ফজরের সময় যা হয়!

আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই?  আশা করি ভাল আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব ফজরের সময় যা হয়! নিয়ে কিছু কথা । ফজরের সময় যা হয়! সম্পর্কে জানতে আমার আজকের আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।



আমরা আমাদের দীন বেচে দিচ্ছি। আল্লাহর কসম ভাই, আমরা আমাদের দীন বেচে দিচ্ছি। আপনি যে-কোনো মসজিদে, দেশের যে-কোনো মসজিদে গেলেই এর সত্যতা পাবেন। সেসময় মসজিদে গেলেই আপনি দেখতে পাবেন, কত লোক দুনিয়ার বিনিময়ে আল্লাহকে পরিত্যাগ করেছে। আমার মুখের কথা আপনার বিশ্বাস করার দরকার নেই। আপনি আপনার পছন্দমতো একটি মসজিদে ফজর নামাজ পড়তে যান। জামায়াতের সাথে সালাত আদায় করুন। পরের দিন আবার ফজরের সালাত সেখানে আদায় করুন। দেখবেন, গতকালের সেই লোকগুলো সালাত আদায় করছে। অথচ ফজরের সালাতের গুরুত্ব অনেক। দীন অথবা দুনিয়া কোন বিষয়টিকে আমরা প্রাধান্য দেবো। নিঃসন্দেহে দীন। আল্লাহ আমাকে তার পথে কবুল করেছেন। এটাই তো সুন্দর জীবন।

প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আল্লাহ তায়ালা আমাদের মুখের কথা দেখেন না, আল্লাহ দেখেন আমাদের কাজ। এই কাজের গুণেই মানুষ আল্লাহর ওলি হয়, মুখের কথায় নয়।

মুখে মুখে আমরা সবাই বলি, আমরা আল্লাহর ওপর ইমান এনেছি। আমরা বলি, আল্লাহ হলেন 'আর-রাজ্জাক'-রিজিকদাতা, দুনিয়ার সব ভালো, সব খারাবি আল্লাহই দিয়ে থাকেন। তবে কীভাবে ইমানের দাবিদার সেই আমরাই ফজরের সময় নাক ডেকে ঘুমাতে পারি?

আমরা আসলে কী পছন্দ করছি, দীন নাকি দুনিয়া? একই উম্মাহ সকালে উঠে মর্নিং ওয়ার্ক, জগিং-এ যেতে পারে, কিন্তু মসজিদে আসতে পারে না! আমি বলছি না মর্নিং ওয়ার্ক করা হারাম। সেটা তো নামাজ পড়েই করা যায়। আমি বরং বলছি, আমরা আসলে কী পছন্দ করছি, দীন নাকি দুনিয়া?

লোকেরা জুমার নামাজে মুনাজাতে আল্লাহর কাছে বিশাল মুনাজাত দেয়, কিন্তু ফজরের সময় সেই তারাই মসজিদে আসে না, ঘুমিয়ে থাকে। আবার একই সময়ে প্রিয় দলের খেলা হলে ঠিকই তারা জেগে থাকতে পারে। আপনি আসলে কোনটাকে বেছে নিয়েছেন ভাই, দীন নাকি দুনিয়া? আপনি কি বুঝতে পারেননি, আপনি কোনটি বেছে নিয়েছেন? আপনি দুনিয়াকে বেছে নিয়েছেন ভাই, দুনিয়াকে!



রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই দুনিয়ার বাস্তবতা বলে গেছেন ভাই! কোনো কোনো মুসলিম আবার মনে করে মুসলিম হওয়া মানে দুনিয়াদারি একেবারে ত্যাগ করতে হবে। না, আসলে সেরকমটা নয়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের দুনিয়া ঘৃণা করা শেখাতে আসেননি। বরং তিনি পৃথিবীতে এসেছেন এই দুনিয়ার বাস্তবতা আমাদের সামনে তুলে ধরতে। দুনিয়ার প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো গ্রহণের এবং অপ্রয়োজনীয় সব বর্জনের শিক্ষা দিতেই তিনি এসেছেন।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের এই শিক্ষা দিতে এসেছেন যে, এই দুনিয়া পরিত্যাজ্য এবং এর মধ্যে যা কিছু সেসবও। তাই এই দুনিয়ার উপায়-উপকরণে যেন বিশ্বাস না করি। কেননা এর মধ্যে কোনো কল্যাণ নেই। এর মধ্যে যা কিছু আছে তা একদিন নিঃশেষ হয়ে যাবে। তাই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের সতর্ক করে গেছেন, আল্লাহর স্মরণ থেকে আমা যেন গাফিল না হয়ে যাই। আল্লাহর স্মরন (জিকির), জ্ঞানার্জন এবং মানুষকে দীন শেখানোর উপদেশ তিনি আমাদের দিয়ে গেছেন।

Previous Post Next Post

نموذج الاتصال