বিদআত কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি

বিদআত কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি: আমাদের সমাজে এখন বর্তমানে বিদআত নিয়ে অনেক আলোচনা পর্যালোচনা হয়ে থাকে, তাই আমি আজকে নিয়ত করেছি আপনাদের সামনে বিদআত নিয়ে সম্পূর্ণ আলোচনা করব, তাই আপনি যদি আমার আজকের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আশা করি বিদআত নিয়ে আপনার মনে আর কোন প্রশ্ন থাকবে না।

বিদআত কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি  আমাদের সমাজে এখন বর্তমানে বিদআত নিয়ে অনেক আলোচনা পর্যালোচনা হয়ে থাকে, তাই আমি আজকে নিয়ত করেছি আপনাদের সামনে বিদআত নিয়ে সম্পূর্ণ আলোচনা করব, তাই আপনি যদি আমার আজকের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আশা করি বিদআত নিয়ে আপনার মনে আর কোন প্রশ্ন থাকবে না।  বিদআতের আভিধানিক ও পারিভাষিক অর্থ  আভিধানিক অর্থ: বিদআত শব্দটির আভিধানিক অর্থ হচ্ছে পূর্বের নমুনা বিহীন সৃষ্টি করা অর্থাৎ পূর্বের ন্যায় সৃষ্টি করা।  পারিপার্শ্বিক অর্থ: বিদআতের পারিভাষিক অর্থ বর্ণনা করতে গিয়ে যদিও বিভিন্ন ওলামায়ে কেরাম বিভিন্ন সংজ্ঞা দিয়েছেন কিন্তু মূলত তাদের মূল ভাষ্য ও অর্থ একই। ইমাম শাফেয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন বিদআত এমন বিষয়কে বলা হয় যা কুরআনুল কারীম ও হাদিসে নববী সাহাবায়ে কেরামের আসর এবং ইজমায়ে উম্মত এর  তরিকার পরিপন্থী তৈরি বা আবিষ্কার করা হয়েছে। ইবনে হাজার আসকালানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন বেদাত বলা হয় এমন বিষয়কে শরীয়তে যার কোন মূলত ভিত্তি নেই।  অন্য পোস্ট তাবলগের ৬ নম্বর বয়ান বাদ মাগরিব তাবলীগের বয়ান  বিদআত কত প্রকার ও কি কি  বিদআত হচ্ছে দুই প্রকার (১) আকিদাগত বিদআত (২) আমলীগত বিদআত।  ১. আকিদাগত বিদআত হচ্ছে এমন বিশ্বাস বা মত পোষণ করা যা নবী করীম সাঃ সাহাবায়ে কেরাম তাবেঈন এবং তাবে তাবেঈনের আকিদার বিপরীত। যেমন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হাজির নাজির মনে করা, অদৃশ্যের খবর যেন এরকম মনে করা, এবং হযরত ঈসা আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম মৃত্যুবরণ করেছেন এমনকি নবুয়তের ধারা এখন পর্যন্ত অবশিষ্ট রয়েছে ইত্যাদি রকমের মতবাদ পোষণ করা এবং এগুলোকে বিশ্বাস করা।  ২. আমলীগত বিদআত হচ্ছে সব অর্জনের আশায় ইসলামের অন্তর্ভুক্ত মনে করে এমন কোন আমল করা যা নবী করীম সাঃ এবং সাহাবায়ে কেরামের তরিকার বিপরীত। যেমন মিলাদ করা, কিয়াম করা, ওরশ করা, মৃত ব্যক্তির চল্লিশা পালন করা, কবরের উপরে বাড়ি বানানো, কবরের উপরে চান্দুয়া টানানো, এবং কবরের মধ্যে বাতি জ্বালানো ইত্যাদি।  আকিদাগত বিদআতের শরঈ বিধান  কুরআনুল কারীমের ও হাদীসে নববীর যে সমস্ত বিশ্বস্ত দলিল দ্বারা যেসব বিশ্বাস ও আকীদা প্রমাণিত আছে ইহার বিপরীতে কোন বিশ্বাস পোষণ করলে তা কুফুরি ও হারাম হবে। যেমন নবী করীম সাঃ কে শেষ নবী বলে বিশ্বাস না করা এবং অদৃশ্যের খবর জানে এরকম মনে করা এবং হাজির-নাজির বলে মনে করা, কুরআনের কিছু অংশ এখনো আবিষ্কৃত হয়নি বলে মনে করা এবং পীর বুজুর্গ কে সমস্ত ক্ষমতার উৎস হিসেবে বিশ্বাস করা।  আর যে সমস্ত বিশ্বাস বিশ্বস্ত বা অকাট্য দলিল দ্বারা সাব্যস্ত নয় কিন্তু তা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত অর্থাৎ হকপন্থী ওলামায়ে কেরামের বিপরীত। যেমন নবী করীম সাঃ কে নূরের তৈরি বলে মনে করা এবং সাহাবায়ে কেরামদেরকে সত্যের মাপকাঠি নয় এই বলে বিশ্বাস করা এ ধরনের বিদআত হচ্ছে গুমরাহী বা নাজায়েজ কিন্তু তা কুফরি নয়।  বিদআতে আমলী এর শরঈ বিধান  যে সমস্ত আমল অকাট্য দলিলের বিপরীত তা নাজায়েজ এবং হারাম কিন্তু তা কুফুরি নয়। যেমন কবরকে পাকা করা, মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা চল্লিশা করা ইত্যাদি।  আর যে সমস্ত বিদআতে আমলী অকাট্ট দলিল প্রমাণ দ্বারা প্রমাণিত নয় তবে তা আহলে সুন্নাতি ওয়াল জামাতি এর বিপরীত তা করা মাকরুহ, যেমন মাজারে গিলাপসহ বিভিন্ন কিছু দেওয়া ইত্যাদি।  বিদআতিকে শরীয়তের দৃষ্টিতে কাফের বলা হবে নাকি গুমরা বলা হবে  বিদআতিকে সম্পূর্ণ কাফের বলা যাবে কিনা এর মধ্যে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ রয়েছে। যদি বিদাতি শরীয়তের মুতাওয়াতের এর এবং জরুরীয়াতে দিনকে অস্বীকার করে ফেলে তাহলে এই অবস্থায় তাকে কাফের বলা হবে। যেমন যদি কোন ব্যক্তি দুই ওয়াক্ত নামাজকে ফরজ মনে করলো এবং নবীজির সুন্নতকে উপহাস করল ইত্যাদি।  ঠিক একইভাবে যে সমস্ত বিদাতিরা আকিদা শিরিকযুক্ত তাদেরকে মুশরিক বলা হবে, যেমন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অদৃশ্যের খবর জানে এরকম বলে বিশ্বাস করা, এবং পীরকে স্বতন্ত্র ক্ষমতার অধিকারী বলে বিশ্বাস করা ইত্যাদি। এই সমস্ত ব্যক্তিদের কে শরীয়তে দৃষ্টিতে কাফের বলা হবে না বরং তাদেরকে পথভ্রষ্ট ও ভ্রান্ত বলা হবে।   শেষ কথা - বিদআত কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি  তো বন্ধুরা আমি আপনাদের সাথে বিদআতের কিছু পরিচয় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি, অর্থাৎ বিদআতের শাব্দিক ও পারিভাষিক অর্থ সেই সাথে আকিদা গত বিদআত ও আমলগত বিদআত ইত্যাদি সম্পর্কেও আপনাদের সাথে ভালোভাবে আলোচনা করেছি। বর্তমান সময়ে বিদাতের সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে তাই আমাদের সকলেরই উচিত সর্বদাই বিদআত থেকে বেঁচে থাকা, কেননা বিদআত শরীয়তের একটি গর্হিত কাজ তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত সর্বদাই বিদআত থেকে বিরত থাকা এবং আমাদের প্রতিবেশীদের কেউ বিদআত থেকে দূরে সরিয়ে আনা।  তাছাড়া হাদিসে নববী অর্থাৎ হাদিস শরীফের মধ্যে এসেছে ইসলামের নামে প্রত্যেক নতুন কিছুই হচ্ছে বিদআত, আর এই সমস্ত প্রত্যেক নতুন কিছু বিদআত হচ্ছে পথভ্রষ্ট অর্থাৎ গোমরাহী, আর প্রত্যেক গুমরাহির স্থান হচ্ছে জাহান্নাম। সুতরাং এটি খুবই একটি মারাত্মক কথা তাই আমাদের কখনো বিদআতের আশেপাশে যাওয়া যাবে না, নিজেরা কখনো ইসলামের নামে কোন কিছু বানাবো না বরং ইসলামে যা কিছু আছে নবী করীম সাঃ হইতে বর্ণিত হয়েছে তাকে আমরা আঁকড়ে ধরবো এবং ইহার উপর আমল করব ইনশাল্লাহ।  অন্য পোস্ট হাতে ধান কাটার মেশিন কোন কোন পানি দ্বারা তাহারাত অর্জন বৈধ নয়

বিদআতের আভিধানিক ও পারিভাষিক অর্থ

আভিধানিক অর্থ: বিদআত শব্দটির আভিধানিক অর্থ হচ্ছে পূর্বের নমুনা বিহীন সৃষ্টি করা অর্থাৎ পূর্বের ন্যায় সৃষ্টি করা।

পারিপার্শ্বিক অর্থ: বিদআতের পারিভাষিক অর্থ বর্ণনা করতে গিয়ে যদিও বিভিন্ন ওলামায়ে কেরাম বিভিন্ন সংজ্ঞা দিয়েছেন কিন্তু মূলত তাদের মূল ভাষ্য ও অর্থ একই। ইমাম শাফেয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন বিদআত এমন বিষয়কে বলা হয় যা কুরআনুল কারীম ও হাদিসে নববী সাহাবায়ে কেরামের আসর এবং ইজমায়ে উম্মত এর তরিকার পরিপন্থী তৈরি বা আবিষ্কার করা হয়েছে। ইবনে হাজার আসকালানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন বেদাত বলা হয় এমন বিষয়কে শরীয়তে যার কোন মূলত ভিত্তি নেই।


বিদআত কত প্রকার ও কি কি

বিদআত হচ্ছে দুই প্রকার (১) আকিদাগত বিদআত (২) আমলীগত বিদআত।

১. আকিদাগত বিদআত হচ্ছে এমন বিশ্বাস বা মত পোষণ করা যা নবী করীম সাঃ সাহাবায়ে কেরাম তাবেঈন এবং তাবে তাবেঈনের আকিদার বিপরীত। যেমন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হাজির নাজির মনে করা, অদৃশ্যের খবর যেন এরকম মনে করা, এবং হযরত ঈসা আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম মৃত্যুবরণ করেছেন এমনকি নবুয়তের ধারা এখন পর্যন্ত অবশিষ্ট রয়েছে ইত্যাদি রকমের মতবাদ পোষণ করা এবং এগুলোকে বিশ্বাস করা।

২. আমলীগত বিদআত হচ্ছে সব অর্জনের আশায় ইসলামের অন্তর্ভুক্ত মনে করে এমন কোন আমল করা যা নবী করীম সাঃ এবং সাহাবায়ে কেরামের তরিকার বিপরীত। যেমন মিলাদ করা, কিয়াম করা, ওরশ করা, মৃত ব্যক্তির চল্লিশা পালন করা, কবরের উপরে বাড়ি বানানো, কবরের উপরে চান্দুয়া টানানো, এবং কবরের মধ্যে বাতি জ্বালানো ইত্যাদি।

আকিদাগত বিদআতের শরঈ বিধান

কুরআনুল কারীমের ও হাদীসে নববীর যে সমস্ত বিশ্বস্ত দলিল দ্বারা যেসব বিশ্বাস ও আকীদা প্রমাণিত আছে ইহার বিপরীতে কোন বিশ্বাস পোষণ করলে তা কুফুরি ও হারাম হবে। যেমন নবী করীম সাঃ কে শেষ নবী বলে বিশ্বাস না করা এবং অদৃশ্যের খবর জানে এরকম মনে করা এবং হাজির-নাজির বলে মনে করা, কুরআনের কিছু অংশ এখনো আবিষ্কৃত হয়নি বলে মনে করা এবং পীর বুজুর্গ কে সমস্ত ক্ষমতার উৎস হিসেবে বিশ্বাস করা।

আর যে সমস্ত বিশ্বাস বিশ্বস্ত বা অকাট্য দলিল দ্বারা সাব্যস্ত নয় কিন্তু তা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত অর্থাৎ হকপন্থী ওলামায়ে কেরামের বিপরীত। যেমন নবী করীম সাঃ কে নূরের তৈরি বলে মনে করা এবং সাহাবায়ে কেরামদেরকে সত্যের মাপকাঠি নয় এই বলে বিশ্বাস করা এ ধরনের বিদআত হচ্ছে গুমরাহী বা নাজায়েজ কিন্তু তা কুফরি নয়।

বিদআতে আমলী এর শরঈ বিধান

যে সমস্ত আমল অকাট্য দলিলের বিপরীত তা নাজায়েজ এবং হারাম কিন্তু তা কুফুরি নয়। যেমন কবরকে পাকা করা, মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা চল্লিশা করা ইত্যাদি।

আর যে সমস্ত বিদআতে আমলী অকাট্ট দলিল প্রমাণ দ্বারা প্রমাণিত নয় তবে তা আহলে সুন্নাতি ওয়াল জামাতি এর বিপরীত তা করা মাকরুহ, যেমন মাজারে গিলাপসহ বিভিন্ন কিছু দেওয়া ইত্যাদি।

বিদআতীকে শরীয়তের দৃষ্টিতে কাফের বলা হবে নাকি গুমরা বলা হবে

বিদআতীকে সম্পূর্ণ কাফের বলা যাবে কিনা এর মধ্যে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ রয়েছে। যদি বিদাতি শরীয়তের মুতাওয়াতের এর এবং জরুরীয়াতে দিনকে অস্বীকার করে ফেলে তাহলে এই অবস্থায় তাকে কাফের বলা হবে। যেমন যদি কোন ব্যক্তি দুই ওয়াক্ত নামাজকে ফরজ মনে করলো এবং নবীজির সুন্নতকে উপহাস করল ইত্যাদি।

ঠিক একইভাবে যে সমস্ত বিদাতিরা আকিদা শিরিকযুক্ত তাদেরকে মুশরিক বলা হবে, যেমন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অদৃশ্যের খবর জানে এরকম বলে বিশ্বাস করা, এবং পীরকে স্বতন্ত্র ক্ষমতার অধিকারী বলে বিশ্বাস করা ইত্যাদি। এই সমস্ত ব্যক্তিদের কে শরীয়তে দৃষ্টিতে কাফের বলা হবে না বরং তাদেরকে পথভ্রষ্ট ও ভ্রান্ত বলা হবে।

 

শেষ কথা - বিদআত কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি

তো বন্ধুরা আমি আপনাদের সাথে বিদআতের কিছু পরিচয় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি, অর্থাৎ বিদআতের শাব্দিক ও পারিভাষিক অর্থ সেই সাথে আকিদা গত বিদআত ও আমলগত বিদআত ইত্যাদি সম্পর্কেও আপনাদের সাথে ভালোভাবে আলোচনা করেছি। বর্তমান সময়ে বিদাতের সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে তাই আমাদের সকলেরই উচিত সর্বদাই বিদআত থেকে বেঁচে থাকা, কেননা বিদআত শরীয়তের একটি গর্হিত কাজ তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত সর্বদাই বিদআত থেকে বিরত থাকা এবং আমাদের প্রতিবেশীদের কেউ বিদআত থেকে দূরে সরিয়ে আনা।

তাছাড়া হাদিসে নববী অর্থাৎ হাদিস শরীফের মধ্যে এসেছে ইসলামের নামে প্রত্যেক নতুন কিছুই হচ্ছে বিদআত, আর এই সমস্ত প্রত্যেক নতুন কিছু বিদআত হচ্ছে পথভ্রষ্ট অর্থাৎ গোমরাহী, আর প্রত্যেক গুমরাহির স্থান হচ্ছে জাহান্নাম। সুতরাং এটি খুবই একটি মারাত্মক কথা তাই আমাদের কখনো বিদআতের আশেপাশে যাওয়া যাবে না, নিজেরা কখনো ইসলামের নামে কোন কিছু বানাবো না বরং ইসলামে যা কিছু আছে নবী করীম সাঃ হইতে বর্ণিত হয়েছে তাকে আমরা আঁকড়ে ধরবো এবং ইহার উপর আমল করব ইনশাল্লাহ।


Previous Post Next Post

نموذج الاتصال