আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
প্রিয় ভাই
ও বোনেরা,
একটা বিষয়
আমাকে কুঁড়েকুঁড়ে
খাচ্ছে। মিথ্যা
কা প্রতারণা
করা কি
আমাদের সমাজে
দিনদিন বেড়েই
চলেছে না?
আমরা কর
মুসলিম আজ
দাতব্য সংস্থার
কাছে মিথ্যা
বলছি। কেউ
সেন্টারলিংকের কা
মিথ্যা বলছি।
আবার কেউ
ফেমিলি ডে
কেয়ার প্রজেক্ট
কর্মকর্তাদের কাছে
মিথ্যা বলছি।
কীসের জন্য
এই মিথ্যা
বলা? সপ্তাহ
শেষে কিছু
অতিরিক্ত ডলার
পাবার
আশায়? বোনেরা
সেন্টারলিংক অফিসে
ঘোরাঘুরি করছে
হিজাব পরে,
বাচ্চাকে প্রামে
রেখে অথবা
বাচ্চাকে কোলে
নিয়ে। নিজে
সন্তানসম্ভবা হয়েও
সে কাগজে
লিখে দিচ্ছে
যে, সে
বিবাহবহির্ভূত শারীরিক
সম্পর্কে জড়িত।
একজন ইমানদারের
বৈশিষ্ট্য কী?
একজন ইমানদারের
প্রধান বৈশিষ্ট্য
তিনি সৎ
হবেন। তার
সকল কাজে
এবং সকল
লেনদেনে সততা
থাকবে।
ইন্দানেশিয়ায় পুরো জাতি কীভাবে ইসলাম গ্রহণ করেছিল? তারা দেখেছে মুসলমানরা তাদের ব্যবসায় কীভাবে সততার সাথে লেনদেন করে। তারা দেখেছিল ইসলাম সত্যিই একটি বিশেষ ধর্ম। এ ধর্মের অনুসারীরা অত্যন্ত সত্যবাদী। এসব দেখে তারা সবাই ইসলাম গ্রহণ করেছিল। পুরো একটি জাতি ইসলাম গ্রহণ করে ফেলে। আর আজকে আমাদের দিকে তাকান। আমাদের লেনদেন দেখুন। প্রিয়নবি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সবসময় তার আমাদের উপার্জনের ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্ক ছিলেন।
সবসময় সতর্ক থাকতেন, যা কিছু ইনকাম করতেন যেন হালাল হয়। এতই সতর্ক থাকতেন যে, একবার তার নাতি হাসান রাযিয়াল্লাহু আনহুর মুখে খেজুরের টুকরা দেখলেন। খেয়াল করুন, অল্প বয়সের একজন বালককে দেখে তার প্রতিক্রিয়া কী হয়েছিল। তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দৌড়ে এলেন তার নাতির কাছে এবং জিজ্ঞেস করলেন, “তোমার মুখে কী? তুমি কী খাচ্ছ? তুমি কি জানো না এটা দান-সদকার জিনিস?" আর হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পরিবার এর জন্য দান-সদকা খাওয়ার অনুমতি নাই ।
চিন্তা করুন, সামান্য খেজুর; এ ব্যাপারেও তিনি সতর্ক ছিলেন। আজকে আমি আর আপনি কোনো সতর্কতাই অবলম্বন করছি না।
সাহাবায়ে কেরাম
এবং আমাদের
পূর্বযুগে মায়েরা
বাবাদের বলে
দিতেন- “বেরিয়ে
যান, আমাদের
জন্য হালাল
উপার্জন নিয়ে
আসুন। হালাল
কম হলেও
তাতে মনে
করব না।"
কেন তারা
একথা বলতেন?
তারা বলতেন-
"আমরা ক্ষুধার
জ্বালা সইতে
পারব,
কিন্তু জাহান্নামের
আগুন সইতে
পারব না।"
এখন কে
শোনে কার
কথা। মিথ্যা
বলে ফেলছে
অবলীলায়। কাগজপত্রে
এমন
কিছু লিখছে, যা সত্য নয়। আর এভাবে কিছু ডলার কামিয়ে নিচ্ছে। আপনি আসল সত্যটা বুঝতে পারছেন না। আপনি দেখছেন আপনার আশেপাশে সবাই করছে, তাই আপনিও করছেন। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, এসব বৈধ কাজ। এভাবে ভুল তথ্য দিয়ে, মিথ্যা বলে যা ইনকাম করেন তা হারাম। ভাই এটা হারাম। এক ডলার হলেও হারাম।
আপনি ইসলামি পদ্ধতিতে জবেহ করা পশু পাখির গোশত খেয়ে মনে করতে পারেন হালাল খেলাম। বিসমিল্লাহ বলে জবেহ করা হয়েছে, আর আমিও বিসমিল্লাহ বলে খেলাম, সুতরাং হালাল। কিন্তু আপনি যে এক ডলার দিয়ে খাবারটি কিনলেন সেটা হারাম হলে খাবারটিও হারাম। ওই টাকায় যে পানীয় খাবেন সেটাও হারাম। ওই টাকায় যে বাড়িতে থাকবেন, বাসা ভাড়া দেবেন সেটাও হারাম। ওই টাকায় যে আসবাবপত্র কিনবেন সবই হারাম।
মানুষজন আমাকে প্রায়ই অভিযোগ করে বলে-"এত দুআ করি, কিন্তু কোনো উন্নতি তো দেখি না।" আপনি দুআ করেন, কিন্তু কোনো উন্নতি দেখেন না, কেন? কারণ, এটা হারাম ইনকাম। এই ইনকাম জীবনে বিশাল ভূমিকা রাখে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর সাথিদের প্রায়ই এই হারাম ইনকামের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলতেন।
কারণ, আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপনে এই ইনকামের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। অতএব, যেসব লোকেরা আমার কাছে অনুযোগ করতেন-"ভাই আমরা এখন অমুসলিম দেশে আছি, দারুল হারবে আছি, তাই কিছু মিথ্যা বলার অনুমতি তো আছে।" আপনি এসব ভাই, আপনি তিনি এক্ষেত্রে সত্যিকারের কোথা থেকে শিখেছেন ভাই? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দিকে লক্ষ করুন, কী করেছেন। যখন তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দারুল হারবে ছিলেন, যখন মক্কার লোকেরা তার পিছু নিয়েছিল, যখন মক্কার লোকেরা তাকে হত্যার জন্য তার মাথার মূল্য ঘোষণা করেছিল এবং তাকে হত্যা করার জন্য বেরিয়ে পড়েছিল।
আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তখন তিনি কী করেছিলেন? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তো সেই মানুষ, যাকে অমুসলিমরাও 'আল-আমিন, আস-সাদিক', ঘোষণা করেছিল। এবং তারা তাদের মূল্যবান জিনিসপত্র তার কাছে জমা রেখে যেত। আর সেই তিনিই যখন মক্কা হতে মদিনায় হিজরত করছিলেন তখন তিনি তাদের সেই রেখে যাওয়া জিনিসপত্রের কী করেছিলেন? তিনি তখন তার চাচাতো ভাই আলি ইবনু আবি তালিব রাযিয়াল্লাহু আনহুকে রেখে যান এই বলে-"তুমি এই জিনিসগুলো রাখো এবং যে যে লোক (যারা সকলেই অমুসলিম ছিল) জিনিসগুলো রেখে গিয়েছে তাদেরকে তাদের জিনিস ঠিকমতো বুঝিয়ে দেবে।” তার জায়গায় আপনি বা আমি হলে "কে শুনে কার কথা, জিনিস নিয়ে ভাগ” বলতাম।
এটা ইসলাম নয় ভাই। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আলি ইবনু আবি তালিব রাযিয়াল্লাহু আনহুকে রেখে যান। যাতে যার যার জিনিস তাকে তাকে দেওয়া যায়। কারণ, একজন মুসলিম হিসেবে আমরা কখনোই সে জিনিস ধরতে পারি না, যেটা আমার নয়। সেটা যতই ক্ষুদ্র হোক। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার কাছে আমরা হালাল ইনকাম চেয়ে দুআ করি। আল্লাহ যেন আমাদের কবুল করে নেন। হালাল খাবার ও পোশাকের ব্যবস্থা করে দেন। আমিন।
প্রতারণার অনুদান এবং মুসলিম সমাজ,প্রতারণার অনুদান এবং মুসলিম সমাজ,প্রতারণার অনুদান এবং মুসলিম সমাজ,প্রতারণার অনুদান এবং মুসলিম সমাজ,প্রতারণার অনুদান এবং মুসলিম সমাজ,প্রতারণার অনুদান এবং মুসলিম সমাজ,প্রতারণার অনুদান এবং মুসলিম সমাজ ,প্রতারণার অনুদান এবং মুসলিম সমাজ,প্রতারণার অনুদান এবং মুসলিম সমাজ,প্রতারণার অনুদান এবং মুসলিম সমাজ ।