ওয়ালটন রাইস কুকার

                                                                    

ওয়ালটন রাইস কুকার:                                                                                                                     আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই আশা করি  আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ ! আজকের আমি আপনাদের সাথে  ওয়ালটন রাইস কুকার সম্পর্কে সম্পূর্ণ বিস্তারিত আলোচনা কর  আমরা কম-বেশি সকলেই ওয়ালটন রাইস কুকারের সঙ্গে পরিচিত ওয়ালটন রাইস কুকার একটি নিত্য প্রয়োজনীয় ইলেকট্রিক পণ্য! ওয়ালটন রাজ কুকার টির সম্পর্কে ভালো মতো জানতে আমার এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন  কারণ এতে ওয়ালটন রাইস কুকার  টি আপনার ব্যবহার করতে সাহায্য  করবে!


 ওয়ালটন  রাইস কুকারের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
ওয়ালটন রাইস কুকারের সার্ভিসটি  নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শুধুমাত্র ওয়ালটন কোম্পানির  অনুমোদিত  সার্ভিস সেন্টার থেকে পাওয়া যাবে ! আপনাদের সুবিধার্থে বলে রাখছি  যে পণ্যের গায়ের বারকোডটি   স্ক্যান  করে  তারপর ওয়ালটন রাইস কুকার টি  কিনবেন !  যাতে করে  ওয়ালটন রাইস কুকারটির গায়ের বার কোড এবং ওয়ারেন্টি কার্ড এর  বারকোডটির অমিল না থাকে ! যদি অমিল থাকে  তাহলে কোন ভাবে আর ওয়ারেন্টি পাবেন না !

  ওয়ালটন রাইস  কুকারের সতর্কতামূলক তথ্য :
ওয়ালটন রাইস কুকার টি  সঠিক ভাবে স্থাপন না করতে পারলে এবং ভুল ব্যবহারের কারণে মানুষের বা ওয়ালটন রাইস কুকার এর  কোন ক্ষতি হলে Walton কোম্পানি জানিয়েছি তারা কোন দায় বহন করবে না ! প্রয়োজনে  পণ্যটিতে প্রদান বৈশিষ্ট্য উল্লেখ  রেখে ওয়ালটন রাইস কুকার ব্যবহারকারীদের সুবিধার জন্য যেকোনো ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে !

 ওয়ালটন রাইস কুকারের বৈশিষ্ট্য:
1: বিদ্যুৎ কম খরচ হয়!
 2: walton রাইস কুকার পুরো নন স্টিক অ্যালমনিয়াম ইনার  পট দিয়ে তৈরি!
3: ওয়ালটন রাইস কুকার স্বয়ং কিরিও  কুকিং এবং  ওয়াম ফ্যাশন!
4: ওয়ালটন রাজ কুকারটি উচ্চতাপের সুরক্ষা যুক্ত রয়েছে
5 ওয়ালটন রাইস কুকার টিতে একটি মাত্র নিয়ন্ত্রণ  সুইচ ব্যবহার উপযোগী
6:  ওয়ালটন রাইস কুকারটি একই সাথে রান্না করা  ও খাবার সিদ্ধ  করার সুবিধা রয়েছে

অন্য পোস্ট


ওয়ালটন রাইস কুকার ব্যবহারে সতর্কতা :
ওয়ালটন রাইস কুকারটি যেই যেই সাবধানতার সাথে কাজ করবেন যে কোন সমস্যা থেকে বাঁচতে এই সতর্কতা গুলো  মেনে রাইস কুকার টি ব্যবহার করুন!
1:ওয়ালটন রাইস কুকারের গরম হওয়া জায়গায় কোনভাবেই পানি ফেলা যাবে না
2: ওয়ালটন রাইস কুকারটি মাটিতে, সূর্যের তাপে অথবা রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের পাশে রেখে রান্না করলে ওয়ালটন রাইস কুকারটির ক্ষতি হতে পারে!
3: Walton রাইস কুকার টি রান্নার সময় কোনরকম নাড়াচাড়া দেওয়া যাবে না!
4: ওয়ালটন  রাইস কুকারটি বাচ্চাদের এবং বয়স্কদের কাছ থেকে দূরে  রাখা উচিত
5: walton রাইস কুকারের হিটের জায়গা,  ইনার  পট সব সময় পরিষ্কার রাখুন
6: ওয়ালটন রাইস কুকারের মধ্যে পাতিল টি অন্য কোন চুলায় ব্যবহার করা যাবে না

 ওয়ালটন রাইস কুকার টি ব্যবহারের নিয়ম:
আমাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসের ভিতরে রাইস কুকার একটি অন্যতম জিনিস এটা আমরা অনেকেই ব্যবহারের সঠিক নিয়ম গুলো জানিনা, রাইস কুকারের ভিতরে  পাতিলে করে চাল বা সবজি  না ধুয়ে অন্য পাতিলে ধুয়ে তারপরে ওয়ালটন রাইস কুকারে পাতিলটির মধ্যে দিতে হবে! রাইস কুকারের পাতিলটির নিচে যেন পানি না থাকে! রাইস কুকার  হিট এর জায়গায় খাবারের কণা থাকলে পানি দিয়ে ধোয়া যাবে না! শুকনো কাপড় দিয়ে রাইস কুকারের হিটে জায়গা মুছে ফেলতে হবে! খাবার গরম রাখার জন্য রান্নার শেষে  খাবারটি  রাইস কুকার এর এর ভিতরে রাখতে হবে তবে হ্যাঁ আমাদের প্রয়োজন টুকু শেষ হবার পরে অবশ্যই রাইস কুকারের ভিতর থেকে  খাবারের পাত্রটি নামিয়ে রাখতে হবে! ভাত নরম এবং খাবারের সঠিক স্বাদ আনতে ১৫ মিনিট পল্টনের রাইস কুকারের ভিতরে রেখে দিন! আমরা যদি ওয়ালটন রাইস কুকারিটি সঠিক নিয়মে ব্যবহার করতে না পারি তাহলে এটি বেশি দিন টিকবে না এবং দুর্ঘটনা ঘটতে পারে তাই আমাদের ওয়ালটন রাইস কুকারটি সঠিকভাবে ব্যবহার করা জানতে হবে !Walton  রাইস কুকার টি   চালু এবং বন্ধ  করার জন্য একটি মাত্র সুইচ দেওয়া আছে  এই  সুইচ টি  রান্না শেষ হলে একা একা বন্ধ হয়ে যায়! ওয়ালটন রাইস কুকাটিতে ভাত এবং সবজি রান্না করার জন্য আলাদা আলাদা দুটি পাতিল  দেওয়া থাকে তার মধ্যে কতটুকু পরিমাণ চাল পানি দিতে হবে তার মাপ দেওয়া থাকে ! ওয়ালটন রাইস কুকারে  রান্নার সময়  ঢাকনার যে স্থান থেকে গরম বাতাস বের হয় সেখানে ভুলেও হাত দেওয়া যাবে না তাহলে আপনার হাত পুড়ে যেতে তো কারণ ওই বাতাসটা অনেক গরম থাকে !ভিজা হাতে ওয়ালটন রাইস কুকারটির সুইচে বা পেলাকে হাত দেয়া যাবে না তাহলে কারেন্টের শর্ট লাগতে পারে!


ওয়ালটন রাইস কুকারের বিদ্যুৎ খরচ  কত?:
আজকে আমরা জানবো ইলেকট্রিক রাইস কুকারের মাসিক বিদ্যুৎ খরচ কত আমরা যারা  ওয়ালটন রাইস কুকার ব্যবহার করতে ইচ্ছুক আমরা সকলেই বিদ্যুৎ খরচ নিয়ে একটু বেশি চিন্তিত থাকি কিন্তু  এখন আর এত চিন্তিত হবার কিছু নেই  আপনাদের জন্য ওয়ালটন রাইস কুকার নিয়ে এসেছে কম খরচে অধিক রান্নার সুযোগ ! ওয়ালটন রাইস কুকার ব্যবহারে  মাসে দুই থেকে তিনশ টাকা বিদ্যুৎ বিল আসে !মাসের একটা গ্যাস সিলিন্ডারের  খরচের চেয়ে রাইস কুকারে খরচ অনেক সাশ্রয় ! আমরা যদি দৈনিক দুই ঘন্টা ওয়ালটন  রাইস কুকার টি চালাই তাহলে মাসে ৬০ ঘন্টা হয় এই ৬০ ঘন্টা বিদ্যুৎ আসে আমাদের ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা আশা করি আমাদের একটি গ্যাস সিলিন্ডারের চেয়ে খরচ অনেক কম হবে!


 উপসংহার:
তো বন্ধুরা আজকে আমি আর্টিকেলেআপনাদের সাথে  ওয়ালটন রাইস কুকার সঠিকভাবে ব্যবহার এর নিয়ম এবং সতর্কতামূলক কিছু বিষয় বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করেছি আপনারা যদি এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ  করে   থাকেন তাহলে ওয়ালটন রাইস কুকার সম্পর্কে আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের একটি ধারণা হয়েছে ! আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন! এরকম নতুন নতুন বিষয় জানতে আমার এই ওয়েবসাইটের সাথেই  থাকুন!

Previous Post Next Post

نموذج الاتصال