রাসুলের প্রতি ভালোবাসা

 

আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই?  আশা করি ভাল আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ 

আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব রাসূলের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে 

কিছু কথা। রাসুলের প্রতি ভালোবাসা সম্পর্কে জানতে এবং আপনার ছোট্ট সোনামণিকে রাসুলের প্রতি 

ভালোবাসা সম্পর্কে জানাতে আমার আজকের আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।


ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে ,মাত্র ৮ বছর বয়সে হযরত জুবায়ের হযরত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর 

হাতে বাইয়াত হন। কিন্তু সেই   বালক  বয়সেও তার ঈমান ছিল পরিণত মানুষের মত। 

তার ছোট বয়সের এক ঘটনা ইতিহাসে জল জল করে দীপ্তি ছড়াচ্ছে।


একদিন তিনি বাড়ির মধ্যে অবস্থান করছিলেন, এমন সময় কানে আওয়াজ এল, কে যেন বাইরে বলছে,

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে শত্রুরা মেরে ফেলেছে, এই কথা কানে প্রবেশ করা মাত্রই যেন 

তার দেহে বিদ্যুতের স্পর্শ লেগে গেল। তড়িৎ বেগে তিনি উঠে দাঁড়ালেন এবং  যে অবস্থায় ছিলেন সেই অবস্থাই 

দেওয়ালে ঝুলানো তরবারির উপরে ঝাঁপিয়ে পড়লেন। তারপর কেউ কিছু বোঝার আগেই তরবারি নিয়ে 

বাইরে রাস্তায় বেরিয়ে এলেন। কিন্তু না রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সম্বন্ধে সোনা কথাটি ভুল।

তিনি স্বাভাবিক ও সুস্থ আছেন এবং এ ধরনের কোন পরিবেশও সেখানে দেখা যায়  নাই। 

কোনরকম যুদ্ধ প্রস্তুতি ছাড়া এবং ঢাল বর্ম পরিধান না করেই তরবারি হাতে তাকে বেরিয়ে আসতে দেখে 

কিছুটা বিস্মিত হয়েই ডেকে বলেন, 


জুবায়ের তোমার কি হয়েছে? তুমি এমন অবস্থায় তরবারি নিয়ে বাইরে এসেছো কেন? 

পরে হযরত জুবায়ের রাদিয়াল্লাহু  রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বললেন ইয়া রাসুল আল্লাহ 

আমি ঘরের মধ্যে ছিলাম এমন সময় হঠাৎ শুনলাম কে যেন বলছে আপনি নিহত হয়েছেন। 

এ কথা শুনে আমি আর এক মুহূর্ত বিলম্ব না করে তরবারি নিয়ে বের হয়ে এসেছি ।

 

অন্য পোস্ট

 

 রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, বাইরে এসে তুমি কি করতে? 

হযরত জুবায়ের রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু দৃঢ় কন্ঠে উত্তর দিলেন, তাহলে আমি মক্কার সব মানুষকে 

কতল করে ফেলতাম?


ছোট বন্ধুরা একটু চিন্তা করো ছোট্ট বালক কিন্তু তার হৃদয় প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর 

প্রতি মহব্বত কত বেশি আর কত গভীর। যুদ্ধের পোশাক পড়ার মতো সময় ও তিনি নষ্ট করতে রাজি নন, 

এমনকি নিজের প্রতিরক্ষার জন্য ও না। নিজেকে বাঁচানোর জন্য  নেজা,বল্লম,ঢাল নেওয়ার সময় টুকু তিনি 

নষ্ট করলেন না। যে অবস্থায় ছিলেন সেই  অবস্থাতেই শুধুমাত্র তরবারিটি নিয়ে মনের টানে হৃদয়ের আবেগে 

ঘর ছেড়ে বাইরে চলে এলেন। সারা পৃথিবীর সব কিছু এখানে তুচ্ছ হয়ে গেছে গোটা মক্কার সব মানুষ 

তার শত্রু হয়ে গেছে। এই যে ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ, এই যে হৃদয়ের আকুতি, এটা কোন ভাষা দিয়ে বোঝানো

যায় না। হৃদয় অনুভূতি দিয়ে এটা অনুভব করা সম্ভব। ইসলামের ইতিহাসে  শত্রুর বিরুদ্ধে এটাই প্রথম 

তরবারির উত্তোলন। প্রথম মুজাহিদের সম্মান তাই একমাত্র জুবায়ের রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর।


হযরত জুবায়ের রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু ছিলেন আরবের অন্যতম  শ্রেষ্ঠ বীর দের একজন। 

ইসলামের প্রতিটি যুদ্ধেই তিনি অংশ নিয়েছেন। তিনি হযরত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে 

অত্যাধিক ভালোবাসতেন এবং তাকে ছেড়ে কোথাও গিয়ে থাকতে পারতেন না। 


 উপসংহার

পরিশেষে আমরা এতটুকু জানতে পারলাম যে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম কে 

হযরত জুবায়ের রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু  যে কতটা ভালোবাসত। যে ভালবাসায় কোন খাদ ছিল না। 

আমরা চেষ্টা করব আমাদের ছোট্ট সোনামণিকে রাসুলের আদর্শে বড় করব। 

আল্লাহ এবং রাসূল সম্পর্কে সঠিক শিক্ষা দেব। আমার এই আর্টিকেলটা সম্পূর্ণ পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 

এরকম  রাসুল সম্পর্কে জানতে আমার এই ওয়েবসাইটটির সাথেই থাকুন আল্লাহ হাফেজ।


Previous Post Next Post

نموذج الاتصال