বাংলাদেশে স্বর্ণের হিসা নিয়ে কিছু কথা:
স্বর্ণ সম্পর্কে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত। বর্তমানে বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম অনেক হাই। স্বর্ণ কেনার আগে আমাদের অবশ্যই ভালোভাবে বাংলাদেশের স্বর্ণের হিসাবটা জানা দরকার! হিসাবটা জানা থাকলে স্বর্ণ কিনতে এবং স্বর্ণের পরিমাপ জানতে সুবিধা হবে!স্বর্ণ কেনার আগে আমরা অবশ্যই স্বর্ণের দাম স্বর্ণের হিসাব স্বর্ণের মাপ এ সম্পর্কে জেনে তারপরে কেনার চেষ্টা করব! আমরা জানি স্বর্ণ খুব দামি একটি প্রোডাক্ট এটা আমরা অবশ্যই যাচাই-বাছাই করে তারপরে কিনব।
বাংলাদেশে স্বর্ণের যে হিসেব ব্যবহার করা হয়:
আসুন আমরা জানার চেষ্টা করি বাংলাদেশের স্বর্ণের হিসাব যেভাবে ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশের স্বর্ণের হিসেব যেভাবে ব্যবহার করা হয় ১৬ আনায় হয় এক ভরি ৯৬ রতিতে হয় ১ ভরি এবং ৬ রতিতে হয় আনা।
১৬ আনা = এক ভরি
৯৬ রতি = এক ভরি।
৬ রতি = এক আনা।
আন্তর্জাতিক পরিমাপে স্বর্ণের হিসাব:
আন্তর্জাতিক পরিমাপের স্বর্ণের হিসাব কিভাবে করতে হয় তা আমরা ১০০ ভাগের ভিতরে ৯৬ পার্সেন্ট মানুষই জানিনা। এত প্রয়োজনীয় এবং মূল্যবান একটা জিনিসের সঠিক পরিমাপটা যদি আমাদের জানা থাকে তাহলে আমাদেরই সুবিধা। বাংলাদেশের স্বর্ণের হিসেব মূলত আন্তর্জাতিক পরিমাপ স্বর্ণের হিসাব থেকেই আসে। তাই আমাদের বাংলাদেশের স্বর্ণের হিসেব যতটা জানা দরকার ঠিক ততটাই আন্তর্জাতিক পরিমাপে স্বর্ণের হিসেবটাও জানা দরকার। এক আউন্স এ হয় ২. ৪৩০৫ ভরি,আবার এক আউন্স এ হয় ২৮.৩৮ ৯৫ গ্রাম, আবার এক ভরিতে ০.৪১১৪ আউন্স হয়, এবং এক ভরিতে ১১.৬৬৪ গ্রাম হয়।
২.৪৩০৫ ভরি = ১ আউন্স।
২৮.৩৮৯৫গ্রাম = ১ আউন্স।
০.৪১১৪ আউন্স = ১ ভরি।
১১.৬৬৪ গ্রাম = ১ ভরি।
স্বর্ণের হিসাব এক ভরি হয় কত গ্রামে?
বাংলাদেশের স্বর্ণের হিসাব ,আমরা স্বর্ণ মূলত ভরি এবং আনা হিসেবে চিনি। আমরা অনেকেই জানিনা কত গ্রামে কত ভরি হয়।আন্তর্জাতিক পরিমাপের স্বর্ণের হিসাব অনুযায়ী ১১.৬৬৪গ্রামে এক ভরি হয়।
বাংলাদেশের স্বর্ণের দাম কিসের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়?
বাংলাদেশের স্বর্ণের হিসেব, স্বর্ণের মত এত দামী একটা জিনিস তো আর যে কেউ যেমন খুশি দাম নির্ধারণ করতে পারেনা এজন্য অবশ্যই কোনো না কোনো মাধ্যম আছে দাম নির্ধারণ করার জন্য আসুন জেনে নেই ।বাংলাদেশেরস্বর্ণের দাম নির্ধারণ করে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি ।
খাঁটি স্বর্ণ হয় কত ক্যারেট?
আমরা কোন কিছু বেশি দাম দিয়ে বানাতে গেলাম অবশ্যই ভালোটা খুবই ভালো তা পেতে হলে আগে আমাদের অবশ্যই জানতে হবে কত ক্যারেট দিয়ে গহনা বানালে গহনা মজবুত এবং খাতছাড়া হবে । খাঁটি স্বর্ণমূলত ২৪ ক্যারেটের হয়ে থাকে 24 ক্যারেট দিয়ে গহনা বানানো যায় না । ২৪ ক্যারেট মূলত পাকা সোনা হয়।
কত ক্যারেট গহনা তৈরি করলে ভালো হয়?
স্বর্ণের গহনা বানাতে গেলে অবশ্যই আমাদের ভালো-মন্দের ব্যবধান বুঝতে হবে । বাংলাদেশের স্বর্ণের হিসাব অনুযায়ী ২২ ক্যারেট এর স্বর্ণের গহনা সবথেকে ভালো হয় । মজবুত এবং খাতছাড়া হয় স্বর্ণের গহনা বানাতে চাইলে অবশ্যই 22 ক্যারেট এর স্বর্ণের গহনা সবথেকে ভালো হবে ।
বাংলাদেশে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম কত ?
আমরা তো বাংলাদেশের স্বর্ণের হিসাব এবং গহনার জন্য কত ক্যারেট ভালো হবে তা সম্পর্কে জানলাম এবার আসেন আমরা জানি বাংলাদেশে ২২ ক্যারেট এর স্বর্ণের দাম কত ।আমাদের মূলত বাংলাদেশের স্বর্ণের হিসাব এবং কোন ক্যাডেট কত ভালো এটা জানা দরকার তার থেকেও দরকার এর দাম সম্পর্কে আসুন এবার জেনে নেই ২২ক্যারেট স্বর্ণের দাম কত ।বাংলাদেশ স্বর্ণের হিসাব অনুযায়ী ২২ ক্যারেট এর এক ভরি দাম আসে 99027 টাকা ।
বাংলাদেশে ২১ ক্যারেট স্বর্ণের দাম কত?
বাংলাদেশ স্বর্ণের হিসাব অনুযায়ী ২১ ক্যারেট এর এক ভরি এর দাম আসে 94595 টাকা।২১ ক্যারেট স্বর্ণের দাম অনুযায়ী এক গ্রাম এর দাম ৮১১০ টাকা।২১ ক্যারেট স্বর্ণের দাম অনুযায়ী ১০গ্রাম ৮১১০০ টাকা। আবার এক রতি দাম ৯৮৫ টাকা। এবংএক আনার দাম ৫৯১২ টাকা।
বাংলাদেশে ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের দাম কত?
আমরা এতক্ষন ২২ ক্যারেট ২১ ক্যারেট এর দাম সম্পর্কে জানলাম। এখন আমরা জানব বর্তমানে বাংলাদেশে18 ক্যারেট এর স্বর্ণের দাম বাংলাদেশি টাকায় 69050 টাকা।
বাংলাদেশের বর্তমানে পুরাতন স্বর্ণের দাম কত?
বাংলাদেশের স্বর্ণের হিসাব অনুসারে পুরাতন স্বর্ণের দাম ৫৭০৯০ টাকা।
শেষ কথা :
তো বন্ধুরা আজকের আমরা জানলাম বাংলাদেশের স্বর্ণের হিসাব সম্পর্কে ।স্বর্ণ সম্পর্কে এরকম আরো তথ্য জানতে আমার এই ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন ।এবং আপনারা কোন বিষয় উপরে জানতে চান তা অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টে জানাবেন এবং আমি অবশ্যই চেষ্টা করব আপনারা যে বিষয়ে জানতে চান সেই বিষয়ে সঠিক তথ্য দেবার ।