কথোপকথন : ইসলামে বিয়ে ও বিয়ের অনুষ্ঠান

আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই?  আশা করি ভাল আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব ইসলামে বিয়ে ও বিয়ের অনুষ্ঠান  নিয়ে কিছু কথা । ইসলামে বিয়ে ও বিয়ের অনুষ্ঠান  সম্পর্কে জানতে আমার আজকের আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।




আজকে আমরা কথা বলব বিয়ে নিয়ে। প্রতিটি বিশ্বাসীর জীবনে বিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। আমাদের জানা প্রয়োজন বিয়ে কী এবং হালাল পদ্ধতিতে বিয়ের যাবতীয় আঞ্জাম কীভাবে সম্পন্ন করতে হয় তার নিয়মকানুন। এ বিষয়ে কথা বলতে আমাদের স্টুডিওতে আজ উপস্থিত আছেন প্রিয়মুখ শাইখ বিলাল দাননুন।

মো. হোবলস: আস-সালামু আলাইকুম শাইখ বিলাল, আপনাকে এই অনুষ্ঠানে স্বাগত।

বি. দাননুন: ওয়া আলাইকুমুস সালাম। আপনার অনুষ্ঠানে দাওয়াতের জন্য জাজাকাল্লাহু খায়রান।

মো. হোবলস: আপনার কাছে প্রশ্ন-বিয়ে করা কেন প্রয়োজন? আর হালাল পন্থায় কেনই-বা আমরা বিয়ে করব?

বি. দাননুন: এই দূষিত সমাজে হালাল পন্থায় বিয়ে করা খুবই জরুরি। হালাল পন্থায় বিয়ে করলেই কেবল বিয়েটা স্বার্থক ও সুন্দর হতে পারে, নচেৎ নয়। 


কারণ এই বিয়ে আপনার জীবনের অন্যান্য দিকগুলোতেও প্রভাব ফেলবে। প্রভাব আপনার ব্যবহারিক ফেলবে আপনাব্যাথানার ক্যারিয়ারে। সুতরাং আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে টে এই বিয়ে সঠিকভাবে হচ্ছে কি না। ভেবে দেখতে হবে, এই বিয়ে ভবিষ্যতে কলাপ বয়ে আনবে কি না। সুখ, শান্তি পাওয়া যাবে কি না। আরও ভেবে দেখতে হবে। কারণ আপনার সন্তানাদি সেই মানুষটির মতোই হবে যাকে আপনি বিয়ে করবেন। তার পেছনে আপনার সময়-শ্রম-অর্থ ব্যয় হবে। সুতরাং আপনাকে ভেবে দেখতে হবে তার মধ্যে 'তিন এম' আছে কি না। মো. হোবলস: 'তিন এম' জিনিসটা কী? কোনো বৈজ্ঞানিক থিউরি! হা হা!




বি. দাননুন: হা হা, আসলে সেরকমটা নয়, বরং 'তিন এম' হলো 'মুসলিম ম্যারিজ ম্যাচুরিটি'-এর সংক্ষিপ্তরূপ। অর্থাৎ আপনি যাকে বিয়ে করবেন তার মধ্যে যে-সব ইসলামি বিয়েবৈশিষ্ট্য থাকতে হবে সেসব থাকা। আপনি যাকে বিয়ে করবেন সে আপনার সবচেয়ে বড়ো ফ্যান বা ভক্ত হতে হবে।

মো. হোবলস: তাই তো! কিন্তু এ ধরনের ফ্যান কীভাবে খুঁজে বের করা যায়? আর এটা কি খুব গুরুত্বপূর্ণ, কেউ ফ্যান বা ভক্ত হলেই তাকে নিয়ে সুখী হওয়া যাবে?

বি. দাননুন: আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমাদের সমাজে জ্ঞানার্জনের জন্য আমরা বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, কোচিং সেন্টারে যাই। বিভিন্ন কোর্স করি। সেখানে একটি কারিকুলাম অনুসরণ করি। বিয়েও আসলে একটি কোর্স। এর জন্য নির্দিষ্ট কারিকুলাম আছে। কিন্তু আমরা তা অনুসরণ করি না। জানার চেষ্টাও করি না। যে কারণে আমাদের সম্পর্কগুলো পরিপক্ক হয় না। আপনি যদি পশ্চিমা বিশ্বের দিকে তাকান, দেখবেন তাদের প্রায় ৫০% বিয়ে ভেঙে যায়। তারা কি বিয়ের আগে একজন আরেকজনের ফ্যান ছিল না? খুবই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। তাই আমাদের দেখতে হবে, সে আসলেই আমার ফ্যান বা ভক্ত কি না। তো সে আপনার ফ্যান কি না সেটা বিয়ের আগে সাক্ষাতে বোঝার উপায় হলো তাকে প্রশ্ন করা, আর বিয়ের পরে তার চোখে চোখ রেখে কথা বলা।

বিষয় স্নাবলস। কীভাবে একজন সঠিক জীবনসঙ্গী খুঁজে পেতে পারে? বা কী কী বিষয় রাখতে হবে বিয়ের সময়?

বি. দাননুন: আমি মনে করি, বিয়ের সময় কিছু বিষয়ে যৌক্তিক চিন্তা করতে হবে। কাত্যাশা স্বাভাবিক রাখতে হবে। আপনাকে ঠিক করে নিতে হবে, আপনি আসলে কী চান? কেমন জীবনসঙ্গী প্রত্যাশা করেনা কারণন আপনি যদি না জানে

আপনার জীবনসঙ্গী কেমন হওয়া উচিত, তবে আপনি সঠিক জীবনসঙ্গী পাবার যোগ্য না। আপনি সেজন্য যেটা করতে পারেন সেটা হলো কিছু প্রশ্ন নোট করে রাখা। যে প্রশ্নগুলো আপনি তাকে বিয়ের আগে করে নেবেন। বিয়ের আগে তাকে যাচাই করে নেবেন বিভিন্ন প্রশ্ন করার মাধ্যমে।


মো. হোবলস: শাইখ এনগেইজমেন্ট কী? ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে এনগেইজমেন্টের আয়োজন কেমন হওয়া উচিত?

বি. দাননুন: এনগেইজমেন্ট শব্দটার আরবি খুতবা, আমি যদি ভুল না করে থাকি। যার অর্থ বিজড়িত করা, সংযুক্ত করা। এটা হলো যিনি বিয়ে করবেন বিশেষ করে পুরুষ ব্যক্তিটি এগিয়ে আসবেন এবং কনেকে প্রস্তাব করবেন। অবশ্যই কনেপক্ষের সম্মতি থাকতে হবে। আর এই প্রস্তাব যদি কনেপক্ষে গ্রহণ করেন, তবে বিবাহ সম্পন্ন হয়ে যাবে। এ ছাড়া আর তেমন কোনো আনুষ্ঠানিকতা নেই।

মো. হোবলস: এরপর কি তারা পুরোপুরি বৈধ স্বামী-স্ত্রী হয়ে যাবে?

বি. দাননুন অবশ্যই। ইসলামে আর কোনো আনুষ্ঠানিকতা নেই এনগেইজমেন্টের। আসলে ইসলামে এনগেইজমেন্ট খুবই অনানুষ্ঠানিক একটি অনুষ্ঠান। এনগেইজমেন্টের পরই তারা তাদের জীবন শুরু করে দিতে পারে, যদি তারা চায়।




মো. হোবলস: শরিয়তে আর কোনো বাধা নেই?

বি. দাননুন: না, এনগেইজমেন্ট মানেই চূড়ান্ত সম্পর্ক তৈরি হওয়া। তাই তাদের বৈবাহিক জীবন সেখান থেকেও তারা শুরু করে দিতে পারে।

মো. হোবলস: আচ্ছা, আমার একটু গভীর জানার আগ্রহ তৈরি হয়েছে। আমি কি কিছু প্রশ্ন করতে পারি?

বি. দাননুন: হুম, অবশ্যই।

মো. হোবলস: যেমন ধরুন, এনগেইজমেন্ট হয়ে যাওয়ার পর যদি বোঝা যায় যে, সঠিক জীবনসঙ্গী নির্বাচন করা হয়নি। তখন করণীয় কী? আর এ ধরনের পরিস্থিতি যাতে না ঘটে সেজন্য করণীয় কী?

বি. দাননুন: ব্যাপারগুলো আমি আগেও বলেছি। প্রথমত তাকে যাচাই করার জন্য। কিছু প্রশ্ন করতে হবে। নিজের পছন্দ অনুযায়ী প্রশ্নগুলো আগে থেকে ঠিক করে নিতে পারে। দ্বিতীয়ত তারপরও যদি কিছু কনফিউশন থেকে যায়, তবে এনগেইজমেন্টর জন্য আরও কিছু সময় নেওয়া যেতে পারে।

এনগেইজমেন্ট বা বিয়ের তারিখ পিছিয়ে দিয়ে একাধিকবার তার সাথে কথা বলা যেতে পারে।


মো. হোবলস: আবার এরকম দেখা যায় যে, কোনো বোনের সাথে তার জীবনসঙ্গীর বনিবনা হচ্ছে না। মেয়েরা অনেক সময় মনে করে, ইসলাম তাকে এ ব্যাপারে খুব বেশি স্বাধীনতা দেয়নি। তখন ব্যাপারটা আরও বড়ো সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এ অবস্থার সমাধান কী?

বি. দাননুন: এরকম পরিস্থিতি খুব দুঃখজনক। যদি কারও পরিস্থিতি সে অবস্থায় গিয়ে দাঁড়ায়, তবে বোনের কর্তব্য হলো তার নিজের পরিবারকে গিয়ে জানানো। বাবা বা ভাই বা প্রধান কর্তাকে জানানো। দু পক্ষের অভিভাবকরা মিলে এর সমাধান করবে। সে সময়টা বোনের জন্য অনেক কষ্টের হবে। তবে অল্প কষ্ট সারা জীবনের কষ্টের চেয়ে ভালো।


মো. হোবলস: বিবাহপরবর্তী অনুষ্ঠান ইসলামের আলোকে উদ্যাপনের নিয়ম কী?

বি. দাননুন: ইসলামে বিবাহপরবর্তী অনুষ্ঠানকে বলা হয় ওয়ালিমা। ওয়ালিমা করা সুন্নাহ। তবে কোনো কোনো ইসলামি স্কলারের মতে, এটি প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে উদযাপন করা ওয়াজিব। কারণ, বিয়ে কোনো গোপনে সেরে ফেলার মতো ইবাদত নয়। এ সংক্রান্ত একটি হাদিস এসেছে বুখারি শরিফে, আব্দুর রহমান ইবনু আওফের বিয়ে সংক্রান্ত। তিনি মক্কা হতে মদিনায় হিজরত করে এসেছিলেন। মদিনায় তখন অনেক ধনীলোক নিজের স্ত্রীদের তালাক দিয়ে ইদ্দত শেষে মুহাজিরদের বিয়ে করার সুযোগ দিতেন। আব্দুর রহমান ইবনু আওফকে এ অফার নিতে বললে তিনি ফিরিয়ে দেন এবং মদিনার বাজারে চলে যান, সেখান থেকে বিয়ের জন্য কেনাকাটা করে ফিরে আসেন। এরপর বিয়ে করেন। মোহরানা আদায় করেন কিছু স্বর্ণমুদ্রা দিয়ে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিয়ের খবর শুনে একটি খাসি দিয়ে হলেও ওয়ালিমা দিতে বলেন।" আলহামদুলিল্লাহ! এটা হচ্ছে বিয়ের ইসলামি নমুনা। আজকে আমরা দেখি-পশ্চিমা বিশ্ব এবং অস্ট্রেলিয়াতে যে কেকে সংস্কৃতি এবং অন্যান্য অতিরঞ্জিত সংস্কৃতি, যেমন-বিয়ের আগে হবু স্বামী-স্ত্রী মিলে ঘুরতে যাওয়া, একসাথে ফার্নিচার, বাসাবাড়ির আসবাবপত্র, গহনা ইত্যাদি কেনা-এগুলো অনৈসলামিক।


মো. হোবলস: বিয়েতে কোন কোন কাজ হারাম আর কোন কোন কাজ হালাল?

বি. দাননুন: এটা সরাসরি না বলাই ভালো বলে মনে করি। প্রতিটি মুসলিম জানে আসলে কী কী করা জায়িজ, কী কী জায়িজ নয়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন-“হালাল স্পষ্ট এবং হারামও স্পষ্ট।""

বিবেকসম্পন্ন প্রত্যেক মুসলিমই আসলে বিষয়গুলো জানেন। এখন তাদের মানতে হবে। বিয়েকে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উপায় হিসেবে মনে করতে হবে। তাহলেই সবকিছুর ইসলামি সমাধান তারা পাবেন। নিকটস্থ আলিম, ইসলামি ব্যক্তিত্ব অথবা প্রতিষ্ঠানে ফোন করুন অথবা তাদের কাছে চলে যান। ইনশাআল্লাহ সব তথ্য পেয়ে যাবেন। এবং বিয়ের আগে সেসব তথ্য জেনে নেওয়া প্রতিটি মুসলিমেরই কর্তব্য। বিয়ে করলে দীন পালন সহজ হয়ে যায়, পরিপূর্ণ দীনদার হওয়া যায়। সুতরাং এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে না জেনে কীভাবে সঠিকভাবে আমল করা সম্ভব? মোটকথা, বিয়েকে মনে করতে হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উপায়। আমরা তো সেরকম বরকতময় বিয়েই চাই, যে বিয়েতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সন্তুষ্ট হবেন।


মো. হোবলস: অবশ্যই। বিয়ে হচ্ছে অন্যতম সেরা ইবাদত। তাই নয় কি?

বি. দাননুন: অবশ্যই। কেননা এক হাদিসে এসেছে-রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- “বান্দা যখন বিবাহ করে, তখন সে তার অর্ধেক ইমান (দীন) পূর্ণ করে। অতএব বাকি অর্ধেকাংশে সে যেন আল্লাহকে ভয় করে।"


বিয়ের দায়িত্ব-কর্তব্য এবং করণীয়-বর্জনীয় আমাদের বিয়ের আগেই জেনে নিতে হবে।

মো. হোবলস: তা ছাড়া দীনের অনেক বিধান আছে, যা বিয়ে ছাড়া পালন করা

সম্ভব নয়।

বি. দাননুন: অবশ্যই, আপনি যদি বিয়ে না করেন, আপনি বুঝতে পারবেন না

স্ত্রীর অধিকার কী? সন্তান লালনপালনের বিধান কী? এসব দায়িত্ব পালনের সওয়াবও আপনি পাবেন না। তা ছাড়া বিয়ের আরেকটি ইসলামিক দিক হলো- বিবাহপরবর্তী ভোজ বা উৎসব। সেখানে বিয়ের দাওয়াত, ওয়ালিমার দাওয়াত দিতে হয় সবাইকে। অনেকে আছে, দাওয়াত দিতে গিয়ে অনেক অনৈসলামিক কাজও করে ফেলে। ব্যয়বহুল দাওয়াতকার্ড, অপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পর্ব এবং বেছে বেছে শুধু ধনীদের দাওয়াত দেওয়ার মতো গর্হিত কাজও করা হয়। কিন্তু আমাদের উচিত সবাইকে দাওয়াত করা। বিয়েকে সামাজিক বন্ধন সুদৃঢ় করার একটি মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করা। অনেক অমুসলিমকেও দাওয়াত করা যেতে পারে। সুবহানাল্লাহ, অনেকেই দেখি এখন অমুসলিমদেরকে দাওয়াহ দেওয়ার একটি সুন্দর মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করে এই বিয়ের অনুষ্ঠানকে। তারা এভাবে আমাদের ভালোবাসা, বিয়ে, সামাজিক বন্ধন প্রভৃতি ব্যাপারগুলো খুব কাছ থেকে দেখতে পারে। আমি দেখেছি অনেক অমুসলিম এসে বলছে, “হেই, তোমাদের বিয়ে তো খুব সুন্দর! আমরা এটা আগে জানতাম না।" তারা তখন আমাদের স্বামী-স্ত্রীর অধিকার এবং সন্তান-সন্ততির অধিকার ও দায়িত্ব ইত্যাদি সামাজিক বিষয়াদি সম্পর্কেও জানতে আগ্রহী হয়।


মো. হোবলস: আমরা অনুষ্ঠানের একবারে শেষপ্রান্তে চলে এসেছি। আমাদের সময় দেবার জন্য ধন্যবাদ।

দর্শক আমরা শিখলাম-বিয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। একে অবহেলা করা উচিত নয়। বিয়েতে কী কী করা যায় এবং কী কী করা যায় না সেসব জানার পাশাপাশি আমাদের এটাও মনে রাখতে হবে যে, বিয়ের উদ্দেশ্য মূলত আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন আমরা। তাই বিয়ের আয়োজন করার সময় আমাদের মনে মনে প্রশ্ন করা উচিত, যদি আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার বিয়ের অনুষ্ঠানে আসতেন, তবে কি তিনি সন্তুষ্ট হতেন? এখানকার পরিবেশ, বিভিন্ন পর্ব দেখে কি সন্ধষ্ট হতে পারতেন? যদি তিনি আপনার অনুষ্ঠানে এসে একটি মুচকি হাসি দেবে বলে আপনি মনে করেন, তবে সেটাই হালাল বিয়ে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার কাছে আমরা সবাই দুআ করব, যেন আমাদের সকল বিয়ে এবং বিয়ের অনুষ্ঠানগুলো হালাল পদ্ধতিতে সম্পাদিত হয়। হে আল্লাহ! আমাদের সঠিক পথে চলার তাওফিক দান করুন। আল্লাহ হাফেজ।


Previous Post Next Post

نموذج الاتصال