তাবলীগ জামাতের ফজর বাদ বয়ান | সমস্যা কি

তাবলীগ জামাতের সমস্ত ভাইদেরকে আমি মোবারকবাদ ও মারহাবা জানাচ্ছি। আমরা যারা তাবলীগে যাই নতুন অবস্থায় তখন তারা কিন্তু তাবলীগের বয়ান সম্পর্কে এতটা অবগত থাকেনা। তাই তাবলীগ জামাতের ফজর বাদ বয়ান করার জন্য যে ভাইকে সিলেক্ট করা হয় সে হয়তো নতুন হওয়ার কারণে বয়ান করতে পারে না বা সাহস পায় না, যেমন অবস্থায় আমি নিজেও সম্মুখীন হয়েছি। তো সেই সমস্ত ভাইয়েরা তখন গুগলে সার্চ করে থাকে যে তাবলীগ জামাতের ফজর বাদ বয়ান, তারপর তারা সেখান থেকে কিছু বয়ান দেখে ফজর বাদ বয়ান করার চেষ্টা করে।

তাবলীগ জামাতের ফজর বাদ বয়ান | সমস্যা কি  তাবলীগ জামাতের সমস্ত ভাইদেরকে আমি মোবারকবাদ ও মারহাবা জানাচ্ছি। আমরা যারা তাবলীগে যাই নতুন অবস্থায় তখন তারা কিন্তু তাবলীগের বয়ান সম্পর্কে এতটা অবগত থাকেনা। তাই তাবলীগ জামাতের ফজর বাদ বয়ান করার জন্য যে ভাইকে সিলেক্ট করা হয় সে হয়তো নতুন হওয়ার কারণে বয়ান করতে পারে না বা সাহস পায় না, যেমন অবস্থায় আমি নিজেও সম্মুখীন হয়েছি। তো সেই সমস্ত ভাইয়েরা তখন গুগলে সার্চ করে থাকে যে তাবলীগ জামাতের ফজর বাদ বয়ান, তারপর তারা সেখান থেকে কিছু বয়ান দেখে ফজর বাদ বয়ান করার চেষ্টা করে।  তো যে সমস্ত ভাইয়েরা ফজরবাদ বয়ান করার জন্য সিলেক্ট হয়েছেন কিংবা ফজর বাদ বয়ান সম্পর্কে জানতে চাইতেছেন আমি বলব তারা একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন, কেননা আজকের এই আর্টকেলটি যদি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন তাহলে আশা করি খুব সুন্দর ও সুশীল ভাষায় আপনি ফজর বাদ বয়ান করতে পারবেন। এবং আমার এই আর্টিকেলটি পড়ার পর আপনি ফজর বাদ বয়ান লিখে আশা করি গুগলে আর অন্য কোথাও সার্চ করতে হবে না, তো আসুন এবার শুরু করা যাক ফজর বাদ বয়ান।  অন্য পোস্ট তাবলীগের ৬ নম্বর বয়ান বাদ মাগরিব তাবলীগের বয়ান   তাবলীগ জামাতের ফজর বাদ বয়ান  সমস্ত প্রশংসা ওই আল্লাহ তায়ালার জন্য যেই আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন আপনি আমাকে অর্ধমৃত থেকে জাগাইয়া পুনরায় আল্লাহপাকের ঘর মসজিদে এসে আল্লাহপাকের হুকুম ফজরের দুই রাকাত ফরজ নামাজ জামাতের শহিত আদায় করিবার তৌফিক দান করেছেন, সেজন্য আমরা সকলেই সেই রব্বে কাবার দরবারে শুকরিয়া আদায় করি বলি আলহামদুলিল্লাহ। এশারের নামাজের পর থেকে আমরা দুনিয়ার সমস্ত মানুষ কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিলাম, একদল এই রাত্রিটাকে গনিমত মনে করিয়া আল্লাহ পাকের ইবাদতে ব্যস্ত ছিল, অপর আরেক দল এই রাত্রিতে ইবাদত না করিয়া ঘুমাইয়া ছিল, অপর আরেকটা দল এই রাত্রিটাকে সুবর্ণ সুযোগ মনে করিয়া বিভিন্ন ধরনের অশ্লীল কাজ জুয়া হাউজি রাহাজানি ব্যভিচার মদ ইত্যাদি খারাপ কাজের মধ্যে লিপ্ত হয়েছে।  কেউবা হারাম রিলেশন এর মধ্যে জড়িত হইয়া কথা বলতে বলতে রাত্রি টাকে শেষ করিয়া দিছে, আবার কেউবা অসুস্থ হইয়া এই রাত্রি হাসপাতালে অবস্থান করেছে এভাবে বিভিন্নজন এই রাত্রি টাকে বিভিন্ন কাজের মধ্যে ব্যবহার করেছে। আবার কেউবা এই ঘুম থেকে কখনই উঠতে পারেনি অর্থাৎ চিরনিদ্রায় সাহিত্য হয়েছেন, আবার কেউ ফজরের আজান শুনিয়া ঘুম থেকে উঠিয়া অজু করে আল্লাহ পাকের ঘর মসজিদে এসে আল্লাহপাকের পায়ে সেজদা দেওয়ার জন্য তৈরি হয়। ওই ব্যক্তি যখন মসজিদে আসে তখন তার প্রত্যেকটা কদমের বিনিময়ে গুনাহ মাফ করা হয় নেকি লেখা হয়, এবং ওই ব্যক্তি যতক্ষণ আল্লাহ পাকের ঘর মসজিদে অবস্থান করবে ততক্ষণ পর্যন্ত ওই ব্যক্তির আমলনামায় ফেরেশতারা নেক আমল লিপিবদ্ধ করতে থাকবে।  আর তাছাড়া নামাজ আদায়কারী ব্যক্তি যতক্ষণ সময় নামাজের জন্য অপেক্ষা করতে থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত ওই ব্যক্তি নামাজের সোয়াব পেতে থাকবে, আর যখনই ওই ব্যক্তি নামাজের মধ্যে মশগুল হয়ে যাইবে তখনই আল্লাহ পাকের রহমত ওই ব্যক্তির উপর বর্ষন হইতে থাকবে। নামাজী ব্যক্তি যখন দাঁড়িয়ে নামাজ পড়বে তখন প্রত্যেকটা হরফের বিনিময়ে ১০০ করে নেকি থেকে দেওয়া হইবে। নামাজি ব্যক্তি যদি বসে নামাজ পড়ে তাহলে প্রত্যেকটা হরফের বিনিময়ে তাকে 50 নেকি করে দেওয়া হবে।  প্রথমে তাকবিরে উলার সাথে নামাজে শরিক হওয়া এই দুনিয়ায় সমস্ত নেকির সমান সব। নামাজ হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ জিহাদ নামাজী ব্যক্তি যখন রুকুতে যায় তখন ঐ ব্যক্তির শরীরের ওজনের সমপরিমাণ স্বর্ণ আল্লাহর রাস্তায় দান করলে যেই সোয়াব হত সেই সওয়াব নামাজী ব্যক্তির আমল নামায় দিয়ে দেওয়া হবে, সুবহানাল্লাহ। নামাজি ব্যক্তি যখন নামাজ শেষ করার জন্য ডানদিকে সালাম ফিরায় তখন জান্নাতের আটটি দরজা ওই ব্যক্তির জন্য খুলে দেওয়া হয়, আর নামাজী ব্যক্তি যখন বাম দিকে সালাম ফিরাই তখন জাহান্নামের সাতটি দরজা ওই ব্যক্তির জন্য বন্ধ করিয়ে দেওয়া হয়, সুবহানাল্লাহ।  কুনু ব্যক্তি যদি নামাজের পর জিকির কারী ব্যক্তির পাশে বসে থাকে তাহলে ওই ব্যক্তির আমলনামায় চারজন গোলাম আজাদ করার সওয়াব দেওয়া হইবে, আর একটি গোলাপের দাম হল বারো হাজার টাকা অনুরূপভাবে চারটি গোলামের দাম হবে 48 হাজার টাকা দান করার সওয়াব। ফজরের নামাজের পরে যদি কোন ব্যক্তি সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পাঠ করে তাহলে ওই ব্যক্তির জন্য সারাদিন 70000 ফেরেশতা দোয়া করতে থাকে, আর যদি সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত মাগরিবের নামাজের পর আদায় করে তাহলে এমনিভাবে সারারাত ওই ব্যক্তির জন্য ফেরেশতারা দোয়া করতে থাকে।  অতঃপর কোন ব্যক্তি যদি সূর্য উদিত হওয়ার ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরে এশরাকের দুই রাকাত নামাজ আদায় করে তাহলে ঐ ব্যক্তির আমলনামায় একটা কবুল হজ্জ ও একটা ওমরা পালনের সওয়াব দিয়ে দেওয়া হবে সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি। তারপর ওই ব্যক্তি যদি আরও দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করে তাহলে ওই ব্যক্তির সারাদিনের জিম্মা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নিয়ে নেন।  নামাজ পড়ার পর কেউ যদি ১০০ বার সুবাহানাল্লাহ এই তাসবিটি পাঠ করে তাহলে ১০০ টা গোলাম আজাদ করার সওয়াব তার আমলনামায় দেওয়া হবে। অতঃপর আলহামদুলিল্লাহ এই তাসবিহ টি যদি কেউ একশতবার পাঠ করে তাহলে যুদ্ধের ময়দানে সামানা সহ একশত ঘোড়া দান করার সোয়াব তার আমল নামায় দেওয়া হবে। অতঃপর লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এই তাসবিহটি যদি কেউ একশতবার পাঠ করে তাহলে আসমান ও জমিনের মধ্যবর্তী স্থানে যেই ফাঁকা স্থানগুলো রয়েছে সেটা সম্পূর্ণ নেকি দ্বারা পরিবর্তন করে দেয়া হয়।  আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সা: বলেছেন আমার উম্মতের যদি কোন ব্যক্তি ফিতনা-ফাসাদের জমানায় আমার একটা সুন্নতকে আঁকড়ে ধরে তাহলে ওই ব্যক্তির আমলনামায় একশত গলাকাটা শহীদের সওয়াব দান করা হবে সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি। যে ব্যক্তি এক ওয়াক্ত নামাজ আদায় করল সে ৩,৩৫,৫৪,৪৩২ নেকি অর্জন করলো, আর যে ব্যক্তি এক ওয়াক্ত নামাজ ছাড়িয়া দিল সেই ব্যক্তি ২৩০,৪০ লক্ষ বছর শাস্তি ভোগ করবে।  আর যে সমস্ত ভাইয়েরা নামাজের মধ্যে আসে নাই তারা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তের মধ্যে রয়েছে, আর তাদের কাছে দিনের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়ার জন্য রাসূল সাঃ আমাদের উপর দায়িত্ব অর্পণ করেছেন। তাই ঐ সমস্ত মানুষকে দিনের পথে ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদেরকে মেহনত করতে হবে, তাই ভাইয়েরা আমার কারা কারা গাস্তেযাবেন খুশি মনে হাতটা তুলুন, কিংবা যারা এনফেরাদি ভাবে গাস্তে যাবেন তারা খুশি খুশি মনে একটু হাতটা তুলে দেখাই।  শেষ কথা - তাবলীগ জামাতের ফজর বাদ বয়ান  তো ভাইয়েরা আমার উপরে আমি যে সমস্ত কথাগুলো লিখেছি ঐ সমস্ত কথাগুলো আপনি সঠিক বচনবঙ্গীতে এবং শুদ্ধভাবে বলার চেষ্টা করবেন। এবং এই সমস্ত কথাগুলো বলে মানুষদেরকে গাস্তে যাওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করবেন। নিয়ম অনুসারে আপনি যদি কথাগুলো বলতে পারেন তাহলে আশা করি খুবই সুন্দর ফজরবাদ একটি বয়ান দিতে পারবেন আপনি। আর বয়ান দেওয়ার আগে অবশ্যই আমি যে কথাগুলো লিখেছি ওইগুলো বারবার ট্রাই করার চেষ্টা করবেন তাহলে আশা করি আপনি ফজরত বয়ান দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন রকমের সমস্যা কিংবা কথার মাঝখানে আটকে যাবেন না, আর যদি আপনি ট্রাই না করেন তাহলে কথার মাঝখানে আটকে যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে।  আরেকটি কথা এই কথাগুলো আমি ওই সমস্ত ব্যক্তিদের জন্যই লিখেছি যারা নাকি একদম নতুন কথা বলতে পারে না। আর আমার লেখার উদ্দেশ্য হচ্ছে আমার এই লেখাগুলো পড়ে যেন অন্তত একজন হলেও বয়ান দিতে পারে, কেননা আমি নিজেও এক সময় বয়ান দিতে পারতাম না তারপর গুগলে সার্চ করে মাগরিব বাদ বয়ান এমনকি ফজরবাদ বয়ান শিখেছি। তো যারা ভালো বয়ান দিতে পারেন কুরআন হাদিস সম্পর্কে কথা বলতে পারেন তাদের জন্য আমার আর্টিকেলটি না, বরং যারা নতুন তাদের জন্যই আমরা আর্টিকেলটি লেখা।  অন্য পোস্ট তাবলীগ কাকে বলে গাস্তের আদব বলার পদ্ধতি

তো যে সমস্ত ভাইয়েরা ফজরবাদ বয়ান করার জন্য সিলেক্ট হয়েছেন কিংবা ফজর বাদ বয়ান সম্পর্কে জানতে চাইতেছেন আমি বলব তারা একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন, কেননা আজকের এই আর্টকেলটি যদি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন তাহলে আশা করি খুব সুন্দর ও সুশীল ভাষায় আপনি ফজর বাদ বয়ান করতে পারবেন। এবং আমার এই আর্টিকেলটি পড়ার পর আপনি ফজর বাদ বয়ান লিখে আশা করি গুগলে আর অন্য কোথাও সার্চ করতে হবে না, তো আসুন এবার শুরু করা যাক ফজর বাদ বয়ান।


তাবলীগ জামাতের ফজর বাদ বয়ান

সমস্ত প্রশংসা ওই আল্লাহ তায়ালার জন্য যেই আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন আপনি আমাকে অর্ধমৃত থেকে জাগাইয়া পুনরায় আল্লাহপাকের ঘর মসজিদে এসে আল্লাহপাকের হুকুম ফজরের দুই রাকাত ফরজ নামাজ জামাতের শহিত আদায় করিবার তৌফিক দান করেছেন, সেজন্য আমরা সকলেই সেই রব্বে কাবার দরবারে শুকরিয়া আদায় করি বলি আলহামদুলিল্লাহ। এশারের নামাজের পর থেকে আমরা দুনিয়ার সমস্ত মানুষ কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিলাম, একদল এই রাত্রিটাকে গনিমত মনে করিয়া আল্লাহ পাকের ইবাদতে ব্যস্ত ছিল, অপর আরেক দল এই রাত্রিতে ইবাদত না করিয়া ঘুমাইয়া ছিল, অপর আরেকটা দল এই রাত্রিটাকে সুবর্ণ সুযোগ মনে করিয়া বিভিন্ন ধরনের অশ্লীল কাজ জুয়া হাউজি রাহাজানি ব্যভিচার মদ ইত্যাদি খারাপ কাজের মধ্যে লিপ্ত হয়েছে।

কেউবা হারাম রিলেশন এর মধ্যে জড়িত হইয়া কথা বলতে বলতে রাত্রি টাকে শেষ করিয়া দিছে, আবার কেউবা অসুস্থ হইয়া এই রাত্রি হাসপাতালে অবস্থান করেছে এভাবে বিভিন্নজন এই রাত্রি টাকে বিভিন্ন কাজের মধ্যে ব্যবহার করেছে। আবার কেউবা এই ঘুম থেকে কখনই উঠতে পারেনি অর্থাৎ চিরনিদ্রায় সাহিত্য হয়েছেন, আবার কেউ ফজরের আজান শুনিয়া ঘুম থেকে উঠিয়া অজু করে আল্লাহ পাকের ঘর মসজিদে এসে আল্লাহপাকের পায়ে সেজদা দেওয়ার জন্য তৈরি হয়। ওই ব্যক্তি যখন মসজিদে আসে তখন তার প্রত্যেকটা কদমের বিনিময়ে গুনাহ মাফ করা হয় নেকি লেখা হয়, এবং ওই ব্যক্তি যতক্ষণ আল্লাহ পাকের ঘর মসজিদে অবস্থান করবে ততক্ষণ পর্যন্ত ওই ব্যক্তির আমলনামায় ফেরেশতারা নেক আমল লিপিবদ্ধ করতে থাকবে।

আর তাছাড়া নামাজ আদায়কারী ব্যক্তি যতক্ষণ সময় নামাজের জন্য অপেক্ষা করতে থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত ওই ব্যক্তি নামাজের সোয়াব পেতে থাকবে, আর যখনই ওই ব্যক্তি নামাজের মধ্যে মশগুল হয়ে যাইবে তখনই আল্লাহ পাকের রহমত ওই ব্যক্তির উপর বর্ষন হইতে থাকবে। নামাজী ব্যক্তি যখন দাঁড়িয়ে নামাজ পড়বে তখন প্রত্যেকটা হরফের বিনিময়ে ১০০ করে নেকি থেকে দেওয়া হইবে। নামাজি ব্যক্তি যদি বসে নামাজ পড়ে তাহলে প্রত্যেকটা হরফের বিনিময়ে তাকে 50 নেকি করে দেওয়া হবে।

প্রথমে তাকবিরে উলার সাথে নামাজে শরিক হওয়া এই দুনিয়ায় সমস্ত নেকির সমান সব। নামাজ হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ জিহাদ নামাজী ব্যক্তি যখন রুকুতে যায় তখন ঐ ব্যক্তির শরীরের ওজনের সমপরিমাণ স্বর্ণ আল্লাহর রাস্তায় দান করলে যেই সোয়াব হত সেই সওয়াব নামাজী ব্যক্তির আমল নামায় দিয়ে দেওয়া হবে, সুবহানাল্লাহ। নামাজি ব্যক্তি যখন নামাজ শেষ করার জন্য ডানদিকে সালাম ফিরায় তখন জান্নাতের আটটি দরজা ওই ব্যক্তির জন্য খুলে দেওয়া হয়, আর নামাজী ব্যক্তি যখন বাম দিকে সালাম ফিরাই তখন জাহান্নামের সাতটি দরজা ওই ব্যক্তির জন্য বন্ধ করিয়ে দেওয়া হয়, সুবহানাল্লাহ।

কুনু ব্যক্তি যদি নামাজের পর জিকির কারী ব্যক্তির পাশে বসে থাকে তাহলে ওই ব্যক্তির আমলনামায় চারজন গোলাম আজাদ করার সওয়াব দেওয়া হইবে, আর একটি গোলাপের দাম হল বারো হাজার টাকা অনুরূপভাবে চারটি গোলামের দাম হবে 48 হাজার টাকা দান করার সওয়াব। ফজরের নামাজের পরে যদি কোন ব্যক্তি সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পাঠ করে তাহলে ওই ব্যক্তির জন্য সারাদিন 70000 ফেরেশতা দোয়া করতে থাকে, আর যদি সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত মাগরিবের নামাজের পর আদায় করে তাহলে এমনিভাবে সারারাত ওই ব্যক্তির জন্য ফেরেশতারা দোয়া করতে থাকে।

অতঃপর কোন ব্যক্তি যদি সূর্য উদিত হওয়ার ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরে এশরাকের দুই রাকাত নামাজ আদায় করে তাহলে ঐ ব্যক্তির আমলনামায় একটা কবুল হজ্জ ও একটা ওমরা পালনের সওয়াব দিয়ে দেওয়া হবে সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি। তারপর ওই ব্যক্তি যদি আরও দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করে তাহলে ওই ব্যক্তির সারাদিনের জিম্মা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নিয়ে নেন।

নামাজ পড়ার পর কেউ যদি ১০০ বার সুবাহানাল্লাহ এই তাসবিটি পাঠ করে তাহলে ১০০ টা গোলাম আজাদ করার সওয়াব তার আমলনামায় দেওয়া হবে। অতঃপর আলহামদুলিল্লাহ এই তাসবিহ টি যদি কেউ একশতবার পাঠ করে তাহলে যুদ্ধের ময়দানে সামানা সহ একশত ঘোড়া দান করার সোয়াব তার আমল নামায় দেওয়া হবে। অতঃপর লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এই তাসবিহটি যদি কেউ একশতবার পাঠ করে তাহলে আসমান ও জমিনের মধ্যবর্তী স্থানে যেই ফাঁকা স্থানগুলো রয়েছে সেটা সম্পূর্ণ নেকি দ্বারা পরিবর্তন করে দেয়া হয়।

আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সা: বলেছেন আমার উম্মতের যদি কোন ব্যক্তি ফিতনা-ফাসাদের জমানায় আমার একটা সুন্নতকে আঁকড়ে ধরে তাহলে ওই ব্যক্তির আমলনামায় একশত গলাকাটা শহীদের সওয়াব দান করা হবে সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি। যে ব্যক্তি এক ওয়াক্ত নামাজ আদায় করল সে ৩,৩৫,৫৪,৪৩২ নেকি অর্জন করলো, আর যে ব্যক্তি এক ওয়াক্ত নামাজ ছাড়িয়া দিল সেই ব্যক্তি ২৩০,৪০ লক্ষ বছর শাস্তি ভোগ করবে।

আর যে সমস্ত ভাইয়েরা নামাজের মধ্যে আসে নাই তারা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তের মধ্যে রয়েছে, আর তাদের কাছে দিনের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়ার জন্য রাসূল সাঃ আমাদের উপর দায়িত্ব অর্পণ করেছেন। তাই ঐ সমস্ত মানুষকে দিনের পথে ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদেরকে মেহনত করতে হবে, তাই ভাইয়েরা আমার কারা কারা গাস্তেযাবেন খুশি মনে হাতটা তুলুন, কিংবা যারা এনফেরাদি ভাবে গাস্তে যাবেন তারা খুশি খুশি মনে একটু হাতটা তুলে দেখাই।

 

শেষ কথা - তাবলীগ জামাতের ফজর বাদ বয়ান

তো ভাইয়েরা আমার উপরে আমি যে সমস্ত কথাগুলো লিখেছি ঐ সমস্ত কথাগুলো আপনি সঠিক বচনবঙ্গীতে এবং শুদ্ধভাবে বলার চেষ্টা করবেন। এবং এই সমস্ত কথাগুলো বলে মানুষদেরকে গাস্তে যাওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করবেন। নিয়ম অনুসারে আপনি যদি কথাগুলো বলতে পারেন তাহলে আশা করি খুবই সুন্দর ফজরবাদ একটি বয়ান দিতে পারবেন আপনি। আর বয়ান দেওয়ার আগে অবশ্যই আমি যে কথাগুলো লিখেছি ওইগুলো বারবার ট্রাই করার চেষ্টা করবেন তাহলে আশা করি আপনি ফজরত বয়ান দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন রকমের সমস্যা কিংবা কথার মাঝখানে আটকে যাবেন না, আর যদি আপনি ট্রাই না করেন তাহলে কথার মাঝখানে আটকে যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে।

আরেকটি কথা এই কথাগুলো আমি ওই সমস্ত ব্যক্তিদের জন্যই লিখেছি যারা নাকি একদম নতুন কথা বলতে পারে না। আর আমার লেখার উদ্দেশ্য হচ্ছে আমার এই লেখাগুলো পড়ে যেন অন্তত একজন হলেও বয়ান দিতে পারে, কেননা আমি নিজেও এক সময় বয়ান দিতে পারতাম না তারপর গুগলে সার্চ করে মাগরিব বাদ বয়ান এমনকি ফজরবাদ বয়ান শিখেছি। তো যারা ভালো বয়ান দিতে পারেন কুরআন হাদিস সম্পর্কে কথা বলতে পারেন তাদের জন্য আমার আর্টিকেলটি না, বরং যারা নতুন তাদের জন্যই আমরা আর্টিকেলটি লেখা।

অন্য পোস্ট তাবলীগ কাকে বলে

Previous Post Next Post

نموذج الاتصال