আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আল্লাহ আমাদেরকে কেন সৃষ্টি করেছেন?আল্লাহ আমাদেরকে তার এবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন সেই এবাদত গুলোর ভিতর সর্বোত্তম যে ইবাদতের নির্দেশ দিয়েছেন সেটা হচ্ছে নামাজ। জি ঠিকই ধরেছেন আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব জামাতে নামাজের গুরুত্ব এবং ফজিলত নিয়ে । জামাতে নামাজের গুরুত্ব এবং ফজিলত সম্পর্কে জানতে আমার এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়তে পারেন।
নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত:
নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত এত বেশি যে নামাজ হল কালেমা শাহাদতের স্বীকৃতির পরেই ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর জামাতে নামাজ পড়তে যারা অলসতা করে তাদের মধ্যে কয়েকটি ভাগ রয়েছে, যেমন তাদের মধ্যে কেউ এমন আছে যে সে কোন সময় নামাজ পরে না, যারা নামাজে সঙ্গে অলসতা করে তারা আল্লাহর সাথে কুফরি করল।
জামাতে নামাজের গুরুত্ব:
আল্লাহ তাআলা তার বান্দার জন্য প্রতিদিনের ৫ ওয়াক্ত নামাজকে ফরজ করেছেন। আবার এ নির্ধারিত ৫ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে যাইয়া ইমামের শহীত জামাতে পড়ার ব্যাপারে তিনি সুনানে হুদা নির্ধারণ করেছেন। মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও জামাতে নামাজ পড়ার কঠিন নির্দেশ প্রদান করেছেন।
মসজিদে গিয়ে ইমামের সঙ্গে জামাতে নামাজ পড়ার মধ্যে আছে মানুষের জন্য কল্যাণ হিকমত এবং সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাতের বাস্তবায়ন।মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুনিয়ার জীবনে কখনো জামাতে ছাড়া নামাজ পড়েন নাই। আজান শোনার পর ওজর ছাড়া জামাতে উপস্থিত না হওয়া সুন্নাতের কাজ।
যারা আজান শোনার পর জামাতের সাথে নামাজ পড়েন না তারা দুনিয়ার কল্যাণ ও হিকমত এবং বিশ্বনবির হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত পালন থেকে বঞ্চিত হবে। অথচ মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জামাতে নামাজ পড়ার ব্যাপারে বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করেছেন।
হজরত ইবনে আব্বাস রাদিআল্লাহু বলেন, মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে লোক আজান শোনার পর নামাজের জামাতে মসজিদে উপস্থিত না হয় এবং জামাতে হাজির না হওয়ার কোনো ওজর বা কারণও না থাকে; এমতাবস্থায় যদি সে একা একা নামাজ আদায় করে, তবে ওই ব্যক্তির (একার) নামাজ আল্লাহ কবুল করবে না।
মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর কাছে একজন সাহাবা জানতে চাইলেন, ওজর বা কারণ বলতে কি বোঝায়? উত্তরে মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ভয় অথবা অসুস্থতা। (আবু দাউদ)
নামাজ পড়ার জন্য আল্লাহ তাআলা কুরআন শরিফে সময় নির্ধারণ করে দিছেন। সে টাইম অনুযায়ী জামাতে নামাজ আদায়ের ব্যাপারেও সঠিক নিয়ম নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে অন্য হাদিসে এসেছে-
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করছেন। তিনি বলেন, ‘হে মুসলিমগণ! আল্লাহ তোমাদের জন্য সুনানে হুদা বা হিদায়াতের নিয়ম নির্ধারিত করে দিয়েছেন। আর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে মসজিদে গিয়ে পড়াই হচ্ছে সুনানে হুদা।
তোমরা যদি সবাই তোমাদের ঘরে নামাজ পড়া শুরু কর, যেমন অমুক ব্যক্তি জামাতে ছেড়ে ঘরে নামাজ করে, তাহলে তোমরা সবাই তোমাদের নবি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাত ছেড়ে দিলে। যদি তোমরা নবি মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর সুন্নাত ছেড়ে দাও, তাহলে তোমরা হিদায়াতের পথ থেকে তোমরা বিচ্যুত হয়ে পড়বে। (মুসলিম, মিশকাত)
উপসংহার
জামাতে নামাজের গুরুত্ব সম্পর্কে বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর ছোট্ট একটি হাদিস দিয়ে শেষ করতে চাই। বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘নামাজের আজান হওয়ার পরও যারা আযান শুনে ঘর থেকে মসজিদে নামাজের জন্য জামাতে হাজির হয় না। যদি এই সকল ঘরে নারী এবং শিশু না থাকতো, তবে তিনি সেই সকল ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়ার হুকুম দিতেন।
আল্লাহ তাআলা মুসলমান উম্মাহকে সময় মত নামাজের সময় হওয়ার সাথে সাথে ইমামের সঙ্গে জামাতে নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুক। দুনিয়ার কল্যাণ ও হিকমত লাভ করার তাওফিক দান করুক। বিশ্বনবিমোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাতের ওপর আমল করার তৌফিক দান করুক আমাদের সবাইকে। আমিন।