সূরা মূলক এর ফজিলত

 

 

আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই আশা করি আল্লাহর রহমাতে ভালো আছেন।

আমিও আল্লাহর রহমাতে ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। 

আজকের আমি আপনাদের সাথে সূরা মূলক এর ফজিলত নিয়ে কথা বলবো।

এই সূরার অনেক ফজিলত আছে। এই সূরা রাতে যারা তেলওয়াত করবে তাদের কবরের

আজাব হবে না। 

কবরের কথা শুনলে ভয় লাগে না? চলে যেতে হবে। কেউ থাকতে পারবো না কিন্তু এ কথা

আমাদের স্মরণেই আসেনা। এতো ব্যস্ততা এতো মায়ার জালে আমরা আটকে আছি। 

একটার পর একটা কাজ আমাদের লেগেই থাকে। 

আসেন না নিজেদেরকে একটু পরিবর্তন করি। আসেন না নিজেদের আমলের ঝুলিতে

আরো কিছু বাড়াই। প্রতিদিন রাতে সূরাতুল মুলক তেলওয়াত করবেন ইনশাআল্লাহ ।

 

★ফজিলত :

 ১। এই সূরা নিয়মিত পাঠ করলে কবরের আজাব হবে না। 

২। এই সূরা যারা তেলওয়াত করবে, তেলওয়াত কারির জন্য আল্লাহর কাছে সুপারিশ করবে। 

৩।এই সূরাটা কেয়ামতের দিন তেলওয়াত কারির পক্ষে আল্লাহর সাথে তর্ক করবে, 

ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ না আল্লাহ তাকে জান্নাতি বলে ঘোষণা না দেয় । 

হযরত মোহাম্মদ ( স:) আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন রাএি বেলা এই সূরাটি যে

 তেলওয়াত করবে তার রাএিটা বরকত ময় করেদেবেন আল্লাহ।

 তাই বিশ্ব নবী বলতেন আমি চাই আমার প্রতিটা উম্মতের হৃদয় এই সূরাটি গাঁথা থাক।


*সুরা মুলক এর মহত্ত্ব : 

 এই সূরার মহত্ত্ব হচ্ছে এই সূরা আপনার দৃষ্টি ভঙ্গিকে পাল্টে দিবে।

 আপনার চিন্তার জগতে আন্দোলন তৈরি করবে। আপনার চোখকে খুলে দিবে। 

আপনার ঘুমন্ত বিবেক জাগিয়ে দিবে ইনশাআল্লাহ। 


★ সুরা আল-মুলক এর অবতীর্ণ :

      সূরা মুলক টি পবিত্র  নগরীর মক্কায় অবতীর্ণ  হয়।

যে টি কুরআন মাজিদের সাতষট্টি. (৬৭) নাম্বার সুরা।

 

★ আয়াত সংখ্যা :

    এই সূরার মহত্ত্ব অনেক বেশি।পবিত্র  নগরীর মক্কায় অবতীর্ণ হওয়া

কুরআনমাজিদের সাতষট্টি. (৬৭) নাম্বার সূরাটি  সূরা মূলক, 

যার আয়াত সংখ্যা  ত্রিশ, (৩০) টি 


★ রুকু: 

আমরা জানি পবিত্র কুরআন শরীফের ভিতরে অনেক রুকু আছে 

তার ভিতরে সূরা মুলক এর রুকু সংখ্যা  (২) দুই টি 

 

★সুরা মুলক এর সুপারিশ : 

    কুরআন শরিফ তেলোয়াত কারি আমলদারের জন্য সুরা মুলক অনেক ফজিলত সম্পন্ন

  একটি সুরা, যা তার তেলওয়াতকারিকে ক্ষমা করে দেওয়ার আগ পর্যন্ত আল্লাহর কাছে 

সুপারিশ করতে থাকে।

 

অন্য পোস্ট



 

★ সুরা মুলক নিয়ে হযরত উসমান (রা:) কিছু কথা :

    হযরত উসমান (রা:)  যখন কবরের পাশ দিয়ে যেতেন তখন কান্নায় উনার দাঁড়ি এবং 

বুক ভিজে যেতো। লোকেরা উনাকে জিজ্ঞাসা করতো, আপনি কবরের পাশে এলে 

এতো কাঁদেন অথচ জান্নাত আর জাহান্নামের বর্ননা শুনেও এতো কান্নাকাটি করেন না।

 এর কারন কি? তিনি তখন বললেন আমি রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট

 শুনেছি করব হচ্ছে আখিরাতের প্রথম ধাপ।

যে ব্যক্তি এখানে মুক্তি পাবে  তার জন্য আখিরাতের পড়ের ধাপ গুলো পার করা সহজ হবে। 

রাসুল (সা:)আরো বলেছেন, কবরের চেয়ে ভয়ংকর জায়গা  আমি আর কোথাও দেখিনি। 

যে ব্যক্তি নিয়মিত রাতে সুরা মুলক তেলওয়াত করবে সে কবরের আজাব থেকে মুক্তি পাবে

 ( তিরমিজি  ২৮৯০)।

আর একটি হাদিসে বর্ণিত আছে যে  সুরা মুলক তেলওয়াত কারির আমলনামায় 

অন্য সুরার তুলনায় সত্তর  (৭০) টি  নেকি বেশি লেখা হবে  এবং 

  সত্তর  (৭০)  টি গুনাহ মুছে ফেলা হবে (তিরমিজি ২৮৯২)

 

★ হাদিসে এসেছে  রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কোনো রাতে সুরা মুলক 

পাঠ না করে ঘুমাতেন না (তিরমিজি ২৮৯২)

★ আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন

 কবরের সাহিত ব্যক্তির নিকট পায়ের দিক থেকে ফেরেস্তারা শাস্তির জন্য 

আসতে  চাইবে তখন তার পদদ্বয় বলবে আমার দিক দিয়ে আসার রাস্তা নেই  

কেনো না সে সুরা মুলক পাঠ করতো তখন তার সিনা বা পেটের দিক দিয়ে আসতে 

চাইবে তখন সিনা অথবা পেট বলবে আমার দিক দিয়ে আসার কোনো  রাস্তা 

তোমাদের জন্য নেই  কেননা সে আমার মধ্যে সুরা মুলক ভালোভাবে ধারন করেছিল

 অতঃপর তার মাথার দিক দিয়ে আসার চেষ্টা করবে মাথা বলবে এইদিক দিয়ে আসার রাস্তা

 নেই কেনো না সে আমার দ্বারা সুরা মুলক পাঠ করেছিল।

 

★সুরা মুলক হচ্ছে বাধাদানকারি । কবরের আজাব কে সে  বাধা দিবে।

সুরা মুলক  যে ব্যক্তি  রাএে পাঠ করবে সে অধিক পবিত্র ও উৎকৃষ্ট 

আমল করবে (সহীহ তারগীব ১৪৭৫)।


★ এছাড়া মাসুদ রাদিআল্লাহু আনহু আরো বলেন আমারা রাসুল (সাঃ) এর যুগে 

সুরা টিকে মানেয়া বা বাধাদানকারী সুরা বলে আখ্যা দিতাম।

উহা আল্লাহ তা'আলার কিতাব কুরআনের মাঝে একটি গুরুত্বপূর্ণ সূরা। 

যে ব্যক্তি উহা প্রতিরাতে পাঠ করবে সে অধিক উৎকৃষ্ট আমল করবে 

(সহীহ তারগীব ১৪৭৬)।



উপসংহার

মহান আল্লাহ তা'আলা আমাদের সকলকে প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে 

সুরা মুলক তেলওয়াত এর তৌফিক দান করুক আমিন।


Previous Post Next Post

نموذج الاتصال