কারাগারের স্মৃতি



একজন বয়স্ক ব্যক্তি। যিনি (গত এক দশকে আমি যতগুলো জেলখানায় ছিলাম তার কোনো একটাতে) আমার সাথে ছিলেন। তিনি আমাকে তার হৃদয়ের কথা খুলে বললেন। তিনি বললেনতাঁর সম্প্রদায়ের এবং সমগ্র রাজ্যগুলোর মধ্যে তিনি মনমরা হয়ে হবার আগে তিনি শত শত অথবা আরও বেশি হাজারো লোকের সাহায্যের জামিন সবসময় তাঁর হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু আজ তাঁর প্রয়োজনের সময় সবাই তাঁর কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।



তিনি ছিলেন একা। আহত এবং গভীর চিন্তায় আচ্ছন্ন। আর্থিক কষ্টের কারণে তার পরিবার তাদের বাড়িঘর রাখতে পারেনি। অসহায়ত্বের অনুভূতি নিয়ে তিনি তার পুরোনো দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুবান্ধবের শরণাপন্ন হয়েছিলেনযাদের ব্যাপারে তার কোনো সন্দেহ ছিল না। তিনি নিশ্চিতভাবে ভাবলেন যে, তারা তাকে সাহায্য করার জন্য সবসময় পাশে থাকবে। তিনি তাদের একান্তভাবে ভালোবাসতেন। তিনি তার ভাইদের ছাত্রদের এতটা ভালোবাসতেন-যেন তাদের চেয়ে তার নিজের পরিবার বেশি কিছু নয়।

এই ভাই তার সময় এবং প্রচেষ্টা সবকিছুই তাদের পেছনে ব্যয় করেছেন। যখনই তিনি তাদের দুঃখ দুর্দশার ব্যাপারে জানতেন, তখনই দ্রুততার সাথে সাহায্য করার জন্য তাদের নিকট ছুটে যেতেন। তাদের ব্যাপারে তিনি ভাবতেন-তারা তার আত্মার কিংবা তারও কাছাকাছি আত্মীয়। যেমনভাবে সমগ্র পৃথিবী তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল, তেমনভাবে তার ভাই ছাত্ররাও মুখ ফিরিয়ে নেয়-যাদের ব্যাপারে তিনি সুউচ্চ ধারণা পোষণ করতেন।

তিনি অশ্রুসিক্ত হয়ে তাদেরকে তার কথা শুনতে বললেন। তার পরিবারকে তাদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য বললেন-যদিও কোনো উপকার আসেনি। তার গাল বেয়ে অবিরাম ঝরে পড়া চোখের পানির ওপর ভাইদের কোনো দয়া-মায়া হলো না, না দয়া হলো ভারাক্রান্ত হৃদয়ের আর্তনাদের ওপর। তারা মুখ ফিরিয়ে নিল। তারা পরিবারটির সাথে মিথ্যা বলত। গড়িমসি করত। এবং তারা যে পরিবারটিকে একটি বোঝা মনে করে সেটাও বুঝিয়ে দিত। শেষপর্যন্ত অসহায় অবস্থায় পরিবারকে রেখে তারা মরীচিকার মতো অদৃশ্য হয়ে যায় এবং এমনভাবে নিরাশ করে-যেন তারা (বন্দির পরিবার) আল্লাহর কোনো সৃষ্টির কাছে সাহায্য পাওয়ার আশা না রাখে।

অন্ধকার যেন বৃদ্ধ লোকটির কারাগারের অন্ধকারকে আরও বাড়িয়ে দেয়। তিনি অনুভব করতেন যে সবাই তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে এবং তাকে পরিত্যাগ করেছে। তিনি এটাও ভাবতেন, তারা যদি এমন অসহায় হতো তাহলে তিনি কী করতেন। তার মনে কখনোই এধরনের বিবেকহীন স্বপ্ন ছিল না যে, তিনি তার ভাই অথবা অনুসারীদের পরিত্যাগ করবেন। যতবারই তিনি মনে করতেন তিনি তার ভাই এবং অনুসারীদের জন্য কী করতেন, ততবারই তিনি বুঝতে পারতেন-তার ভাই এবং অনুসারীরা কতটা বিশ্বাসঘাতক এবং ধোঁকাবাজ ছিল।

এই বয়োবৃদ্ধ ভাইটি দিনের বেলায়ও কোনো বিশ্রাম পেত না। তিনি বড়ো একটি কেন্দ্রের ইমাম ছিলেন। তিনি লোকদের বিবাহের কাজ সম্পন্ন করে দিতেন। মৃতদের দাফন করতেন। তিনি তাদের কষ্টের সময় তাদের পাশে থাকতেন এবং পারিবারিক সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা করতেন। আল্লাহর দয়ায় তার পরামর্শ পরিবারগুলোকে অটুট রাখত; এমনকি তিনি লোকদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়তা করতেন। কিন্তু এখন সবাই তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, কেউ এর ব্যতিক্রম নয়।

আমি তাকে বললাম-“শাইখ, যথেষ্ট হয়েছে! যখন আমরা শুরু করি, তখন আমরা যথেষ্ট দুঃখ করি, যথেষ্ট কাঁদি এবং যথেষ্ট আবেগ দেখাতে শুরু করি।"

তিনি বললেন-"কীভাবে?"

যখন আমরা তাদেরকে আমাদের ঘরে রাতের পর রাত দীর্ঘ সময়ের জন্য অবস্থান করতে দিতাম অথচ চাইলেই আমরা দরজা বন্ধ করে রাখতে পারতাম, যখন আমরা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সময়েও তাদের সম্মানার্থে এবং আমাদের আশেপাশের লোকদের সুবিধার জন্য সময় দিতাম, আমরা এসবকিছু করতাম আল্লাহর জন্য, এবং আল্লাহর কাছ থেকে পুরস্কার পাওয়ার জন্য। আমরা কখনোই এসবের বিনিময় গ্রহণ করিনি। আল্লাহর কাছে চাইতাম, যেন আল্লাহ আমাদের সকল প্রচেষ্টাকে কবুল করেন এবং আল্লাহর ইচ্ছায় যেন এসব আমাদের ভালো কাজসমূহের মধ্যে শামিল করেন। আসলে দিনশেষে আমরাই জয়ী, তারাই পরাজিত।

তিনি চিন্তায় মাথা নিচু করলেন।

আমি আবার বলতে শুরু করলাম "প্রধান পরীক্ষার পাশাপাশি অন্যান্য পরীক্ষা (যার মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছি), আল্লাহ আমাদের পরীক্ষা করেছেন ওই ধরনের

 

বন্ধুদের দ্বারা এবং ওইসব ছাত্রদের দ্বারা। কারণ, তিনি আমাদের শেখাতে চান- যেন আমরা তিনি ছাড়া অন্য কারও নিকট সাহায্য না চাই।

তাকে ছাড়া অন্য কাউকে ভালো না বাসি।

তাকে ছাড়া অন্য কারও কাছে কোনো কিছু প্রার্থনা না করি।

দিকে সাহায্যের জন্য মুখ না ফেরাই। তার দরজা ছাড়া অন্য কারও

অভিযোগ না করি।

তাকে ছাড়া অন্য কারও

দরজায় যেন কড়া না নাড়ি।

আমি বলতে থাকলাম-“আল্লাহ চেয়েছিলেন, যেন আমরা এটা জানি যে, যতই বন্ধু থাকুক, যতই ছাত্র থাকুক এবং যতই অনুসারী থাকুক, আল্লাহ হচ্ছেন সর্বোত্তম। প্রত্যাবর্তন করতে হবে মহা সম্মানিত, সর্বোময় চিরঞ্জীব আল্লাহ তায়ালার নিকটেই।" তিনি জানতে চেয়েছিলেন-যেন আমরা এটা জানি যে, দোস্ত-দুশমনের মতো সমগ্র বিশ্বও যদি আমাদের পরিত্যাগ করে, মহান আল্লাহ তায়ালা কখনো আমাদের পরিত্যাগ করবেন না। আমরা যদি দীর্ঘ সময় ধরে আল্লাহকে ভুলেও থাকি, তারপরেও আল্লাহ অপেক্ষায় থাকেন, কখন আমরা তাকে ডাকব। আমাদের শত সীমালঙ্ঘন পাপ সত্ত্বেও আল্লাহ আমাদের আহ্বানে সাড়া দেওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে বসে থাকেন।

যিনি ভাঙা হৃদয়সমূহকে জোড়া লাগান।

যিনি অত্যাচারিতদের তাদের বহুল প্রতীক্ষিত বিজয় দান করেন।

যিনি হচ্ছেন আপনার আপন মায়ের চেয়েও আপনার প্রতি বেশি দয়ালু।

কেন আপনি ওইসমস্ত দরজায় করাঘাত করেন, যারা ব্যথিত হয় না এবং সাহায্যেও এগিয়ে আসে না।

কেন শুধু ওই দরজায় করাঘাত করেন, যাদের হাতে সমস্ত অনিষ্ট অকল্যাণ। সৃষ্টির কাছে অভিযোগ করবেন না, বরং অভিযোগ করুন সৃষ্টিকর্তার নিকট। কথাহে সুবহানাহু ওয়া তায়ালার কাছে অভিযোগ করুন। তার কাছে চান, তিনি কখনোই আপনাকে খালি হাতে ফেরাবেন না।

অভিযোগ তার কাছেই করুন, যিনি শোনেন। সেখানে অভিযোগ করবেন না,

বন্ধুদের দ্বারা এবং ওইসব ছাত্রদের দ্বারা। কারণ, তিনি আমাদের শেখাতে চান যেন আমরা তিনি ছাড়া অন্য কারও নিকট সাহায্য না চাই। অভিযোগ না করি।

তাকে ছাড়া অন্য কাউকে ভালো না বাসি।

তাকে ছাড়া অন্য কারও কাছে কোনো কিছু প্রার্থনা না করি। তাকে ছাড়া অন্য কারও দিকে সাহায্যের জন্য মুখ না ফেরাই। তার দরজা ছাড়া অন্য কারও দরজায় যেন কড়া না নাড়ি।

আমি বলতে থাকলাম- “আল্লাহ চেয়েছিলেন, যেন আমরা এটা জানি যে, যতই বন্ধু থাকুক, যতই ছাত্র থাকুক এবং যতই অনুসারী থাকুক, আল্লাহ হচ্ছেন সর্বোত্তম। প্রত্যাবর্তন করতে হবে মহা সম্মানিত, সর্বোময় চিরঞ্জীব আল্লাহ তায়ালার নিকটেই।তিনি জানতে চেয়েছিলেন-যেন আমরা এটা জানি যে, দোস্ত-দুশমনের মতো সমগ্র বিশ্বও যদি আমাদের পরিত্যাগ করে, মহান আল্লাহ তায়ালা কখনো আমাদের পরিত্যাগ করবেন না। আমরা যদি দীর্ঘ সময় ধরে আল্লাহকে ভুলেও থাকি, তারপরেও আল্লাহ অপেক্ষায় থাকেন, কখন আমরা তাকে ডাকব। আমাদের শত সীমালঙ্ঘন পাপ সত্ত্বেও আল্লাহ আমাদের আহ্বানে সাড়া দেওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে বসে থাকেন।

যিনি ভাঙা হৃদয়সমূহকে জোড়া লাগান।

যিনি অত্যাচারিতদের তাদের বহুল প্রতীক্ষিত বিজয় দান করেন।

যিনি হচ্ছেন আপনার আপন মায়ের চেয়েও আপনার প্রতি বেশি দয়ালু।

কেন আপনি ওইসমস্ত দরজায় করাঘাত করেন, যারা ব্যথিত হয় না এবং সাহায্যেও এগিয়ে আসে না।

কেন শুধু ওই দরজায় করাঘাত করেন, যাদের হাতে সমস্ত অনিষ্ট অকলাগা

সৃষ্টির কাছে অভিযোগ করবেন না, বরং অভিযোগ করুন সৃষ্টিকর্তার নিকট, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার কাছে অভিযোগ করুন। তার কাছে চান, তিনি কখনোই না,

আপনাকে খালি হাতে ফেরাবেন না। অভিযোগ তার কাছেই করুন, যিনি শোনেন। সেখানে অভিযোগ করবেন

তিনিই হচ্ছেন আল্লাহ।

পরম দয়াময়।

যেখানে লোকজন চোখ-কান বন্ধ করে রাখে।

ফুল হয়ে ফোটো

তাদের কাছে অভিযোগ করে সময় নষ্ট করবেন না-যারা বন্দি কারাগার থেকে অাপনার পাঠানো বার্তা এবং আহ্বানকে প্রত্যাখ্যান করে। তার কাছেই অভিযোগ করুন, যিনি আপনার হৃদয়ের অশ্রু আর্তনাদ দেখেন, যেখানে লোকজন মনভোলার অভিনয় করে।

তাদের কছে কোনো অভিযোগ করবেন না, যারা আপনার পরিবারকে তাড়িয়ে দেয়, অথচ আপনি আপনার পরিবারকে তাদের নিকটে সাহায্যের জন্য পাঠিয়েছিলেন। অভিযোগ তার কাছেই করুন, যিনি আপনার অভিযোগ শোনেন, যেখানে অন্যরা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে।

দুঃখ করবেন না, কেননা আল্লাহ আপনার সাথে আছেন এবং আপনাকে কখনো ত্যাগ করবেন না।

যেখানে আল্লাহ আপনার সাথে আছেন সেখানে অন্য কাউকে আপনার কেন প্রয়োজন?

যদিও এটি আল্লাহর কাছ হতে একটি শিক্ষা। এর মাধ্যমে তিনি তাঁর বন্ধুদের শিক্ষা

দেন, যেন তারা শুধু আল্লাহকে ভালোবাসেন এবং তাঁর দিকেই প্রত্যাবর্তন করেন। আল্লাহ একইভাবে ইয়াকুব আলাইহিস সালামকে এই শিক্ষা দিয়েছেন, তাঁর প্রাণপ্রিয় পুত্র ইউসুফ আলাইহিস সালামকে আলাদা করার মাধ্যমে। ইসলামের বুজুর্গ ব্যক্তিরা ক্রমাগত এধরনের শিক্ষার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন।

যখন আমরা বাগদাদ পৌঁছলাম তখন তিনি আমাকে বললেন-" আবু জাফর! চলো আমরা আহমাদ ইবনু হাঙ্গলের সাথে দেখা করি, যেহেতু আমরা তার শহরের পাশ দিয়ে যাচ্ছি। অতঃপর আমরা তার বাড়ি খুঁজে বের করলাম এবং সেখানে গেলাম। আমরা দরজায় করাঘাত করলাম এবং তিনি দরজা খুললেন।"

হাতেম আল আসাম বলেন-"ওহে আবু আবদুল্লাহ! (আহমাদ ইবনু হাম্বল) আমি তোমার ভাই হাতেম।"

একারণে ধন্যবাদ জানাই, কেননা এটাই আমাকে শত্রু থেকে আমার বন্ধুদের আলাদা করতে শিখিয়েছে!"

আল্লাহ আমাদের কাছ থেকে অনেক কিছু নিয়ে নেন, কিন্তু সেটা তিনি একেবারে নেন না, সেটা বদল করে পুনরায় ফিরিয়ে দেন। তিনি বিশ্বাসঘাতক, অবিবেচক, দুর্বল এবং মেরুদণ্ডহীন ভীতদেরকে বদল করে সঙ্গী হিসেবে ভালো সাহসী পুরুষ এবং উত্তম ভাইদের দ্বারা পরিবর্তন করে দেন।

এটা আমার বুঝতে খুব কঠিন লাগে যখন তারা আল্লাহর সামনে দাঁড়াবে, তখন কীভাবে তারা এসবের উত্তর দেবে?

আল্লাহ তাকে এমন স্থানে সাহায্য করা হতে বিমুখ থাকবেন, যেখানে সে তাঁর সাহায্য কামনা করে। আর যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের মান-ইজ্জত নষ্ট হওয়ার স্থানে তাকে সাহায্য করে, আল্লাহ তায়ালা তাকে এমন স্থানে সাহায্য করবেন, যেখানে সে তাঁর সাহায্য প্রত্যাশা করে।সময়ের শুরু থেকেই আলিমরা ধরনের সংগ্রাম করে আসছে। যখনই তারা কঠিন। সমস্যার মুখোমুখি হয়, তখনই তারা ওই সমস্ত লোক দ্বারা প্রতারিত হয় বাসিন তারা অনেক সময় দিয়েছে এবং যারা তাদের ওপর একসময় নির্ভর করত। এমনকি এও ঘটে যে, ওই সমস্ত লোক শুধু দূরেই সরে যায় না বরং তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। তারা এসব করে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য। কুফফারানে খুশি করার জন্য। জনপ্রিয়তা অর্জনের জন্য। এবং নিজ স্বার্থের জন্য।

বর্ণিত হয়েছে, হজরত আলি ইবনু আবি তালিব রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেছিলেন- "আপনি কেবল আপনার সত্যিকারের ভাই কে তখনই জানবেন, যখন সে আপনার কষ্টের সময়ে, আপনার অনুপস্থিতিতে এবং মৃত্যুর পরে আপনাকে রক্ষা করবেন।"

ইসলাম ভ্রাতৃত্বের ব্যাপারে উৎসাহ এবং জোর দেয়। তা সত্ত্বেও প্রকৃত ভ্রাতৃত্ব এখন বিরল হয়ে উঠেছে-ঠিক যেমন একটি বিরল মুদ্রা বা একটি মূল্যবান গয়না, যা

আপনারা সহজে খুঁজে পান না।

তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, যারা কষ্টভোগের সময় ভাইদের পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে। আমরা তাদের সাথে ইসলামের বন্ধনকে অস্বীকার করতে পারি না, কিন্তু আপনারা 'বিস্মৃত হয়ে গেছেন'! আমরা আপনাদের পৃষ্ঠপ্রদর্শন করি, যেমনটা আপনারা করেছেন। আর আপনারা যে পথই নেন না কেন, আমরা তার চেয়ে ভিন্ন পথটি বেছে নেব এবং হয়তো আমরা আরও দায়িত্বশীল ভাইদের খুঁজে পাব। ইনশাআল্লাহ।

আমি তাদের মৃত্যুতে শোকাহত হয়েছি, যখন তারা নিস্তব্ধতায় পতিত হয়েছিল এবং দূরে সরে গিয়েছিল। নিশ্চয়ই মৃতদের জন্য ফিরে আসাটা কঠিন। দিনশেষে হয়তো আমরা শত্রুদের কথা এবং নির্যাতন মনে রাখব না, কিন্তু

আমাদের বন্ধুদের নীরবতা এবং বিশ্বাসঘাতকতা আমরা মনে রাখব।

আল্লাহ যেন সকল বিপর্যস্তকে সর্বোত্তমভাবে পুরস্কৃত করেন। যতটা কঠিন বিপর্যয় তারা মেনে নিতে পারে, ঠিক ততটাই বিপর্যয় যেন তাদের দেন। আমি এটাকে শুধু একারণে ধন্যবাদ জানাই, কেননা এটাই আমাকে শত্রু থেকে আমার বন্ধুদের আলাদা করতে শিখিয়েছে!

 

Previous Post Next Post

نموذج الاتصال