আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই? আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। বন্ধুরা আজকে আমি চলে আসছি একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে! আসলে আমাদের জীবনে জানার তো কোন শেষ নেই কিন্তু আমরা ইসলাম সম্পর্কে কতটুকু জানি? আল্লাহ মানুষ এবং জিন জাতিকে তার এবাদত এর জন্য সৃষ্টি করেছেন। আমরা কতটুকু কোরআন অনুসারী তার এবাদত সঠিকভাবে করতে পারি? আল্লাহপাক তার পবিত্র কুরআনুল কারীমে এর ভিতরে !এবং সম্পূর্ণ কুরআনুল কারীমের সার-সংক্ষেপ হলো সূরা ফাতিহা। তো বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব ফাতিহার ফজিলত সম্পর্কে । সূরা ফাতিহার গুরুত্ব !সূরা ফাতিহার ফজিলত এবং গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে আমার এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন করতে থাকুন।
সূরা ফাতিহার অবতীর্ণ :
আমরা আসলে অনেকেই জানিনা সূরা ফাতিহা কোথায় অবতীর্ণ হয়েছে! আমাদের কোন একটি কিছু পড়তে হলে তার সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে জানা দরকার এটা কোথা থেকে এসেছে এবং কোথায় অবতীর্ণ হয়েছে। আসুন আমরা জানি সুরা ফাতিহা কোথায় অবতীর্ণ হয়েছে! সূরা ফাতিহা অবতীর্ণ হয়েছে মক্কায়।
সূরাতুল-ফাতিহার বিষয়বস্তু :
আসুন আমরা জেনে নেই সূরাতুল ফাতিহার কিছু বিষয় বস্তু! আমরা অনেকেই জানি না সূরাতুল ফাতিয়ার আয়াত সংখ্যা কত!সূরাতুল-ফাতিহার আয়াত সংখ্যা সাত। এবং সর্বপ্রথম তিনটি আয়াত আল্লাহ তাআলার প্রশংসা এবং শেষের তিনটি আয়াতে মানুষের পক্ষ থেকে আল্লাহ্র নিকট প্রার্থনা ও দরখাস্তের বিষয়বস্তুর সংমিশ্রণরয়েছে। মধ্যের একটি আয়াত প্রশংসা ও দোয়া মিশ্রিত।
সুরা আল-ফাতিহার ফজিলত :
আসুন আমরা এখন একটুসূরা আল-ফাতিহার ফজিলত নিয়েএকটু আলোচনা করি। সুরা আল-ফাতিহা কোরআনের একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ সূরা।
প্রথমতঃ এ সূরা দ্বারাই পবিত্র কোরআন আরম্ভ হয়েছে এবং এ সুরা দিয়েই সর্বশ্রেষ্ঠ এবাদত নামায আরম্ভ হয়। অবতরণের দিক দিয়েও পূর্ণাঙ্গ সুরারূপে এটিই প্রথম নাযিল হয়। সূরা 'ইকরা', ‘মুয্যাম্মিল' ও সুরা ‘মুদ্দাসসিরে’র ক'টি আয়াত অবশ্য সুরা আল-ফাতিহার পূর্বে অবতীর্ণ হয়েছে। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ সুরারূপে এ সুরার অবতরণই সর্বপ্রথম। যে সকল সাহাবী (রাঃ) সূরা আল-ফাতিহা সর্বপ্রথম নাযিল হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন, তাঁদের সে বক্তব্যের অর্থ বোধহয় এই যে, পরিপূর্ণ সুরারূপে এর আগে আর কোন সূরা নাযিল হয়নি। এ জন্যই এ সূরার নাম 'ফাতিহাতুল-কিতাব' বা কোরআনের উপক্রমণিকা রাখা হয়েছে।
*সূরা ফাতিহা' এদিক দিয়ে সমগ্র কোরআনের সার-সংক্ষেপ।সূরা ফাতিহা এ সূরায় সমগ্র কোরআনের সারমর্ম সংক্ষিপ্তাকারে বলে দেয়া হয়েছে। কোরাআনের অবশিষ্ট সুরাগুলো প্রকারান্তরে সূরা ফাতিহারই বিস্তৃত ব্যাখ্যা। কারণ,
সুরা আল-ফাতিহার বৈশিষ্ট্য
সমগ্র কোরআন প্রধানতঃ
ঈমান এবং নেক আমলের আলোচনাতেই কেন্দ্রীভূত। আর এ দু'টি মূলনীতিই এ সূরায় সংক্ষিপ্তাকারে বর্ণনা করা হয়েছে। তফসীরে রূহুল মা'আনী ও রূহুল বয়ানে এর বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে। তাই এ সুরাকে সহীহ হাদীসে ‘উম্মুল কোরআন”, ‘উস্থুল কিতাব', 'কোরানে আযীম' বলেও অভিহিত করা হয়েছে।- (কুরতুবী)
অথবা এ জন্য যে, যে ব্যক্তি কোরআন তেলাওয়াত করবে অথবা শিখবে তার জন্য এ বিষয় বিশেষ নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, সে যেন সর্বপ্রথম পূর্বের ঘোষণা কৃত যাবতীয় সকল ধ্যান-ধারণা অন্তর থেকে দূর করে একমাত্র সত্য ও সঠিক পথ অনুসন্ধানের উদ্দেশ্যে এই কিতাব তেলাওয়াত শুরু করে এবং আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনাটা ও করে যে, আল্লাহ যেন তাকে সিরাতুল মুস্তাকীমের হেদায়েত দান করেন।
হযরত রসূলে করীম (সাঃ) এরশাদ করেছেন যে- যার হাতে আমার জীবন-মরণ, আমি তাঁর শপথ করে বলছি, সুরা আল-ফাতিহার দৃষ্টান্ত তওরাত, ইনজীল, যাবুর প্রভৃতি অন্য কোন আসমানী কিতাবে তো নেই-ই, এমনকি পবিত্র কোরআনেও এর দ্বিতীয় নেই।
রোগ নিরাময়ে সূরা ফাতিহার ফজিলত:
আমরা মূলত চিকিৎসার জন্য ডাক্তার কবিরাজ এর কাছে যাই কিন্তু কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা যে আল্লাহ তা'আলা আমাদের জন্য সূরাতুল ফাতিহা সকল রোগের শেফা দিয়ে রেখেছেন। ইমাম তিরমিযী আবু হোরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন যে সুরায়ে ফাতিহ্য প্রত্যেক রোগের
ঔষধবিশেষ।হাদীস শরীফে সূরা আল-ফাতিহ্যকে সুরায়ে শেফাও বলা হয়েছে। - (কুরতুবী)
বোখারী শরীফে একটি হাদিস আছে, যেই হাদিসটি হযরত আনাস (রাঃ) বর্ণনা করেছেন যে, রসুল
(সাঃ) এরশাদ করেছেন, — সমগ্র কোরআনে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ সুরা হচ্ছে,
الْحَمْدُ بلُورَبِّ الْعَلَمِينَ
- (কুরতুবী)
শেষ কথা:
আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে সূরাতুল ফাতিহা সম্পর্কে আপনারা অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। চতুর ফাতেহা সম্পর্কে যত বলব ততই কম হবে আল্লাহ সূরা ফাতিহা এর ভিতরে এত পরিমান ফজিলত দিয়ে রেখেছেন যা বলে শেষ করা যাবেনা, আশা করি আমরা সুরাতুল ফাতিহা সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম এরকম আরো অনেক আর্টিকেল পেতে আমার এই ওয়েবসাইটটির সাথেই থাকুন ।