সুরা ইয়াসিন এর ফজিলত

আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমাতে ভালো আছেন। 

আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমাতে ভালো আছি। 

আজকের আমি আপনাদের সাথে সূরা ইয়াসিন এর ফজিলত নিয়ে কথা বলবো।

এই সূরার অনেক ফজিলত আছে। এই সূরা রাতে যারা তেলওয়াত করবে 

তাদের কবরের আজাব হবে না। 

কবরের কথা শুনলে আমাদের সবারই ভয় লাগে। চলে যেতে হবে, কেউ থাকতে পারবো না, 

কিন্তু এ কথা আমাদের স্মরণেই আসেনা। এতো ব্যস্ততা এতো মায়ার জালে 

আমরা আটকে আছি। একটার পর একটা কাজ আমাদের লেগেই থাকে। 

আসেন না নিজেদেরকে একটু পরিবর্তন করি। আসেন নিজেদের আমলের ঝুলিতে 

আরো কিছু বাড়াই। আমরা প্রতিদিন রাতে  সুরা ইয়াসিন তেলওয়াত করব ইনশাআল্লাহ।

একবার সুরা ইয়াসিন পাঠ করলে ১০ পারা কোরআন খতমের সওয়াব হয়! 

রাত্রিবেলা ঘুমানোর সময় কেউ যদি একবার সুরা ইয়াসিন পাঠ করে ঘুমায় 

সকালবেলা নিষ্পাপ হয়ে ঘুম থেকে উঠবে ইনশাআল্লাহ।

 


 

সূরা ইয়াসীনের ফযীলতঃ- 


১. সূরা ইয়াসীনের ফযীলত ও গুরুত্ব অপরিসীম। পবিত্র কোরআনের ১১৪টি সূরার মধ্যে

 সূরা ইয়াসীন শীর্ষস্থানীয়।


২. নবী করীম (সঃ) বলেছেন, প্রত্যেক বস্তুর অন্তর বা দিল আছে, 

আর পবিত্র কোরআনের অন্তর হলো সূরা ইয়াসীন।


 ৩. নবী কারীম (সঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি নিয়মিতভাবে এ সূরা পাঠ করবে তার জন্য 

বেহেশতের আটটি দরজা উন্মুক্ত থাকবে। সে যেকোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে।


৪. নবী করীম (সঃ) বলেছেন, সূরা ইয়াসীনের আমল কর। উহাতে দশটি ফায়দা আছে। 

কোন ব্যক্তি কারাগারে আটকা পড়লে শীঘ্র মুক্তি পাবে। মুসাফির পাঠ করলে বন্ধু পাবে 

এবং হারিয়ে যাওয়া জিনিস ফিরে পাবে। রোগাক্রান্ত ব্যক্তি পাঠ করলে আরোগ্য হবে।


৫.আর কোন ব্যাক্তি নেক নিয়তে যেকোন সময় উহা পাঠ করবে তার ঐ নিয়ত পুরণ হবে।

উক্ত কিতাবে আরো আছে, কেহ কোন বিরাট কাজ ও কঠিন মসীবতের সম্মুখীন হয়ে 

উক্ত সূরাহ পাঠ করলে তার সেই কাজ  ও মসীবত আছান হয়ে যায়। 


৬. এ সূরা একবার পাঠ করলে দশ খতম কোরআন পাঠের সওয়াব লিখা হয় 

ও পাঠকের সকল গোনাহ মাফ হয়ে যায়।


 ৭. অন্য হাদীসে আছে, সূর্য উঠার সময় এ সূরা পড়লে পাঠকের সকল প্রকার অভাব 

দূর হয়ে যাবে।

অন্য পোস্ট

সূরা ইয়াসীনের আমলঃ

১/ যে ব্যক্তি ছওয়াবের নিয়তে একবার সূরা ইয়াসীন পাঠ করবে সে সমস্ত 

কোরআন শরীফ ১০ বার তিলাওয়াত করার সমান ছওয়াব লাভ করবে ।


/ রাতে শোয়ার পূর্বে এ সূরা পড়ে শুইলে নিষ্পাপ অবস্থায় ঘুম থেকে জাগ্রত হবে ।


/ যে ব্যক্তি গুনাহ মাফের আশায় রাত্রিবেলায় সূরা ইয়াসীন পাঠ করবে তার 

গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।


/সূরা ইয়াসীন পাঠ করলে ক্ষুধা দূরীভূত হয় এবং বস্ত্রের ব্যবস্থা হয়, 

বিবাহ হতে যার দেরী হয়, সে নিয়মিত পাঠ করলে শ্রীঘ্রই তার বিবাহ হবে। 


৫/ ঐ কিতাবে আরো আছে, রাসূল (সঃ) বলেন, আমার উম্মতের প্রত্যেকের উচিত 

সূরা ইয়াসীন মুখস্থ রাখা।


৬/ ভয় এবং বিপদগ্রস্ত ব্যক্তি পাঠ করলে ভয় ও বিপদ থেকে রক্ষা পাবে।


৭/ মূমুর্ষ ব্যক্তির পাশে পাঠ করলে সে ব্যক্তির মৃত্যু কষ্ট সহজ হবে।


 উপসংহার : মহান আল্লাহ তা'আলা আমাদের সকলকে প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে 

সুরা ইয়াসিন তেলওয়াত করার তৌফিক দান করুক, আমিন।


Previous Post Next Post

نموذج الاتصال