আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন। আল্লাহ আমাদেরকে কেন সৃষ্টি করেছেন?আল্লাহ আমাদেরকে তার এবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন সেই এবাদত গুলোর ভিতর সর্বোত্তম যে ইবাদতের নির্দেশ দিয়েছেন সেটা হচ্ছে নামাজ। জি ঠিকই ধরেছেন আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব এবং ফজিলত নিয়ে। তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব এবং ফজিলত সম্পর্কে জানতে আমার এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ুন ।
তাহাজ্জুদের নামাজ রাতের শেষের ভাগে ঘুম থেকে উঠে যে নামাজ পড়া হয়, মূলত সেই নামাজকেই তাহাজ্জুদের নামাজ বলে। রাতের শেষের ভাগে ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়লে , মহান আল্লাহ সম্মান দান করেন। মর্যাদায় ভূষিত করেন।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআন শরিফে বলেন, রাতের শেষের অংশে তাহাজ্জুদ পড়বে। এটা তোমাদের অতিরিক্ত দায়িত্ব। অচিরেই তোমাদের রব তোমাদেরকে প্রশংসিত স্থানে প্রতিষ্ঠিত করবেন।’ (সুরা বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৭৯)
তাহাজ্জুদের নামাজ সুন্নতে মুয়াক্কাদা
আয়াতে নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়াসাল্লাম কে সম্বোধন করা হয়েছে। তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তে বলা হয়েছে। তাহাজ্জুদের নামাজ একটি বাড়তি ফরজ, যা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর জন্য নির্দিষ্ট ছিল। অবশ্য নবীর উম্মতের জন্য তাহাজ্জুদের নামাজ দোতালা ফরজ করেন নাই। তাহাজ্জুদের নামাজ হচ্ছে নবীর উম্মতের জন্য সুন্নতে মুয়াক্কাদা। এই নামাজ হচ্ছে নেককার মানুষের বৈশিষ্ট্য।
তাহাজ্জুদ নামাজ অপরাধ দমনে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এ নামাজ মন ও মননকে নির্মল করে। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই রাতে ঘুম থেকে জেগে মনকে দমিত করার জন্য অনেক কার্যকর। ওই সময়ে পাঠ করা (কোরআন শরিফ তেলাওয়াত বা জিকির) একেবারে যথেষ্ট।’ (সুরা মুজ্জাম্মিল, আয়াত : ০৬)
আশা-আশঙ্কায় তাহাজ্জুদ পড়েন নেককাররা
রাতের শেষে ভাগে মানুষ যখন গভীর ঘুমে মগ্ন, তখন তারা রবের ভালোবাসায় নিদ্রাহারা হয়ে যায়। ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা বিছানা ত্যাগ করে তাদের পালনকর্তা কে ডাকে আশায় ও আশঙ্কায়। আর আমি তাদের যে রিজিক দান করেছি , সেখান থেকে তারা খরচ করে।’ (সুরা সাজদা, আয়াত : ১৬)শুধু নামাজ নয়, রাতের শেষের দিকে আল্লাহর দরবারে চোখের পানি ফেলানোও আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া পাক্কা ঈমানদারের পরিচয়। আল্লাহ ঈমানদারদের গুণাবলি সম্পর্কে পবিত্র কোরআন মাজীদে বলেছেন—
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর শ্রেষ্ঠ নামাজ তাহাজ্জুদ
তাহাজ্জুদ নামাজ হলো এমন একটি নামাজ যা হল পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর শ্রেষ্ঠ নামাজ। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম বলেছেন, ‘রমজানের পর সর্বোত্তম রোজা হলো আল্লাহর মাস মহররমের রোজা। আর পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পর সর্বোত্তম নামাজ হলো রাতের (তাহাজ্জুদের) নামাজ।’
তাহাজ্জুদ নামাজ কি জামাতে পড়া যাবে?
তবে তাহাজ্জুদসহ অন্যান্য সকল সুন্নত ও নফল নামাজ শরীয়তের দৃষ্টিতে একাকী ও ঘরে থেকে পড়ার মতো নামাজ।সেই জন্য এগুলোতে আজান-ইকামত এবং জামাতের পড়ার বিধান নেই।
মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, খোলাফায়ে রাশেদীন ও সাহাবায় কেরামদের সাধারণ আমল এরকমই ছিল। তারা তাহাজ্জুদ ও নফল ঘরে থেকে একাকী পড়তেন।
উপসংহার
আমাদের সকলের পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের গুরুত্ব বোঝা পাশাপাশি তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব বোঝা উচিত, যা আমাদেরকে আখেরাতে নাজাত পেতে সাহায্য করে নামাজ হচ্ছে বেহেস্তের চাবি।আমাদের উচিত সকল কাজের পূর্বে নামাজের গুরুত্ব দেওয়া। ফজর নামাজে অলসতা করে এত বেশি সাওয়াব আর নেকী রয়েছে যা নষ্ট করবেন না এবং সেই সমস্ত মাধ্যম অবলম্বন ব্যবহার করার চেষ্টা করা উচিত যা আমাদেরকে আল্লাহর হুকুমে ফজর নামাজের জন্য জাগিয়ে দিবে। এবং তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার তৌফিক দান করুক । এরকম আরো প্রয়োজনীয় বিষয় জানতে আমার এই সাথে থাকুন । আল্লাহ হাফেজ