আসসালামুয়ালাইকুম কেমন আছেন সবাই আশা করি ভাল আছেন।আমরা সকলেই জানি আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তানিদের উপরে ইসরাইলের পুলিশ হামলা করেছে এটা আমাদের মুসলমানদের জন্য খুবই কষ্টকর একটা বিষয় ।
আল আকসা মসজিদ একটি তৃতীয় পবিত্র স্থান। আসন আজকের আমরা একটু জানার চেষ্টা করি এলাচছা মসজিদ সম্পর্কে এবং মসজিদের উপরে এবং মসজিদের ফিলিস্তিনিদের উপরে হামলা সম্পর্কে । আল আকসা মসজিদের হামলা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।এবং আমার এই ওয়েবসাইটটির সাথেই থাকুন ।
আল-আকসা মসজিদ
চলমান ইসরাইল ফিলিস্তিন সংকটের বারবার উঠে আসছে জেরুজালেম ওআল-আকসার কথা। রাসুলুল্লাহ সাঃ আল-আকসা নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। তা ধীরে ধীরে শক্ত হচ্ছে তবে তার আগে আমাদের জানতে হবে যে আল-আকসা মসজিদ কেন মুসলিমদের জন্য এত জরুরি। এই পৃথিবীর বুকে আল্লাহর জন্য নির্মিত দ্বিতীয় মসজিদটি হচ্ছে আল-আকসা। এছাড়াও মক্কা-মদিনার পড়ে সারা বিশ্বে মুসলিম উম্মার কাছে আল-আকসা হচ্ছে তৃতীয় পবিত্রতম স্থান । আমরা সবাই জানি যে মুসলিমদের প্রথম কিবলা ও ছিল এই আল-আকসা মসজিদ ।
শুধুতাই না আল্লাহ নির্দিষ্টভাবে কোরআনের এই মসজিদের কথা বলেছেন। আল্লাহ কুরআনে বলেন পবিত্র সত্তা যিনি মুহাম্মদকে রাতে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা নিয়ে গেলেন । যার চারপাশে আমি বরকত দান করেছি। যেন আমি তাকে আমার কিছু নিদর্শন দেখায় নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা সর্বজ্ঞ । এছাড়া ও আল্লাহ আল-আকসা ও এরআশপাশের এলাকাকে আল-মুকাদ্দাস বা পবিত্র ভূমি ও বলেছেন ।
ইমামইবনে আল জাজিরার আল্লাহ তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত যে আল্লাহর ভূমিকে পবিত্র ভূমি বলেছেন , কারণ এই ভূমি মানুষের পাপ মুছে দেয় । অর্থাৎ এই ভূমিতে কেউ যদি আল্লাহর ইবাদত করে বা ক্ষমা চায় আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেদেন ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত তোমরাজানো আল্লাহ কেন এই ভূমিকে বরকতময় করেছেন? কারণ জেরুজালেমে এক ইঞ্চি পরিমাণ জায়গা অবশিষ্ট নেই যেখানে ফেরেশতারা ইবাদত করেন নাই। এবং এক ইঞ্চি পরিমাণ জায়গা অবশিষ্ট নেই যেখানে আল্লাহর একজন নবী রাসুলের পা পড়েনি। এমনকি মেরাজের রাতে যখন জিবরাঈল আলাইহি ওয়াসাল্লাম মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে মসজিদুল আকসায় নিয়ে গেলেন তখন সেখানে আল্লাহর হুকুমে সকল নবী রাসূলগণ উপস্থিত হন।
এবং মহানবী সাঃ তাদের সবাই কে নিয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন । তবে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেন এমন এক সময় আসবে যখন ঈমানদারদেরমসজিদুল আকসা থেকে বের করে দেয়া হবে বর্তমানে কিঠিক এমনটাই ঘটছে না মসজিদুল আকসা কিংবা ফিলিস্তিন থেকে সেখান কার বাসিন্দাদের বের করে দেয়া হচ্ছে । মসজিদের ভেতর হামলা হচ্ছে যার ভবিষ্যৎ বাণী মহানবী সাঃ চৌদ্দশ বছর আগেই করে গিয়েছিলেন।
ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা ইসরায়েলের পুলিশের
পবিত্র মাহে রমজান মাসে পবিত্র আল–আকসা মসজিদের ভেতর নামাজরত অবস্থায় ফিলিস্তিনি মুসলমানদের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের পুলিশ। এ সময় তারা ব্যাপকভাবে শব্দবোমা ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছেন। বুধবার ফজরের নামাজের সময় এ ঘটনা ঘটেছে অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে আল–আকসা মসজিদের মধ্যে। এ সময় কমপক্ষে চারশত ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করে ইসরায়েলের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা। তাঁদের আতারোত পুলিশ স্টেশনে রাখা হয়।
এএফপি ও আল–জাজিরার খবরে জানা গেছে , ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানান, অন্তত চারশত ফিলিস্তিনি কে আটক করা হয়েছে। অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আতারোতের একটি থানায় তারা ইসরায়েলি হেফাজতে আটক রয়েছে। ইসরায়েলের পুলিশ বলছে যে তারা ‘আন্দোলন কারীদের’ সরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রবেশ করেছিল। পুলিশের এই পদক্ষেপকে ‘অভূত পূর্ব অপরাধ’ হিসেবে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে হামাস। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, এ ঘটনায় ১২ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিন জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
উপসংহার
পরিশেষে এতোটুকুই বলবো আল্লাহ আমাদের সকলকে হেফাজত করুক । এবং আমাদের সকলের ঈমান মজবুত করার তৌফিক দান করুক । আমরা যেন ইসলামের পথে যুদ্ধ করে জয়ী হতে পারি । এবং নবীর দেখানো পথ অবলম্বন করতে পারি আল্লাহ তুমি ফিলিস্তিনিদের হেফাজত করো মুসলমানদের বিজয়ী করো আল-আকসা মসজিদ কে হেফাজত কর আমিন । এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে আমার এই ওয়েবসাইটটির সাথেই থাকুন ।এবং কি সম্পর্কে জানতে চান কমেন্টে জানান আমি চেষ্টা করব আপনাদের জানতে চাওয়া টাকে জানানোর ইনশাআল্লাহ ।