আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই, আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি । আল্লাহ আমাদেরকে যেমন সৃষ্টি করেছেন দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন ,তেমনি করে আবার দুনিয়া থেকে আমরা নানা রকম রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকি । দুনিয়াতে আমরা কেউ চিরস্থায়ী না । সে রোগ গুলোর মধ্যে ক্যান্সার এবং মরণব্যাধি একটি রোগ ।আগে তো ক্যান্সার এর কোন চিকিৎসাই ছিল না । আজকের আমি আপনাদেরকে জানাবো জরায়ু ক্যান্সার সম্পর্কে ।জরায় ক্যান্সার সম্পর্কে জানতে আমার এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন ।এরকম আরো নতুন বিষয় জানতে আমার এই ওয়েবসাইটটির সাথেই থাকুন ।
মানুষের শরীরের জটিল রোগগুলোর ভিতরে ক্যান্সার অন্যতম। সঠিক সময়ে ক্যান্সার নির্নয় করে চিকিৎসা না নিলে মৃত্যু ঘটতে পারে। ধুমপান, ডায়াবেটিস, ফাস্টফুড গ্রহণসহ বিভিন্ন কারণে ক্যান্সার হতে পারে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন বি আর বি হাসপাতালের মেডিকেল অনকোলজি বিভাগের চিফ কনসালট্যান্ট অধ্যাপক ডা. মোফাজ্জল হোসাইন।
অন্য পোস্ট
এ ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ গত কারণে ক্যান্সার হয়ে থাকে। বংশানুক্রমনের কারণে বাকি ১০ শতাংশ হয়ে থাকে । ক্যান্সার জিনের মাধ্যমে এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে ক্যান্সার হতে পারে। যেমন- নারীদের ক্ষেত্রে মা, খালা, নানী। কারো যদি ব্রেস্ট বা স্তন ক্যান্সার হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে বংশানুক্রমে বাচ্চার ক্ষেত্রে এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। আবার বাচ্চাদের চোখের পর্দা বা রেটিনায় এক ধরনের ক্যান্সার হয়ে থাকে। কি ধরনের ক্যান্সার ও বংশগত কারণে হয়ে থাকে।
এছাড়া পরিবেশের কারণে ক্যান্সার হয়ে থাকে। যেমন- রাসায়নিক পদার্থ টোবাকো বা তামাক । এক তামাকের মধ্যে চার হাজারের মতো কেমিক্যাল আছে। তার মধ্যে ৪৫টি কেমিক্যাল সরাসরি ক্যান্সার তৈরি করে। এটি বিভিন্ন রকম গবেষণায় প্রমাণিত। ধোয়াবিহীন তামাকও সমান ক্ষতিকর স্বাস্থ্যের জন্য।
এছাড়া আর্সেনিক অ্যালকোহল জাতীয় কেমিক্যালও ক্যান্সার তৈরির জন্য দায়ী। কিছু ভৌত পদার্থ যেমন রেডিয়েশনের কারণেও ক্যান্সার তৈরি হয়ে থাকে। এমনকি বিকিরণ যেমন সূর্যের আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি দীর্ঘদিন সরাসরি শরীরে পরলে চামড়ায় এক ধরনের ক্যান্সার তৈরি হয়। সাধারণত এটা পশ্চিমা দেশ গুলোতে বেশি দেখা যায়।
প্রায় ৪০ % ক্যান্সারের মূল কারণ ধুমপান। এর কারণে ফুসফুস, মুখগহ্বর, খাদ্যনালী, প্যানক্রিয়াস, কিডনি, মূত্রথলির, পাকস্থলী, এমনকি ব্লাড ক্যান্সারও হয়ে থাকে। এছাড়া অ্যালকোহল মুখের ক্যান্সার, লিভারের ক্যান্সার, প্যানক্রিয়াসের ক্যান্সার এবং কিডনির ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।
ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা ডায়াবেটিস রোগীদের অনেক বেশি। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে প্যানক্রিয়াটিক ক্যানসার, হেপাটোবিলিয়ারি ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
জরায়ু মুখের ক্যান্সার
জরায়ু মুখের ক্যান্সার বা সারভাইকাল ক্যান্সার (Cervical Cancer) হল জরায়ুর আস্তরণে অস্বাভাবিক কোষের নিয়ন্ত্রণ ছাড়া বৃদ্ধি। জরায়ু হল মেয়েদের প্রজনন প্রণালীর অংশ এবং এটি গর্ভের নীচের অংশে অবস্থিত, যা গর্ভ থেকে যোনি পর্যন্ত খোলা। এই ক্যান্সার জরায়ু মুখের ক্যান্সার নামেও পরিচিত। সারভাইকাল ক্যান্সার সমস্ত ক্যান্সারের মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে এবং এখনকার সময় বর্তমানে এই রোগে প্রতি ২ মিনিটে একজনের মৃত্যু হয়। গুরুত্বপূর্ণভাবে, এটি ৪২ টি দেশে মহিলাদের মধ্যে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মূল কারণ ।
জরায়ু মুখের ক্যান্সারের লক্ষণ ও প্রাথমিক সংকেত
সারভাইকাল ক্যান্সারের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণগুলি হল:
পিরিয়ড চলার সময় রক্তপাত / সহবাসের পরে রক্তপাত
/ মেনোপজের পরে রক্তপাত / সহবাসের সময় অস্বস্তি বা রক্তপাত / তীব্র গন্ধযুক্ত যোনি স্রাব
/ রক্তের সাথে যোনি স্রাব
/ প্রস্রাব করার সময় ব্যথা
কেমোথেরাপি
কেমোথেরাপি মাধ্যমে সারা শরীরে ক্যান্সার কোষকে মেরে ফেলার জন্য ওষুধ ব্যবহার করে। কেমোথেরাপির এই চিকিৎসা কয়েকটি ভাগে করা হয়। রোগীকে কিছুক্ষণের জন্য কেমো দেওয়া হবে। তারপরে রোগীর শরীরকে ফিরিয়ে আনার জন্য সময় দেওয়া হয়।