ধনী পুরুষকে বিয়ে করতে চাই

আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই?  আশা করি ভাল আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ

আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব

ধনী পুরুষকে বিয়ে করতে চাই নিয়ে কিছু কথা । ধনী পুরুষকে বিয়ে করতে চাই সম্পর্কে জানতে আমার আজকের আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।



আলহামদুলিল্লাহ! আমাদের সমাজে এখনো কিছু ভালো নারী রয়েছেন। এখনো কিছু লজ্জাশীল, আত্মসচেতন নারী রয়েছেন। তাদের জন্য দুআ করি। আল্লাহ যেন তাদের কবুল করেন। এই জাহিলিয়াত থেকে বাঁচিয়ে রাখেন। কিন্তু বাস্তবতাও আমরা জানি। আমরা দেখতে পাচ্ছি সমাজে কী ঘটে চলেছে। দিনদিন অশালীন চলাফেরাকারী নারীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আমরা এত এত ওয়াজ-আওয়াজ করি। এত এত নসিহত দিই। সাধারণ জীবনযাপনের জন্য কথা বলি। দুনিয়ার প্রতি নির্মোহ জীবনযাপনের কথা বলি। উম্মাহর জেগে ওঠার জন্য প্রাণান্তকর চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু কতটুকু কাজ হচ্ছে জানি না।

একটা কালো রংয়ের ছেলেকে বিয়ে করতে বললে মেয়েদের কী অবস্থা হয়? আহা, সেটা কি মেনে নেওয়া সহজ হয়? আচ্ছা সেসব নিয়ে কথা বলব না। কারণ ওটা আপনাদের ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু বিয়েশাদির ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন? আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি কী? 


আমরা আসলে কী চাই?


আচ্ছা এটাকে বোনদেরই দোষ বলি কীভাবে? আসতাগফিরুল্লাহ! তাদেরকে দোষ দেওয়া আমার উদ্দেশ্য নয়। তারা তো এসব দেখতে দেখতেই বেড়ে উঠেছে। রঙিন দুনিয়ার চোখধাঁধানো কাজকারবার তাদের চারপাশে ঘটে চলেছে। তারা দেখছে- অন্য নারীরা যখন খুশি তখন মার্কেটে, বাজারে চলে যাচ্ছে। যখন যা খুশি কিনে নিয়ে আসছে। কিন্তু বোন! তারা কি সুখী? একবার গিয়ে জিজ্ঞেস করুন, তারা কি সুখী? আপনি দেখবেন তারা (অশালীন চলাফেরাকারী নারীরা) দুনিয়ার প্রতিটি নারীর প্রতি হিংসা লালন করে। প্রতিটি নারীকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে। সপ্তাহে সপ্তাহে তারা জুতার মডেল ও কাপড়ের ডিজাইন দেখে আর কেনার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ে। তারা পরিচিতজন ও প্রতিবেশীদের সবাইকে হিংসা করে। দাম্ভিক, অহংকারী তাদের চলাফেরা।

কিন্তু যখন সে আবার ফোনে কথা বলে, তখন খুবই কোমল কন্ঠে বলে। স্বামীর সাথে দুই-তিন দিনও একবার ফোন দেয় না। আর স্বামী যদি একটু বেখবর হয়, তবে তো কথাই নেই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা চলতে থাকে। ভাই, এই হলো দুনিয়া। দুনিয়ার ভেতরের খবর। অর্থ, প্রতিপত্তি, সম্পদ দিয়েই এখানে স্বামী নির্বাচন করা হয়। সেসব প্রাচুর্য থাকলেই স্বামীর আনুগত্য করা হয়।

তো বোনেরা, আজকের দুনিয়ায় স্বামী বাছাই করতে গিয়ে যেসব মানদণ্ড ঠিক করে দেওয়া হয়, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কি সেসব মানদণ্ড পূরণ


করে আপনার বাদী হতে পাবত? নাউজুবিল্লাহ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইড়ি করে আমকি তাঁর স্ত্রীদের কাছে অবহেলার শিকার হয়েছেন? কখনোই না। বরং বড়লেহ সররাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন-"তোমাদের মধ্যে তারাই উত্তম, যারা তাদের স্ত্রীদের কাছে উত্তম। আর আমি আমার স্ত্রীদের কাছে

ভূমিষ্য দিয়ে তাঁরা (রাসুলের স্ত্রীগণ) কী করেছেন বোন? আয়িশা রাযিয়াল্লাছ আমরা বলেন, "আল্লাহর কসমা টানা তিন পূর্ণচাঁদ কেটে গেছে, আমরা কিছুই রজা করতে পারিনি।""

তার মানে টানা দুই মাস ধরে রান্না করার মতো কিছুই ছিল না, ঘরে কোনো আগুন বলেনি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নয়জন স্ত্রীর ঘারে এবং অবস্থা ছিল।

আজকে আমাদের নারীদের কী অবস্থা তা আপনারা জানেন। আমাদের বোনো বলেন, 'ইশা যদি কোনো নবির স্ত্রী হতে পারতাম।' বোনেরা কি পারতেন এ অবস্থা সহ্য করতে? নিজেদের প্রশ্ন করুন। দুটো মাস শুধু খেজুর আর পানি দিয়ে কাটিয়ে দিয়েছেন।

আয়িশা রাযিয়াল্লাহু আনহা অন্যত্র বলেছেন- "অনেক দিন তারা দিনে দুই বেলা খেতে পেয়েছেন।"

আমাদের বোনেরা অভিযোগ করেন-"ভাই, আমার স্বামী ঠিকমতো বাজার করে

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এ সংক্রান্ত কুরআনের আয়াত নাজিল করে দিলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আল্লাহ তায়ালা বলেন,

"হাদিসটির আরবি পাঠ এমন:

خَيْرُكُمْ خَيْرُكُمْ لِأَهْلِهِ، وَأَنَا خَيْرُكُمْ لِأَهْلِي

"তোমাদের মধ্যে সে-ই সবচেয়ে উত্তম, যে তার পরিবারের নিকট উত্তম। আর আমি আমা পরিবারের নিকট উত্তম।" [সুনানু ইবনি মাজাহ: ১৯৭৭, সনদ সহিহ।]-শারয়ি সম্পাদক। "হাদিসটি ছিল এমন:

عَائِشَةَ، قَالَتْ: إِنْ كُنَّا آلَ مُحَمَّدٍ نَمَك شَهْرًا مَا تَسْتَوْقِدُ بِنَارِ، إِنْ هُوَ إِلَّا الأَمْرُ وَالْمَاءُ مَنْ

আমিশা রাবিয়াল্লাহু আনহা বলেন-আমরা (নবির পরিবারের) সদস্যরা মাস কাটিয়ে দিতম কিন্তু চুলার আগুন জ্বালানো সম্ভব হতো না। খেজুর আর পানি ছাড়া আমাদের আর কিছুই ছিল না। [আশ-শামায়েল, ইমাম তিরমিজি: ৩৫৪]-শারয়ি সম্পাদক।


يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُل لِأَزْوَاجِكَ إِن كُنتُنَّ تُرِدْنَ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا وَزِينَتَهَا فَتَعَالَيْنَ أُمَتَعْكُنَّ وَأُسَرِحْكُنَّ سَرَاحًا جَمِيلًا.

"হে নবি! আপনি আপনার স্ত্রীদের কে বলুন, তোমরা যদি  আরামের জীবন ও তার বিলাসিতা কামনা করো, তবে আসো, আমি তোমাদের ভোগের ব্যবস্থা করে দিই। উত্তম পন্থায় তোমাদে কে বিদায় করে দিই।"৩৪

ওয়াল্লাহি, আজকে আমাদের বোনেরা কোথায় পড়ে আছে! আমি কিছুদিন হলো ওমরাহ হতে দেশে ফিরেছি। দেখেছি সেখানে তাদের স্কার্ফ, হিজাব, নিকাব, বোরকা, আবায়া কেনার ধুম। নিত্যনতুন ডিজাইন আর কালারের খোঁজ। আমি বলছি না এগুলো হারাম। এটা জায়িজ আছে। আপনার সামর্থ্যের আলোকে আপনি কেনাকাটা করেন, কোনো সমস্যা নাই। কিন্তু এসব নিয়ে ব্যস্ত হওয়া কতটা তাকওয়াপূর্ণ, ভেবে দেখবেন একটু। আল্লাহ আমাদের সবাইকে বোঝার তাওফিক দিন।



Previous Post Next Post

نموذج الاتصال