..الي اخر…… 
আর এই 60টা রোযা রাখার মাঝখানে একটাও ভাঙ্গতে পারবেনা,,,,,,যদি ভেঙে ফেলে তাহলে আবার নতুন করে 60টা রোযা রাখতে হবে।
আর যদি কেউ রোযা রাখতেও সক্ষম না হয় তাহলে থাকে ষাট জন মিসকিন কে খানা খাওয়াতে হবে।দলিল কোরআনের আয়াত……
فمن لم يستطع فاطعام ستين مسكينا………….
এই হলো একটা দলিল।

আর আল্লাহ তায়ালা আমাদের জন্য এই রোযা কে কয়েকদিনের জন্য নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন,,,,,,
কোরআনের আয়াত,,ايامامعدودات………
আরেক টা মাসআলা হলো।যে দেখা যায় আমাদের মধ্যে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পরে অথবা সফর অবস্থায় থাকে তাহলে তাদের জন্য করনীয় কি!

যে ব্যক্তি সফর অবস্থায় থাকে বা কোন ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পরে তাহলে তার জন্য করনীয় হলো,,,যদি অসুস্থ থাকে বা সফর অবস্থায় থাকে তাহলে সে গনে রাখবে তার কয়টি রোযা রাখতে পারিনি,,,, পরবর্তীতে সে ঐ রোযাগুলো পুরন করবে…আর থাকে কাফফারা দিতে হবেনা,,,দলিল কোরআনের আয়াত,,فمن كان منكم مريضا او علي سفرفعدمن ايامن اخ……. 
আর যদি কোন ব্যক্তি গননা করে নাও রাখতে পারে তাহলে সে একজন মিসকিন কে আহার্য দান করবে দলিল হলো কোরআনের আয়াত,,,.......
وعلي الذين يطقونه فدية طعام مسكين……….
এই হলো রোযা রাখা বা না রাখার করনীয় সম্পর্কে গেলো।

এখন আমাদের কে জানতে হবে,, যে আমাদের সমাজে দেখা যায় অনেক লোক অতিরিক্ত বার্ধক্য বা অনেক বৃদ্ধ হয়ে পরেছে বা দীর্ঘ কাল রোগে আক্রান্ত হয়ে তাদের শরিরের অবস্তা একেবারই দুর্বল হয়ে পরেছে,, তাদের জন্য করনীয় কী! 
তাদের জন্য করনীয় হলো যে,, তাদের প্রত্যেকটা রোযার জন্য ফিদিয়া দিতে হবে,,,আর যদি তাও রোযা রাখতে পারে তাহলে সেটা সর্বোত্তম হবে।
রোযা রাখা উত্তম হবে দলিল হলো,, কোরআনের আয়াত,,,,وان تصومواخيرلكم ان كنتم تعلمون……
এখন ফিদিয়া কী! কত পরিমান দিতে হবে সেটা জানতে হবে!

(ফিদিয়ার পরিমান টা হলো,,,যদি কেউ গম,আটা,বা ছাতু,দিতে ছায় তাহলে একটা রোযার ফিদিয়ার পরিমান হলো,,,অর্ধ সা, অর্থাৎ এক সের সাড়ে বারো ছটাক দিবে বা এর মুল্য দিয়ে দিবে।আর যদি কেউ খেজুর বা যব বা খিচমিচ দিতে চায় তাহলে এর পরিমান হলো,,এক সা, অর্থাৎ তিন সের সাড়ে নয় ছটাক বা তার মুল্য একজন মিসকিন কে দিয়ে দিবে।)
এই হলো রোযার মাসাআলা এবং সংক্ষিপ্ত আলোচনা।

রমজান সম্পর্কে আলোচনা করলে আলোচনা করা শেষ হবে না, রমজানের আরো বিভিন্ন বিষয়াদি সম্পর্কে আলোচনা করলে আজকে আর্টিকেলটা অনেক লম্বা হয়ে যাবে এবং বড় হয়ে যাবে, যা কি না আপনাদেরও পড়তে বিরক্ত লাগবে। তাই আজকের আর্টিকেলটি আর বড় করতে যাচ্ছে না আপাতত যতোটুকু লিখেছি ততটুকুই আমলে আনার চেষ্টা করব আমরা।

আল্লাহ তায়ালা রোযা রাখার ক্ষেত্রে আমাদের জন্য কত সহজ করেছেন,,,,,আমরা যেন সকলেই সঠিক নিয়মে আল্লাহ তায়ালার বিধিবিধান মেনে যেন আল্লাহর সন্তুষ্টিতে রাখতে পারি,, আল্লাহ তায়ালা যেন আমাকে সহ সবাই তাওফিক দান করেন আমিন আমিন।
Previous Post Next Post

نموذج الاتصال