তারাবির নামাজ আট রাকাত না বিশ রাকাত

রহমত ও বরকতের মাস হচ্ছে রমজান মাস আর এই রমজান মাসের অসংখ্য-অগণিত ফজিলত কোরআন ও হাদিসের দ্বারা বর্ণিত রয়েছে। আর এই রমজান মাসে একটি বিষয় নিয়ে আমরা মতানৈক্য করে থাকি সেটি হচ্ছে রমজান মাসের তারাবির নামাজ আট রাকাত না বিশ রাকাত। তো আমি আজকে মূলত এই তারাবির বিষয়টি নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
তারাবির নামাজ আট রাকাত না বিশ রাকাত  রহমত ও বরকতের মাস হচ্ছে রমজান মাস আর এই রমজান মাসের অসংখ্য-অগণিত ফজিলত কোরআন ও হাদিসের দ্বারা বর্ণিত রয়েছে। আর এই রমজান মাসে একটি বিষয় নিয়ে আমরা মতানৈক্য করে থাকি সেটি হচ্ছে রমজান মাসের তারাবির নামাজ আট রাকাত না বিশ রাকাত। তো আমি আজকে মূলত এই তারাবির বিষয়টি নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।  অন্য পোস্ট মাদ্রাসা শিক্ষার গুরুত্ব ও ফজিলত গোসলের ফরজ কয়টি ও কি কি   তারাবির নামাজ আট রাকাত না বিশ রাকাত  আমাদের মধ্যে অনেক ভাইয়েরা এরকম আছে যারা তারাবির নামাজ আট রাকাত করে, আর আমাদের মধ্যে এরকম অনেক ভাইরা আছে যারা তারাবির নামাজ বিশ রাকাত করে।  তো তারাবির নামাজ হচ্ছে মোট বিশ রাকাত। যারা তারাবির নামাজ আট রাকাত পড়েন, তাদের উদ্দেশ্যে বলছি আপনারাও বলতে পারবেন না যে তারাবির নামাজ মানুষেরা আগে আট রাকাত পড়ত। ১২৮৪ হিজরীর পরে তারাবির নামাজ যে আট রাকাত এটা মানুষে পড়তে শুরু করে কিংবা বলতে শুরু করে, ১২৮৪ হিজরীর আগে তারাবির নামাজযে আট রাকাত এই কথার কোন প্রচলন ওই ছিল না, বরং ১২৮৪ হিজরির পরে আট রাকাতের প্রচলন হয়েছে এমনকি মানুষেরা পড়তে শুরু করছে।  তবে হা আম্মাজান আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে রাসূলে পাক সা: রমজান মাসে কি আমল করত? তখন হযরত আম্মাজান আয়েশা বলেছিলেন নবীজি রমজান মাস ও রমজান মাস তারা প্রত্যেকে রাত্রিতেই আট রাকাত নফল নামাজ পড়তেন, এখন এই কথা দিয়ে দলিল দিতে পারবেন না যে তারাবির নামাজ আট রাকাত। রাসুল সাঃ বলে দিয়েছেন যে আমার মৃত্যুবরনের পরে তোমরা খোলাফায়ে রাশেদিন তথা আমার সাহাবীদের অনুসরণ করবে তোমরা আমার হাদিসগুলোকে যেভাবে আঁকড়ে ধরবে সাহাবীদের অনুসরণটা ঠিক সেভাবেই করবে।  হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এর জামানায় তারাবি বিশ রাকাত পড়া হতো, ওসমানের জামানায় ঠিক একই বিশ রাকাত পড়া হতো, হযরত আলীর জামানায়ও বিশ রাকাত তারাবিই পড়া হত। এখন আপনি যদি রাসুলের অনুসরণ করেই থাকেন তাহলে রাসুল সঃ তো বলেছেন যে তোমরা আমার এবং আমার সাহাবীদের অনুসরণ কর, এখন সাহাবীরা বিশ রাকাত তারাবির নামাজ আদায় করেছে তাহলে আমরা কেন তারাবির নামাজ আট রাকাত আদায় করব?  তাছাড়া রমজান মাস হচ্ছে একটি বরকতময় মাস বড় ফজিলতের মাস গুনাহ মাফের মাস, এই মাসে আমরা যত বেশি এবাদত করতে পারব তত বেশি সওয়াবের অধিকারী হতে পারব। কাজেই এখন আমরা যদি বিশ রাকাত তারাবি পড়ি তাহলে বিশ রাকাত তারাবির ভিতরে কিন্তু আট রাকাত আছে, আর আমরা যদি ৮ রাকাত তারাবি পড়ি তাহলে আট রাকাত তারাবির ভিতরে কিন্তু ২০ রাকাত তারাবি নেই কাজেই আমরা যারা আট টাকা তারাবি পড়বো তারা অবশ্যই রমজানের অনেক সওয়াব অর্জন থেকে বঞ্চিত হবো।  যারা ৮ টাকা তারাবি পড়ে তাদের উদ্দেশ্যে আমার কথা হচ্ছে আপনি যদি সত্যিকার অর্থে রাসূলকে ভালোবাসেন তাহলে অবশ্যই সাহাবাদের অনুসরণ করতে হবে, আর আপনি যদি সাহাবাদের অনুসরণ না করেন সে ক্ষেত্রে আপনি প্রকৃতপক্ষে রাসুল প্রেমি না, কারণ রাসুল সাঃ নিজেই বলেছেন যে তোমরা আমার এবং আমার সাহাবীদের অনুসরণ কর।  তখন আপনি আপনার আট রাকাত নফল নামাজ পড়ার নিয়মটাও ঠিক রাখলেন সেইসাথে বিশ রাকাত তারাবিও পড়লেন, তাহলে আপনার উভয়টার উপর আমলও হয়ে গেল এমনকি আপনি সওয়াবেরও অধিকারী হয়ে গেলেন। তারাবি ২০ রাকাত পড়ার মাধ্যমে আপনি সাহাবাদের অনুসরণ হয়ে গেল, আর আপনি তারাবির পরে ৮ রাকাত তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার মাধ্যমে আপনার নিয়মটাও ঠিক থাকলো। তো হিসাব করলে দেখা যায় যে আমাদের মধ্যে তারাবির নামাজ ৮ রাকাত না ২০ রাকাত এটা নিয়ে মতানৈক্য থাকবে না এমনকি আমরাও সবের অধিকারী হবে।  তো যারা আট রাকাত তারাবির উপর দলিল পেশ করে, তাদেরকে বলব আপনারা যদি রাসুলকে ভালোবাসেন তাহলে রাসুলের সাহাবীরা বিশ রাকাত তারাবির নামাজ পড়েছে আপনারাও বিশ রাকাত তারাবির নামাজ পড়েন, আর আপনাদের নিয়ম ঠিক রাখার জন্য ৮ রাকাত নফল নামাজ পড়তে পারেন তাহলে আপনাদের নিয়মটাও ঠিক থাকলেও এমনকি বিশ রাকাত তারাবিও আদায় হয়ে গেল। তাছাড়া আপনি বিশ রাকাত তারাবি যদি পড়েন সেই ক্ষেত্রে তো আর আপনি গুনাহগার হবেন না বরং সবের অধিকারী হবেন, আর যদি ৮ রাকাত পড়েন সে ক্ষেত্রে আপনি অনেকটা সওয়াব থেকে বঞ্চিত হয়ে গেলেন।  পরিশেষে একটা কথাই বলতে চাই আমরা মুসলমান ধর্মের মানুষ আমাদের মধ্যে কেন সামান্য বিষয় নিয়ে ঝগড়া কিংবা মতানৈক্য থাকবে, এছাড়া বিশ রাকাত নামাজ পড়লে তো আর কোন ক্ষতি নেই, তাই আসুন আমরা সবাই বিশ রাকাত তারাবির নামাজ আদায় করি এবং পাশাপাশি ৮ রাকাত নফল নামাজও আদায় করি, তাহলে আমাদের মধ্যে আর কোন মতানৈক্য থাকবে না।

তারাবির নামাজ আট রাকাত না বিশ রাকাত

আমাদের মধ্যে অনেক ভাইয়েরা এরকম আছে যারা তারাবির নামাজ আট রাকাত করে, আর আমাদের মধ্যে এরকম অনেক ভাইরা আছে যারা তারাবির নামাজ বিশ রাকাত করে।

তো তারাবির নামাজ হচ্ছে মোট বিশ রাকাত। যারা তারাবির নামাজ আট রাকাত পড়েন, তাদের উদ্দেশ্যে বলছি আপনারাও বলতে পারবেন না যে তারাবির নামাজ মানুষেরা আগে আট রাকাত পড়ত। ১২৮৪ হিজরীর পরে তারাবির নামাজ যে আট রাকাত এটা মানুষে পড়তে শুরু করে কিংবা বলতে শুরু করে, ১২৮৪ হিজরীর আগে তারাবির নামাজযে আট রাকাত এই কথার কোন প্রচলন ওই ছিল না, বরং ১২৮৪ হিজরির পরে আট রাকাতের প্রচলন হয়েছে এমনকি মানুষেরা পড়তে শুরু করছে।

তবে হা আম্মাজান আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে রাসূলে পাক সা: রমজান মাসে কি আমল করত? তখন হযরত আম্মাজান আয়েশা বলেছিলেন নবীজি রমজান মাস ও রমজান মাস তারা প্রত্যেকে রাত্রিতেই আট রাকাত নফল নামাজ পড়তেন, এখন এই কথা দিয়ে দলিল দিতে পারবেন না যে তারাবির নামাজ আট রাকাত। রাসুল সাঃ বলে দিয়েছেন যে আমার মৃত্যুবরনের পরে তোমরা খোলাফায়ে রাশেদিন তথা আমার সাহাবীদের অনুসরণ করবে তোমরা আমার হাদিসগুলোকে যেভাবে আঁকড়ে ধরবে সাহাবীদের অনুসরণটা ঠিক সেভাবেই করবে।

হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এর জামানায় তারাবি বিশ রাকাত পড়া হতো, ওসমানের জামানায় ঠিক একই বিশ রাকাত পড়া হতো, হযরত আলীর জামানায়ও বিশ রাকাত তারাবিই পড়া হত। এখন আপনি যদি রাসুলের অনুসরণ করেই থাকেন তাহলে রাসুল সঃ তো বলেছেন যে তোমরা আমার এবং আমার সাহাবীদের অনুসরণ কর, এখন সাহাবীরা বিশ রাকাত তারাবির নামাজ আদায় করেছে তাহলে আমরা কেন তারাবির নামাজ আট রাকাত আদায় করব?

তাছাড়া রমজান মাস হচ্ছে একটি বরকতময় মাস বড় ফজিলতের মাস গুনাহ মাফের মাস, এই মাসে আমরা যত বেশি এবাদত করতে পারব তত বেশি সওয়াবের অধিকারী হতে পারব। কাজেই এখন আমরা যদি বিশ রাকাত তারাবি পড়ি তাহলে বিশ রাকাত তারাবির ভিতরে কিন্তু আট রাকাত আছে, আর আমরা যদি ৮ রাকাত তারাবি পড়ি তাহলে আট রাকাত তারাবির ভিতরে কিন্তু ২০ রাকাত তারাবি নেই কাজেই আমরা যারা আট টাকা তারাবি পড়বো তারা অবশ্যই রমজানের অনেক সওয়াব অর্জন থেকে বঞ্চিত হবো।

যারা ৮ টাকা তারাবি পড়ে তাদের উদ্দেশ্যে আমার কথা হচ্ছে আপনি যদি সত্যিকার অর্থে রাসূলকে ভালোবাসেন তাহলে অবশ্যই সাহাবাদের অনুসরণ করতে হবে, আর আপনি যদি সাহাবাদের অনুসরণ না করেন সে ক্ষেত্রে আপনি প্রকৃতপক্ষে রাসুল প্রেমি না, কারণ রাসুল সাঃ নিজেই বলেছেন যে তোমরা আমার এবং আমার সাহাবীদের অনুসরণ কর।

তখন আপনি আপনার আট রাকাত নফল নামাজ পড়ার নিয়মটাও ঠিক রাখলেন সেইসাথে বিশ রাকাত তারাবিও পড়লেন, তাহলে আপনার উভয়টার উপর আমলও হয়ে গেল এমনকি আপনি সওয়াবেরও অধিকারী হয়ে গেলেন। তারাবি ২০ রাকাত পড়ার মাধ্যমে আপনি সাহাবাদের অনুসরণ হয়ে গেল, আর আপনি তারাবির পরে ৮ রাকাত তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার মাধ্যমে আপনার নিয়মটাও ঠিক থাকলো। তো হিসাব করলে দেখা যায় যে আমাদের মধ্যে তারাবির নামাজ ৮ রাকাত না ২০ রাকাত এটা নিয়ে মতানৈক্য থাকবে না এমনকি আমরাও সবের অধিকারী হবে।

তো যারা আট রাকাত তারাবির উপর দলিল পেশ করে, তাদেরকে বলব আপনারা যদি রাসুলকে ভালোবাসেন তাহলে রাসুলের সাহাবীরা বিশ রাকাত তারাবির নামাজ পড়েছে আপনারাও বিশ রাকাত তারাবির নামাজ পড়েন, আর আপনাদের নিয়ম ঠিক রাখার জন্য ৮ রাকাত নফল নামাজ পড়তে পারেন তাহলে আপনাদের নিয়মটাও ঠিক থাকলেও এমনকি বিশ রাকাত তারাবিও আদায় হয়ে গেল। তাছাড়া আপনি বিশ রাকাত তারাবি যদি পড়েন সেই ক্ষেত্রে তো আর আপনি গুনাহগার হবেন না বরং সবের অধিকারী হবেন, আর যদি ৮ রাকাত পড়েন সে ক্ষেত্রে আপনি অনেকটা সওয়াব থেকে বঞ্চিত হয়ে গেলেন।

পরিশেষে একটা কথাই বলতে চাই আমরা মুসলমান ধর্মের মানুষ আমাদের মধ্যে কেন সামান্য বিষয় নিয়ে ঝগড়া কিংবা মতানৈক্য থাকবে, এছাড়া বিশ রাকাত নামাজ পড়লে তো আর কোন ক্ষতি নেই, তাই আসুন আমরা সবাই বিশ রাকাত তারাবির নামাজ আদায় করি এবং পাশাপাশি ৮ রাকাত নফল নামাজও আদায় করি, তাহলে আমাদের মধ্যে আর কোন মতানৈক্য থাকবে না।
Previous Post Next Post

نموذج الاتصال