আলসার হলে কি কি খাওয়া যাবে | আলসার হলে কি ডিম খাওয়া যাবে

বর্তমানে মানুষ পূর্বেকার মানুষের তুলনায় অনেকটাই দুর্বল হয়ে গিয়েছে, কেননা মানুষ এখন অন্যান্য পূর্বের মানুষের মত পরিশ্রম করে না, এমনকি শুয়ে বসে দিন কাটিয়ে দেয়, সেই সুবাদে এখন মানুষেরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আর এরকম একটি রোগ যার নাম হচ্ছে আলসার, দেখা যায় আমাদের মধ্যে অনেকেই আলসার নামক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

আলসার হলে কি কি খাওয়া যাবে | আলসার হলে কি ডিম খাওয়া যাবে  বর্তমানে মানুষ পূর্বেকার মানুষের তুলনায় অনেকটাই দুর্বল হয়ে গিয়েছে, কেননা মানুষ এখন অন্যান্য পূর্বের মানুষের মত পরিশ্রম করে না, এমনকি শুয়ে বসে দিন কাটিয়ে দেয়, সেই সুবাদে এখন মানুষেরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আর এরকম একটি রোগ যার নাম হচ্ছে আলসার, দেখা যায় আমাদের মধ্যে অনেকেই আলসার নামক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।  তাই অনলাইনে এবং google এর মত প্ল্যাটফর্মে প্রতিনিয়তই খুব প্রচুর পরিমাণে সার্চ হচ্ছে যে, আলসার হলে কি কি খাওয়া যাবে। এবং মানুষেরা এটাও সার্চ করতেছে যে, ডিওডেনাল আলসার রোগীর খাদ্য তালিকা।  অন্য পোস্ট সিম পাতার উপকারিতা আদামনি পাতার উপকারিতা ও গুনাগুন  তো আলসার রোগ সম্পর্কে যাদের মনে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন রয়েছে তাদের জন্য আজকের আমার আর্টিকেলটি, আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন আলসার রোগের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে, সেই সাথে আপনি এটাও জানতে পারবেন আলসার মূলত কি? আলসার কত প্রকার হয়ে থাকে ইত্যাদি ইত্যাদি।  আপনি যদি আলসার এর মতো রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন কিংবা আপনার পরিচিত কেউ এরকম রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই আপনার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় নতুন কিছু খাবার যোগ করতে হবে। আর আপনি যদি নতুন খাবার গুলো আপনার খাদ্য তালিকায় যোগ করেন তাহলে আশা করা যায় আপনি আলসার থেকে নিরাময় পেতে পারেন। আর আলসার রোগ হলে আপনি কোন কোন খাদ্য খাবেন বা খেতে পারবেন সেই সমস্ত খাদ্যের একটি তালিকা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।  আলসার হলে কি কি খাওয়া যাবে  আপনি অথবা আপনার পরিবারের কিংবা পরিচিত কেউ যদি আলসারের রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে আমি নিচে যে খাবারগুলো উল্লেখ করতেছি সেটি বেশি পরিমাণে খাবার চেষ্টা করিবেন। আলসার হলে যে সমস্ত খাদ্য খাবেন সেগুলো হলো এই:- পেপে, রুটি, তরমুজ, ডিম, মাছ, কলা, বাধা কপি, সবুজ শাকসবজি, বাদাম, রেগুলার ভেজিটেবল ওয়েল, অলিব অয়েল, মিল্ক ইত্যাদি প্রাকৃতিক খাদ্যগুলো আপনি খুব প্রচুর পরিমাণে খাওয়ার চেষ্টা করবেন।  উপরে আমি যে সমস্ত প্রাকৃতিক খাবারগুলির নাম উল্লেখ করেছি, আপনি যদি আপনার খাবারের দৈনন্দিন তালিকায় ঐ সমস্ত খাবার গুলো রাখতে পারেন বা নিয়মিত খেতে পারেন, তাহলে আপনি আলসার গ্রুপ থেকে রক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনাটা অধিকাংশই বেড়ে যাবে, অর্থাৎ আশা করা যায় আপনার এই রূপ থেকে মুক্তির।  আলসার হলে কি কি খাওয়া যাবে না  উপরে আমরা জানলাম কেউ যদি আলসার রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে এই সমস্ত খাবার খেতে হয় সেগুলো নিয়ে। তো এখন আবার অনেকের প্রশ্ন হয় যে আলসার হলে কি কি খাওয়া যাবে না। তো চলুন এবার জেনে নেই যে সমস্ত খাবার খাওয়া যাবে না সেগুলোর তালিকা।  আলসার হলে তেল চর্বিযুক্ত মসলা বেশি ও চর্বি জাতীয় তরকারি খাওয়া যাবে না। খাবারের রুটিন এর মধ্যে অবশ্যই রুটি চিড়া কিংবা শুকনো মুড়ি রাখতে হবে। আর একটা বিষয় অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে যে আপনি খাওয়ার পর পরই ঘুমিয়ে যাবেন না অর্থাৎ ছুয়ে যাবেন না। খাবার-দাবার এর পর অন্তত 20 মিনিট সময় হাঁটাচলা করুন, অতঃপর আপনি শুইতে পারেন, কিন্তু তাৎক্ষণিক খাবার খাওয়ার পরপরই কখনোই শুয়ে যাবেন না, কেননা এতে আপনার ক্ষতি হবে।   ডিওডেনাল আলসার রোগীর খাদ্য তালিকা  মধ্যে খুব বড় পার্থক্য না থাকলেও ছোট ছোট পার্থক্য এই দুটি আলসারকে বিভক্ত করে রেখেছে। ডিওডেনাল এবং গ্যাস্ট্রিক আলসারের খাদ্য তালিকা প্রায় একই রকম।  গ্যাস্ট্রিক আলসার এবং ডিওডেনাল আলসার এই দুইটা রোগের মধ্যে খুব বড় ধরনের পার্থক্য নেই বরং ছোট ছোট কয়েকটা বিষয়ের কারণে এই দুইটা রূগকে পার্থক্য করা হয়েছে। ডিওডেনাল আলসার এবং গ্যাস্ট্রিকালচার এই দুইটা রোগের খাদ্য তালিকা প্রায় এক রকমেই হয়ে থাকে, তবে অল্প কিছু পার্থক্য রয়েছে।  আপনার যদি ডিওডেনাল আলসার হয়ে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে আমি উপরে যে খাদ্যগুলোর তালিকা উল্লেখ করেছি সেই সবগুলো খাদ্যই আপনি আপনার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকা রাখবেন। তবে বাঁধাকপি কলা পেঁপে শাকসবজি এই সমস্ত খাবার গুলো বেশি বেশি খাওয়ার চেষ্টা করবেন কারণ এই সমস্ত খাবার গুলো বেশি খেলে আপনার উপকার হবে বরং ক্ষতিকর কোন দিক নেই।   FAQ  আলসার হলে কি ডিম খাওয়া যাবে  ডিম সাধারণত একটি পুষ্টিকর খাবার, শরীরের বিভিন্ন অংশের দুর্বলতা কাটাতে ডিম একটি অসাধারণ ভূমিকা পালন করে। তাই চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মতে আলসার রোগে যারা আক্রান্ত তারা ডিম খেতে পারবে।  বরং যে সমস্ত ব্যক্তিরা আলসার রোগে আক্রান্ত হয়েছে সে সমস্ত ব্যক্তিরা যদি ডিমের মতো পুষ্টি জাতীয় খাবার খায় সে ক্ষেত্রে তাদের আলসার ভালো হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। তো যারা প্রশ্ন করেন তাছাড়া হলে কি ডিম খাওয়া যাবে কিনা আশা করি তাদের উত্তরটা পেয়ে গেছেন।  আলসার হলে কি লেবু খাওয়া যাবে  আলসার হলে লেবু খাওয়া যাবে কিনা এ বিষয়ে অনেকেই জানতে চায়। তো আলসার হলে অবশ্যই দেবো খাওয়া যাবে না কেন না লেবুর মধ্যে রয়েছে সাইট্রিক অ্যাসিড।  আর এই সাইট্রিক অ্যাসিড অর্থাৎ আপনি যদি লেবু খান তাহলে সাইট্রিক অ্যাসিড এটা আপনার শরীরে বেড়ে যাবে সেক্ষেত্রে আপনার শরীরে আলসার রুগটি আপনার শরীরে আরও ভালোভাবে জায়গা করে নিবে। সুতরাং যারা আলসারের আক্রান্ত হয়েছে বা আক্রান্ত তারা কখনোই লেবু খেতে পারবে না। যতটুকু সম্ভব লেবু খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।  আলসার হলে কি মেথি খাওয়া যাবে  হ্যা, আলসার হলে অবশ্যই আপনি মেথি খেতে পারবেন, কেননা মেথির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার, যাহা আপনার শরীর হইতে আলসার দূর করতে অনেক সহায়তা করবে, সুতরাং আপনার আলসার রুগ হলে অবশ্যই আপনি মেথি খেতে পারবেন।  আলসার হলে কি কলা খাওয়া যাবে  কলা শরীরের জন্য খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার, কিন্তু এবার প্রশ্ন জাগে আলসারে আক্রান্ত ব্যক্তি কি কলা খেতে পারবে? তাহলে চলুন এবার জেনে নেই আক্রান্ত ব্যক্তি কলা খেতে পারবে কিনা।  নিয়মিত কলা খেলে পাইলোরি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ রোধ করে। তাই আলসারে আক্রান্ত ব্যক্তি যদি কলা সেবন করে তাহলে অবশ্যই তার জন্য উপকার হবে এবং নিঃসন্দেহে সে কলা খেতে পারবে। আনসার আক্রান্ত ব্যক্তি প্রতিদিন এক হালি পর্যন্ত কলা খেলে তার উপকারে আসবে, অর্থাৎ অতিরিক্ত কলা খাওয়ার ফলে তার কোন রকমের কোন ক্ষতি হবে না বরং তার উপকার হবে।  আলসার হলে কি রুটি খাওয়া যাবে  আলসার বিশেষজ্ঞ এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে আলসার এ আক্রমণকারী ব্যক্তি যদি রুটি খায় তাহলে সে ক্ষেত্রে কোন প্রকার সমস্যা হবে না। তাহলে অবশ্যই আপনি যদি আলসার রোগে আক্রান্ত হন তাহলে রুটি খেতে পারবেন।  তো বন্ধুরা এতক্ষণ আমরা জানলাম কেউ যদি আলসার নামক করবে আক্রান্ত হয় সেই ক্ষেত্রে সেই ব্যক্তি কোন কোন খাবার খেতে পারবে এবং কোন কোন খাবার খেতে পারবেনা ইত্যাদি বিষয়ে। এবং আরো জেনেছি আলসার আক্রান্ত ব্যক্তি ডিম লেবু কলা ইত্যাদি খেতে পারবে কিনা বা খেলে কি উপকার বা ক্ষতি হবে। তো এখন আমরা জানবো মূলত আলসার কি এবং ইহার প্রকারভেদ ও চিকিৎসা সম্পর্কে।   আলসার কি  আলসার বলা হয় এমন একটা ক্ষত বা ঘা কে, যা সাধারণত মানুষের খাদ্য তৈরি বা পিতৃতুলিতে হয়ে থাকে, এবং খাদ্যথলিতে বাসা বেধে মানুষের শরীরের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি করে। আর আলসার সাধারণত নিয়ন্ত্রান্ত্রিক ব্যতীত জীবন যাপন খাওয়া-দাওয়া এবং ধূমপানসহ আর বিভিন্ন কারণে এই রোগটি হতে পারে। তবে আলসার রোগের উৎপত্তি টা Helicobacter Pylori এই ধরনের ইনফেকশন থেকেই সৃষ্টি হয়ে থাকে।   আলসার কত প্রকার ও কি কি  বিজ্ঞান ও চিকিৎসক বিশেষজ্ঞদের মতে আলসার সাধারণত দুই প্রকার এক নাম্বার হচ্ছে গ্যাস্ট্রিক আলসার দ্বিতীয় নাম্বার হচ্ছে ডিওডেনাল আলসার। ডিওডেনাল আলসার পরিমাপ করা যায় কিন্তু গ্যাস্ট্রিক আলসার পরিমাপ করা যায় না।  অর্থাৎ আপনার শরীরে যদি গ্যাস্ট্রিক আলসারের কারণে ব্যাথা হয় সেক্ষেত্রে ব্যথা টি কোথায় হচ্ছে সেটা আপনি পরিমাপ করতে পারবেন না। কিন্তু আপনার শরীরে যদি ডিওডেনাল আলসারের কারণে ব্যাথা হয় সে ক্ষেত্রে আপনি পরিমাপ করতে পারবেন বা বুঝতে পারবেন যে ব্যাথাটি অমুক জায়গায় কিংবা অমুক স্থানে হচ্ছে।  ডিওডেনাল আলসারের লক্ষণগুলো  খাবার সেবন করার এক দুই ঘন্টা পর থেকে পেটের মধ্যে প্রচন্ড পরিমাণে ব্যাথা শুরু হয়। এবং রক্ত ও বমি বেশি হয় না তবে বমি হলে রক্তের মত হয়। পায়খানার রাস্তা দিয়ে এক জাতীয় রক্তের মত বাহির হওয়া, পেটে ব্যাথা যখন উঠে তখন মুখে পানি আসে এবং জ্বালাপোড়া করে। যখন এই রোগের ক্ষুধা লাগবে অর্থাৎ খাদ্যের প্রয়োজন হবে তখন এই ব্যাথা বা জ্বালাপোড়া শুরু হয়।   কোন ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে গ্যাস্ট্রিক আলসার নামক রোগ হয়  যেই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমনে গ্যাস্ট্রিক নামক আলসার রোগ মানুষের শরীরের মধ্যে হয় আমরা পূর্বে অর্থাৎ উপরে উল্লেখ করে দিয়েছি। তবে আপনি যদি লক্ষ্য করে না থাকেন সেক্ষেত্রে আমরা আবারও বলে দিচ্ছি যে, Helicobacter Pylori ইনফেকশনের কারণে মানুষের শরীরে গ্যাস্ট্রিক নামক আলসার রোগ হয়।   আলসারের চিকিৎসা কি  আলসারের চিকিৎসা সাধারণত ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন এবং রুটিন অনুযায়ী খাদ্য সেবনের মাধ্যমে প্রতিকার করা সম্ভব। তবে একটা কথা অবশ্যই মনে রাখবেন আপনি ইন্টারনেট কিংবা ইউটিউব ফেসবুক গুগল যে কোন প্লাটফর্মেই বলেন না কেন, আপনি এই সমস্ত জায়গা থেকে কোন প্রকার টিউটোরিয়াল বা ব্লগ পড়ে চিকিৎসা করবেন না।  কেননা আপনি যদি এই সমস্ত ইউটিউবে কিংবা গুগলে ঘাটাঘাটি করে নিজেই নিজের চিকিৎসা করেন সে ক্ষেত্রে আপনার উপকারের চেয়ে ক্ষতির সম্ভাবনায় বেশি রয়েছে। কেননা google youtube অনেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য কালেক্ট করে তারপর পোস্ট করে বা ভিডিও দেয়। সে ক্ষেত্রে আপনি যখন আপনার রোগের চিকিৎসা করবেন তখন অবশ্যই অন্তত পক্ষে একজন ভালো এমবিবিএস ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন।  অন্য পোস্ট পাথর চুনা পাতার উপকারিতা শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা  শেষ কথা - আলসার হলে কি কি খাওয়া যাবে  তো বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানতে পারলাম যে আলসার হলে কি কি খাওয়া যাবে, এবং কি কি খাওয়া যাবেনা, আলসার হলে কি ডিম খাওয়া যাবে, এছাড়াও ডিওডেনাল আলসার রোগীর খাদ্য তালিকা সহ আনসার রূপ জনিত আরো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।  আমি আশা করি আমার এই পোস্টটি আপনি সম্পূর্ণ পড়েছেন আর আপনি যদি এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আশা করি একটু না একটু হলেও উপকৃত হয়েছেন। তবে আবার অনুরোধ করে একটা কথা বলি আপনি যে কোন রোগে আক্রান্ত হন না কেন গুগল থেকে দেখে কিংবা ইউটিউব থেকে দেখে নিজে নিজে চিকিৎসা করবেন না। অবশ্যই আপনি বা যারা অসুস্থতা তাকে নিয়ে একজন ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন, আশা করি আমি বিষয়টা আপকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছি।

তাই অনলাইনে এবং google এর মত প্ল্যাটফর্মে প্রতিনিয়তই খুব প্রচুর পরিমাণে সার্চ হচ্ছে যে, আলসার হলে কি কি খাওয়া যাবে। এবং মানুষেরা এটাও সার্চ করতেছে যে, ডিওডেনাল আলসার রোগীর খাদ্য তালিকা।


তো আলসার রোগ সম্পর্কে যাদের মনে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন রয়েছে তাদের জন্য আজকের আমার আর্টিকেলটি, আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন আলসার রোগের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে, সেই সাথে আপনি এটাও জানতে পারবেন আলসার মূলত কি? আলসার কত প্রকার হয়ে থাকে ইত্যাদি ইত্যাদি।

আপনি যদি আলসার এর মতো রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন কিংবা আপনার পরিচিত কেউ এরকম রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই আপনার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় নতুন কিছু খাবার যোগ করতে হবে। আর আপনি যদি নতুন খাবার গুলো আপনার খাদ্য তালিকায় যোগ করেন তাহলে আশা করা যায় আপনি আলসার থেকে নিরাময় পেতে পারেন। আর আলসার রোগ হলে আপনি কোন কোন খাদ্য খাবেন বা খেতে পারবেন সেই সমস্ত খাদ্যের একটি তালিকা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

 

আলসার হলে কি কি খাওয়া যাবে

আপনি অথবা আপনার পরিবারের কিংবা পরিচিত কেউ যদি আলসারের রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে আমি নিচে যে খাবারগুলো উল্লেখ করতেছি সেটি বেশি পরিমাণে খাবার চেষ্টা করিবেন। আলসার হলে যে সমস্ত খাদ্য খাবেন সেগুলো হলো এই:- পেপে, রুটি, তরমুজ, ডিম, মাছ, কলা, বাধা কপি, সবুজ শাকসবজি, বাদাম, রেগুলার ভেজিটেবল ওয়েল, অলিব অয়েল, মিল্ক ইত্যাদি প্রাকৃতিক খাদ্যগুলো আপনি খুব প্রচুর পরিমাণে খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

উপরে আমি যে সমস্ত প্রাকৃতিক খাবারগুলির নাম উল্লেখ করেছি, আপনি যদি আপনার খাবারের দৈনন্দিন তালিকায় ঐ সমস্ত খাবার গুলো রাখতে পারেন বা নিয়মিত খেতে পারেন, তাহলে আপনি আলসার গ্রুপ থেকে রক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনাটা অধিকাংশই বেড়ে যাবে, অর্থাৎ আশা করা যায় আপনার এই রূপ থেকে মুক্তির।

আলসার হলে কি কি খাওয়া যাবে না

উপরে আমরা জানলাম কেউ যদি আলসার রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে এই সমস্ত খাবার খেতে হয় সেগুলো নিয়ে। তো এখন আবার অনেকের প্রশ্ন হয় যে আলসার হলে কি কি খাওয়া যাবে না। তো চলুন এবার জেনে নেই যে সমস্ত খাবার খাওয়া যাবে না সেগুলোর তালিকা।

আলসার হলে তেল চর্বিযুক্ত মসলা বেশি ও চর্বি জাতীয় তরকারি খাওয়া যাবে না। খাবারের রুটিন এর মধ্যে অবশ্যই রুটি চিড়া কিংবা শুকনো মুড়ি রাখতে হবে। আর একটা বিষয় অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে যে আপনি খাওয়ার পর পরই ঘুমিয়ে যাবেন না অর্থাৎ ছুয়ে যাবেন না। খাবার-দাবার এর পর অন্তত 20 মিনিট সময় হাঁটাচলা করুন, অতঃপর আপনি শুইতে পারেন, কিন্তু তাৎক্ষণিক খাবার খাওয়ার পরপরই কখনোই শুয়ে যাবেন না, কেননা এতে আপনার ক্ষতি হবে।

ডিওডেনাল আলসার রোগীর খাদ্য তালিকা

মধ্যে খুব বড় পার্থক্য না থাকলেও ছোট ছোট পার্থক্য এই দুটি আলসারকে বিভক্ত করে রেখেছে। ডিওডেনাল এবং গ্যাস্ট্রিক আলসারের খাদ্য তালিকা প্রায় একই রকম।

গ্যাস্ট্রিক আলসার এবং ডিওডেনাল আলসার এই দুইটা রোগের মধ্যে খুব বড় ধরনের পার্থক্য নেই বরং ছোট ছোট কয়েকটা বিষয়ের কারণে এই দুইটা রূগকে পার্থক্য করা হয়েছে। ডিওডেনাল আলসার এবং গ্যাস্ট্রিকালচার এই দুইটা রোগের খাদ্য তালিকা প্রায় এক রকমেই হয়ে থাকে, তবে অল্প কিছু পার্থক্য রয়েছে।

আপনার যদি ডিওডেনাল আলসার হয়ে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে আমি উপরে যে খাদ্যগুলোর তালিকা উল্লেখ করেছি সেই সবগুলো খাদ্যই আপনি আপনার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকা রাখবেন। তবে বাঁধাকপি কলা পেঁপে শাকসবজি এই সমস্ত খাবার গুলো বেশি বেশি খাওয়ার চেষ্টা করবেন কারণ এই সমস্ত খাবার গুলো বেশি খেলে আপনার উপকার হবে বরং ক্ষতিকর কোন দিক নেই।


FAQ

আলসার হলে কি ডিম খাওয়া যাবে

ডিম সাধারণত একটি পুষ্টিকর খাবার, শরীরের বিভিন্ন অংশের দুর্বলতা কাটাতে ডিম একটি অসাধারণ ভূমিকা পালন করে। তাই চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মতে আলসার রোগে যারা আক্রান্ত তারা ডিম খেতে পারবে।

বরং যে সমস্ত ব্যক্তিরা আলসার রোগে আক্রান্ত হয়েছে সে সমস্ত ব্যক্তিরা যদি ডিমের মতো পুষ্টি জাতীয় খাবার খায় সে ক্ষেত্রে তাদের আলসার ভালো হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। তো যারা প্রশ্ন করেন তাছাড়া হলে কি ডিম খাওয়া যাবে কিনা আশা করি তাদের উত্তরটা পেয়ে গেছেন।

আলসার হলে কি লেবু খাওয়া যাবে

আলসার হলে লেবু খাওয়া যাবে কিনা এ বিষয়ে অনেকেই জানতে চায়। তো আলসার হলে অবশ্যই দেবো খাওয়া যাবে না কেন না লেবুর মধ্যে রয়েছে সাইট্রিক অ্যাসিড।

আর এই সাইট্রিক অ্যাসিড অর্থাৎ আপনি যদি লেবু খান তাহলে সাইট্রিক অ্যাসিড এটা আপনার শরীরে বেড়ে যাবে সেক্ষেত্রে আপনার শরীরে আলসার রুগটি আপনার শরীরে আরও ভালোভাবে জায়গা করে নিবে। সুতরাং যারা আলসারের আক্রান্ত হয়েছে বা আক্রান্ত তারা কখনোই লেবু খেতে পারবে না। যতটুকু সম্ভব লেবু খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

আলসার হলে কি মেথি খাওয়া যাবে

হ্যা, আলসার হলে অবশ্যই আপনি মেথি খেতে পারবেন, কেননা মেথির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার, যাহা আপনার শরীর হইতে আলসার দূর করতে অনেক সহায়তা করবে, সুতরাং আপনার আলসার রুগ হলে অবশ্যই আপনি মেথি খেতে পারবেন।

আলসার হলে কি কলা খাওয়া যাবে

কলা শরীরের জন্য খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার, কিন্তু এবার প্রশ্ন জাগে আলসারে আক্রান্ত ব্যক্তি কি কলা খেতে পারবে? তাহলে চলুন এবার জেনে নেই আক্রান্ত ব্যক্তি কলা খেতে পারবে কিনা।

নিয়মিত কলা খেলে পাইলোরি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ রোধ করে। তাই আলসারে আক্রান্ত ব্যক্তি যদি কলা সেবন করে তাহলে অবশ্যই তার জন্য উপকার হবে এবং নিঃসন্দেহে সে কলা খেতে পারবে। আনসার আক্রান্ত ব্যক্তি প্রতিদিন এক হালি পর্যন্ত কলা খেলে তার উপকারে আসবে, অর্থাৎ অতিরিক্ত কলা খাওয়ার ফলে তার কোন রকমের কোন ক্ষতি হবে না বরং তার উপকার হবে।

আলসার হলে কি রুটি খাওয়া যাবে

আলসার বিশেষজ্ঞ এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে আলসার এ আক্রমণকারী ব্যক্তি যদি রুটি খায় তাহলে সে ক্ষেত্রে কোন প্রকার সমস্যা হবে না। তাহলে অবশ্যই আপনি যদি আলসার রোগে আক্রান্ত হন তাহলে রুটি খেতে পারবেন।

তো বন্ধুরা এতক্ষণ আমরা জানলাম কেউ যদি আলসার নামক করবে আক্রান্ত হয় সেই ক্ষেত্রে সেই ব্যক্তি কোন কোন খাবার খেতে পারবে এবং কোন কোন খাবার খেতে পারবেনা ইত্যাদি বিষয়ে। এবং আরো জেনেছি আলসার আক্রান্ত ব্যক্তি ডিম লেবু কলা ইত্যাদি খেতে পারবে কিনা বা খেলে কি উপকার বা ক্ষতি হবে। তো এখন আমরা জানবো মূলত আলসার কি এবং ইহার প্রকারভেদ ও চিকিৎসা সম্পর্কে।

আলসার কি

আলসার বলা হয় এমন একটা ক্ষত বা ঘা কে, যা সাধারণত মানুষের খাদ্য তৈরি বা পিতৃতুলিতে হয়ে থাকে, এবং খাদ্যথলিতে বাসা বেধে মানুষের শরীরের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি করে। আর আলসার সাধারণত নিয়ন্ত্রান্ত্রিক ব্যতীত জীবন যাপন খাওয়া-দাওয়া এবং ধূমপানসহ আর বিভিন্ন কারণে এই রোগটি হতে পারে। তবে আলসার রোগের উৎপত্তি টা Helicobacter Pylori এই ধরনের ইনফেকশন থেকেই সৃষ্টি হয়ে থাকে।

আলসার কত প্রকার ও কি কি

বিজ্ঞান ও চিকিৎসক বিশেষজ্ঞদের মতে আলসার সাধারণত দুই প্রকার এক নাম্বার হচ্ছে গ্যাস্ট্রিক আলসার দ্বিতীয় নাম্বার হচ্ছে ডিওডেনাল আলসার। ডিওডেনাল আলসার পরিমাপ করা যায় কিন্তু গ্যাস্ট্রিক আলসার পরিমাপ করা যায় না।

অর্থাৎ আপনার শরীরে যদি গ্যাস্ট্রিক আলসারের কারণে ব্যাথা হয় সেক্ষেত্রে ব্যথা টি কোথায় হচ্ছে সেটা আপনি পরিমাপ করতে পারবেন না। কিন্তু আপনার শরীরে যদি ডিওডেনাল আলসারের কারণে ব্যাথা হয় সে ক্ষেত্রে আপনি পরিমাপ করতে পারবেন বা বুঝতে পারবেন যে ব্যাথাটি অমুক জায়গায় কিংবা অমুক স্থানে হচ্ছে।

ডিওডেনাল আলসারের লক্ষণগুলো

খাবার সেবন করার এক দুই ঘন্টা পর থেকে পেটের মধ্যে প্রচন্ড পরিমাণে ব্যাথা শুরু হয়। এবং রক্ত ও বমি বেশি হয় না তবে বমি হলে রক্তের মত হয়। পায়খানার রাস্তা দিয়ে এক জাতীয় রক্তের মত বাহির হওয়া, পেটে ব্যাথা যখন উঠে তখন মুখে পানি আসে এবং জ্বালাপোড়া করে। যখন এই রোগের ক্ষুধা লাগবে অর্থাৎ খাদ্যের প্রয়োজন হবে তখন এই ব্যাথা বা জ্বালাপোড়া শুরু হয়।

কোন ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে গ্যাস্ট্রিক আলসার নামক রোগ হয়

যেই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমনে গ্যাস্ট্রিক নামক আলসার রোগ মানুষের শরীরের মধ্যে হয় আমরা পূর্বে অর্থাৎ উপরে উল্লেখ করে দিয়েছি। তবে আপনি যদি লক্ষ্য করে না থাকেন সেক্ষেত্রে আমরা আবারও বলে দিচ্ছি যে, Helicobacter Pylori ইনফেকশনের কারণে মানুষের শরীরে গ্যাস্ট্রিক নামক আলসার রোগ হয়।

আলসারের চিকিৎসা কি

আলসারের চিকিৎসা সাধারণত ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন এবং রুটিন অনুযায়ী খাদ্য সেবনের মাধ্যমে প্রতিকার করা সম্ভব। তবে একটা কথা অবশ্যই মনে রাখবেন আপনি ইন্টারনেট কিংবা ইউটিউব ফেসবুক গুগল যে কোন প্লাটফর্মেই বলেন না কেন, আপনি এই সমস্ত জায়গা থেকে কোন প্রকার টিউটোরিয়াল বা ব্লগ পড়ে চিকিৎসা করবেন না।

কেননা আপনি যদি এই সমস্ত ইউটিউবে কিংবা গুগলে ঘাটাঘাটি করে নিজেই নিজের চিকিৎসা করেন সে ক্ষেত্রে আপনার উপকারের চেয়ে ক্ষতির সম্ভাবনায় বেশি রয়েছে। কেননা google youtube অনেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য কালেক্ট করে তারপর পোস্ট করে বা ভিডিও দেয়। সে ক্ষেত্রে আপনি যখন আপনার রোগের চিকিৎসা করবেন তখন অবশ্যই অন্তত পক্ষে একজন ভালো এমবিবিএস ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন।


শেষ কথা - আলসার হলে কি কি খাওয়া যাবে

তো বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানতে পারলাম যে আলসার হলে কি কি খাওয়া যাবে, এবং কি কি খাওয়া যাবেনা, আলসার হলে কি ডিম খাওয়া যাবে, এছাড়াও ডিওডেনাল আলসার রোগীর খাদ্য তালিকা সহ আনসার রূপ জনিত আরো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

আমি আশা করি আমার এই পোস্টটি আপনি সম্পূর্ণ পড়েছেন আর আপনি যদি এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আশা করি একটু না একটু হলেও উপকৃত হয়েছেন। তবে আবার অনুরোধ করে একটা কথা বলি আপনি যে কোন রোগে আক্রান্ত হন না কেন গুগল থেকে দেখে কিংবা ইউটিউব থেকে দেখে নিজে নিজে চিকিৎসা করবেন না। অবশ্যই আপনি বা যারা অসুস্থতা তাকে নিয়ে একজন ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন, আশা করি আমি বিষয়টা আপনাকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছি।

Previous Post Next Post

نموذج الاتصال