ছেলেটির অবহেলার কষ্টের গল্প | শিক্ষনীয় কষ্টের গল্প

শিক্ষনীয় কষ্টের গল্প: প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের সাথে একটা ছেলের বাস্তব জীবনের অবহেলার কষ্টের গল্প নিয়ে এসেছি। হয়তোবা এই গল্পটি আমাদের অনেকের বাস্তব জীবনের সাথে মিলেও যেতে পারে। সমাজ আজ এরকমই হয়ে গেছে একজন মানুষের যদি কোনো ক্ষতি কিংবা দুর্বলতার দিক থাকে তাহলে সেই মানুষের দুর্বলতাটাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ওই মানুষটাকে আঘাত দিতে থাকে।

ছেলেটির অবহেলার কষ্টের গল্প | শিক্ষনীয় কষ্টের গল্প  শিক্ষনীয় কষ্টের গল্প: প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের সাথে একটা ছেলের বাস্তব জীবনের অবহেলার কষ্টের গল্প নিয়ে এসেছি। হয়তোবা এই গল্পটি আমাদের অনেকের বাস্তব জীবনের সাথে মিলেও যেতে পারে। সমাজ আজ এরকমই হয়ে গেছে একজন মানুষের যদি কোনো ক্ষতি কিংবা দুর্বলতার দিক থাকে তাহলে সেই মানুষের দুর্বলতাটাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ওই মানুষটাকে আঘাত দিতে থাকে।  কিন্তু আমরা কি একবারও চিন্তা করে দেখেছি যে আমরা যে ওই মানুষটাকে তার দুর্বলতা টাকে হাতিয়ার বানিয়ে এমন ভাবে তাকে কথার আঘাত দিচ্ছি যে, সে মনে মনে কত কষ্ট পাচ্ছে মানসিক ভাবে কত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমরা কেউই তা একবারও ভেবে দেখছি? মোটেও না আমরা এসব বিষয় কখনোই ভাবি না, তাই আমি আজকে আপনাদের সামনে এই গল্পটি নিয়ে উপস্থিত হয়েছি তাহলে চলুন এবার গল্পটি শুরু করা যাক।   ছেলেটির অবহেলার কষ্টের গল্প  দুইদিন টিউশনি করার পর তৃতীয় দিন, বিথীর মা  আমার হাতে একটা খাম দিয়ে বল্ল। আগামীকাল থেকে আর আমার মেয়েকে পড়াতে হবে না, আমি তুমাকে এক মাসের টাকায় দিয়ে দিলাম।  আমি অবাক হয়ে বিথীর মা কে বল্লাম, আন্টি কিছু মনে করবেন না, আমি কি জানতে পারি? আমার অপরাধ টা কি? আন্টি বল্ল তুমার কোন অপরাধ নেই এমনেতেই তুমাকে আর আসতে হবে না, আমি বল্লাম আন্টি আমি আপনার মেয়েকে এক মাস পড়ানোর সুযোগ দিন, তারপর যদি আপনার মনে হয় আমি আপনার মেয়েকে ঠিকমতো পড়াতে পারছি না, তখন না হয় আমাকে বাদ দিয়ে দিবেন আমার কোন আপত্তি থাকবে না। আন্টি বল্ল আসলে আমার মেয়ে তুমার কাছে পড়তে চাচ্ছে না, শুধু ভালো পড়ালেই হবে না, একটু দেখতে শুনতেও ভালো হতে হয়, তুমাকে দেখে আমার মেয়ে ভয় পেয়েছে।  আমি আন্টির হাতে খামটি দিয়ে বল্লাম টিউশনি করাতে হলে যে ফর্সা ও ভালো চেহারার অধিকারী হতে হয় তা আগে জানতাম না। আর যদি জানতাম তাহলে বিশ্বাস করেন আমি আপনার মেয়েকে পড়াতে আসতাম না। তারপর ছাত্রীর বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তায় হাটতেছি আর কলেজ জীবনের কথা ভাবছি।  কলেজে একবার একটা অনুষ্টানের উপস্থাপনার জন্য স্যার ভালো একজন উপস্থাপক খুজছিলেন। আমি সবার সামনে হাত তুলে বলে ছিলাম, স্যার আমি ভালো উপস্থাপনা করতে পারি, স্কুলে পড়ার সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমি উপস্থাপনা করতাম। স্যার আমার দিকে তাকিয়ে হাসতে হাসতে বলেছিলেন, তর মতো কাওয়া যদি উপস্থাপনা করে তাহলে যে কয়েকজন মানুষ আসবে তারাও পালাবে, স্যারের এই কথার কারনে আমার নাম দিলুয়ার থেকে কাওয়া হয়ে গেল, তখন থেকে কেউ আমায় দিলুয়ার নামে চিনতো না সবাই আমাকে কাওয়া বলেই চিনতো।   শিক্ষনীয় কষ্টের গল্প  কয়েকদিন আগে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা যাচ্ছিলাম, আমার পাশের সিটে বসা ছিলো সুন্দরী একটা মেয়ে, যখন আমি আমার সিটে বসতে যাবো তখনি মেয়েটা তার নাক মুখ ওড়না দিয়ে চেপে ধরলো। বাস কিছুদুর যাওয়ার পর মেয়েটি বাসের কন্টেকটার কে ডেকে বল্ল, আমায় এই সিটটা পাল্টিয়ে দেন তো আমি অন্য কোথাও বসবো। বাসের লোকটা আমার দিকে অগ্নি চোখে তাকিয়ে মেয়েটিকে বল্ল, আপা এই লোকটি কি আপনার সাথে কোনো খারাপ আচরন বা অসভ্য ব্যাবহার করেছে? যদি তাই হয় তাহলে আমি এখনি এই লোকটাকে বাস থেকে নামিয়ে দিচ্ছি।  কন্টাকটারের মুখে এই সব কথা শুনে বাসের অন্য সব যাত্রীরা আমার দিকে ক্ষেপে উঠলো, একজন লোক চিৎকার করে বল্লো অবশ্যই নোংরামি করেছে, তা না হলে আপা সিট ছেড়ে উঠতে যাবে কেন? তখন এমন একটা অবস্থা হয়েছে যে বাসের সবাই এখন আমাকে মারতে আসবে বহু কষ্টে সবাইকে থামিয়ে দিয়ে মেয়েটাকে বল্লাম, আপনি আমার ছোট বোনের মতো আমি কি আপনার সাথে কোনো নোংরামি করেছি? মেয়েটি বল্ল না তখন আমি বাসের যাত্রীদেরকে বল্লাম ভইয়ারা আমার অপরাধ কি জানেন? আমার অপরাধ হলো আমি দেখতে খারাপ আপনাদের মতো সাদা চামড়ার কিছু মানুষ মনে করে আমাদের মতো কালো মানুষের শরীর থেকে গন্ধ বের হয়।  আপনাদের ধারনা পৃথিবীর সব খারাপ মানুষ কালোই হয়, যে ভদ্র মহিলা আমাকে বদমাশ কুলাঙ্গার বলে ছিলো সেই মহিলার কাছে গিয়ে বল্লাম, আপনি আমার চেহেরা দেখেই বুঝে গেলেন আমি বদমাশ, বিশ্বাস করেন আমি কোন রকম বদমাশি করবো তো দূরের কথা আমি আজ পর্যন্ত কোন মেয়ের দিকে খারাপ দৃষ্টিতে তাকাইও নি। কিন্ত কেন জানি এই মূহুর্তে আপনার সাথে আমার বদমাইশি করতে ইচ্ছে করছে, কিন্তু একটা কথা জানেন কি? সবাই আমাকে কালো বল্লেও মা বাবা আমাকে খুব ভালোবাসতো, সেই জন্যই মনে হয় আমি একটা ভালো চাকরি পেয়েছি।  তখন মা বাবা আমার উপর অত্যাচার শুরু করলো বিয়ে করার জন্য, তখন আমি মা বাবাকে শর্ত দিয়েছিলাম আমি বিয়ে করলে কোন একটা কালো মেয়েকেই বিয়ে করবো। অবশেষে মেয়ে দেখতে গেলাম গিয়ে দেখি একটা মেয়ে কিভাবে এতো সুন্দর হতে পারে, মেয়ে দেখা শেষ হলে আমি মাকে আড়ালে নিয়ে বল্লাম মা তুমি না বলে ছিলে মেয়ে কালো, তখন মা বল্ল আরে মেয়ে সুন্দর না মেকাপ করেছে মনে হয় এই জন্য সুন্দর লাগতেছে।  আমি বল্লাম মা তুমি কেন মিথ্যা বলছো, আমি দেখলাম মেয়েতো কোন মেকাপ করেনি, এত সুন্দর একটা মেয়ে হয়তো সেও চাইবে ওর স্বামী সুন্দর ও সাদা চামড়ার অধিকারি হউক। আমার সাথে বিয়ে হলে দেখা যাবে মেয়েটার লাইফ নষ্ট হয়ে গেছে, আমার সাথে একটা সেলফি তুলতেও পারবে না, মা বল্ল তুই কালো হয়েছিস বলে একটা সুন্দরী মেয়ে বিয়ে করতে পারিস না? আমি বল্লাম না মা একটা সুন্দরী মেয়ে কখনোই চাইবে না তার স্বামী কালো হউক বা আমার মতো হউক।  তারপর আমি অফিসে যাওয়ার পর একটা অচেনা নাম্বারে ফোন আসে, এবং আমাকে নিচে আসতে বলে, আমি নিচে গিয়ে দেখি এতো সেই মেয়ে যাকে আমি গত কালকে দেখতে গিয়ে ছিলাম। মেয়েটি আমাকে বল্ল দেখেন প্রথম দেখায় আপনাকে আমার ভালো লাগে নি, কিন্তু আপনি যখন আপনার মায়ের সাথে কথা বলছিলেন তখন আপনার সব কথা আমি শুনেছি আর তখন থেকেই আমি আপনাকে ভালোবেসে ফেলেছি, সবাইকে এক চোখে দেখবেন না, সবাই এক না, আমি আপনাকে ভালোবেসে প্রমান করে দিবো যে সবাই এক না।   এই গল্প থেকে শিক্ষনীয় বিষয় কি শিখলাম  আশা করি এই গল্পটি আপনি খুবই মনোযোগ সহকারে পড়েছেন আর আপনি যদি এই গল্পটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে এবার আসুন জেনে নেয়া যাক শিক্ষনীয় বিষয়গুলো। আমরা এই গল্পটি পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পারলাম যে কোন একটা মানুষ যদি শরীরে গঠনের দিক দিয়ে সুন্দর ও ফর্সা হয় তাহলেই সে প্রকৃতপক্ষে মানুষ হতে পারে না।  প্রকৃতপক্ষে মানুষ হতে হলে দরকার মনুষত্বের, প্রকৃতপক্ষে মানুষ হতে হলে দরকার ভালো ব্যবহার ও চরিত্রের। তাই আমরা কখনোই কালো চেহারা কিংবা কোন এক দুর্বলতার মানুষকে তার দুর্বলতাকে হাতিয়ার বানিয়ে কখনোই থাকে  ব্যবহার করব না

কিন্তু আমরা কি একবারও চিন্তা করে দেখেছি যে আমরা যে ওই মানুষটাকে তার দুর্বলতা টাকে হাতিয়ার বানিয়ে এমন ভাবে তাকে কথার আঘাত দিচ্ছি যে, সে মনে মনে কত কষ্ট পাচ্ছে মানসিক ভাবে কত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমরা কেউই তা একবারও ভেবে দেখছি? মোটেও না আমরা এসব বিষয় কখনোই ভাবি না, তাই আমি আজকে আপনাদের সামনে এই গল্পটি নিয়ে উপস্থিত হয়েছি তাহলে চলুন এবার গল্পটি শুরু করা যাক।


ছেলেটির অবহেলার কষ্টের গল্প

দুইদিন টিউশনি করার পর তৃতীয় দিন, বিথীর মা 
আমার হাতে একটা খাম দিয়ে বল্ল। আগামীকাল থেকে আর আমার মেয়েকে পড়াতে হবে না, আমি তুমাকে এক মাসের টাকায় দিয়ে দিলাম।

আমি অবাক হয়ে বিথীর মা কে বল্লাম, আন্টি কিছু মনে করবেন না, আমি কি জানতে পারি? আমার অপরাধ টা কি? আন্টি বল্ল তুমার কোন অপরাধ নেই এমনেতেই তুমাকে আর আসতে হবে না, আমি বল্লাম আন্টি আমি আপনার মেয়েকে এক মাস পড়ানোর সুযোগ দিন, তারপর যদি আপনার মনে হয় আমি আপনার মেয়েকে ঠিকমতো পড়াতে পারছি না, তখন না হয় আমাকে বাদ দিয়ে দিবেন আমার কোন আপত্তি থাকবে না। আন্টি বল্ল আসলে আমার মেয়ে তুমার কাছে পড়তে চাচ্ছে না, শুধু ভালো পড়ালেই হবে না, একটু দেখতে শুনতেও ভালো হতে হয়, তুমাকে দেখে আমার মেয়ে ভয় পেয়েছে।

আমি আন্টির হাতে খামটি দিয়ে বল্লাম টিউশনি করাতে হলে যে ফর্সা ও ভালো চেহারার অধিকারী হতে হয় তা আগে জানতাম না। আর যদি জানতাম তাহলে বিশ্বাস করেন আমি আপনার মেয়েকে পড়াতে আসতাম না। তারপর ছাত্রীর বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তায় হাটতেছি আর কলেজ জীবনের কথা ভাবছি।

কলেজে একবার একটা অনুষ্টানের উপস্থাপনার জন্য স্যার ভালো একজন উপস্থাপক খুজছিলেন। আমি সবার সামনে হাত তুলে বলে ছিলাম, স্যার আমি ভালো উপস্থাপনা করতে পারি, স্কুলে পড়ার সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমি উপস্থাপনা করতাম। স্যার আমার দিকে তাকিয়ে হাসতে হাসতে বলেছিলেন, তর মতো কাওয়া যদি উপস্থাপনা করে তাহলে যে কয়েকজন মানুষ আসবে তারাও পালাবে, স্যারের এই কথার কারনে আমার নাম দিলুয়ার থেকে কাওয়া হয়ে গেল, তখন থেকে কেউ আমায় দিলুয়ার নামে চিনতো না সবাই আমাকে কাওয়া বলেই চিনতো।

শিক্ষনীয় কষ্টের গল্প

কয়েকদিন আগে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা যাচ্ছিলাম, আমার পাশের সিটে বসা ছিলো সুন্দরী একটা মেয়ে, যখন আমি আমার সিটে বসতে যাবো তখনি মেয়েটা তার নাক মুখ ওড়না দিয়ে চেপে ধরলো। বাস কিছুদুর যাওয়ার পর মেয়েটি বাসের কন্টেকটার কে ডেকে বল্ল, আমায় এই সিটটা পাল্টিয়ে দেন তো আমি অন্য কোথাও বসবো। বাসের লোকটা আমার দিকে অগ্নি চোখে তাকিয়ে মেয়েটিকে বল্ল, আপা এই লোকটি কি আপনার সাথে কোনো খারাপ আচরন বা অসভ্য ব্যাবহার করেছে? যদি তাই হয় তাহলে আমি এখনি এই লোকটাকে বাস থেকে নামিয়ে দিচ্ছি।

কন্টাকটারের মুখে এই সব কথা শুনে বাসের অন্য সব যাত্রীরা আমার দিকে ক্ষেপে উঠলো, একজন লোক চিৎকার করে বল্লো অবশ্যই নোংরামি করেছে, তা না হলে আপা সিট ছেড়ে উঠতে যাবে কেন? তখন এমন একটা অবস্থা হয়েছে যে বাসের সবাই এখন আমাকে মারতে আসবে বহু কষ্টে সবাইকে থামিয়ে দিয়ে মেয়েটাকে বল্লাম, আপনি আমার ছোট বোনের মতো আমি কি আপনার সাথে কোনো নোংরামি করেছি? মেয়েটি বল্ল না তখন আমি বাসের যাত্রীদেরকে বল্লাম ভইয়ারা আমার অপরাধ কি জানেন? আমার অপরাধ হলো আমি দেখতে খারাপ আপনাদের মতো সাদা চামড়ার কিছু মানুষ মনে করে আমাদের মতো কালো মানুষের শরীর থেকে গন্ধ বের হয়।

আপনাদের ধারনা পৃথিবীর সব খারাপ মানুষ কালোই হয়, যে ভদ্র মহিলা আমাকে বদমাশ কুলাঙ্গার বলে ছিলো সেই মহিলার কাছে গিয়ে বল্লাম, আপনি আমার চেহেরা দেখেই বুঝে গেলেন আমি বদমাশ, বিশ্বাস করেন আমি কোন রকম বদমাশি করবো তো দূরের কথা আমি আজ পর্যন্ত কোন মেয়ের দিকে খারাপ দৃষ্টিতে তাকাইও নি। কিন্ত কেন জানি এই মূহুর্তে আপনার সাথে আমার বদমাইশি করতে ইচ্ছে করছে, কিন্তু একটা কথা জানেন কি? সবাই আমাকে কালো বল্লেও মা বাবা আমাকে খুব ভালোবাসতো, সেই জন্যই মনে হয় আমি একটা ভালো চাকরি পেয়েছি।

তখন মা বাবা আমার উপর অত্যাচার শুরু করলো বিয়ে করার জন্য, তখন আমি মা বাবাকে শর্ত দিয়েছিলাম আমি বিয়ে করলে কোন একটা কালো মেয়েকেই বিয়ে করবো। অবশেষে মেয়ে দেখতে গেলাম গিয়ে দেখি একটা মেয়ে কিভাবে এতো সুন্দর হতে পারে, মেয়ে দেখা শেষ হলে আমি মাকে আড়ালে নিয়ে বল্লাম মা তুমি না বলে ছিলে মেয়ে কালো, তখন মা বল্ল আরে মেয়ে সুন্দর না মেকাপ করেছে মনে হয় এই জন্য সুন্দর লাগতেছে।

আমি বল্লাম মা তুমি কেন মিথ্যা বলছো, আমি দেখলাম মেয়েতো কোন মেকাপ করেনি, এত সুন্দর একটা মেয়ে হয়তো সেও চাইবে ওর স্বামী সুন্দর ও সাদা চামড়ার অধিকারি হউক। আমার সাথে বিয়ে হলে দেখা যাবে মেয়েটার লাইফ নষ্ট হয়ে গেছে, আমার সাথে একটা সেলফি তুলতেও পারবে না, মা বল্ল তুই কালো হয়েছিস বলে একটা সুন্দরী মেয়ে বিয়ে করতে পারিস না? আমি বল্লাম না মা একটা সুন্দরী মেয়ে কখনোই চাইবে না তার স্বামী কালো হউক বা আমার মতো হউক।

তারপর আমি অফিসে যাওয়ার পর একটা অচেনা নাম্বারে ফোন আসে, এবং আমাকে নিচে আসতে বলে, আমি নিচে গিয়ে দেখি এতো সেই মেয়ে যাকে আমি গত কালকে দেখতে গিয়ে ছিলাম। মেয়েটি আমাকে বল্ল দেখেন প্রথম দেখায় আপনাকে আমার ভালো লাগে নি, কিন্তু আপনি যখন আপনার মায়ের সাথে কথা বলছিলেন তখন আপনার সব কথা আমি শুনেছি আর তখন থেকেই আমি আপনাকে ভালোবেসে ফেলেছি, সবাইকে এক চোখে দেখবেন না, সবাই এক না, আমি আপনাকে ভালোবেসে প্রমান করে দিবো যে সবাই এক না।


এই গল্প থেকে শিক্ষনীয় বিষয় কি শিখলাম

আশা করি এই গল্পটি আপনি খুবই মনোযোগ সহকারে পড়েছেন আর আপনি যদি এই গল্পটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে এবার আসুন জেনে নেয়া যাক শিক্ষনীয় বিষয়গুলো। আমরা এই গল্পটি পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পারলাম যে কোন একটা মানুষ যদি শরীরে গঠনের দিক দিয়ে সুন্দর ও ফর্সা হয় তাহলেই সে প্রকৃতপক্ষে মানুষ হতে পারে না।

প্রকৃতপক্ষে মানুষ হতে হলে দরকার মনুষত্বের, প্রকৃতপক্ষে মানুষ হতে হলে দরকার ভালো ব্যবহার ও চরিত্রের। তাই আমরা কখনোই কালো চেহারা কিংবা কোন এক দুর্বলতার মানুষকে তার দুর্বলতাকে হাতিয়ার বানিয়ে কখনোই থাকে  ব্যবহার করব না
Previous Post Next Post

نموذج الاتصال