সূর্যগ্রহণ ২০২৩ বাংলাদেশ সময়

আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই, আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি আমরা সবাই জানি যে প্রতিবছর চন্দ্র সূর্য গ্রহন হয়ে থাকে এবং এই সূর্যগ্রহণ নিয়ে আমাদের এক একজনের এক এক রকম চিন্তাভাবনা থাকে তো চলুন আজকে আমি আপনাদের  সামনে সূর্যগ্রহণ এর সময় সম্পর্কে আলোচনা করব   সূর্যগ্রহণ ২০২৩ বাংলাদেশ সময়  



 

চলতি বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ ছিল শনিবার 

চলতি বছরের দ্বিতীয় এবং শেষ সূর্যগ্রহণ হইল  শনিবার। বাংলাদেশের সময় রাত ৯টা মিনিটে শুরু হয়ে ২টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত  চলছে এই সূর্যগ্রহণ।

বাংলাদেশ থেকে দেখা না গেলেও উত্তর আমেরিকা, মধ্য আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, উত্তর আফ্রিকা, আটলান্টিক প্রশান্ত মহাসাগরীয় জায়গা থেকে এই সূর্যগ্রহণ দেখা গেছে। সময় চন্দ্রের চারপাশে সূর্যের লাল আলোর বলয় তৈরি করবে। 

সূর্যগ্রহণটি শুরু হবে যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন স্টেট থেকে পূর্ব দিকে উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে স্থানীয় সময় ৬টা ১৫ মিনিট ১০ সেকেন্ডে।

সর্বোচ্চ গ্রহণ হবে নিকারাগুয়ার মানকি পয়েন্ট থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ক্যারিবিয়ান সাগরে সময় দুপুর ১২টা বাজে ২৭ মিনিট সেকেন্ডে। গ্রহণটি শেষ হবে ব্রাজিলের বাহিয়ার রাজ্যের জাবোরান্দি শহরে সময় বিকাল ৫টা বাজে ৫৪ মিনিট ১২ সেকেন্ডে।

বাংলাদেশে এর আগে ১৮৪৫ সালে অমাবস্যার সময় সূর্যগ্রহণ হয়েছিল। তাছাড়া অমাবস্যার সময়ে সূর্যগ্রহণের ঘটনা বেশ বিরল। সূর্যগ্রহণের দিনটি শনিবার হওয়ায় বিরল এই গ্রহণকে শনির অমাবস্যার সূর্যগ্রহণও বলা হচ্ছে। 

*আবহাওয়াবিদ নাইমা বাতেন জানিয়েছেন, বাংলাদেশে থেকে গ্রহণটি দেখা যাবে না। এটি দেখা যাবে উত্তর আমেরিকা, মধ্য আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, উত্তর আফ্রিকা, আটলান্টিক প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বা দেশ থেকে।

গ্রহণটি শুরু হবে যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন স্টেট থেকে পূর্ব দিকে উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে ওখানকার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা বাজে ১৫ মিনিট ১০ সেকেন্ডে। সর্বোচ্চ গ্রহণ হবে নিকারাগুয়ার মানকি পয়েন্ট থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ক্যারিবিয়ান সাগরে দুপুর ১২টা বাজে ২৭ মিনিট সেকেন্ডে। গ্রহণটি শেষ হবে ব্রাজিলের বাহিয়ার রাজ্যের জাবোরান্দি শহরে বিকেল ৫টা বাজে ৫৪ মিনিট ১২ সেকেন্ডে।

বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ বলতে বুঝি সূর্যের ওপর চাঁদের ছায়া পড়ে। কিন্তু সেটা সূর্যকে সম্পূর্ণরূপে ঢাকতে পারবে না। চারপাশে লাল আলোর রিং বা বলয় দেখা যায়।


অন্য পোস্ট: 

সূর্যগ্রহণে  কুসংস্কার:

সূর্যগ্রহণ নিয়ে গ্রামে এখনও বিভিন্ন কুসংস্কার রয়েছে। বলা হয়ে থাকে গর্ভবতী মায়েরা সময় বাইরে বের হলে গর্ভপাত হবে। কিংবা গর্ভের সন্তান হবে প্রতিবন্ধী। আকাশের দিকে তাকালে চোখ অন্ধ হয়ে যাবে। গ্রহণের সময় ভাত খেলে মৃত্যু বা কঠিন অসুখ হবে। তবে এসবের কোনো ইসলামে  এবং বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।

সূর্যগ্রহণ যেভাবে দেখতে হয়:

সূর্যগ্রহণ দেখার জন্যও বিভিন্ন গ্রামের পদ্ধতির প্রচলন আছে। এখনও কাসার থালায় পানি নিয়ে তাতে সূর্য দেখার চেষ্টা করা হয়। এছাড়া এক্সরে ফিল্ম, কালো গগলসের ব্যবহারও করা হয়। তবে এসব দিয়ে কোনো কাজে লাগে না। এক্সে ফিল্ম বা সাধারণ গগলসে আরও চোখের ক্ষতির আশঙ্কা থেকে যায়।

উপসংহার 

সূর্যগ্রহণের সময় খালি চোখে সূর্যের দিকে তাকানো চোখের জন্য অনেক ক্ষতিকর। কখনওই এমনটি করা উচিত নয়। সূর্যগ্রহণ দেখতে হয় টেলিস্কোপ বা সোলার ফিল্টার দিয়ে।

 

 

Previous Post Next Post

نموذج الاتصال