আজকে আমরা জানবো জমির দলিল বিষয় নিয়ে, কেননা অনলাইনে অনেকেই সার্চ করে থাকে যে জমির দলিল কত প্রকার ও কি কি এবং মানুষের এটাও সার্চ করে থাকে যে জমি রেজিস্ট্রি খরচ 2023 কত, তো আপনাদের মধ্যে অনেকেই এই সমস্ত প্রশ্ন প্রতিনিয়তই গুগলে সার্চ করে থাকেন তাদের জন্য আজকের আমার আর্টিকেলটি। কেননা আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদেরকে বলে দিব যে জমির দলিল কত প্রকার ও কি কি, সেই সাথে আমি আপনাদেরকে আর হও বলে দিব যে জমির দলিল রেজিস্ট্রি খরচ 2023 কত।
অন্য পোস্ট পুরাতন ব্যাটারির ব্যবসা
হামকো সোলার ব্যাটারির দাম ২০২৩
জমির দলিল কত প্রকার ও কি কি
জমির দলিল হচ্ছে 10 প্রকার আর এই 10 প্রকার জমির দলিলগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
এক নাম্বার সাফ কাবলা দলিল, দুই নাম্বার দানপত্র দলিল, তিন নাম্বার হেবা দলিল, চার নাম্বার হেবা বিল এওয়াজ দলিল, পাঁচ নাম্বার এওয়াজ দলিল, ছয় নাম্বার বণ্টননামা দলিল, সাত নাম্বার অসিয়ত নামা দলিল, আট নাম্বার উইল দলিল , নয় নাম্বার নাদাবী দলিল , দশ নাম্বার বায়না দলিল।
সাফ কাবলা দলিল কাকে বলে
কোন ব্যক্তি তার সম্পত্তির মালিক, কিন্তু যখন ওই ব্যক্তি তার সম্পত্তি টাকে অন্যের কাছে বিক্রি করে দিবে এবং সেই বিকৃত সম্পত্তিকে বিক্রেতার কাছে হস্তান্তর করে এবং তার নামে রেজিস্ট্রি করে দেয়। অর্থাৎ ক্রেতা এবং বিক্রেতা দুজনই সাব রেজিস্টার অফিসে উপস্থিত হয়ে ক্রেতা বিক্রেতাকে ওই জমির খরিদ্দার এর নিকট রেজিস্টার করে দেওয়াকে সাফ কাবলা দলিল বলে।
দানপত্র দলিল কাকে বলে
তো দানপত্র দলিল কাকে বলে? যেকোনো ব্যক্তি তার সম্পত্তিকে তার সম্প্রদায়ের অন্য কোন ব্যক্তিকে দান করতে পারে, দানপত্র দলিল বলা হয় যদি কোন ব্যক্তি তার সম্পত্তি অপর কোন ব্যক্তিকে দলিল বিহীন অর্থাৎ দলিল ছাড়া সমস্ত ক্ষমতার মালিক বানিয়ে দেয় তাকেই দানপত্র দলিল বলা হয়। তবে আরেকটি কথা জেনে রাখা দরকার যে যদি দান করে দেওয়ার পর কোনরূপ আপত্তি করে ওই জমির উপর তাহলে কিন্তু দানপত্র দলিল অর্থাৎ দান করা শুদ্ধ হবে না।
হেবা দলিল কাকে বলে
হেবা দলিল এটি হচ্ছে আমাদের মুসলমান সম্প্রদায়ের জন্য একটি দলিল, এই দলিল সন্তুষ্ট হয়ে অর্থাৎ খুশি হয়ে হেবা করা হয়। কোনরকম জোর জবরদস্তি ও ইচ্ছার বিরুদ্ধে হেবা সংঘটিত হয় না, অর্থাৎ একদম নিজের মতে নিজের মতের সাথে একমত হয়ে যখন খুশি হয়ে দেওয়া হয় তখনই এটা হয় আর যখন এটা কোন কিছুর বিনিময় হয়ে যাবে তখন থাকবে না বরং এই হ্যাবা বাতিল হয়ে যাবে।
হেবা বিল এওয়াজ দলিল কাকে বলে
হেবা বিল এওয়াজ এই দলীলটাও আমাদের মুসলমানদের মধ্যেই হয়ে থাকে, অর্থাৎ খুশি হয়ে বাসন্তুষ্ট হয়ে এই দলিল হেবা করে দেওয়া হয়। কিন্তু এই হেবা দলিলটা কোন কিছুর বিনিময়ে হয়ে থাকে যেমন ধরুন জায়নামাজ তসবি কিংবা কুরআন শরীফ কিংবা আরো অন্য কোনো বিষয়ের বিনিময়েও হতে পারে যেমন ধরেন হাতের আংটি ইত্যাদি।
এই দলিলের মাধ্যমে যাকে হেবা করে দেয়া হবে সে সমস্ত দলিলের মালিক হয়ে যাবে, বরং করে দেওয়ার পর থেকে পরবর্তীতে আর এই দলিলের উপর দাবি করতে পারবে না। আর এই দলিল টার ক্ষেত্রে যদি কোন প্রকার শর্ত আরোপিত হয় তাহলে এরূপ দলিল বা হেবা শুদ্ধ হবে না তবে এই দলীলটা অবশ্যই রেজিস্ট্রি করে নিতে হবে।
এওয়াজ দলিল কাকে বলে
যেকোনো গোষ্ঠীর বা যেকোনো সম্প্রদায়ের কেউ কিংবা যে কোন ব্যক্তি অপর কাউকে সে চাইলে তার জমি দান করে দিতে পারে। এই দলিলটাও কিন্তু রেজিস্ট্রি করে নিতে হবে, এওয়াজ দলিল নিয়ে একটা উদাহরণ নিচে দেওয়া হল। যেমন জায়েদের জমি করিমের বাড়ির পাশাপাশি, এবং করিমের জমি জায়েদের বাড়ির পাশাপাশি।
একজনের জমি আরেকজনের কাছে বেলপ্ত, এখন যদি জায়েদের জমি করিমকে দিয়ে এবং করিমের জমি জায়েদকে দিয়ে রেজিস্ট্রি করিয়ে নেওয়ার নামেই হচ্ছে এওয়াজ দলিল।
বণ্টননামা দলিল কাকে বলে
বণ্টননামা দলিল দলিল হচ্ছে শরীরের মধ্যে হইতে নিজ নিজ অংশের সম্পত্তি বন্টন করে নেওয়া। আরি বন্টন মালা দলিল দুই প্রকার হয়ে থাকে এক হচ্ছে ডাইরেক শরিকের ভিত্তিতে, এবং আরেকটা হচ্ছে শরিক হতে খরিদ সূত্রে। এই জমি বন্টন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই রেজিস্ট্রি করে নিতে হবে, তবে যদি রেজিস্ট্রি না করে সমস্ত শরিক গণ একমত হয়ে দলিলে দস্তখত করে তাহলেও শুদ্ধ হবে।
তবে যদি শরিক গনের মধ্য হইতে কোন শরিক দলিল অর্থাৎ সম্পত্তি বন্টন করতে রাজি না হয় তাহলে বাকিরা আদালতের মাধ্যমে নালিশ করে সম্পত্তি বন্টন করতে পারবে। আর যদি এমনিতেই কোন এক শরিকের অনুপস্থিতে জমি বন্টন করা হয় তাহলে এই বন্টন বাতিল বলে গণ্য হবে।
অসিয়ত নামা দলিল কাকে বলে
ওসিয়াত নামা দলিল হচ্ছে যদি কোন ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করে এবং তার মৃত্যুবরণ করার পূর্বে ওসিয়ত করে গেছে যে অমুক ব্যক্তি কে জমি প্রদান করার জন্য। তাহলে ঐ ব্যক্তি মৃত্যুর পর ওই ব্যক্তির সমস্ত সম্পত্তির এক তৃতীয়াংশ অসিয়াতকৃত ব্যক্তিকে দেওয়া হবে, এবং বাকি দুই অংশ তার উত্তরাধিকারী গনের মধ্যে বন্টন করে দেয়া হবে। উত্তরাধিকারী গন বলতে তার ছেলে মেয়ে তার স্ত্রীদেরকে বুঝানো হয়েছে।
উইল দলিল কাকে বলে
কোন হিন্দু গোষ্ঠীর লোক সে তার সম্পত্তিতে তার গুষ্টির মধ্যে হতে যে কাউকে উইল করে দিতে পারবে, তবে ওই ব্যক্তি জীবিত থাকা অবস্থায় একাধিক বার উইল করতে পারবে, কিন্তু যখন ওই ব্যক্তি মৃত্যু হয়ে যাবে তখন ওই ব্যক্তি সবচেয়ে শেষে যে উইলটা করেছিলেন সেই উইলটাই কার্যকর বলে গণ্য হবে।
নাদাবী দলিল কাকে বলে
যদি কোন ব্যক্তি তার নির্দিষ্ট কোন সম্পত্তি থেকে তার নিজের স্বত্বাধিকার ত্যাগ করেছেন এই মর্মে দলিল সম্পাদন ও রেজিস্ট্রি করে তাহলে সেই দলিলকেই নাদাবী দলিল বলে থাকে।
বায়না দলিল কাকে বলে
যদি কোন ব্যক্তি জমি বিক্রি করবে বলে বিক্রেতার কাছ থেকে টাকা বায়না নেয়, আর এটা কেই বলা হয় বায়না দলিল।
তবে যদি বিক্রেতা ক্রেতার কাছ থেকে টাকা বায়না নেওয়ার পর জমিকে তাকে বুঝিয়ে না দেয় কিংবা রেজিস্ট্রি করে না দেয় সেই ক্ষেত্রে ক্রেতা আদালতে গিয়ে মামলা দায়েরের মাধ্যমে তার দলিল তার আয়ত্তে নিতে পারবে।
জমি রেজিস্ট্রি খরচ 2023
তো উপরে আমরা বিভিন্ন দলিল সম্পর্কে জানলাম এবং দলিল কত প্রকার ও কি কি এ বিষয়ে জানলাম এখন আমাদের জানা দরকার জমি রেজিস্ট্রি খরচ 2023 কত? তো বন্ধুরা জমি রেজিস্ট্রির খরচ জমির ভিন্নতার কারণে খরচ ও বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে, তাই আমি আপনাদের সাথে সেই খরচ নিয়ে লিখতে চাইতেছি না। কারণ যাতে করে আপনারা সহজে বুঝতে পারেন সে জন্য আমি নিচে একটি ভিডিও উল্লেখ করে দিচ্ছি আপনি যদি নিচের ভিডিওটি মনোযোগ দিয়ে দেখেন তাহলে আশা করি জমি রেজিস্ট্রি খরচ 2023 কত সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারবেন ও বুঝতে পারবেন।
অন্য পোস্ট জমি রেজিস্ট্রি করতে হলে কি কি কাগজপত্র লাগে