শীতের সকাল
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন, আমি ও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। শীত আমাদের সবার প্রিয় একটি ঋত । ভালো লাগে না এমন মানুষ খুব কমই আছে । শীত আমাদের সামনে শান্তির বার্তা নিয়ে আসে একটি ফুরফুরা মেজাজ নিয়ে আমরা উপভোগ করি । শীতের কাল,শীতের সকাল ,শীতের বিকেল ,শীতের সময় ,শীতের ঋতু, শীত মানেই আমাদের খুব পছন্দের একটি ঋতু আমরা সারা বছর শীতের অপেক্ষায় থাকি ।শীত নিয়ে কিছু কথা বলি ।
শীত আমাদের সবার প্রিয় ঋতু
আমরা সবাই জানি আমাদের দেশ ষড়ঋতুর দেশ। প্রতি দুই মাস পরপর এই ঋতুর বিবর্তন হয়। শীত আমাদের ৫ নম্বর ঋতু। পৌষ ও মাঘ এই দুই মাস শীতকাল। প্রতি টা ঋতুর মতোই শীতকাল তার নিজস্ব সৌন্দর্য ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হয়। হেমন্তের সোনালি ডানায় ভর করে আমাদের মাঝে আসে শীত। শীতের কথা মনে করলেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে আসে কুয়াশার চাদরে ঢাকা চারপাশ। হিমেল বাতাসে কাঁপতে থাকি আমরা শীতার্ত মানুষজন। সারি সারি খেজুরগাছে ঝুলতে থাকা সেই রসের হাড়ি। সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত রসের হারি মৌমাছিদের আগমন। ঘাসের ডগায় জমে থাকা শিশির বিন্দুর চোখ জুড়ানো সেই দৃশ্য। এটা হল শীত ঋতুর একটা সাধারণ চিত্র। এ ছাড়া শীত ঋতুর সামাজিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্বের কথা আমরা সবাই জানি।
অন্য পোস্ট:
শীতকাল আমাদের সবার খুব প্রিয় ঋতু। তোমরা অনেকেই জানো এ ঋতু ফুল-ফসলে ভরপুর। তাই শীতকাল অন্য সব ঋতু থেকে অন্যরকম গুরুত্ব পেয়ে থাকে। বাংলার রূপসৌন্দর্যে অনেকখানি জায়গাজুড়ে শীতের অবস্থান। শীতের সকালের রূপ অন্য সব ঋতু থেকে পুরাই আলাদা। হেমন্তের দিনগুলো শেষ হতে না হতেই শীতবুড়ি এসে প্রকৃতিতে উপস্থিত হয়। কুয়াশা কন্যারাও নির্জন বন-মাঠ আর নদীর কূলজুড়ে ছাউনি ফেলে। উত্তর দিগন্তে হিমালয়ের বরফচূড়া থেকে ছড়িয়ে পড়ে হিমশীতল নিঃশ্বাস। পৃথিবী কেমন যেন জড়োসড় হয়ে যায় শীতে। সূর্যের আলোয় সবুজ মাঠগুলোকে মনে হয় কে যেন মুক্তার দানা ছড়িয়ে রেখেছে চারপাশে ।
সেই দানাগুলো থেকে রংধনুর সাত রঙের আভা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ দৃশ্য দেখলে অন্তর জুড়িয়ে যায়। শর্ষের খেতগুলোকে মনে হয় হলুদের সাগর যেথায় হিমলে বাতাস ঢেউ খেলে যায় প্রতিনিয়ত। মাঠে ঘাটে হলুদ ফুলের ছড়াছড়ি। বিস্তীর্ণ সবুজ প্রান্তর ঢাকা থাকে হলুদে চাদরে। প্রকৃতিপ্রেমীদের চোখ জুড়াতে তুলনা নেই সরিষা ফুলের। এই ফুল যেমন প্রকৃতির সৌন্দর্যকে দেয় ভিন্ন মাত্রা, ঠিক কৃষকের অন্তরে জাগায় স্বপ্ন। এ ছাড়া ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, টমেটো, লাউ, মুলা, কুমড়া, লালশাক, পালংশাক, বেগুন, শসা, মিষ্টিকুমড়ার খেতগুলো দেখলে মন প্রাণ জুড়িয়ে যায়। এসব হাটবাজার থেকে লোকজনরা ব্যাগভর্তি করে শীতের সবজি নিয়ে ঘরে ফেরেন। এত সব পুষ্টিকর শাকসবজি অন্য কোনো ঋতুতে দেখা যায় না।
এখন বলি ফুলের কথা। শীত মৌসুমে ফুলকাননের যেসকল ফুল মানুষের মনকে মুগ্ধ করে তার মধ্যে ডালিয়া অন্যতম। লাল, চকোলেট, হলুদ, সাদা, গোলাপি, বেগুনি প্রভৃতি বর্ণের ডালিয়ার পাপড়ির সৌন্দর্য আর চমৎকার রূপ সহজেই মানুষকে মুগ্ধ করে। কৃষ্ণকলি শীত কালের নিজস্ব ফুল। এ ফুল সাদা আর গোলাপি বর্ণের হয়ে থাকে। শীতকালের আরেক ফুল কসমস। এ ফুল সাদা, লাল বা গোলাপি রংগের হয়। এছাড়া শীত মৌসুমের আরো যেসব জনপ্রিয় ফুল রয়েছে তার মধ্যে গ্যাজানিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদা, অ্যাস্টার, ডেইজি, সিলভিয়া, এন্টিরিনাম, ন্যাস্টারশিয়াম, প্যানজি, ডায়ান্থাস, ফ্লক্স, ভারবেনা, কারনেশান, পপি, সূর্যমুখী, পর্টুলেকা, ক্যালেন্ডুলা, হলিহক, মর্নিং গ্লোরি, সুইট পি, অ্যাজালিয়া, জারবেরা, গ্ল্যাডিওলাস পিটুনিয়া অন্যতম। বাড়ির বারান্দায় বা গ্রিলের সাথে ঝোলানো টবে লাগানোর জন্য পিটুনিয়া, ন্যাস্টারশিয়াস, অ্যাস্টার, ভারবেনা ইত্যাদি উত্তম। গ্রিলে লতিয়ে দেওয়ার জন্য নীলমণি লতা, মর্নিং গ্লোরি, রেল লতা, সুইট পি ভালো। এসব ফুলের রূপ সৌন্দর্য, পরশ মানুষের মনে স্বর্গীয় অনুভূতির জন্ম দেয়।
শীত মানেই হল হরেক রকম ফলের বাহার। শীত ঋতুর কমলা, কুল, সফেদা, জলপাই ইত্যাদি ফল মুখের স্বাদকে অনেকবেশি বাড়িয়ে দেয়। এ ঋতুর জনপ্রিয় ফলগুলোর মধ্যে একটি হল ডালিম। এ ফল কারো কাছে বেদানা, কারো কাছে আনার নামে পরিচিত। শীতের ফলের রাজা বলা হয় কমলাকে। বর্তমানে আমাদের দেশের পার্বত্য অঞ্চলে কমলার চাষ হয়। এ ঋতুতে আরো যেসকল সুস্বাদু ও উপকারী ফল পাওয়া যায় তার মধ্যে কুল, জলপাই, আমলকী অন্যতম।
শীত এর সময় গ্রামের মজাই আলাদা। তোমরা যারা শীতের সময় নিয়মিত গ্রামে যাও তারা হয়তো বুঝতে পারছ এর প্রধান কারণ পিঠাপুলি। শীত এলে বাংলার ঘরে ঘরে পিঠা বানানোর ধুম পড়ে যায়। বাংলার শীতকাল আর পিঠা যেন একই সূত্রে গাথা। কৃষকের ঘরে হেমন্তে নতুন ধান ওঠার সাথে সাথে শুরু হয় পিঠা বানানোর কাজ। চলতে থাকে তা পুরো শীত এর সময় জুড়ে। বেশির ভাগ পিঠাই মিষ্টিপ্রধান, কিছু পিঠা ঝালজাতীয়। তবে যে পিঠাই তৈরি করা হোক না কেন, পিঠার মূল উপকরণ চালের গুঁড়া দিয়ে তৈরি। এক এক অঞ্চলে এক এক রকমের পিঠা বানানো হয়। একই পিঠার নামও আবার অঞ্চলভেদে আলাদা আলাদা। তবে এমন কিছু পিঠা আছে, যা দেশের প্রায় সব জায়গায় বানানো হয়।
উপসংহার
শীত আমাদের কাছে আসে শূন্যতা আর জড়তা নিয়ে। এখানে আমাদের কাছে শীত আসে খুশির মেজাজ নিয়ে। আসে দেশকে নানা সাজে, নানা রঙে সাজাতে। শীতের সকালে শহরে বন্দরে দেখা যায় কাজের তৎপরতা। কর্মচঞ্চল জীবনের পরিচয় যেন শীতের সকালের মত অন্যকোন ঋতুতে দেখা যায় না।আলহামদুলিল্লাহ আমরা এরকম একটা দেশে জন্মগ্রহণ করেছি । আমি আপনাদের সামনে হাজির হব আবার নতুন কোন বিষয় নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ আপনাদেরকে সুস্থ রাখুক ।এরকম আরো প্রয়োজনীয় আর্টিকেল পেতে আমার এই ওয়েবসাইটটির সাথেই থাকুন।